পৃথিবীর বহু কবি, সাহিত্যিক, দার্শনিকরা সব জায়গায় পাণ্ডিত্য দেখাতে পারলেও শুধুমাত্র একটা জায়গায় পাণ্ডিত্য দেখাতে গিয়ে হোঁচট খেয়েছে। আর সেই জিনিসটা হলো নারী ও নারীর মন। যা আজও দার্শনিকদের কাছে একটি রহস্য। তাই নারী ও নারীর মনকে বুঝার জন্য নিচের ২০টি তথ্যের মাধ্যমে নারীকে কিছুটা হলেও জানারা চেষ্টা করবো। নারীর মনস্তাত্ত্বিক কিছু কৌশল:
১. গম্ভীর গলায় পুরুষরা যা বলে তা মেয়েরা সেগুলো ভালো করে মনে…
ইসলাম নারী-পুরুষের অবৈধ সম্পর্ক কঠোরভাবে নিষেধ করেছে । ইসলামের দৃষ্টিতে অবৈধ শারীরিক সম্পর্ককে যেনা বলা হয় । এ জন্য যে সব কাজ যেনার প্ররোচনা দেয় সেগুলোও ইসলাম কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করেছে ।
একটি হাদিসে প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ ﷺ বলেছেনঃ চোখের ব্যভিচার হলো দেখা, কানের ব্যভিচার শোনা, জিহ্বার ব্যভিচার বলা, হাতের ব্যভিচার ধরা, পায়ের ব্যভিচার হাঁটা, মন কামনা করে আর লজ্জাস্থান তা সত্য বা মিথ্যায় পরিণত করে । (সহিহ মুসলিম: ২৬৫৭)
ইসলাম একান্ত প্রয়োজন ছাড়া পরপুরুষের সঙ্গে কথা বলাকে নিষিদ্ধ করেছে । এ জন্য পুরুষ-মহিলা সবাইকে চরিত্র সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ বলেনঃ
ব্যভিচারিণী নারী ব্যভিচারী পুরুষ; তাদের প্রত্যেককে একশত করে বেত্রাঘাত করো । আল্লাহর বিধান কার্যকর কারণে তাদের প্রতি যেন তোমাদের মনে দয়ার উদ্রেক না হয়, যদি তোমরা আল্লাহর প্রতি ও পরকালের প্রতি বিশ্বাসী হয়ে থাক । মুসলমানদের একটি দল যেন তাদের শাস্তি প্রত্যক্ষ করে । (সুরা নুর: ২)
আর প��কীয়া তথা বিবাহিত নারী-পুরুষের অশ্লীল কাজের শাস্তি হিসেবে পাথর মেরে হত্যার নির্দেশ দিয়েছে ইসলামী শরিয়ত ।
উবাদা ইবনে সামিত (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, বিশ্বনবী, মহানবী, মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ তোমরা আমার নিকট থেকে বিধানটি সংগ্রহ করে নাও । তোমরা আমার নিকট থেকে বিধানটি সংগ্রহ করে নাও । আল্লাহ বিবাহিত নারী-পুরুষের অশ্লীল কাজের শাস্তি হিসেবে একটি ব্যবস্থা দিয়েছেন । অবিবাহিত যুবক-যুবতীর শাস্তি হচ্ছে, ১০০টি বেত্রাঘাত ও এক বছরের জন্য দেশান্তর । আর বিবাহিত পুরুষ ও মহিলার শাস্তি হচ্ছে, ১০০টি বেত্রাঘাত ও রজম তথা পাথর মেরে হত্যা করা । (সহিহ মুসলিম: ১৬৯০; আবু দাউদ: ৪৪১৫, ৪৪১৬; তিরমিজি: ১৪৩৪; ইবন মাজাহ: ২৫৯৮)
ব্যভিচারী নারী-পুরুষের মধ্যে একজন বিবাহিত ও অন্যজন অবিবাহিত হলে বিবাহিতের রজম তথা পাথরের আঘাতে হত্যা করতে হবে এবং অবিবাহিতকে ১০০টি বেত্রাঘাত করতে হবে ।
শুধু তাই নয়, পরকালে শাস্তি থেকে মুক্তি পেতে চাইলে খালেস অন্তরে তাওবা করতে হবে ।
এ ছাড়াও যারা লজ্জাস্থানের হেফাজত করবে, তাদের বিশেষ পুরস্কার ঘোষণা করেছেন রাসুলে আকরাম ﷺ হযরত সাহল ইবনে সাদ (রা.) থেকে বর্ণিত, দয়াল নবী হযরত আহমাদে মুস্তফা ﷺ বলেন, যে ব্যক্তি মুখ ও লজ্জাস্থানের হেফাজতের জামিনদার হবে আমি তার বেহেশতের জামিনদার হবো । (বুখারি: ৭৬৫৮)
ইসলাম দেবরের সঙ্গে দেখা করাকে কঠিন গুনাহের কাজ হিসেবে উল্লেখ করেছে । হযরত উকবা ইবনে আমের (রা.) থেকে বর্ণিত, আখেরীনবী মুহাম্মদ ﷺ বলেনঃ সাবধান, তোমরা নির্জনে নারীদের কাছেও যেও না । এক আনসার সাহাবি বললেনঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ ﷺ দেবর সম্পর্কে আপনার নির্দেশ কী ? হাবীবুল্লাহ মুহাম্মদ ﷺ বললেন, দেবর তো মৃত্যুর সমতুল্য । (মুসলিম: ২৪৪৫)
যে মানুষ ব্যভিচারে অভ্যস্ত হয় সে ধীরে ধীরে ঈমান ও আমল থেকে বঞ্চিত হতে থাকে । সাইয়েদুল মুরসালীন মুহাম্মাদ ﷺ বলেনঃ কোনো মানুষ যখন ব্যভিচারে লিপ্ত হয়, তখন তার ভেতর থেকে ঈমান বেড়িয়ে যায় এবং এটি তার মাথার ওপর মেঘখণ্ডের মতো ভাসতে থাকে । এরপর সে যখন তাওবা করে, তখন ঈমান আবার তার কাছে ফিরে আসে । (আবু দাউদ: ৪৬৯০)। আল্লাহ আমাদের সবাইকে যেনা ব্যভিচার থেকে মুক্ত থাকার তাওফিক দান করুন, আমিন ।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সীরত মুবারক থেকে কিঞ্চিত আলোচনা
