How to increase your love of Allah
1. Pray 5 daily prayers on time.
2. Reading the Qur'an daily.
3. Tahajjud every night
4. Learn about His Names.
5. Reflect on His Signs.
6. Reflect on the blessings He has granted you.
7. Reflect on the beauty of His creation & realise that it is only a small glimpse of the Beauty of its Creator.
5 notes
·
View notes
আল্লাহর জন্য ভালোবাসা ও শত্রুতা
Love and enmity for Allah
কাকে ভালবাসবেন, কার জন্য ভালবাসবেন?
Who will you love, for whom will you love?
ভালোবাসা হবে একমাত্র আল্লাহর জন্য।
“আল ওয়ালা ওয়াল বারা”- ইসলামের এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এর অর্থ হচ্ছে আল্লাহর জন্য কোন ব্যক্তি বা বস্তু বা কাজকে ভালবাসা ও আল্লহর জন্যই কোন ব্যক্তি, বস্তু বা কাজকে ঘৃণা করা। যে কয়টি মুল স্তম্ভের উপর ঈমান গঠিত তার মধ্যে একটি হচ্ছে ‘আল ওয়ালা ওয়াল বারা’।
আমরা পৃথিবীতে যা করি সবকিছু ভালবাসা ও ঘৃণার ভিত্তিতে হয়ে থাকে। যেমন ধরুন আমরা যদি কারো সাথে বন্ধুত্ব করি এমন কারো সাথে বন্ধুত্ব করি যাদের আমরা ভালবাসি। সবার বক্তব্য আমরা শুনিনা, সবাইকে কেয়ার করিনা। তাদের বক্তব্য শুধুমাত্র শুনি যাদের আমরা ভালবাসি।
এই যে উপরোক্ত সকলের প্রতি ভালবাসার জন্য আমরা এত কিছু করি কিন্তু কিসের জন্য এই ভালবাসাটা?
অবশ্যই স্বার্থের জন্য হতে পারে আমার নিজেরস্বার্থের জন্য, আমার নিকটবর্তী আত্মীয় কারো জন্য। আল্লাহ পাকের কথা হচ্ছে, ভালবাসতে হবে শুধু আল্লাহর জন্য ঘৃনাও করতে হবে শুধু আল্লাহর জন্য। আল্লাহর জন্য বলতে বুঝায় আল্লহ ও তার রাসুল (সঃ) যাতে সন্তুষ্ট তা করা ও যাতে অসন্তুষ্ট তা পরিহার করা।
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে কেউ আল্লাহর জন্যই ভালবাসে এবং আল্লাহর জন্যই ঘৃণা করে এবং (কাউকে কিছু) দিয়ে থাকে আল্লাহর জন্যই এবং (কাউকে কিছু) দেয়া থেকেও বিরত থাকে আল্লাহর জন্য; তাহলে তার ঈমান পরিপূর্ণ হলো।”
[আবু দাউদ: ৪০৬১, দ্বাদশ খণ্ড, পৃ-২৯১]
হজরত আবু যর (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘মানুষের আমলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে প্রিয় আমল হচ্ছে ওই ভালোবাসা যা আল্লাহর জন্য হয় এবং ওই শত্রুতা যা আল্লাহর জন্য হয়।' (সুনানে আবু দাউদ : হাদিস ৪৫৯৯)।কিয়ামতের দিন আল্লাহ তায়ালা বলবেন, আমার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে পরস্পর ভালোবাসা স্থাপনকারীরা কোথায় ? আজ যে দিন আমার ছায়া ব্যতীত কোন ছায়া থাকবে না- আমি তাদের ছায়া দেব। (সহীহ মুসলিম: ৪৬৫৫) সুবহানাল্লাহ
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। নবীজী (সা.) বলেন, সাত ধরণের মানুষকে আল্লাহ তায়ালা আরশের নিচে ছায়া দেবেন, এর মধ্যে এমন দুই ব্যক্তি রয়েছে যারা আল্লাহর ওয়াস্তে পরস্পরকে মহব্বত করত। আল্লাহর মহব্বতের ওপরই তারা একত্র হতো, আবার আল্লাহর মহব্বতেই পৃথক হতো। (সহিহ বুখারি : হাদিস ৬৬০, সহিহ মুসলিম: হাদিস ১০১৩)।
আল্লাহ কুরআনে বলেন, (হে মুহাম্মদ) আপনি বলে দিন- "যদি তোমরা আল্লাহর ভালবাসা পেতে চাও তবে আমাকে (নবীকে) অনুসরণ কর। আল্লাহ্ তোমাদের ভালবাসবেন এবং তোমাদের গুনাহ্সমূহ ক্ষমা করে দিবেন। আর আল্লাহ মহাক্ষমাশীল ও পরম করুণাময়।”
(সূরা আলে ইমরান-৩১)।
“যারা আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস করে, তাদেরকে আপনি আল্লাহ ও তাঁর রসূলের বিরুদ্ধাচরণকারীদের সাথে বন্ধুত্ব করতে দেখবেন না, যদিও তারা তাদের পিতা, পুত্র, ভ্রাতা অথবা জ্ঞাতি-গোষ্ঠী হয়। তাদের অন্তরে আল্লাহ ঈমান লিখে দিয়েছেন এবং তাদেরকে শক্তিশালী করেছেন তাঁর অদৃশ্য শক্তি দ্বারা। তিনি তাদেরকে জান্নাতে দাখিল করবেন, যার তলদেশে নদী প্রবাহিত। তারা তথায় চিরকাল থাকবে। আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট এবং তারা আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট। তারাই আল্লাহর দল। জেনে রাখ, আল্লাহর দলই সফলকাম হবে।" [সূরা আল-মুজদালাহ, আয়াত : ২২]
আল্লাহ কাদের ভালোবাসেনঃ
আল্লাহ সৎকর্মশীলদিগকেই ভালবাসেন। [আলে ইমরান ১৩৪ ]
আল্লাহ অনুগ্রহকারীদেরকে ভালবাসেন [আল বাক্বারা ১৯৫ ]
অবশ্যই আল্লাহ পরহেজগারদেরকে ভালবাসেন। [আলে ইমরান ৭৬ ]
নিশ্চয় আল্লাহ তাওবাকারীদের ভালোবাসেন ভালোবাসেন।[সূরা বাকারা ২০৫] আল্লাহ পবিত্র লোকদের ভালবাসেন। [আত তাওবা ১০৮ ]
আল্লাহ তাওয়াক্কুল কারীদের ভালবাসেন। [আলে ইমরান : ১৫৯]
নিশ্চয় আল্লাহ সুবিচারকারীদেরকে ভালবাসেন। [সুরা মায়িদা : ৪২]
আর যারা সবর করে,আল্লাহ তাদেরকে ভালবাসেন। [আলে ইমরান : ১৪৬]
আল্লাহ ইনসাফকারীদেরকে ভালবাসেন। [আল মুমতাহিনা : ৮]
আল্লাহ সাবধানীদের পছন্দ করেন। [আত তাওবা : ৪, ৭]
আল্লাহ কাদের ভালোবাসেন না এবং পছন্দ করেন নাঃ
আল্লাহ কাফেরদিগকে ভালবাসেন না। [আলে ইমরান : ৩২]
আল্লাহ অত্যাচারীদেরকে ভালবাসেন না। [আলে ইমরান : ৫৭]
আল্লাহ দাম্ভিকদেরকে ভালবাসেন না। [আল কাছাছ: ৭৬]
আল্লাহ বিপর্যয় সৃষ্টিকারীদেরকে পছন্দ করেন না। [আল-কাছাছ : ৭৭]
নিশ্চয়ই আল্লাহ ধোকাবাজ, প্রতারককে পছন্দ করেন না। [আল আনফাল : ৫৮]
নিশ্চয়ই আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীদে রকে পছন্দ করেন না। [আল বাক্বারা: ১৯০; আল মায়িদা: ৮৭]
আল্লাহ ফাসাদ ও দাঙ্গা-হাঙ্গামা পছন্দ করেন না। [আল-বাক্বারা : ২০৫]
তিনি অপব্যয়ীদেরকে পছন্দ করেন না। [আল আরাফ : ৩১]
আল্লাহ পছন্দ করেন না তাকে, যে বিশ্বাস ঘাতক পাপী হয়। [আন নাস : ১০৭]
আল্লাহ কোন বিশ্বাসঘাতক অকৃতজ্ঞকে পছন্দ করেন না। [আল হাজ্জ্ব : ৩৮]
#আসুন, তাদেরকে ভালোবাসতে শিখি যাদের আল্লাহ ভালবাসেন, তাদেরকে ঘৃণা করতে শিখি যাদের আল্লাহ ভালবাসেন না।
আল্লাহ আমাদেরকে সেই তৌফিক দান করুন,
আল্লাহর জন্য ভালোবাসা ও শত্রুতা
আল্লাহর জন্য ভালোবাসা ও শত্রুতা
Love and Enmity for Allah SWT
0 notes
আল্লাহর জন্য ভালোবাসা ও শত্রুতা
Love and enmity for Allah
কাকে ভালবাসবেন, কার জন্য ভালবাসবেন?
Who will you love, for whom will you love?
ভালোবাসা হবে একমাত্র আল্লাহর জন্য।
“আল ওয়ালা ওয়াল বারা”- ইসলামের এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এর অর্থ হচ্ছে আল্লাহর জন্য কোন ব্যক্তি বা বস্তু বা কাজকে ভালবাসা ও আল্লহর জন্যই কোন ব্যক্তি, বস্তু বা কাজকে ঘৃণা করা। যে কয়টি মুল স্তম্ভের উপর ঈমান গঠিত তার মধ্যে একটি হচ্ছে ‘আল ওয়ালা ওয়াল বারা’।
আমরা পৃথিবীতে যা করি সবকিছু ভালবাসা ও ঘৃণার ভিত্তিতে হয়ে থাকে। যেমন ধরুন আমরা যদি কারো সাথে বন্ধুত্ব করি এমন কারো সাথে বন্ধুত্ব করি যাদের আমরা ভালবাসি। সবার বক্তব্য আমরা শুনিনা, সবাইকে কেয়ার করিনা। তাদের বক্তব্য শুধুমাত্র শুনি যাদের আমরা ভালবাসি।
এই যে উপরোক্ত সকলের প্রতি ভালবাসার জন্য আমরা এত কিছু করি কিন্তু কিসের জন্য এই ভালবাসাটা?
অবশ্যই স্বার্থের জন্য হতে পারে আমার নিজেরস্বার্থের জন্য, আমার নিকটবর্তী আত্মীয় কারো জন্য। আল্লাহ পাকের কথা হচ্ছে, ভালবাসতে হবে শুধু আল্লাহর জন্য ঘৃনাও করতে হবে শুধু আল্লাহর জন্য। আল্লাহর জন্য বলতে বুঝায় আল্লহ ও তার রাসুল (সঃ) যাতে সন্তুষ্ট তা করা ও যাতে অসন্তুষ্ট তা পরিহার করা।
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে কেউ আল্লাহর জন্যই ভালবাসে এবং আল্লাহর জন্যই ঘৃণা করে এবং (কাউকে কিছু) দিয়ে থাকে আল্লাহর জন্যই এবং (কাউকে কিছু) দেয়া থেকেও বিরত থাকে আল্লাহর জন্য; তাহলে তার ঈমান পরিপূর্ণ হলো।”
[আবু দাউদ: ৪০৬১, দ্বাদশ খণ্ড, পৃ-২৯১]
হজরত আবু যর (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘মানুষের আমলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে প্রিয় আমল হচ্ছে ওই ভালোবাসা যা আল্লাহর জন্য হয় এবং ওই শত্রুতা যা আল্লাহর জন্য হয়।' (সুনানে আবু দাউদ : হাদিস ৪৫৯৯)।কিয়ামতের দিন আল্লাহ তায়ালা বলবেন, আমার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে পরস্পর ভালোবাসা স্থাপনকারীরা কোথায় ? আজ যে দিন আমার ছায়া ব্যতীত কোন ছায়া থাকবে না- আমি তাদের ছায়া দেব। (সহীহ মুসলিম: ৪৬৫৫) সুবহানাল্লাহ
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। নবীজী (সা.) বলেন, সাত ধরণের মানুষকে আল্লাহ তায়ালা আরশের নিচে ছায়া দেবেন, এর মধ্যে এমন দুই ব্যক্তি রয়েছে যারা আল্লাহর ওয়াস্তে পরস্পরকে মহব্বত করত। আল্লাহর মহব্বতের ওপরই তারা একত্র হতো, আবার আল্লাহর মহব্বতেই পৃথক হতো। (সহিহ বুখারি : হাদিস ৬৬০, সহিহ মুসলিম: হাদিস ১০১৩)।
আল্লাহ কুরআনে বলেন, (হে মুহাম্মদ) আপনি বলে দিন- "যদি তোমরা আল্লাহর ভালবাসা পেতে চাও তবে আমাকে (নবীকে) অনুসরণ কর। আল্লাহ্ তোমাদের ভালবাসবেন এবং তোমাদের গুনাহ্সমূহ ক্ষমা করে দিবেন। আর আল্লাহ মহাক্ষমাশীল ও পরম করুণাময়।”
(সূরা আলে ইমরান-৩১)।
“যারা আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস করে, তাদেরকে আপনি আল্লাহ ও তাঁর রসূলের বিরুদ্ধাচরণকারীদের সাথে বন্ধুত্ব করতে দেখবেন না, যদিও তারা তাদের পিতা, পুত্র, ভ্রাতা অথবা জ্ঞাতি-গোষ্ঠী হয়। তাদের অন্তরে আল্লাহ ঈমান লিখে দিয়েছেন এবং তাদেরকে শক্তিশালী করেছেন তাঁর অদৃশ্য শক্তি দ্বারা। তিনি তাদেরকে জান্নাতে দাখিল করবেন, যার তলদেশে নদী প্রবাহিত। তারা তথায় চিরকাল থাকবে। আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট এবং তারা আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট। তারাই আল্লাহর দল। জেনে রাখ, আল্লাহর দলই সফলকাম হবে।" [সূরা আল-মুজদালাহ, আয়াত : ২২]
আল্লাহ কাদের ভালোবাসেনঃ
আল্লাহ সৎকর্মশীলদিগকেই ভালবাসেন। [আলে ইমরান ১৩৪ ]
আল্লাহ অনুগ্রহকারীদেরকে ভালবাসেন [আল বাক্বারা ১৯৫ ]
অবশ্যই আল্লাহ পরহেজগারদেরকে ভালবাসেন। [আলে ইমরান ৭৬ ]
নিশ্চয় আল্লাহ তাওবাকারীদের ভালোবাসেন ভালোবাসেন।[সূরা বাকারা ২০৫] আল্লাহ পবিত্র লোকদের ভালবাসেন। [আত তাওবা ১০৮ ]
আল্লাহ তাওয়াক্কুল কারীদের ভালবাসেন। [আলে ইমরান : ১৫৯]
নিশ্চয় আল্লাহ সুবিচারকারীদেরকে ভালবাসেন। [সুরা মায়িদা : ৪২]
আর যারা সবর করে,আল্লাহ তাদেরকে ভালবাসেন। [আলে ইমরান : ১৪৬]
আল্লাহ ইনসাফকারীদেরকে ভালবাসেন। [আল মুমতাহিনা : ৮]
আল্লাহ সাবধানীদের পছন্দ করেন। [আত তাওবা : ৪, ৭]
আল্লাহ কাদের ভালোবাসেন না এবং পছন্দ করেন নাঃ
আল্লাহ কাফেরদিগকে ভালবাসেন না। [আলে ইমরান : ৩২]
আল্লাহ অত্যাচারীদেরকে ভালবাসেন না। [আলে ইমরান : ৫৭]
আল্লাহ দাম্ভিকদেরকে ভালবাসেন না। [আল কাছাছ: ৭৬]
আল্লাহ বিপর্যয় সৃষ্টিকারীদেরকে পছন্দ করেন না। [আল-কাছাছ : ৭৭]
নিশ্চয়ই আল্লাহ ধোকাবাজ, প্রতারককে পছন্দ করেন না। [আল আনফাল : ৫৮]
নিশ্চয়ই আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীদে রকে পছন্দ করেন না। [আল বাক্বারা: ১৯০; আল মায়িদা: ৮৭]
আল্লাহ ফাসাদ ও দাঙ্গা-হাঙ্গামা পছন্দ করেন না। [আল-বাক্বারা : ২০৫]
তিনি অপব্যয়ীদেরকে পছন্দ করেন না। [আল আরাফ : ৩১]
আল্লাহ পছন্দ করেন না তাকে, যে বিশ্বাস ঘাতক পাপী হয়। [আন নাস : ১০৭]
আল্লাহ কোন বিশ্বাসঘাতক অকৃতজ্ঞকে পছন্দ করেন না। [আল হাজ্জ্ব : ৩৮]
#আসুন, তাদেরকে ভালোবাসতে শিখি যাদের আল্লাহ ভালবাসেন, তাদেরকে ঘৃণা করতে শিখি যাদের আল্লাহ ভালবাসেন না।
আল্লাহ আমাদেরকে সেই তৌফিক দান করুন,
আল্লাহর জন্য ভালোবাসা ও শত্রুতা
আল্লাহর জন্য ভালোবাসা ও শত্রুতা
Love and Enmity for Allah SWT
0 notes
আল্লাহর জন্য ভালোবাসা ও শত্রুতা
Love and enmity for Allah
কাকে ভালবাসবেন, কার জন্য ভালবাসবেন?
Who will you love, for whom will you love?
ভালোবাসা হবে একমাত্র আল্লাহর জন্য।
“আল ওয়ালা ওয়াল বারা”- ইসলামের এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এর অর্থ হচ্ছে আল্লাহর জন্য কোন ব্যক্তি বা বস্তু বা কাজকে ভালবাসা ও আল্লহর জন্যই কোন ব্যক্তি, বস্তু বা কাজকে ঘৃণা করা। যে কয়টি মুল স্তম্ভের উপর ঈমান গঠিত তার মধ্যে একটি হচ্ছে ‘আল ওয়ালা ওয়াল বারা’।
আমরা পৃথিবীতে যা করি সবকিছু ভালবাসা ও ঘৃণার ভিত্তিতে হয়ে থাকে। যেমন ধরুন আমরা যদি কারো সাথে বন্ধুত্ব করি এমন কারো সাথে বন্ধুত্ব করি যাদের আমরা ভালবাসি। সবার বক্তব্য আমরা শুনিনা, সবাইকে কেয়ার করিনা। তাদের বক্তব্য শুধুমাত্র শুনি যাদের আমরা ভালবাসি।
এই যে উপরোক্ত সকলের প্রতি ভালবাসার জন্য আমরা এত কিছু করি কিন্তু কিসের জন্য এই ভালবাসাটা?