===========================
প্রাসঙ্গিক লেখা মূলত উনার “সুমহান জীবনী মুবারক” নয়, বরং সুমহান জীবনী মুবারক উনার মাঝে সংঘটিত কোটি কোটি মুবারক কারামত মাঝে গুটিকয়েকের প্রকাশ।
মুবারক বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ:
মাসের মধ্যে সাইয়্যিদুল আসইয়াদ, সাইয়্যিদুশ শুহূর, শাহরুল আ’যম পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস হচ্ছে শাহরুল আ’যম বা শ্রেষ্ঠ। আর দিনের মধ্যে মহিমান্বিত হলো- ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ (সোমবার)। কারণ এ পবিত্র মাসে এবং পবিত্র দিনেই দুনিয়ায় মুবারকে তাশরীফ আনেন আকরামুল আউওয়ালীন ওয়াল আখিরীন, রহমতুল্লিল আলামীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। আর সেই মহান সুন্নত আদায়ের লক্ষ্যেই, মুবারক কারামত প্রকাশ করে সাইয়্যিদুল আসইয়াদ, সাইয়্যিদুশ শুহূর, শাহরুল আ’যম পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাসেরই ৭ তারিখ পবিত্র ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ (সোমবার) পবিত্র বাদ মাগরিব উনার সময় অর্থাৎ সুন্নতী সময় যমীনে মুবারক তাশরীফ আনেন সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, উম্মুল খাইর, হাবীবাতুল্লাহ, আমাদের মামদূহ হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম। সুবহানাল্লাহ!
মুবারক শৈশব ও কৈশোর কাল:
উনার মুবারক শৈশব ও কৈশোরকালে উনার বেমেছাল বুযুর্গী, কারামত ও সম্মানের প্রকাশ ঘটে। শিশুসুলভ চঞ্চল আচরণ, অযৌক্তিক হাস্যরস, অপ্রয়োজনীয় কাজ, অনাবশ্যক চিন্তা-খেয়াল থেকে পরিপূর্ণরূপে মুক্ত থেকে এত শিশু বয়স মুবারক থেকেই তিনি সকলের নিকট হয়ে উঠেন এক বিস্ময়কর ধৈর্য ও গাম্ভীর্যের মূর্ত প্রতীক। সুন্নত অনুসরণে উনার জীবন মুবারক-এর প্রথম আমলই ছিল চিন্তা বা মুরাকাবা। আর এখানেও উনার ক্ষণে ক্ষণে কারামত মুবারক উনার প্রকাশ ঘটে।
শিশুবেলা থেকেই সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, আওলাদে রসূল, মাহবুবায়ে ইলাহী, হাবীবাতুল্লাহ আমাদের মামদূহ হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার শান-মান, মর্যাদা-মর্তবা প্রকাশ পেতে থাকে। তিনি যখন কোলের শিশু তখন একদা তিনি উনার সম্মানিত পিতা অর্থাৎ আমাদের হযরত নানা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মুবারক কোলে বসা ছিলেন। এমন সময় একজন বুযুর্গ ব্যক্তি সেখান��� আসেন। তিনি আমাদের হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনাকে দেখে হযরত নানা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনাকে বলেন: “হে মাওলানা ছাহিব আলাইহিস সালাম! আপনার এ কন্যা সন্তানের চেহারা মুবারক নূরে দীপ্তিমান। উনার সুষ্ঠু তত্ত্বাবধান করবেন, খিদমত মুবারক করবেন। আপনার এই কন্যা সন্তান অনেক উঁচু স্তরের ওলীআল্লাহ হবেন। জগৎময় উনার সুখ্যাতি ও সুনাম ছড়িয়ে পড়বে। উনার হিদায়েতের নূর মুবারক সমগ্র বিশ্বকে আলোকিত করবে। উনার অতুলনীয় রূহানী কুওওয়াত ও বিস্ময়কর প্রভাবে সারা দুনিয়ায় নারীদের মাঝে জাগরণ ঘটবে।” সুবহানাল্লাহ!
অতঃপর বুযুর্গ ব্যক্তি আরো বললেন: “এমন মুবারক কন্যা সন্তান উনার সম্মানিত পিতা হয়ে আপনি তুলনাহীন সম্মান ও মর্যাদার অধিকারী হয়েছেন।” সুবহানাল্লাহ!
সম্মানিত পাঠক-পাঠিকাগণ, আপনারা কি জানেন, উল্লেখিত দুটি ঘটনায় আগন্তুক দু’ব্যক্তি কে? মূলত বুযুর্গ ব্যক্তির ছূরতে আগন্তুক দু’ব্যক্তি ছিলেন হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা। (সুবহানাল্লাহ) উনাদের ভবিষ্যদ্বাণী করা বেমেছাল মর্যাদা-মর্তবাসম্পন্ন ওলীআল্লাহ যিনি, তিনিই হচ্ছেন মহান খলীফাতুল উমাম সাইয়্যিদুনা আমাদের হযরত শাহযাদা হুযূর কিবলা ক্বাবা আলাইহিস সলাতু ওয়াস সালাম। সুবহানাল্লাহ!