অবশ্যই স্বার্থের জন্য হতে পারে আমার নিজেরস্বার্থের জন্য, আমার নিকটবর্তী আত্মীয় কারো জন্য। আল্লাহ পাকের কথা হচ্ছে, ভালবাসতে হবে শুধু আল্লাহর জন্য ঘৃনাও করতে হবে শুধু আল্লাহর জন্য। আল্লাহর জন্য বলতে বুঝায় আল্লহ ও তার রাসুল (সঃ) যাতে সন্তুষ্ট তা করা ও যাতে অসন্তুষ্ট তা পরিহার করা।
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে কেউ আল্লাহর জন্যই ভালবাসে এবং আল্লাহর জন্যই ঘৃণা করে এবং (কাউকে কিছু) দিয়ে থাকে আল্লাহর জন্যই এবং (কাউকে কিছু) দেয়া থেকেও বিরত থাকে আল্লাহর জন্য; তাহলে তার ঈমান পরিপূর্ণ হলো।”
[আবু দাউদ: ৪০৬১, দ্বাদশ খণ্ড, পৃ-২৯১]
হজরত আবু যর (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘মানুষের আমলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে প্রিয় আমল হচ্ছে ওই ভালোবাসা যা আল্লাহর জন্য হয় এবং ওই শত্রুতা যা আল্লাহর জন্য হয়।' (সুনানে আবু দাউদ : হাদিস ৪৫৯৯)।কিয়ামতের দিন আল্লাহ তায়ালা বলবেন, আমার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে পরস্পর ভালোবাসা স্থাপনকারীরা কোথায় ? আজ যে দিন আমার ছায়া ব্যতীত কোন ছায়া থাকবে না- আমি তাদের ছায়া দেব। (সহীহ মুসলিম: ৪৬৫৫) সুবহানাল্লাহ
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। নবীজী (সা.) বলেন, সাত ধরণের মানুষকে আল্লাহ তায়ালা আরশের নিচে ছায়া দেবেন, এর মধ্যে এমন দুই ব্যক্তি রয়েছে যারা আল্লাহর ওয়াস্তে পরস্পরকে মহব্বত করত। আল্লাহর মহব্বতের ওপরই তারা একত্র হতো, আবার আল্লাহর মহব্বতেই পৃথক হতো। (সহিহ বুখারি : হাদিস ৬৬০, সহিহ মুসলিম: হাদিস ১০১৩)।
আল্লাহ কুরআনে বলেন, (হে মুহাম্মদ) আপনি বলে দিন- "যদি তোমরা আল্লাহর ভালবাসা পেতে চাও তবে আমাকে (নবীকে) অনুসরণ কর। আল্লাহ্ তোমাদের ভালবাসবেন এবং তোমাদের গুনাহ্সমূহ ক্ষমা করে দিবেন। আর আল্লাহ মহাক্ষমাশীল ও পরম করুণাময়।”
(সূরা আলে ইমরান-৩১)।
“যারা আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস করে, তাদেরকে আপনি আল্লাহ ও তাঁর রসূলের বিরুদ্ধাচরণকারীদের সাথে বন্ধুত্ব করতে দেখবেন না, যদিও তারা তাদের পিতা, পুত্র, ভ্রাতা অথবা জ্ঞাতি-গোষ্ঠী হয়। তাদের অন্তরে আল্লাহ ঈমান লিখে দিয়েছেন এবং তাদেরকে শক্তিশালী করেছেন তাঁর অদৃশ্য শক্তি দ্বারা। তিনি তাদেরকে জান্নাতে দাখিল করবেন, যার তলদেশে নদী প্রবাহিত। তারা তথায় চিরকাল থাকবে। আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট এবং তারা আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট। তারাই আল্লাহর দল। জেনে রাখ, আল্লাহর দলই সফলকাম হবে।" [সূরা আল-মুজদালাহ, আয়াত : ২২]
আল্লাহ কাদের ভালোবাসেনঃ
আল্লাহ সৎকর্মশীলদিগকেই ভালবাসেন। [আলে ইমরান ১৩৪ ]
আল্লাহ অনুগ্রহকারীদেরকে ভালবাসেন [আল বাক্বারা ১৯৫ ]
অবশ্যই আল্লাহ পরহেজগারদেরকে ভালবাসেন। [আলে ইমরান ৭৬ ]
নিশ্চয় আল্লাহ তাওবাকারীদের ভালোবাসেন ভালোবাসেন।[সূরা বাকারা ২০৫] আল্লাহ পবিত্র লোকদের ভালবাসেন। [আত তাওবা ১০৮ ]
আল্লাহ তাওয়াক্কুল কারীদের ভালবাসেন। [আলে ইমরান : ১৫৯]
নিশ্চয় আল্লাহ সুবিচারকারীদেরকে ভালবাসেন। [সুরা মায়িদা : ৪২]
আর যারা সবর করে,আল্লাহ তাদেরকে ভালবাসেন। [আলে ইমরান : ১৪৬]
আল্লাহ ইনসাফকারীদেরকে ভালবাসেন। [আল মুমতাহিনা : ৮]
আল্লাহ সাবধানীদের পছন্দ করেন। [আত তাওবা : ৪, ৭]
আল্লাহ কাদের ভালোবাসেন না এবং পছন্দ করেন নাঃ
আল্লাহ কাফেরদিগকে ভালবাসেন না। [আলে ইমরান : ৩২]
আল্লাহ অত্যাচারীদেরকে ভালবাসেন না। [আলে ইমরান : ৫৭]
আল্লাহ দাম্ভিকদেরকে ভালবাসেন না। [আল কাছাছ: ৭৬]
আল্লাহ বিপর্যয় সৃষ্টিকারীদেরকে পছন্দ করেন না। [আল-কাছাছ : ৭৭]
নিশ্চয়ই আল্লাহ ধোকাবাজ, প্রতারককে পছন্দ করেন না। [আল আনফাল : ৫৮]
নিশ্চয়ই আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীদে রকে পছন্দ করেন না। [আল বাক্বারা: ১৯০; আল মায়িদা: ৮৭]
আল্লাহ ফাসাদ ও দাঙ্গা-হাঙ্গামা পছন্দ করেন না। [আল-বাক্বারা : ২০৫]
তিনি অপব্যয়ীদেরকে পছন্দ করেন না। [আল আরাফ : ৩১]
আল্লাহ পছন্দ করেন না তাকে, যে বিশ্বাস ঘাতক পাপী হয়। [আন নাস : ১০৭]
আল্লাহ কোন বিশ্বাসঘাতক অকৃতজ্ঞকে পছন্দ করেন না। [আল হাজ্জ্ব : ৩৮]
#আসুন, তাদেরকে ভালোবাসতে শিখি যাদের আল্লাহ ভালবাসেন, তাদেরকে ঘৃণা করতে শিখি যাদের আল্লাহ ভালবাসেন না।
আল্লাহ আমাদেরকে সেই তৌফিক দান করুন,
আল্লাহর জন্য ভালোবাসা ও শত্রুতা
আল্লাহর জন্য ভালোবাসা ও শত্রুতা
Love and Enmity for Allah SWT
0 notes
আল্লাহর জন্য ভালোবাসা ও শত্রুতা
Love and enmity for Allah
কাকে ভালবাসবেন, কার জন্য ভালবাসবেন?
Who will you love, for whom will you love?
ভালোবাসা হবে একমাত্র আল্লাহর জন্য।
“আল ওয়ালা ওয়াল বারা”- ইসলামের এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এর অর্থ হচ্ছে আল্লাহর জন্য কোন ব্যক্তি বা বস্তু বা কাজকে ভালবাসা ও আল্লহর জন্যই কোন ব্যক্তি, বস্তু বা কাজকে ঘৃণা করা। যে কয়টি মুল স্তম্ভের উপর ঈমান গঠিত তার মধ্যে একটি হচ্ছে ‘আল ওয়ালা ওয়াল বারা’।
আমরা পৃথিবীতে যা করি সবকিছু ভালবাসা ও ঘৃণার ভিত্তিতে হয়ে থাকে। যেমন ধরুন আমরা যদি কারো সাথে বন্ধুত্ব করি এমন কারো সাথে বন্ধুত্ব করি যাদের আমরা ভালবাসি। সবার বক্তব্য আমরা শুনিনা, সবাইকে কেয়ার করিনা। তাদের বক্তব্য শুধুমাত্র শুনি যাদের আমরা ভালবাসি।
এই যে উপরোক্ত সকলের প্রতি ভালবাসার জন্য আমরা এত কিছু করি কিন্তু কিসের জন্য এই ভালবাসাটা?
অবশ্যই স্বার্থের জন্য হতে পারে আমার নিজেরস্বার্থের জন্য, আমার নিকটবর্তী আত্মীয় কারো জন্য। আল্লাহ পাকের কথা হচ্ছে, ভালবাসতে হবে শুধু আল্লাহর জন্য ঘৃনাও করতে হবে শুধু আল্লাহর জন্য। আল্লাহর জন্য বলতে বুঝায় আল্লহ ও তার রাসুল (সঃ) যাতে সন্তুষ্ট তা করা ও যাতে অসন্তুষ্ট তা পরিহার করা।
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে কেউ আল্লাহর জন্যই ভালবাসে এবং আল্লাহর জন্যই ঘৃণা করে এবং (কাউকে কিছু) দিয়ে থাকে আল্লাহর জন্যই এবং (কাউকে কিছু) দেয়া থেকেও বিরত থাকে আল্লাহর জন্য; তাহলে তার ঈমান পরিপূর্ণ হলো।”
[আবু দাউদ: ৪০৬১, দ্বাদশ খণ্ড, পৃ-২৯১]
হজরত আবু যর (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘মানুষের আমলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে প্রিয় আমল হচ্ছে ওই ভালোবাসা যা আল্লাহর জন্য হয় এবং ওই শত্রুতা যা আল্লাহর জন্য হয়।' (সুনানে আবু দাউদ : হাদিস ৪৫৯৯)।কিয়ামতের দিন আল্লাহ তায়ালা বলবেন, আমার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে পরস্পর ভালোবাসা স্থাপনকারীরা কোথায় ? আজ যে দিন আমার ছায়া ব্যতীত কোন ছায়া থাকবে না- আমি তাদের ছায়া দেব। (সহীহ মুসলিম: ৪৬৫৫) সুবহানাল্লাহ
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। নবীজী (সা.) বলেন, সাত ধরণের মানুষকে আল্লাহ তায়ালা আরশের নিচে ছায়া দেবেন, এর মধ্যে এমন দুই ব্যক্তি রয়েছে যারা আল্লাহর ওয়াস্তে পরস্পরকে মহব্বত করত। আল্লাহর মহব্বতের ওপরই তারা একত্র হতো, আবার আল্লাহর মহব্বতেই পৃথক হতো। (সহিহ বুখারি : হাদিস ৬৬০, সহিহ মুসলিম: হাদিস ১০১৩)।
আল্লাহ কুরআনে বলেন, (হে মুহাম্মদ) আপনি বলে দিন- "যদি তোমরা আল্লাহর ভালবাসা পেতে চাও তবে আমাকে (নবীকে) অনুসরণ কর। আল্লাহ্ তোমাদের ভালবাসবেন এবং তোমাদের গুনাহ্সমূহ ক্ষমা করে দিবেন। আর আল্লাহ মহাক্ষমাশীল ও পরম করুণাময়।”
(সূরা আলে ইমরান-৩১)।
“যারা আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস করে, তাদেরকে আপনি আল্লাহ ও তাঁর রসূলের বিরুদ্ধাচরণকারীদের সাথে বন্ধুত্ব করতে দেখবেন না, যদিও তারা তাদের পিতা, পুত্র, ভ্রাতা অথবা জ্ঞাতি-গোষ্ঠী হয়। তাদের অন্তরে আল্লাহ ঈমান লিখে দিয়েছেন এবং তাদেরকে শক্তিশালী করেছেন তাঁর অদৃশ্য শক্তি দ্বারা। তিনি তাদেরকে জান্নাতে দাখিল করবেন, যার তলদেশে নদী প্রবাহিত। তারা তথায় চিরকাল থাকবে। আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট এবং তারা আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট। তারাই আল্লাহর দল। জেনে রাখ, আল্লাহর দলই সফলকাম হবে।" [সূরা আল-মুজদালাহ, আয়াত : ২২]
আল্লাহ কাদের ভালোবাসেনঃ
আল্লাহ সৎকর্মশীলদিগকেই ভালবাসেন। [আলে ইমরান ১৩৪ ]
আল্লাহ অনুগ্রহকারীদেরকে ভালবাসেন [আল বাক্বারা ১৯৫ ]
অবশ্যই আল্লাহ পরহেজগারদেরকে ভালবাসেন। [আলে ইমরান ৭৬ ]
নিশ্চয় আল্লাহ তাওবাকারীদের ভালোবাসেন ভালোবাসেন।[সূরা বাকারা ২০৫] আল্লাহ পবিত্র লোকদের ভালবাসেন। [আত তাওবা ১০৮ ]
আল্লাহ তাওয়াক্কুল কারীদের ভালবাসেন। [আলে ইমরান : ১৫৯]
নিশ্চয় আল্লাহ সুবিচারকারীদেরকে ভালবাসেন। [সুরা মায়িদা : ৪২]
আর যারা সবর করে,আল্লাহ তাদেরকে ভালবাসেন। [আলে ইমরান : ১৪৬]
আল্লাহ ইনসাফকারীদেরকে ভালবাসেন। [আল মুমতাহিনা : ৮]
আল্লাহ সাবধানীদের পছন্দ করেন। [আত তাওবা : ৪, ৭]
আল্লাহ কাদের ভালোবাসেন না এবং পছন্দ করেন নাঃ
আল্লাহ কাফেরদিগকে ভালবাসেন না। [আলে ইমরান : ৩২]
আল্লাহ অত্যাচারীদেরকে ভালবাসেন না। [আলে ইমরান : ৫৭]
আল্লাহ দাম্ভিকদেরকে ভালবাসেন না। [আল কাছাছ: ৭৬]
আল্লাহ বিপর্যয় সৃষ্টিকারীদেরকে পছন্দ করেন না। [আল-কাছাছ : ৭৭]
নিশ্চয়ই আল্লাহ ধোকাবাজ, প্রতারককে পছন্দ করেন না। [আল আনফাল : ৫৮]
নিশ্চয়ই আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীদে রকে পছন্দ করেন না। [আল বাক্বারা: ১৯০; আল মায়িদা: ৮৭]
আল্লাহ ফাসাদ ও দাঙ্গা-হাঙ্গামা পছন্দ করেন না। [আল-বাক্বারা : ২০৫]
তিনি অপব্যয়ীদেরকে পছন্দ করেন না। [আল আরাফ : ৩১]
আল্লাহ পছন্দ করেন না তাকে, যে বিশ্বাস ঘাতক পাপী হয়। [আন নাস : ১০৭]
আল্লাহ কোন বিশ্বাসঘাতক অকৃতজ্ঞকে পছন্দ করেন না। [আল হাজ্জ্ব : ৩৮]
#আসুন, তাদেরকে ভালোবাসতে শিখি যাদের আল্লাহ ভালবাসেন, তাদেরকে ঘৃণা করতে শিখি যাদের আল্লাহ ভালবাসেন না।
আল্লাহ আমাদেরকে সেই তৌফিক দান করুন,
আল্লাহর জন্য ভালোবাসা ও শত্রুতা
আল্লাহর জন্য ভালোবাসা ও শত্রুতা
Love and Enmity for Allah SWT
0 notes
Dua For Forgiveness
Rabbana zalamna anfusana wa-in lam taghfir lana watarhamna lanakoonanna mina alkhasireen
“our lord, we have wronged ourselves, and if you do not forgive us and do not bless us with mercy, we shall, indeed, be among the losers.”