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাগ্রহণ:
ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, হাবীবাতুল্লাহ, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনাকে উনার বুযুর্গ পিতা আলাইহিস সালাম তিনি বার আউলিয়া উনাদের পুণ্যভূমি খ্যাত চট্টগ্রামের একটি বালিকা মাদরাসায় প্রাতিষ্ঠানিক ইলম অর্জনের ব্যবস্থা করেন। যদিও তিনি ভরপুর ইলমে লাদুন্নীসহ জগৎ মাঝে এসেছেন, তবুও প্রচলিত প্রাতিষ্ঠানিক নিয়ম অনুযায়ী সেখানে তিনি খাছ শরয়ী পর্দার সাথে অধ্যয়ন শুরু করেন। সে মাদরাসার মুয়াল্লিমা উনারা অবাক বিস্ময়ে লক্ষ্য করেন যে, তীক্ষè মেধা, নিরবচ্ছিন্ন মনোযোগ, সূক্ষ্ম সমঝ এবং ইলম অর্জনে তিনি সত্যিই বেমেছাল। উনার সুন্নতী আচার-আচরণ মুবারক, অনন্য আদব-শরাফত, সীমাহীন ইলম উনার কারণে মাদরাসার ছাত্রীরা তো অবশ্যই মুয়াল্লিমারাও উনার থেকে অনেক কিছু শিখতে থাকেন।
মহান আল্লাহ পাক এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা আখাচ্ছুল খাছভাবে সৃষ্টিলগ্ন থেকেই উনার মাঝে ছহীহ হিদায়েত, প্রগাঢ় ইলম, সূক্ষ্ম সমঝ, অনুপম চরিত্র মাধুর্য, অসীম মুহব্বত-মা’রিফাতসহ সকল গুণ-বৈশিষ্ট্যে হাদিয়া করেছেন।
নিবরাসাতুল উমাম আলাইহিস সালাম,তিনি হন অনাগত কালের আদর্শ
নুরে মুকাররামাহ, আলর্বারাহ ওয়াল বারাকাহ, রহমতে রব্বী, উলফাতে ইলাহী, সাইয়্যিদাহ, তাক্বিয়্যাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত নিবরাসাতুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি এমন সব মানুষ, বান্দা-বান্দী ও উম্মত উনাদের সম্মানিত হিদায়েত, রহমত ও নিয়ামত দানকারিণী, যাঁরা মহান আল্লাহ পাক উনার মা’রিফাত, মুহব্বত ও রেযামন্দি-সন্তুষ্টি হাছিলে কোশেশ করে থাকেন। সুবহানাল্লাহ!
বর্তমান এই আখিরী যামানায় যখন নারীজাতি পবিত্র দ্বীন ইসলাম থেকে বহু দূরে সরে গিয়ে জাহিলিয়াতের যুগের ন্যায় বেপর্দা, বেহায়াপনা এবং বেলেল্লাপনায় লিপ্ত হয়েছে ঠিক সেই যামানায় পবিত্র ১৯শে রবীউছ ছানী শরীফ উনার দিন দুনিয়ার তামাম দিশেহারা নারীজাতিকে মুক্তিদানের উদ্দেশ্যে জাহান আলোড়িত করে দুনিয়াতে তাশরীফ মুবারক আনলেন নূরে মদীনা, গুলে মুবীনা, বাহরুল উলূম, সাইয়্যিদাতুন নিসা, হাবীবাতুল্লাহ, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদাতুনা হযরত নিবরাসাতুল উমাম আলাইহাস সালাম। সুবহানাল্লাহ! উনার দয়াপূর্বক দুনিয়াতে তাশরীফ মুবারক উনার ফলে বর্তমান নারীজাতি আজ পেয়েছে হাক্বীকী পর্দা তথা হাক্বীকী ইসলাম। সুবহানাল্লাহ!
। সুমহান শান মুবারক, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযুর্গী-সম্মান মুবারক কস্মিনকালেও বলে শেষ করা সম্ভব নয়। সারা বিশ্বের সকল গাছকে যদি কলম বানিয়ে এবং সাগরের সকল পানিকে যদি কালি বানিয়ে উনার সুমহান শান মুবারক লিখা শুরু হয়, তাহলে গাছ ফুরিয়ে যাবে এবং সাগরের পানি শেষ হয়ে যাবে, তবুও উনার শান মুবারক এর বিন্দু থেকে বিন্দুতমও কুল-কায়িনাতের জিন-ইনসানের পক্ষে ব্যাখ্যা করা সম্ভব হবে না। সুবহানাল্লাহ!
মূলত নারীজাতির জন্য তিনি এক অনন্যা এবং অতুলনীয়া সম্মানিত নিয়ামত মুবারক। যা মহান আল্লাহ পাক তিনি মহান মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার উসীলায় বর্তমান নারীজাতিকে হাদিয়া মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
বর্তমান জাহিলিয়াতের যামানায় যেখানে মুক্তমনা এবং মানবাধিকার দাবিদাররা যেভাবে নারীজাতিকে ঘর থেকে টেনে নিয়ে এসে রাস্তায় বেহায়াপনায় লিপ্ত করাচ্ছে সেখানে গুলে মদীনা সাইয়্যিদাতুনা হযরত নিবরাসাতুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি সেইসব জাহিল-শয়তানদের কবল থেকে নারীদের বের করে নিয়ে এসে হাক্বীক্বী পর্দা, হাক্বীক্বী ইসলাম শিক্ষা দিচ্ছেন। তিনি নারীজাতির দুঃখ, দুর্দশা, হতাশা বেহায়াপনা, বেলেল্লাপনা থেকে বের হয়ে আসার পথ দেখাচ্ছেন। সর্বোপরি তিনি হযরত উম্মুল মুমিনীন আলাইহিন্নাস সালাম ও হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সুমহান পবিত্র আদর্শ মুবারকে নারীজাতিকে উদ্বুদ্ধ করছেন। সুবহানাল্লাহ!
কাজেই নারীজাতির জন্য হক্ব মতে পথে ইস্তিকামত থাকার এবং সকলপ্রকার দুঃখ, দুর্দশা, হতাশা বেহায়াপনা থেকে মুক্তি পেতে চাইলে সাইয়্যিদাতুনা হযরত নিবরাসাতুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার আদর্শকে উত্তমভাবে গ্রহণ করা এবং পবিত্র ১৯শে রবীউছ ছানী শরীফ শান-শওকতের সাথে পালন করা অনস্বীকার্য। কেননা তিনি হলেন সা���য়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার হুবহু নকশা মুবারক। সুবহানাল্লাহ!