— Quran 7:23
#dua #islam #allah #loveforallah #islamic #muslim #duaforforgiveness
0 notes
#islamiclife #islamicreminders #lovesallah #patience #pray #tawakkul #instagram #jannah #dailyislamicreminders #islamisthewayoflife #deen__vibes #tawbah #islamicquotes #deen #islam #allah #islamic #muslim #sabr #loveforallah https://www.instagram.com/p/CPBf3RQBfDB/?utm_medium=tumblr
44 notes
·
View notes
আল্লাহর জন্য ভালোবাসা
আল্লাহ একমাত্র ‘সত্য মাবুদ’
ঈমানদারের ভালোবাসা ও আকুলতা আল্লাহর জন্য।
আল্লাহ সুবহানাহু তা'আলা আমাদের প্রতিপালক। আমরা তাঁরই গোলাম। গোলাম হিসেবে আল্লাহর প্রতিটি আদেশ নিষেধ মানতে আমরা বাধ্য। কিন্তু এই আদেশ-নিষেধ ছাড়াও মহান রবের সাথে আমাদের একটা ভালোবাসার সম্পর্ক আছে। এই ভালোবাসা বোধ থেকেই আল্লাহর প্রতি আকুলতা তৈরি হয়, আল্লাহর ইবাদতে আন্তরিকতা আসে। এই কারণেই মূসা আলাইহিস সালাম আল্লাহ্র সাক্ষাত করতে এসে বলেছিলেন, "... হে আমার পালনকর্তা, আমি তাড়াতাড়ি তোমার কাছে এলাম, যাতে তুমি সন্তুষ্ট হও।" [সূরা ত্ব- হা, ২০: ৮৪] আল্লাহকে ভালোবাসার জন্য রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর অনুসরণ করতে হবে। ‘যদি তোমরা আল্লাহকে ভালোবাসো, তবে আমার নবী (সা.)-এর অনুসরণ করো; তাহলে আল্লাহ তোমাদের ভালোবাসবেন এবং তোমাদের পাপসমূহ মার্জনা করবেন।’ (আলে ইমরান: ৩১)। ইমানকে ভালোবাসা ও কুফরকে ঘৃণা করতে হবে। (হুজুরাত: ৭)।
1 note
·
View note
People seek inner peace in so many different ways: meditative hobbies, nature walks, and spending time with beloved friends or family, to name a few. Sometimes people gravitate towards harmful or intrepid behavior in order to escape the storm inside their hearts. One of God’s names is Al-Salam, which means “the source of peace” and “the flawless.” Because God is the ultimate source of tranquility and no one else carries this momentous title, and because we have innate flaws that disrupt our peace, our answer becomes clear. Worshipping Him, loving, trusting, and relying on Him, will give us security, warmth, and infinite filling for the hollowness of our hearts.
2 notes
·
View notes
After years of falling into the same pattern of disappointments and heartbreak, I finally began to realize something profound. I had always thought that love of dunya meant being attached to material things. And I was not attached to material things. I was attached to people. I was attached to moments. I was attached to emotions. So I thought that the love of dunya just did not apply to me. What I didn’t realize was that people, moments, emotions are all a part of dunya. What I didn’t realize is that all the pain I had experienced in life was due to one thing, and one thing only: love of dunya. 📿
5 notes
·
View notes
Aslam said, " 'Umar ibn al-Khattab said,
'Do not let your love be a total infatuation. Do not let your anger be destruction.' I asked, 'How is that?' He replied, 'When you love, you are infatuated like a child. When you hate, you desire destruction for your companion.'"
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ، قَالَ: أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ قَالَ: لاَ يَكُنْ حُبُّكَ كَلَفًا، وَلاَ بُغْضُكَ تَلَفًا، فَقُلْتُ: كَيْفَ ذَاكَ؟ قَالَ: إِذَا أَحْبَبْتَ كَلِفْتَ كَلَفَ الصَّبِيِّ، وَإِذَا أَبْغَضْتَ أَحْبَبْتَ لِصَاحِبِكَ التَّلَف.
Grade: Sahih (Al-Albani) صـحـيـح (الألباني)حكم :
Reference : Al-Adab Al-Mufrad 1322
In-book reference : Book 57, Hadith 7
English translation : Book 57, Hadith 1322
21 notes
·
View notes
হে আল্লাহ! আমি আপনার ভালোবাসা চাই
আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য মাবুদ ' / 'সত্য ইলাহ' নেই। আল্লাহ তায়ালা আসমানে 'আরশের ঊর্ধ্বে সমুন্নত। কোরআন আল্লাহর বাণী। আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় একমাত্র উপাস্য। আল্লাহ ব্যতীত ইবাদত পাবার যোগ্য কেউ নেই । মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রাসূল । .♥♥♥
আল্লাহর ভালোবাসা
আল্লাহ্ আমার ভালোবাসা আল্লাহ যাদেরকে ভালবাসেন আল্লাহর মনোনীত দীনকে সমুন্নত রাখা, আল্লাহর আনুগত্য করা, আল্লাহর রাসুল(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে ভালবাসা, আল্লাহর বিধান বাস্তবায়নে উদ্যোগী শাসকদের আনুগত্য করা এ সমস্তই আল্লাহকে ভালবাসার অন্তর্ভুক্ত। অপরদিকে, বান্দার গুনাহসমুহ ক্ষমা করে তাকে জান্নাত দান করা হচ্ছে মানুষের প্রতি আল্লাহর ভালবাসা। আল্লাহ বলেন, “বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস, তাহলে আমাকে অনুসরণ কর, যাতে আল্লাহ ও তোমাদিগকে ভালবাসেন এবং তোমাদিগকে তোমাদের পাপ মার্জনা করে…
মুমিন অর্থ বিশ্বাসী। যারা আল্লাহ ও তার রাসুলের আদেশ নির্দেশ ও সুন্নাহয় বিশ্বাস করেন তাদের মুমিন বলা হয়। একজন প্রকৃত মুমিনই আল্লাহ তাআলার ভালবাসা ও নৈকট্য অর্জন করতে সক্ষম। প্রকৃত মুমিন হতে হলে আমাদের জানতে হবে আল্লাহ তাআলা কোন কাজ বেশি ভালবাসেন, কোন কাজে রহমত নাজিল করেন, কোন কাজে অভিশাপ দেন এবং তার রহমত থেকে বঞ্ছিত করেন। এসব বিষয়ে সঠিক জ্ঞান অর্জন করে চেষ্টা, সাধনা, ও আমল দ্বারা আল্লাহর ভালবাসা অর্জন করাই একজন প্রকৃত মুমিনের অভীষ্ঠ লক্ষ্য। আল্লাহ তায়ালা কাদের বেশি ভালবাসেন এ সম্পর্কে পবিত্র গ্রন্থ “আল কুরআন” ও নবীজির সুন্নাহয় স্পষ্ট বর্ণনা করা আছে।
পাঁচটি উপায় আল্লাহর ভালোবাসা পাওয়ার: ১। আল্লাহর উপর ঈমানের সহিত তাওয়াক্কুল করা ২। রাসূল (সঃ) কে অনুসরণ করা ৩। শিরক মুক্ত ঈমান রাখা ৪। অধিক তওবা ইস্তেগফারকারী হওয়া ৫। আল্লাহর পথে জিহাদ করা
The way to get God's love
আল্লাহর ভালোবাসা পাওয়ার উপায়
১) তওবাকারীঃ
২) রাসুল(স) কে অনুসরণ কারীঃ
৩) পবিত্রতা অর্জনকারীঃ
৪) দানশীল ব্যক্তিকে ভালবাসেন
৫) ন্যায়বিচারকারী
৬) মহান আল্লাহর প্রতি আস্থা স্থাপনকারী
৭) কোমল হৃদয়ের ব্যক্তিকে ভালবাসেন
আল্লাহর জন্য ভালোবাসা ও শত্রুতা
ভালোবাসা হবে একমাত্র আল্লাহর জন্য।
“আল ওয়ালা ওয়াল বারা”- ইসলামের এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এর অর্থ হচ্ছে আল্লাহর জন্য কোন ব্যক্তি বা বস্তু বা কাজকে ভালবাসা ও আল্লহর জন্যই কোন ব্যক্তি, বস্তু বা কাজকে ঘৃণা করা। যে কয়টি মুল স্তম্ভের উপর ঈমান গঠিত তার মধ্যে একটি হচ্ছে ‘আল ওয়ালা ওয়াল বারা’।
আমরা পৃথিবীতে যা করি সবকিছু ভালবাসা ও ঘৃণার ভিত্তিতে হয়ে থাকে। যেমন ধরুন আমরা যদি কারো সাথে বন্ধুত্ব করি এমন কারো সাথে বন্ধুত্ব করি যাদের আমরা ভালবাসি। সবার বক্তব্য আমরা শুনিনা, সবাইকে কেয়ার করিনা। তাদের বক্তব্য শুধুমাত্র শুনি যাদের আমরা ভালবাসি।
এই যে উপরোক্ত সকলের প্রতি ভালবাসার জন্য আমরা এত কিছু করি কিন্তু কিসের জন্য এই ভালবাসাটা?