মহান মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি যেন উনার সুমহান উসীলায় সারা বিশ্বের নারীজাতিকে সাইয়্যিদাতুনা হযরত নিবরাসাতুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র ক্বদম মুবারকে এসে গোলামী স্বীকার করার তাওফীক দান করেন। আম
বিশ্ব নবী তাদেরকে বলেছেন... নারীদের সাথে কোমল আচরণ করো। নারীদের সাথে কঠিন হলে, উনারা রেগে যাবে! আর নরম হলে, গলে যাবে। সুবহানাল্লাহ !😊🖤🌸#islamic #samira_islam_sammi
ইসলাম নারীকে অধিকার, নিরাপত্তা ও সর্বোচ্চ সম্মান দিয়েছে।
ইসলাম নারীর ন্যায্য অধিকার, নিরাপত্তা ও সর্বোচ্চ সম্মান নিশ্চিত করেছে। ইসলামের মহাগ্রন্থ আল কোরআনে ‘নিসা’ অর্থাৎ ‘মহিলা’ শব্দটি ৫৭ বার এবং ‘ইমরাআহ’ অর্থাৎ ‘নারী’ শব্দটির ২৬ বার উল্লেখ হয়েছে। পবিত্র কোরআনে ‘নিসা’ তথা ‘মহিলা’ শিরোনামে নারীর অধিকার ও কর্তব্যসংক্রান্ত একটি স্বতন্ত্র বৃহৎ সূরাও রয়েছে। এ ছাড়া কোরআনের বিভিন্ন আয়াত ও হাদিসে নারীর অধিকার, মর্যাদা ও তাদের মূল্যায়ন সম্পর্কে সুস্পষ্ট বর্ণনা রয়েছে।পবিত্র কোরআনে ��ছে, 'তোমরা তাদের (নারীদের) সঙ্গে উত্তম আচরণ করো ও উত্তম আচরণ করার শিক্ষা দাও। ' (সূরা-৪ নিসা, আয়াত: ১৯। আদর্শহীন পুরুষ ইসলামে স্বীকৃত হক যথাযথ দেয় নি। তার দায় তো ফেলা যায় না ইসলামের উপর। https://www.youtube.com/watch?v=Ih7jOYlNsxs
মুসলিম বিবাহ বিচ্ছেদ আইন-১৯৩৯ অনুসারে মুসলিম বিবাহীতা স্ত্রীলোক নিম্নে বর্ণিত এক বা একাধিক কারণে তাহর বিবাহবিচ্ছেদের ডিক্রিলাভের অধিকারী হইবেন; যথাঃ
১) স্বামী ৪ বৎসর যাবত নিখোঁজ রহিয়াছেন।
২) স্বামী ২ বৎসর যাবত তাহার ভরণপোষণ দিতে অবহেলা করিয়াছেন বা ব্যর্থ হইয়াছেন।
৩) স্বামী ১৯৬১ সনের মুসলিম পরিবার আইন অধ্যাদেশের বিধানাবলী লংঘন করিয়া অন্য কোন স্ত্রী গ্রহণ করিয়াছেন।
৪) স্বামী ৭ বৎসর যাবত কিংবা ততোধিক কালের জন্য কারাদন্ডে দন্ডিত হইয়ছেন।
৫) স্বামী যুক্তিসঙ্গত কারণ ব্যতীত ৩ বৎসর যাবত তাহার অনুরূপ অবস্থা অব্যাহত রহিয়াছেন।
৬) স্বামী বিবাহের সময় পুরুষত্বহীন ছিলেন এবং তাহর অনুরূপ অবস্থা অব্যহত রহিয়াছে।
৭) স্বামী ২বৎসর যাবত অপ্রকৃতিস্থ রহিয়াছে কিংবা কুষ্ঠরোগ বা মারাত্বক যৌন ব্যধিতে ভুগিতেছেন।
৮) ১৮ বৎসর পূর্ণ হওয়ার পূর্বে তাহাকে তাহার পিতা বা অন্য কোন অভিভাক বিবাহ দিয়াছেন এবং ১৯ বৎসর পূর্ণ হওয়ার পূর্বে তিনি উক্ত বিবাহ নাকচ করিয়াছেন। তবে শর্ত থাকে যে, বিবাহ যৌন মিলন হয় নাই।
৯) স্বামী-স্ত্রীর সহিত নিষ্ঠুর আচরণ করেন,যেমন-
খ) কুখ্যাত নারীদের সহিত থাকেন বা ঘৃণ্য জীবনযাপন করেন, কিংবা
খ) কুখ্যাত নারীদের সহিত থাকেন বা ঘৃণ্য জীবনযাপন করেন, কিংবা
গ) তাহকে নৈতিক বা বর্জিত জীবনযাপনে বাধ্য করিতে চেষ্টা করেন, কিংবা
ঘ) তাহার সম্পত্তি হস্তান্তর করেন অথবা উহাতে তাহার আইনসঙ্গত অধিকার প্রয়োগ বাধাদান করেন, কিংবা
ঙ) তাহার ধর্ম বিশ্বাস বা ধর্মচারে তাহাকে বাধাদান করেন, কিংবা
চ) তাহার একাধিক স্ত্রী থাকিলে যদি তিনি কোরআনের নির্দেশানুসারে তাহার সহিত ন্যায়সঙ্গতভাবে ব্যবহার না করেন।
লিঙ্গ-পরিচয়, মানে শারীরিক লিঙ্গ পরিচিতির মধ্য দিয়ে আমাদের যে সামাজিক চলা শুরু হয়, সেই রেললাইন ধরে আমাদের চলতে হয় আমৃত্যু। ওই লাইন যেদিকে নিয়ে যাবে, সেদিকে যেতে বাধ্য হই আমরা। জীবনের প্রতি পরতে এই চিহ্ন আমাদের দাখিল করতে হয়। মানুষকে আলাদা আলাদা করা হয় শারীরিক লিঙ্গ দিয়ে। এমন সব জায়গায় আমাদের বলতে হয়, আমি কোন লিঙ্গের মানুষ, যেখানে লিঙ্গ কোন কাজেই লাগে না। সে স্কুল-কলেজে হোক, চাকরিতে হোক বা ট্রেনে-প্লেনে ভ্রমণেই হোক। যুক্তি আসতে পারে, লিঙ্গ না বললে, সংরক্ষণ হবে কিভাবে? কিভাবে নারীদের জন্য সংরক্ষিত সিট নারীকে দেওয়া যাবে? নারীদের জন্য সংরক্ষিত শৌচালয় কিভাবে নারীর জন্য সংরক্ষিত হবে? উত্তরে বলা যায়, সংরক্ষণের প্রয়োজনটাই তো হয়েছে নারী-পুরুষের এই বিস্তর সামাজিক ফারাকের ফলে। বর্তমানে অন্যান্য লিঙ্গদের জন্যও সংরক্ষণের প্রয়োজন মানুষ অল্প হলেও অনুভব করছে, সেও তাদের ক্ষেত্রে এই সামাজিক পার্থক্যটা আরও ব্যাপক, আরও গভীর বলে। সংরক্ষণ হল, একটা রোগ হয়ে যাওয়ার পর তার চিকিৎসা। কিন্তু যদি ভাবি, রোগটাই যদি না হত?
এটা বলছি না যে, পুরুষ, নারী ও অন্যান্য লিঙ্গের মানুষের মধ্যে শারীরিক লিঙ্গের পার্থক্য হবার জন্য, অন্য কোন কাজের ক্ষমতার তফাৎ হয় না। সন্তান উৎপাদন ক্ষমতা, সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ানো – এসবের ক্ষেত্রে নারীর একছত্রাধিকার তো আছেই। এছাড়াও আছে যৌনতা অনুভবের পার্থক্য, কে কিভাবে যৌন আনন্দ পাবে – তার তফাৎ। এটুকুই শারীরিক পার্থক্য। এছাড়া যদি শ���রীরিক ক্ষমতার পার্থক্য বলেন, তাহলে বলব, পুরুষকেও যদি বংশ-পরম্পরায় ন’-দশ বছর বয়স থেকেই অন্তর্মূখী করে ফেলা হয়, বাইরের কাজকর্ম, খেলাধূলা, ব্যায়াম ইত্যাদিতে অংশগ্রহণ করতে না দেওয়া হয়, তাকে যদি ঠিকভাবে বোঝানো যায় যে, মাংশপেশী বাড়ানোর কোন প্রয়োজনই নেই জীবনে, তাহলে পুরুষেরও ক্ষমতার ঘাটতি ঘটবে। সেরকম কোন একমোদ্বীতিয়ম “পুরুষ” সত্ত্বা, বা একই রকম আদলে তৈরী সার্বজনীন “নারী” সত্ত্বা বলে কিছু হয় না।
মানুষের বিবর্তন সম্বন্ধে পুরুষতান্ত্রিক ইতিহাস আর নারীবাদী ইতিহাস ভিন্ন কথা বলে। সে প্রসঙ্গে, বা বলা ভাল সে বিতর্কে যাব না এখন। বরং এখানে আটকে থাকব পার্থক্য এবং অভিন্নতার প্রসঙ্গে।
পার্থক্য তো কোন খারাপ জিনিস নয়। প্রকৃতিতে পার্থক্যই স্বাভাবিক। পার্থক্যকে ধারণ করেই সুস্থ সমাজব্যবস্থা গড়ে ওঠে। শুধু, সেই পার্থক্যের ফলে যখন কোন একদল নীচু শ্রেণির বলে গণ্য হয়, নিপীড়িত হয়, শোষিত হয়, সামাজিক-রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক জায়গা থেকে নানাভাবে বঞ্চিত হয়, তখন সেই পার্থক্য নিয়ে কথা বলতে হয়।
তখন আমরা কি বলতে চাই? এই যেমন, একটা নির্দিষ্ট ধরনের সংস্কৃতিকে “হিন্দু” সংস্কৃতি বলে যখন চাপিয়ে দেওয়া হয়, আমরা বলি হিন্দু বলে কোন একটা সংস্কৃতি হয় না। তার মধ্যে শাকাহারী-নিরামিশাষী-আমিশাষী আছে, তার মধ্যে অত্যন্ত নরম-কিছুটা শক্ত-নির্মম মানুষ আছে, তার মধ্যে বিভিন্ন মানুষ বিভিন্নভাবে তাদের দেবতা বা ভগবানের পূজা করে, তার মধ্যে নানান ভাষা আছে, নানান জাতি আছে, নানান বর্ণ আছে, নানান সংস্কৃতি ইত্যাদি। যখন সাদা চামড়ার বর্ণবিদ্বেষীরা সমাজে তাদের উচ্চাসন বজায় রাখতে এই পার্থক্য করে, তখন আমরা বলি আসলে সাদা-কাল এই দুভাগে মানুষকে ভাগ করা যায় না। নানান রঙের মানুষ আছে, এবং যেকোন রঙের মানুষের মধ্যেই আবার বহু পার্থক্যও আছে।
একই রকম ভাবে, শারীরিক পুং-লিঙ্গ থাকলেই তার শারীরিক ক্ষমতা খুব বেশি হবে, সে কম আবেগী এবং বেশি যুক্তিপূর্ণ ব্যক্তিত্ব হবে, ঘরের কাজ - শিশুপালন ইত্যাদি “নরম” কাজে অক্ষম হবে, প্রতিদ্বন্দীতাপরায়ণ এবং যুদ্ধকামী হবে, যৌনতায় উগ্র হবে, হিংস্র হবে, যৌনতার সঙ্গী হিসেবে নারীকেই চাইবে, এমন নয়। সমাজ অবশ্যই নানান পদ্ধতিতে, বিভিন্ন শিক্ষা-দীক্ষার মাধ্যমে তাকে এই ছাঁচে গড়ে তুলতে চায়, যাতে সব পুরুষই একই রকম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন হয়ে ওঠে। তেমনি, শারীরিক স্ত্রীলিঙ্গ থাকলেই, সে মনের দিক থেকে খুব নরম হবে, আবেগপরায়ণ হবে, বেশির ভাগ সময়ে অযৌক্তিক হবে, বড় কোন সিদ্ধান্ত নিতে অপারগ হবে, শারীরিকভাবে দুর্বল হবে এবং শারীরিক সক্ষমতা লাগে এমন কাজে অপটু হবে, যৌনতায় পুরুষকে সঙ্গ দেবে কিন্তু যৌনক্ষিদে কম থাকবে, এমন কোন কথা নেই। যদিও সমাজ তাকে এভাবেই গড়ে তোলার চেষ্টা