অবশ্যই স্বার্থের জন্য হতে পারে আমার নিজেরস্বার্থের জন্য, আমার নিকটবর্তী আত্মীয় কারো জন্য। আল্লাহ পাকের কথা হচ্ছে, ভালবাসতে হবে শুধু আল্লাহর জন্য ঘৃনাও করতে হবে শুধু আল্লাহর জন্য। আল্লাহর জন্য বলতে বুঝায় আল্লহ ও তার রাসুল (সঃ) যাতে সন্তুষ্ট তা করা ও যাতে অসন্তুষ্ট তা পরিহার করা।
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে কেউ আল্লাহর জন্যই ভালবাসে এবং আল্লাহর জন্যই ঘৃণা করে এবং (কাউকে কিছু) দিয়ে থাকে আল্লাহর জন্যই এবং (কাউকে কিছু) দেয়া থেকেও বিরত থাকে আল্লাহর জন্য; তাহলে তার ঈমান পরিপূর্ণ হলো।”
[আবু দাউদ: ৪০৬১, দ্বাদশ খণ্ড, পৃ-২৯১]
হজরত আবু যর (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘মানুষের আমলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে প্রিয় আমল হচ্ছে ওই ভালোবাসা যা আল্লাহর জন্য হয় এবং ওই শত্রুতা যা আল্লাহর জন্য হয়।' (সুনানে আবু দাউদ : হাদিস ৪৫৯৯)।কিয়ামতের দিন আল্লাহ তায়ালা বলবেন, আমার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে পরস্পর ভালোবাসা স্থাপনকারীরা কোথায় ? আজ যে দিন আমার ছায়া ব্যতীত কোন ছায়া থাকবে না- আমি তাদের ছায়া দেব। (সহীহ মুসলিম: ৪৬৫৫) সুবহানাল্লাহ
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। নবীজী (সা.) বলেন, সাত ধরণের মানুষকে আল্লাহ তায়ালা আরশের নিচে ছায়া দেবেন, এর মধ্যে এমন দুই ব্যক্তি রয়েছে যারা আল্লাহর ওয়াস্তে পরস্পরকে মহব্বত করত। আল্লাহর মহব্বতের ওপরই তারা একত্র হতো, আবার আল্লাহর মহব্বতেই পৃথক হতো। (সহিহ বুখারি : হাদিস ৬৬০, সহিহ মুসলিম: হাদিস ১০১৩)।
আল্লাহ কুরআনে বলেন, (হে মুহাম্মদ) আপনি বলে দিন- "যদি তোমরা আল্লাহর ভালবাসা পেতে চাও তবে আমাকে (নবীকে) অনুসরণ কর। আল্লাহ্ তোমাদের ভালবাসবেন এবং তোমাদের গুনাহ্সমূহ ক্ষমা করে দিবেন। আর আল্লাহ মহাক্ষমাশীল ও পরম করুণাময়।”
(সূরা আলে ইমরান-৩১)।
“যারা আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস করে, তাদেরকে আপনি আল্লাহ ও তাঁর রসূলের বিরুদ্ধাচরণকারীদের সাথে বন্ধুত্ব করতে দেখবেন না, যদিও তারা তাদের পিতা, পুত্র, ভ্রাতা অথবা জ্ঞাতি-গোষ্ঠী হয়। তাদের অন্তরে আল্লাহ ঈমান লিখে দিয়েছেন এবং তাদেরকে শক্তিশালী করেছেন তাঁর অদৃশ্য শক্তি দ্বারা। তিনি তাদেরকে জান্নাতে দাখিল করবেন, যার তলদেশে নদী প্রবাহিত। তারা তথায় চিরকাল থাকবে। আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট এবং তারা আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট। তারাই আল্লাহর দল। জেনে রাখ, আল্লাহর দলই সফলকাম হবে।" [সূরা আল-মুজদালাহ, আয়াত : ২২]
আল্লাহ কাদের ভালোবাসেনঃ
আল্লাহ সৎকর্মশীলদিগকেই ভালবাসেন। [আলে ইমরান ১৩৪ ]
আল্লাহ অনুগ্রহকারীদেরকে ভালবাসেন [আল বাক্বারা ১৯৫ ]
অবশ্যই আল্লাহ পরহেজগারদেরকে ভালবাসেন। [আলে ইমরান ৭৬ ]
নিশ্চয় আল্লাহ তাওবাকারীদের ভালোবাসেন ভালোবাসেন।[সূরা বাকারা ২০৫] আল্লাহ পবিত্র লোকদের ভালবাসেন। [আত তাওবা ১০৮ ]
আল্লাহ তাওয়াক্কুল কারীদের ভালবাসেন। [আলে ইমরান : ১৫৯]
নিশ্চয় আল্লাহ সুবিচারকারীদেরকে ভালবাসেন। [সুরা মায়িদা : ৪২]
আর যারা সবর করে,আল্লাহ তাদেরকে ভালবাসেন। [আলে ইমরান : ১৪৬]
আল্লাহ ইনসাফকারীদেরকে ভালবাসেন। [আল মুমতাহিনা : ৮]
আল্লাহ সাবধানীদের পছন্দ করেন। [আত তাওবা : ৪, ৭]
আল্লাহ কাদের ভালোবাসেন না এবং পছন্দ করেন নাঃ
আল্লাহ কাফেরদিগকে ভালবাসেন না। [আলে ইমরান : ৩২]
আল্লাহ অত্যাচারীদেরকে ভালবাসেন না। [আলে ইমরান : ৫৭]
আল্লাহ দাম্ভিকদেরকে ভালবাসেন না। [আল কাছাছ: ৭৬]
আল্লাহ বিপর্যয় সৃষ্টিকারীদেরকে পছন্দ করেন না। [আল-কাছাছ : ৭৭]
নিশ্চয়ই আল্লাহ ধোকাবাজ, প্রতারককে পছন্দ করেন না। [আল আনফাল : ৫৮]
নিশ্চয়ই আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীদে রকে পছন্দ করেন না। [আল বাক্বারা: ১৯০; আল মায়িদা: ৮৭]
আল্লাহ ফাসাদ ও দাঙ্গা-হাঙ্গামা পছন্দ করেন না। [আল-বাক্বারা : ২০৫]
তিনি অপব্যয়ীদেরকে পছন্দ করেন না। [আল আরাফ : ৩১]
আল্লাহ পছন্দ করেন না তাকে, যে বিশ্বাস ঘাতক পাপী হয়। [আন নাস : ১০৭]
আল্লাহ কোন বিশ্বাসঘাতক অকৃতজ্ঞকে পছন্দ করেন না। [আল হাজ্জ্ব : ৩৮]
#আসুন, তাদেরকে ভালোবাসতে শিখি যাদের আল্লাহ ভালবাসেন, তাদেরকে ঘৃণা করতে শিখি যাদের আল্লাহ ভালবাসেন না।
আল্লাহ আমাদেরকে সেই তৌফিক দান করুন,
আল্লাহর ভালোবাসা লাভের ১০টি উপায়
হে আল্লাহ! আমি আপনার ভালোবাসা চাই
আল্লাহর জন্য ভালোবাসা ও শত্রুতা
Love and enmity for Allah SWT
0 notes
হে আল্লাহ! আমি আপনার ভালোবাসা চাই
আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য মাবুদ ' / 'সত্য ইলাহ' নেই। আল্লাহ তায়ালা আসমানে 'আরশের ঊর্ধ্বে সমুন্নত। কোরআন আল্লাহর বাণী। আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় একমাত্র উপাস্য। আল্লাহ ব্যতীত ইবাদত পাবার যোগ্য কেউ নেই । মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রাসূল । .♥♥♥
আল্লাহর ভালোবাসা
আল্লাহ্ আমার ভালোবাসা আল্লাহ যাদেরকে ভালবাসেন আল্লাহর মনোনীত দীনকে সমুন্নত রাখা, আল্লাহর আনুগত্য করা, আল্লাহর রাসুল(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে ভালবাসা, আল্লাহর বিধান বাস্তবায়নে উদ্যোগী শাসকদের আনুগত্য করা এ সমস্তই আল্লাহকে ভালবাসার অন্তর্ভুক্ত। অপরদিকে, বান্দার গুনাহসমুহ ক্ষমা করে তাকে জান্নাত দান করা হচ্ছে মানুষের প্রতি আল্লাহর ভালবাসা। আল্লাহ বলেন, “বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস, তাহলে আমাকে অনুসরণ কর, যাতে আল্লাহ ও তোমাদিগকে ভালবাসেন এবং তোমাদিগকে তোমাদের পাপ মার্জনা করে…
মুমিন অর্থ বিশ্বাসী। যারা আল্লাহ ও তার রাসুলের আদেশ নির্দেশ ও সুন্নাহয় বিশ্বাস করেন তাদের মুমিন বলা হয়। একজন প্রকৃত মুমিনই আল্লাহ তাআলার ভালবাসা ও নৈকট্য অর্জন করতে সক্ষম। প্রকৃত মুমিন হতে হলে আমাদের জানতে হবে আল্লাহ তাআলা কোন কাজ বেশি ভালবাসেন, কোন কাজে রহমত নাজিল করেন, কোন কাজে অভিশাপ দেন এবং তার রহমত থেকে বঞ্ছিত করেন। এসব বিষয়ে সঠিক জ্ঞান অর্জন করে চেষ্টা, সাধনা, ও আমল দ্বারা আল্লাহর ভালবাসা অর্জন করাই একজন প্রকৃত মুমিনের অভীষ্ঠ লক্ষ্য। আল্লাহ তায়ালা কাদের বেশি ভালবাসেন এ সম্পর্কে পবিত্র গ্রন্থ “আল কুরআন” ও নবীজির সুন্নাহয় স্পষ্ট বর্ণনা করা আছে।
পাঁচটি উপায় আল্লাহর ভালোবাসা পাওয়ার: ১। আল্লাহর উপর ঈমানের সহিত তাওয়াক্কুল করা ২। রাসূল (সঃ) কে অনুসরণ করা ৩। শিরক মুক্ত ঈমান রাখা ৪। অধিক তওবা ইস্তেগফারকারী হওয়া ৫। আল্লাহর পথে জিহাদ করা
The way to get God's love
আল্লাহর ভালোবাসা পাওয়ার উপায়
১) তওবাকারীঃ
২) রাসুল(স) কে অনুসরণ কারীঃ
৩) পবিত্রতা অর্জনকারীঃ
৪) দানশীল ব্যক্তিকে ভালবাসেন
৫) ন্যায়বিচারকারী
৬) মহান আল্লাহর প্রতি আস্থা স্থাপনকারী
৭) কোমল হৃদয়ের ব্যক্তিকে ভালবাসেন
আল্লাহর জন্য ভালোবাসা ও শত্রুতা
ভালোবাসা হবে একমাত্র আল্লাহর জন্য।
“আল ওয়ালা ওয়াল বারা”- ইসলামের এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এর অর্থ হচ্ছে আল্লাহর জন্য কোন ব্যক্তি বা বস্তু বা কাজকে ভালবাসা ও আল্লহর জন্যই কোন ব্যক্তি, বস্তু বা কাজকে ঘৃণা করা। যে কয়টি মুল স্তম্ভের উপর ঈমান গঠিত তার মধ্যে একটি হচ্ছে ‘আল ওয়ালা ওয়াল বারা’।
আমরা পৃথিবীতে যা করি সবকিছু ভালবাসা ও ঘৃণার ভিত্তিতে হয়ে থাকে। যেমন ধরুন আমরা যদি কারো সাথে বন্ধুত্ব করি এমন কারো সাথে বন্ধুত্ব করি যাদের আমরা ভালবাসি। সবার বক্তব্য আমরা শুনিনা, সবাইকে কেয়ার করিনা। তাদের বক্তব্য শুধুমাত্র শুনি যাদের আমরা ভালবাসি।
এই যে উপরোক্ত সকলের প্রতি ভালবাসার জন্য আমরা এত কিছু করি কিন্তু কিসের জন্য এই ভালবাসাটা?