করে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত। আর হিজড়ে, কোতি, বা উভলিঙ্গ হলে তো কথাই নেই, তাকে সমাজের বাইরে রাখার জন্য সমাজ তার শেষ শক্তিটুকু প্রয়োগ করে। শুধুমাত্র ওই শারীরিক লিঙ্গের ভিত্তিতেই তাকে “অস্বাভাবিক” বলে ঘোষণা করে। ফলে কোন সামাজিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হবার সুযোগ সে পায় না। পুংলিঙ্গ না থাকার জন্য তার পুরুষ সমাজে ঠাঁই নাই। শুধু, কোনভাবে যদি সে স্ত্রীলিঙ্গের বৈশিষ্ট্যগুলো অল্প হলেও আয়ত্ত করতে পারে, তাহলে ব্রাত্য হয়েও সমাজের এক কোণে কোনরকমে বেঁচে-বর্তে থাকার অধিকার সে পাবে।
তাহলে কি দাঁড়াল? সমাজের ঘোষণায় সব নারী এক রকম, সব পুরুষ এক রকম, আর সব অন্য লিঙ্গেরা এক রকম। এবং এই “একই রকম”দের সে একই ঘেটোতে রাখতে চাইল। যাতে তারা চীরকাল একই রকম থাকে। কিন্তু যেহেতু, পুরুষের যৌনতায় নারীকে লাগবে এবং সন্তানের জন্ম দেওয়ার জন্যও নারী-পুরুষকে একসাথে হতে হবে, তাই পুরোপুরি আলাদা রাখা হল না। তৈরী হল পরিবার (পরিবারের অর্থনৈতিক গুরূত্বগুলো ইচ্ছে করেই আলোচনার বাইরে রাখছি)। কিন্তু সেখানে ভূমিকাগুলো নির্দিষ্ট করে দেওয়া হল। পুরুষ বাইরের ঝড়-ঝঞ্ঝা থেকে পরিবার সামলাবে, নারী ঘরের ভেতরটা সচল ও সুন্দর রাখবে। যেহেতু পুং -লিঙ্গের হাতেই সমাজের ক্ষমতা, সেইজন্য, যেভাবেই নারী-পুরুষের শরীর কাছাকাছি আসুক না কেন, স্ত্রীলিঙ্গের মধ্যে পুং-লিঙ্গের সফল প্রবেশই, সে সম্পর্কের শেষ কথা, এবং সেই সম্পর্কের সার্থকতা।
সমসত্ত্ব এই দুটি গোষ্ঠী এবং সমাজ ��েকে নির্বাসিত বাকি সব লিঙ্গের “অস্বাভাবিক” মানুষকে নিয়ে সামাজিক অনুশাসণ একটা নির্দিষ্ট নিয়মে চলতে লাগল।
কিন্তু, বাস্তব তো সমসত্ত্ব নয়। এই কঠিন, কঠোর অনুশাসনের মধ্যেই পুরুষ পুরুষকে ভালবেসে ফেলছে, নারী ভালবেসে ফেলছে নারী বা রূপান্তরকামী কোন মানুষকে, কোথাও পুরুষ দারুণ নরমভাবে শিশুকে পালন করছে, কোথাও নারী শারীরিকভাবে দারুণ সক্ষম হয়ে উঠছে, কখনো পুরুষ নারীকে পুং-লিঙ্গ না থাকা সত্ত্বেও সমান সম্মান দিচ্ছে, কোথাও যৌনতার ক্ষেত্রে পুং-লিঙ্গের স্ত্রী-যোনীর মধ্যে অনুপ্রবেশকে আর অতটা গুরূত্ব দিচ্ছে না। ফলে অনুশাসন ভেঙ্গে মাঝে মধ্যেই বেরিয়ে আসছে তারা স্বাভাবিকভাবেই। বেরিয়ে এসে তারা বুঝতে পারছে, ছোটবেলা থেকে তার শরীরে যে “লিঙ্গ”টা দেখে তাকে একটা অনড় অচল পরিচয়ে ভূষিত করা হয়েছিল, সেটা ততটা গুরূত্বপূর্ণ নয়। তখন সে বুঝতে পারছে যে, এই পরিচয়টা তার বৈশিষ্ট্যের বহু সম্ভাব্যতাকে, অল্প কিছুর মধ্যে আটকে রেখেছিল।
সে বুঝতে পারে, এর মধ্যে আছে ক্ষমতার খেলা। এই অটল, অচল, অব্যয় শারীরিক লিঙ্গ পরিচয় কিভাবে নানাবিধ নিপীড়ন ও শোষণের সংস্কৃতি তৈরী করে, তা সে অনুভব করতে শুরু করে। তখন সে প্রতিবাদ করতে চায়, প্রশ্ন করতে চায়। যেমন প্রশ্ন ওঠে, জন্ম থেকেই একজনকে কেন দলিত আখ্যা দেওয়া হবে, কেন একজনের ধর্ম জন্ম থেকেই নির্দিষ্ট করে দেওয়া হবে? এবং সেই সংস্কৃতির সমুদ্রে ডূবে থাকা বহু মানুষ সেগুলোকে পাগলের প্রলাপ বলেই ভাবে। ঠিক তেমনি এ প্রশ্নও ওঠে, কেন একজনকে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত একটা লিঙ্গের দ্বারাই, বা তার শরীরের ওই একটা অঙ্গ দিয়েই সারাজীবন চিহ্নিত হতে হবে? এবং একইরকম ভাবে আপনি সেই প্রশ্নকেও উন্মাদের অস্বাভাবিক আচরণ বলে ধরে নিতে পারেন!