অবশ্যই স্বার্থের জন্য হতে পারে আমার নিজেরস্বার্থের জন্য, আমার নিকটবর্তী আত্মীয় কারো জন্য। আল্লাহ পাকের কথা হচ্ছে, ভালবাসতে হবে শুধু আল্লাহর জন্য ঘৃনাও করতে হবে শুধু আল্লাহর জন্য। আল্লাহর জন্য বলতে বুঝায় আল্লহ ও তার রাসুল (সঃ) যাতে সন্তুষ্ট তা করা ও যাতে অসন্তুষ্ট তা পরিহার করা।
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে কেউ আল্লাহর জন্যই ভালবাসে এবং আল্লাহর জন্যই ঘৃণা করে এবং (কাউকে কিছু) দিয়ে থাকে আল্লাহর জন্যই এবং (কাউকে কিছু) দেয়া থেকেও বিরত থাকে আল্লাহর জন্য; তাহলে তার ঈমান পরিপূর্ণ হলো।”
[আবু দাউদ: ৪০৬১, দ্বাদশ খণ্ড, পৃ-২৯১]
হজরত আবু যর (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘মানুষের আমলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে প্রিয় আমল হচ্ছে ওই ভালোবাসা যা আল্লাহর জন্য হয় এবং ওই শত্রুতা যা আল্লাহর জন্য হয়।' (সুনানে আবু দাউদ : হাদিস ৪৫৯৯)।কিয়ামতের দিন আল্লাহ তায়ালা বলবেন, আমার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে পরস্পর ভালোবাসা স্থাপনকারীরা কোথায় ? আজ যে দিন আমার ছায়া ব্যতীত কোন ছায়া থাকবে না- আমি তাদের ছায়া দেব। (সহীহ মুসলিম: ৪৬৫৫) সুবহানাল্লাহ
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। নবীজী (সা.) বলেন, সাত ধরণের মানুষকে আল্লাহ তায়ালা আরশের নিচে ছায়া দেবেন, এর মধ্যে এমন দুই ব্যক্তি রয়েছে যারা আল্লাহর ওয়াস্তে পরস্পরকে মহব্বত করত। আল্লাহর মহব্বতের ওপরই তারা একত্র হতো, আবার আল্লাহর মহব্বতেই পৃথক হতো। (সহিহ বুখারি : হাদিস ৬৬০, সহিহ মুসলিম: হাদিস ১০১৩)।
আল্লাহ কুরআনে বলেন, (হে মুহাম্মদ) আপনি বলে দিন- "যদি তোমরা আল্লাহর ভালবাসা পেতে চাও তবে আমাকে (নবীকে) অনুসরণ কর। আল্লাহ্ তোমাদের ভালবাসবেন এবং তোমাদের গুনাহ্সমূহ ক্ষমা করে দিবেন। আর আল্লাহ মহাক্ষমাশীল ও পরম করুণাময়।”
(সূরা আলে ইমরান-৩১)।
“যারা আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস করে, তাদেরকে আপনি আল্লাহ ও তাঁর রসূলের বিরুদ্ধাচরণকারীদের সাথে বন্ধুত্ব করতে দেখবেন না, যদিও তারা তাদের পিতা, পুত্র, ভ্রাতা অথবা জ্ঞাতি-গোষ্ঠী হয়। তাদের অন্তরে আল্লাহ ঈমান লিখে দিয়েছেন এবং তাদেরকে শক্তিশালী করেছেন তাঁর অদৃশ্য শক্তি দ্বারা। তিনি তাদেরকে জান্নাতে দাখিল করবেন, যার তলদেশে নদী প্রবাহিত। তারা তথায় চিরকাল থাকবে। আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট এবং তারা আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট। তারাই আল্লাহর দল। জেনে রাখ, আল্লাহর দলই সফলকাম হবে।" [সূরা আল-মুজদালাহ, আয়াত : ২২]
আল্লাহ কাদের ভালোবাসেনঃ
আল্লাহ সৎকর্মশীলদিগকেই ভালবাসেন। [আলে ইমরান ১৩৪ ]
আল্লাহ অনুগ্রহকারীদেরকে ভালবাসেন [আল বাক্বারা ১৯৫ ]
অবশ্যই আল্লাহ পরহেজগারদেরকে ভালবাসেন। [আলে ইমরান ৭৬ ]
নিশ্চয় আল্লাহ তাওবাকারীদের ভালোবাসেন ভালোবাসেন।[সূরা বাকারা ২০৫] আল্লাহ পবিত্র লোকদের ভালবাসেন। [আত তাওবা ১০৮ ]
আল্লাহ তাওয়াক্কুল কারীদের ভালবাসেন। [আলে ইমরান : ১৫৯]
নিশ্চয় আল্লাহ সুবিচারকারীদেরকে ভালবাসেন। [সুরা মায়িদা : ৪২]
আর যারা সবর করে,আল্লাহ তাদেরকে ভালবাসেন। [আলে ইমরান : ১৪৬]
আল্লাহ ইনসাফকারীদেরকে ভালবাসেন। [আল মুমতাহিনা : ৮]
আল্লাহ সাবধানীদের পছন্দ করেন। [আত তাওবা : ৪, ৭]
আল্লাহ কাদের ভালোবাসেন না এবং পছন্দ করেন নাঃ
আল্লাহ কাফেরদিগকে ভালবাসেন না। [আলে ইমরান : ৩২]
আল্লাহ অত্যাচারীদেরকে ভালবাসেন না। [আলে ইমরান : ৫৭]
আল্লাহ দাম্ভিকদেরকে ভালবাসেন না। [আল কাছাছ: ৭৬]
আল্লাহ বিপর্যয় সৃষ্টিকারীদেরকে পছন্দ করেন না। [আল-কাছাছ : ৭৭]
নিশ্চয়ই আল্লাহ ধোকাবাজ, প্রতারককে পছন্দ করেন না। [আল আনফাল : ৫৮]
নিশ্চয়ই আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীদে রকে পছন্দ করেন না। [আল বাক্বারা: ১৯০; আল মায়িদা: ৮৭]
আল্লাহ ফাসাদ ও দাঙ্গা-হাঙ্গামা পছন্দ করেন না। [আল-বাক্বারা : ২০৫]
তিনি অপব্যয়ীদেরকে পছন্দ করেন না। [আল আরাফ : ৩১]
আল্লাহ পছন্দ করেন না তাকে, যে বিশ্বাস ঘাতক পাপী হয়। [আন নাস : ১০৭]
আল্লাহ কোন বিশ্বাসঘাতক অকৃতজ্ঞকে পছন্দ করেন না। [আল হাজ্জ্ব : ৩৮]
#আসুন, তাদেরকে ভালোবাসতে শিখি যাদের আল্লাহ ভালবাসেন, তাদেরকে ঘৃণা করতে শিখি যাদের আল্লাহ ভালবাসেন না।
আল্লাহ আমাদেরকে সেই তৌফিক দান করুন,
আল্লাহর ভালোবাসা লাভের ১০টি উপায়
হে আল্লাহ! আমি আপনার ভালোবাসা চাই
আল্লাহ রজন্য ভালোবাসা ও শত্রুতা
Love and enmity for Allah SWT
0 notes
হে আল্লাহ! আমি আপনার ভালোবাসা চাই
আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য মাবুদ ' / 'সত্য ইলাহ' নেই। আল্লাহ তায়ালা আসমানে 'আরশের ঊর্ধ্বে সমুন্নত। কোরআন আল্লাহর বাণী। আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় একমাত্র উপাস্য। আল্লাহ ব্যতীত ইবাদত পাবার যোগ্য কেউ নেই । মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রাসূল । .♥♥♥
আল্লাহর ভালোবাসা
আল্লাহ্ আমার ভালোবাসা আল্লাহ যাদেরকে ভালবাসেন আল্লাহর মনোনীত দীনকে সমুন্নত রাখা, আল্লাহর আনুগত্য করা, আল্লাহর রাসুল(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে ভালবাসা, আল্লাহর বিধান বাস্তবায়নে উদ্যোগী শাসকদের আনুগত্য করা এ সমস্তই আল্লাহকে ভালবাসার অন্তর্ভুক্ত। অপরদিকে, বান্দার গুনাহসমুহ ক্ষমা করে তাকে জান্নাত দান করা হচ্ছে মানুষের প্রতি আল্লাহর ভালবাসা। আল্লাহ বলেন, “বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস, তাহলে আমাকে অনুসরণ কর, যাতে আল্লাহ ও তোমাদিগকে ভালবাসেন এবং তোমাদিগকে তোমাদের পাপ মার্জনা করে…
মুমিন অর্থ বিশ্বাসী। যারা আল্লাহ ও তার রাসুলের আদেশ নির্দেশ ও সুন্নাহয় বিশ্বাস করেন তাদের মুমিন বলা হয়। একজন প্রকৃত মুমিনই আল্লাহ তাআলার ভালবাসা ও নৈকট্য অর্জন করতে সক্ষম। প্রকৃত মুমিন হতে হলে আমাদের জানতে হবে আল্লাহ তাআলা কোন কাজ বেশি ভালবাসেন, কোন কাজে রহমত নাজিল করেন, কোন কাজে অভিশাপ দেন এবং তার রহমত থেকে বঞ্ছিত করেন। এসব বিষয়ে সঠিক জ্ঞান অর্জন করে চেষ্টা, সাধনা, ও আমল দ্বারা আল্লাহর ভালবাসা অর্জন করাই একজন প্রকৃত মুমিনের অভীষ্ঠ লক্ষ্য। আল্লাহ তায়ালা কাদের বেশি ভালবাসেন এ সম্পর্কে পবিত্র গ্রন্থ “আল কুরআন” ও নবীজির সুন্নাহয় স্পষ্ট বর্ণনা করা আছে।
পাঁচটি উপায় আল্লাহর ভালোবাসা পাওয়ার: ১। আল্লাহর উপর ঈমানের সহিত তাওয়াক্কুল করা ২। রাসূল (সঃ) কে অনুসরণ করা ৩। শিরক মুক্ত ঈমান রাখা ৪। অধিক তওবা ইস্তেগফারকারী হওয়া ৫। আল্লাহর পথে জিহাদ করা
The way to get God's love
আল্লাহর ভালোবাসা পাওয়ার উপায়
১) তওবাকারীঃ
২) রাসুল(স) কে অনুসরণ কারীঃ
৩) পবিত্রতা অর্জনকারীঃ
৪) দানশীল ব্যক্তিকে ভালবাসেন
৫) ন্যায়বিচারকারী
৬) মহান আল্লাহর প্রতি আস্থা স্থাপনকারী
৭) কোমল হৃদয়ের ব্যক্তিকে ভালবাসেন
আল্লাহর জন্য ভালোবাসা ও শত্রুতা
ভালোবাসা হবে একমাত্র আল্লাহর জন্য।
“আল ওয়ালা ওয়াল বারা”- ইসলামের এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এর অর্থ হচ্ছে আল্লাহর জন্য কোন ব্যক্তি বা বস্তু বা কাজকে ভালবাসা ও আল্লহর জন্যই কোন ব্যক্তি, বস্তু বা কাজকে ঘৃণা করা। যে কয়টি মুল স্তম্ভের উপর ঈমান গঠিত তার মধ্যে একটি হচ্ছে ‘আল ওয়ালা ওয়াল বারা’।
আমরা পৃথিবীতে যা করি সবকিছু ভালবাসা ও ঘৃণার ভিত্তিতে হয়ে থাকে। যেমন ধরুন আমরা যদি কারো সাথে বন্ধুত্ব করি এমন কারো সাথে বন্ধুত্ব করি যাদের আমরা ভালবাসি। সবার বক্তব্য আমরা শুনিনা, সবাইকে কেয়ার করিনা। তাদের বক্তব্য শুধুমাত্র শুনি যাদের আমরা ভালবাসি।
এই যে উপরোক্ত সকলের প্রতি ভালবাসার জন্য আমরা এত কিছু করি কিন্তু কিসের জন্য এই ভালবাসাটা?
অবশ্যই স্বার্থের জন্য হতে পারে আমার নিজেরস্বার্থের জন্য, আমার নিকটবর্তী আত্মীয় কারো জন্য। আল্লাহ পাকের কথা হচ্ছে, ভালবাসতে হবে শুধু আল্লাহর জন্য ঘৃনাও করতে হবে শুধু আল্লাহর জন্য। আল্লাহর জন্য বলতে বুঝায় আল্লহ ও তার রাসুল (সঃ) যাতে সন্তুষ্ট তা করা ও যাতে অসন্তুষ্ট তা পরিহার করা।
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে কেউ আল্লাহর জন্যই ভালবাসে এবং আল্লাহর জন্যই ঘৃণা করে এবং (কাউকে কিছু) দিয়ে থাকে আল্লাহর জন্যই এবং (কাউকে কিছু) দেয়া থেকেও বিরত থাকে আল্লাহর জন্য; তাহলে তার ঈমান পরিপূর্ণ হলো।”
[আবু দাউদ: ৪০৬১, দ্বাদশ খণ্ড, পৃ-২৯১]
হজরত আবু যর (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘মানুষের আমলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে প্রিয় আমল হচ্ছে ওই ভালোবাসা যা আল্লাহর জন্য হয় এবং ওই শত্রুতা যা আল্লাহর জন্য হয়।' (সুনানে আবু দাউদ : হাদিস ৪৫৯৯)।কিয়ামতের দিন আল্লাহ তায়ালা বলবেন, আমার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে পরস্পর ভালোবাসা স্থাপনকারীরা কোথায় ? আজ যে দিন আমার ছায়া ব্যতীত কোন ছায়া থাকবে না- আমি তাদের ছায়া দেব। (সহীহ মুসলিম: ৪৬৫৫) সুবহানাল্লাহ
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। নবীজী (সা.) বলেন, সাত ধরণের মানুষকে আল্লাহ তায়ালা আরশের নিচে ছায়া দেবেন, এর মধ্যে এমন দুই ব্যক্তি রয়েছে যারা আল্লাহর ওয়াস্তে পরস্পরকে মহব্বত করত। আল্লাহর মহব্বতের ওপরই তারা একত্র হতো, আবার আল্লাহর মহব্বতেই পৃথক হতো। (সহিহ বুখারি : হাদিস ৬৬০, সহিহ মুসলিম: হাদিস ১০১৩)।
আল্লাহ কুরআনে বলেন, (হে মুহাম্মদ) আপনি বলে দিন- "যদি তোমরা আল্লাহর ভালবাসা পেতে চাও তবে আমাকে (নবীকে) অনুসরণ কর। আল্লাহ্ তোমাদের ভালবাসবেন এবং তোমাদের গুনাহ্সমূহ ক্ষমা করে দিবেন। আর আল্লাহ মহাক্ষমাশীল ও পরম করুণাময়।”
(সূরা আলে ইমরান-৩১)।
“যারা আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস করে, তাদেরকে আপনি আল্লাহ ও তাঁর রসূলের বিরুদ্ধাচরণকারীদের সাথে বন্ধুত্ব করতে দেখবেন না, যদিও তারা তাদের পিতা, পুত্র, ভ্রাতা অথবা জ্ঞাতি-গোষ্ঠী হয়। তাদের অন্তরে আল্লাহ ঈমান লিখে দিয়েছেন এবং তাদেরকে শক্তিশালী করেছেন তাঁর অদৃশ্য শক্তি দ্বারা। তিনি তাদেরকে জান্নাতে দাখিল করবেন, যার তলদেশে নদী প্রবাহিত। তারা তথায় চিরকাল থাকবে। আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট এবং তারা আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট। তারাই আল্লাহর দল। জেনে রাখ, আল্লাহর দলই সফলকাম হবে।" [সূরা আল-মুজদালাহ, আয়াত : ২২]
আল্লাহ কাদের ভালোবাসেনঃ
আল্লাহ সৎকর্মশীলদিগকেই ভালবাসেন। [আলে ইমরান ১৩৪ ]
আল্লাহ অনুগ্রহকারীদেরকে ভালবাসেন [আল বাক্বারা ১৯৫ ]
অবশ্যই আল্লাহ পরহেজগারদেরকে ভালবাসেন। [আলে ইমরান ৭৬ ]
নিশ্চয় আল্লাহ তাওবাকারীদের ভালোবাসেন ভালোবাসেন।[সূরা বাকারা ২০৫] আল্লাহ পবিত্র লোকদের ভালবা���েন। [আত তাওবা ১০৮ ]
আল্লাহ তাওয়াক্কুল কারীদের ভালবাসেন। [আলে ইমরান : ১৫৯]
নিশ্চয় আল্লাহ সুবিচারকারীদেরকে ভালবাসেন। [সুরা মায়িদা : ৪২]
আর যারা সবর করে,আল্লাহ তাদেরকে ভালবাসেন। [আলে ইমরান : ১৪৬]
আল্লাহ ইনসাফকারীদেরকে ভালবাসেন। [আল মুমতাহিনা : ৮]
আল্লাহ সাবধানীদের পছন্দ করেন। [আত তাওবা : ৪, ৭]
আল্লাহ কাদের ভালোবাসেন না এবং পছন্দ করেন নাঃ
আল্লাহ কাফেরদিগকে ভালবাসেন না। [আলে ইমরান : ৩২]
আল্লাহ অত্যাচারীদেরকে ভালবাসেন না। [আলে ইমরান : ৫৭]
আল্লাহ দাম্ভিকদেরকে ভালবাসেন না। [আল কাছাছ: ৭৬]
আল্লাহ বিপর্যয় সৃষ্টিকারীদেরকে পছন্দ করেন না। [আল-কাছাছ : ৭৭]
নিশ্চয়ই আল্লাহ ধোকাবাজ, প্রতারককে পছন্দ করেন না। [আল আনফাল : ৫৮]
নিশ্চয়ই আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীদে রকে পছন্দ করেন না। [আল বাক্বারা: ১৯০; আল মায়িদা: ৮৭]
আল্লাহ ফাসাদ ও দাঙ্গা-হাঙ্গামা পছন্দ করেন না। [আল-বাক্বারা : ২০৫]
তিনি অপব্যয়ীদেরকে পছন্দ করেন না। [আল আরাফ : ৩১]
আল্লাহ পছন্দ করেন না তাকে, যে বিশ্বাস ঘাতক পাপী হয়। [আন নাস : ১০৭]
আল্লাহ কোন বিশ্বাসঘাতক অকৃতজ্ঞকে পছন্দ করেন না। [আল হাজ্জ্ব : ৩৮]
#আসুন, তাদেরকে ভালোবাসতে শিখি যাদের আল্লাহ ভালবাসেন, তাদেরকে ঘৃণা করতে শিখি যাদের আল্লাহ ভালবাসেন না।
আল্লাহ আমাদেরকে সেই তৌফিক দান করুন,
আল্লাহর ভালোবাসা লাভের ১০টি উপায়
হে আল্লাহ! আমি আপনার ভালোবাসা চাই
আল্লাহর জন্য ভালোবাসা ও শত্রুতা
Love and enmity for Allah SWT
0 notes
হে আল্লাহ! আমি আপনার ভালোবাসা চাই
আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য মাবুদ ' / 'সত্য ইলাহ' নেই। আল্লাহ তায়ালা আসমানে 'আরশের ঊর্ধ্বে সমুন্নত। কোরআন আল্লাহর বাণী। আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় একমাত্র উপাস্য। আল্লাহ ব্যতীত ইবাদত পাবার যোগ্য কেউ নেই । মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রাসূল । .♥♥♥
আল্লাহর ভালোবাসা
আল্লাহ্ আমার ভালোবাসা আল্লাহ যাদেরকে ভালবাসেন আল্লাহর মনোনীত দীনকে সমুন্নত রাখা, আল্লাহর আনুগত্য করা, আল্লাহর রাসুল(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে ভালবাসা, আল্লাহর বিধান বাস্তবায়নে উদ্যোগী শাসকদের আনুগত্য করা এ সমস্তই আল্লাহকে ভালবাসার অন্তর্ভুক্ত। অপরদিকে, বান্দার গুনাহসমুহ ক্ষমা করে তাকে জান্নাত দান করা হচ্ছে মানুষের প্রতি আল্লাহর ভালবাসা। আল্লাহ বলেন, “বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস, তাহলে আমাকে অনুসরণ কর, যাতে আল্লাহ ও তোমাদিগকে ভালবাসেন এবং তোমাদিগকে তোমাদের পাপ মার্জনা করে…
মুমিন অর্থ বিশ্বাসী। যারা আল্লাহ ও তার রাসুলের আদেশ নির্দেশ ও সুন্নাহয় বিশ্বাস করেন তাদের মুমিন বলা হয়। একজন প্রকৃত মুমিনই আল্লাহ তাআলার ভালবাসা ও নৈকট্য অর্জন করতে সক্ষম। প্রকৃত মুমিন হতে হলে আমাদের জানতে হবে আল্লাহ তাআলা কোন কাজ বেশি ভালবাসেন, কোন কাজে রহমত নাজিল করেন, কোন কাজে অভিশাপ দেন এবং তার রহমত থেকে বঞ্ছিত করেন। এসব বিষয়ে সঠিক জ্ঞান অর্জন করে চেষ্টা, সাধনা, ও আমল দ্বারা আল্লাহর ভালবাসা অর্জন করাই একজন প্রকৃত মুমিনের অভীষ্ঠ লক্ষ্য। আল্লাহ তায়ালা কাদের বেশি ভালবাসেন এ সম্পর্কে পবিত্র গ্রন্থ “আল কুরআন” ও নবীজির সুন্নাহয় স্পষ্ট বর্ণনা করা আছে।