বাবার সাথে আজ তার বড্ড অভিমান,কেননা সবে এইচ এস সি সমাপনী পরীক্ষা দিয়েছে শিফা,অনেক বড় স্বপ্ন ছিল তার,এই অত্যাধুনিক যুগে উচ্চ অধ্যায়ন করে অমৃত সুনাম অর্জন করবে সে।কিন্তু আজ তার সব আশা আকাঙ্ক্ষা ধূলি কণা হয়ে ভেসে বেড়াচ্ছে বাতাসে।
কারণ হটাৎ কি হতে না হতে তার বাবা তার বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে নিল।শত আকুতি মিনতির পরও এই বিয়ে প্রত্যাখান করতে পারল না শিফা।
তাও এক মাদ্রাসা শিক্ষিত ছেলের সাথে,যা কখনো স্বপ্নও ভাবনি সে।এটা তার শিক্ষা সাংস্কৃতির সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে বিপরীত।সে একজন আধুনিকা নারী,নিজের ইচ্ছায় কিছু করা যাবে না।এটা তার কাছে জীবনের সবচেয়ে পরাজয় মনে হচ্ছে।দরকার হয় নিজেকে অকালেই শেষ করে দেবে তবুও মাদ্রাসা শিক্ষিত ছেলের সাথে বিয়ে বসবে না।মাঝে মাঝে সে ফুঁপিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ছে, শিফার মা মেয়ের মাথায় হাত বোলায় সান্ত্বনা দেয়,তুই এতো ভেঙ্গে পরিস না,ধৈর্য রাখ্ দেখবি একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে।না মা এটা আমি কখনও মেনে নিতে পারব না,কেউ আমাকে চার দেয়ালে বন্ধী করে রাখবে,দুঃখ করিস না তোর বাবা যেটা করছে তোর মঙ্গলের জন্যই করছে।শিফার মা জানে তার বাবা যে সিদ্ধান্ত নেয় সে কখনও বদলানোর মতো নয়।উদ্বিগ্নর পারাপারে সাঁতরাতে সাঁতরাতে ঘুমের ঘুরে স্তব্ধ হয়ে গেলো তার শরীর খানা।
*দুই*
পূর্ব গগনে এখনো ভোরের আলো পরিপূর্ণ ভাবে বিকশিত হয়নি,অথচ ক্ষুধার্ত বিহঙ্গরা এদিক সেদিন ছুটে চলছে আহারের অনুসন্ধানে,আমজাদ সাহেব ফজরের নামাজ আদায় করে বাড়ির আঙ্গিনায় বসে প্রতিদিনের মতো চায়ের প্রতিক্ষা করছিলেন।আমজাদ সাহেব একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য,তার জীবন ছিল নিতান্তই ব্যক্তিগত,বর্তমান অত্যাধুনিক সভ্যতায় আচ্ছন্ন,ঠিক সেই ভাবেই তার পুরো পরিবারকে তিল তিল করে গড়ে তুলেছেন।ধর্মীয় অনুসরণ-অনুশাসন তার কাছে গ্রাম্য কালচার বা তুচ্ছ বস্তুর মতো মনে হতো,যা কখনো পালন করার উপযুক্ত মনে করতেন না।অবসরের পর হটাৎ তার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু অনেক কষ্টে তাবলীগ জামাতের সংস্পর্শে নিয়ে যান তাকে, তিনি একজন উচ্চ শিক্ষিত মানুষ ছিলেন তার সে জ্ঞান কে সামনে রেখে কোরআন কে বুঝতে চেষ্টা করলেন,এটাই তার জীবনের সবচেয়ে অসম প্রাপ্তি।বদলে গেল তাঁর জীবনের ধারা,ইসলামের প্রতিটি আদর্শ এখন তার জীবন চলার নিত্য সঙ্গী, তিনি সতত তাঁর অতীত জীবনের পাপের অনুশোচনায় কাঁদেন মহান আল্লাহর কাছে।এখন তিনি ধর্মীয় প্রতিটি আদর্শ অনুসরণ করেন।আলেম-উলামাদের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক গড়ে উঠেছে,কিন্তু তার দুঃখ একটাই তিনি তাঁর পুরো পরিবারকে এখনো ধর্মীয় অনুসরণের ছায়া তলে আনতে পারেন নাই।তাঁর দু মেয়ে এক ছেলে,শিফা তাঁর বড় মেয়ে।তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মেয়ে কে কোন ইসলামি আদর্শবান ছেলের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে তাঁর কৃতকর্মের প্রায়শ্চিত্ত করবেন।যেমন ভেবে ছিলেন ঠিক তেমনই হতে চলেছে তিনি আজ মহা খুশি।
*তিন*