পাঁচটি উপায় আল্লাহর ভালোবাসা পাওয়ার: ১। আল্লাহর উপর ঈমানের সহিত তাওয়াক্কুল করা ২। রাসূল (সঃ) কে অনুসরণ করা ৩। শিরক মুক্ত ঈমান রাখা ৪। অধিক তওবা ইস্তেগফারকারী হওয়া ৫। আল্লাহর পথে জিহাদ করা
The way to get God's love
আল্লাহর ভালোবাসা পাওয়ার উপায়
১) তওবাকারীঃ
২) রাসুল(স) কে অনুসরণ কারীঃ
৩) পবিত্রতা অর্জনকারীঃ
৪) দানশীল ব্যক্তিকে ভালবাসেন
৫) ন্যায়বিচারকারী
৬) মহান আল্লাহর প্রতি আস্থা স্থাপনকারী
৭) কোমল হৃদয়ের ব্যক্তিকে ভালবাসেন
আল্লাহর জন্য ভালোবাসা ও শত্রুতা
ভালোবাসা হবে একমাত্র আল্লাহর জন্য।
“আল ওয়ালা ওয়াল বারা”- ইসলামের এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এর অর্থ হচ্ছে আল্লাহর জন্য কোন ব্যক্তি বা বস্তু বা কাজকে ভালবাসা ও আল্লহর জন্যই কোন ব্যক্তি, বস্তু বা কাজকে ঘৃণা করা। যে কয়টি মুল স্তম্ভের উপর ঈমান গঠিত তার মধ্যে একটি হচ্ছে ‘আল ওয়ালা ওয়াল বারা’।
আমরা পৃথিবীতে যা করি সবকিছু ভালবাসা ও ঘৃণার ভিত্তিতে হয়ে থাকে। যেমন ধরুন আমরা যদি কারো সাথে বন্ধুত্ব করি এমন কারো সাথে বন্ধুত্ব করি যাদের আমরা ভালবাসি। সবার বক্তব্য আমরা শুনিনা, সবাইকে কেয়ার করিনা। তাদের বক্তব্য শুধুমাত্র শুনি যাদের আমরা ভালবাসি।
এই যে উপরোক্ত সকলের প্রতি ভালবাসার জন্য আমরা এত কিছু করি কিন্তু কিসের জন্য এই ভালবাসাটা?
অবশ্যই স্বার্থের জন্য হতে পারে আমার নিজেরস্বার্থের জন্য, আমার নিকটবর্তী আত্মীয় কারো জন্য। আল্লাহ পাকের কথা হচ্ছে, ভালবাসতে হবে শুধু আল্লাহর জন্য ঘৃনাও করতে হবে শুধু আল্লাহর জন্য। আল্লাহর জন্য বলতে বুঝায় আল্লহ ও তার রাসুল (সঃ) যাতে সন্তুষ্ট তা করা ও যাতে অসন্তুষ্ট তা পরিহার করা।
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে কেউ আল্লাহর জন্যই ভালবাসে এবং আল্লাহর জন্যই ঘৃণা করে এবং (কাউকে কিছু) দিয়ে থাকে আল্লাহর জন্যই এবং (কাউকে কিছু) দেয়া থেকেও বিরত থাকে আল্লাহর জন্য; তাহলে তার ঈমান পরিপূর্ণ হলো।”
[আবু দাউদ: ৪০৬১, দ্বাদশ খণ্ড, পৃ-২৯১]
হজরত আবু যর (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘মানুষের আমলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে প্রিয় আমল হচ্ছে ওই ভালোবাসা যা আল্লাহর জন্য হয় এবং ওই শত্রুতা যা আল্লাহর জন্য হয়।' (সুনানে আবু দাউদ : হাদিস ৪৫৯৯)।কিয়ামতের দিন আল্লাহ তায়ালা বলবেন, আমার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে পরস্পর ভালোবাসা স্থাপনকারীরা কোথায় ? আজ যে দিন আমার ছায়া ব্যতীত কোন ছায়া থাকবে না- আমি তাদের ছায়া দেব। (সহীহ মুসলিম: ৪৬৫৫) সুবহানাল্লাহ
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। নবীজী (সা.) বলেন, সাত ধরণের মানুষকে আল্লাহ তায়ালা আরশের নিচে ছায়া দেবেন, এর মধ্যে এমন দুই ব্যক্তি রয়েছে যারা আল্লাহর ওয়াস্তে পরস্পরকে মহব্বত করত। আল্লাহর মহব্বতের ওপরই তারা একত্র হতো, আবার আল্লাহর মহব্বতেই পৃথক হতো। (সহিহ বুখারি : হাদিস ৬৬০, সহিহ মুসলিম: হাদিস ১০১৩)।
আল্লাহ কুরআনে বলেন, (হে মুহাম্মদ) আপনি বলে দিন- "যদি তোমরা আল্লাহর ভালবাসা পেতে চাও তবে আমাকে (নবীকে) অনুসরণ কর। আল্লাহ্ তোমাদের ভালবাসবেন এবং তোমাদের গুনাহ্সমূহ ক্ষমা করে দিবেন। আর আল্লাহ মহাক্ষমাশীল ও পরম করুণাময়।”
(সূরা আলে ইমরান-৩১)।
“যারা আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস করে, তাদেরকে আপনি আল্লাহ ও তাঁর রসূলের বিরুদ্ধাচরণকারীদের সাথে বন্ধুত্ব করতে দেখবেন না, যদিও তারা তাদের পিতা, পুত্র, ভ্রাতা অথবা জ্ঞাতি-গোষ্ঠী হয়। তাদের অন্তরে আল্লাহ ঈমান লিখে দিয়েছেন এবং তাদেরকে শক্তিশালী করেছেন তাঁর অদৃশ্য শক্তি দ্বারা। তিনি তাদেরকে জান্নাতে দাখিল করবেন, যার তলদেশে নদী প্রবাহিত। তারা তথায় চিরকাল থাকবে। আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট এবং তারা আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট। তারাই আল্লাহর দল। জেনে রাখ, আল্লাহর দলই সফলকাম হবে।" [সূরা আল-মুজদালাহ, আয়াত : ২২]
আল্লাহ কাদের ভালোবাসেনঃ
আল্লাহ সৎকর্মশীলদিগকেই ভালবাসেন। [আলে ইমরান ১৩৪ ]
আল্লাহ অনুগ্রহকারীদেরকে ভালবাসেন [আল বাক্বারা ১৯৫ ]
অবশ্যই আল্লাহ পরহেজগারদেরকে ভালবাসেন। [আলে ইমরান ৭৬ ]
নিশ্চয় আল্লাহ তাওবাকারীদের ভালোবাসেন ভালোবাসেন।[সূরা বাকারা ২০৫] আল্লাহ পবিত্র ��োকদের ভালবাসেন। [আত তাওবা ১০৮ ]
আল্লাহ তাওয়াক্কুল কারীদের ভালবাসেন। [আলে ইমরান : ১৫৯]
নিশ্চয় আল্লাহ সুবিচারকারীদেরকে ভালবাসেন। [সুরা মায়িদা : ৪২]
আর যারা সবর করে,আল্লাহ তাদেরকে ভালবাসেন। [আলে ইমরান : ১৪৬]
আল্লাহ ইনসাফকারীদেরকে ভালবাসেন। [আল মুমতাহিনা : ৮]
আল্লাহ সাবধানীদের পছন্দ করেন। [আত তাওবা : ৪, ৭]
আল্লাহ কাদের ভালোবাসেন না এবং পছন্দ করেন নাঃ
আল্লাহ কাফেরদিগকে ভালবাসেন না। [আলে ইমরান : ৩২]
আল্লাহ অত্যাচারীদেরকে ভালবাসেন না। [আলে ইমরান : ৫৭]
আল্লাহ দাম্ভিকদেরকে ভালবাসেন না। [আল কাছাছ: ৭৬]
আল্লাহ বিপর্যয় সৃষ্টিকারীদেরকে পছন্দ করেন না। [আল-কাছাছ : ৭৭]
নিশ্চয়ই আল্লাহ ধোকাবাজ, প্রতারককে পছন্দ করেন না। [আল আনফাল : ৫৮]
নিশ্চয়ই আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীদে রকে পছন্দ করেন না। [আল বাক্বারা: ১৯০; আল মায়িদা: ৮৭]
আল্লাহ ফাসাদ ও দাঙ্গা-হাঙ্গামা পছন্দ করেন না। [আল-বাক্বারা : ২০৫]
তিনি অপব্যয়ীদেরকে পছন্দ করেন না। [আল আরাফ : ৩১]
আল্লাহ পছন্দ করেন না তাকে, যে বিশ্বাস ঘাতক পাপী হয়। [আন নাস : ১০৭]
আল্লাহ কোন বিশ্বাসঘাতক অকৃতজ্ঞকে পছন্দ করেন না। [আল হাজ্জ্ব : ৩৮]
#আসুন, তাদেরকে ভালোবাসতে শিখি যাদের আল্লাহ ভালবাসেন, তাদেরকে ঘৃণা করতে শিখি যাদের আল্লাহ ভালবাসেন না।
আল্লাহ আমাদেরকে সেই তৌফিক দান করুন,
আল্লাহর ভালোবাসা লাভের ১০টি উপায়
হে আল্লাহ! আমি আপনার ভালোবাসা চাই
আল্লাহরজন্য ভালোবাসা ও শত্রুতা
Love and enmity for Allah SWT
0 notes
#allah #islam #qoutes #islamicqoutes #loveforallah #aesthetic #deens
0 notes