শ্রান্ত দিবামণি অস্তাচলে হারিয়ে যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছে,সমস্ত নিখিল নীল কেবল ছোট ছোট মেঘের টুকরো গুলো ধীরে ধীরে ভেসে বেড়াচ্ছেন এদিক সেদিন,শুভ্র মেঘের টুকরো গুলো যেন একেকটা চাঁপা ঠোঁটের হাসির টুকরো।পাখিরা কিচির মিচির গুঞ্জনে স্রষ্টার গুণ-গান গাইছে বাঁশ বাগানে।এই শান্ত বিকেলে অশান্ত-উদ্বিগ্নতার স্রোতে ভেসে চলছে রহমান।বেদনার কৃষ্ণ যন্ত্রণা তাঁর কোমল হৃদয়টাকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে চলছে।সে কখনও ভাবে নাই তার এই সুন্দর পুষ্পের ন্যায় ফুটফুটে জীবনটা এক বিষাক্ত কালনাগীন এক ছোবলেই নিঃশেষ করে দেবে।তবুও সে প্রভূর কাছে অকৃতজ্ঞ হয়নি,বরঞ্চ আল্লাহর কাছে ক্ষমার প্রার্থনা করেন।রহমান মা-বাবার একমাত্র ছেলে,দাওরায়ে হাদিস (কামিল)পাস করে গ্রামের মাদ্রাসায় সদ্য চাকরি নিয়েছে।তার বাবা শহরে চাকরি করে,মা রহিমা খাতুন বাড়িতে একা,তাই রহিমা খাতুন অনেক বড় আশা করে আদরের ছেলের সূখের জন্য শিফা কে বউ করে ঘরে প্রদীপ জ্বালালেন।
কিন্তু কে জানতো এই প্রদীপ শিখা আলোর পরিবর্তে তার হৃদয়ের টুকরো আদরের দুলাল কে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে দগ্ধ করে দেবে।শিফার সাথে রহমানের বিয়ে হয়ে গেলো প্রায় দুই সপ্তাহ,বিয়ের দিন রাতেই শিফা এক কঠিন শর্ত দিয়ে বসে রহমানকে,শিফার বিনা অনুমতিতে যেন রহমান তাকে স্পর্শ না করে।আজ প্রায় দুই সপ্তাহ কেটে গেলো শিফার কোন পরিবর্তন নেই।বার বার ঝগড়াঝাঁটি করার উৎপেতে থাকে সে,
আত্ম সম্মান রক্ষার্থে সব নীরবে সয়ে যাচ্ছে রহমান।
হটাৎ হাতের স্পর্শে চমকে উঠে রহমান,ফিরে তাকায় মায়ের কোমল মতি নিষ্পাপ চাঁদ মুখখানা।পৃথিবীতে কেউ না বুঝলেও মায়ের চোখে সব স্পষ্ট,মায়ের চোখে বিন্দু বিন্দু অশ্রু দেখে মাকে জড়িয়ে ধরে রহমান,সান্ত্বনা দেয়,বিধাতা যেটা করে মানুষের মঙ্গলের জন্যই করেন।হতে পারে এটা আমার জীবনের একটা পরীক্ষা।
পর দিন সকাল হটাৎ রহমানের মা সিদ্ধান্ত নিলেন কিছু দিনের জন্য পিতৃালয়ে যাবেন,মায়ের এমন সিদ্ধান্তে রহমান আরও ভেঙ্গে পড়লেন।শত আকুতির পরও রহিমা খাতুন তার সিদ্ধান্তে অটল।
*চার*
নিশিগন্ধা আজ মলিন,চাঁদমণি উদিত হয়নি,তিমিরাচ্ছন্ন ধরণী,মানব সকল নিদ্রার প্রস্তুতি নিচ্ছে।শিফা শয্যায় শুয়ে আনন্দে আনন্দে গুন গুন করছে,আজ বাড়িতে একা নিশ্চয় রহমান তাঁর প্রাপ্ত অধিকার চাইতে আসবে,এই সযোগে শিফা এমন ঘটনা ঘটাবে যেন সে স্বানন্দে নিজ বাড়িতে প্রস্থান করতে পারে,আর এ বাড়িতে ফিরবে না,আজকেই তার শেষ সুযোগ।শয্যায় উৎপেতে আছে শিফা হটাৎ দরজায় করাঘাত করলো রহমান,সঙ্গে সঙ্গে দ্বার উন্মুক্ত হলো,চার চোখের মিলন ঘটলো,দুটি চোখ দুটি চোখের সম্পূর্ণভাবে বিপরীত,একজনের চোখে ভালোবাসার সিন্ধু অন্য চোখে ঘৃণার বিষ।চোখ ফিরিয়ে নিল রহমান,শান্ত আবেগী কন্ঠে বলল:শিফা আজ বাড়িতে মা নেই,মা আসা পর্যন্ত এই বাড়ির সব দায়িত্ব তোমার,শুয়ে পড়।হ্যাঁ কোন সমস্যা বা কিছুর প্রয়োজন হলে আমায় বলিও।সঙ্কোচ কর না,আমি পাশের কক্ষে আছি,শুভ রাত্রি।এ বলে রহমান চলে গেল পাশের কক্ষে।নির্বাক যেন এক পথরে তৈরি মূর্তি শিফা,এমন একজন সরল মানুষের সাথে নির্মম আচরণ ঠিক হয়নি তার।কঠিন হৃদয় খানা আবেগে আপুলত হয়ে গলে গলে যাচ্ছে শিফার।বিন্দু বিন্দু অশ্রু গড়িয়ে পড়ছিল আর গভীর ভাবনায় ডুবে যাচ্ছিল।সেতো শুনেছিল ধর্মীয় অনুসারী ব্যক্তিরা নিতান্তই কঠোর হই,ধর্মের অনুশাসনে নারীদের স্বাধীনতা হরণ করে,পরাধীনতার শিখল পরিয়ে দেয়।কিন্তু যা শুনেছে আজ তার কাছে স্পষ্ট সবে মিথ্যা আর গুজব।সে এই কই দিনের মধ্যে যা বুঝতে পেরেছে রহমানের মত আদর্শবান ব্যক্তিকে স্বামী হিসেবে পাওয়া তার পরম ভাগ্য।কিন্তু সে তার সাথে অমানবিক আচরণ করে যাচ্ছে,ভাবতে ভাবতে এক সময় ঘুম এসে যায় তার। রজনী শেষ প্রহর ক্ষীণ কান্নার শব্দে ঘুম ভেঙ্গে যায় শিফার,থর থর কাঁপছিল তার সারা শরীর,অন্ধকারে কেউ যেন তার গলা টিপে ধরেছে, ছটফট করছে বিছানায় সে,অনেক কষ্টে আলো জ্বালালো চারদিক তাকালো নাহ্ কেউতো নেই,ক্ষীণ কান্নার শব্দটা এখনো ভেসে আসছে,কোন বিপদ নইতো?
ধীরে ধীরে দ্বার খোলে বাহিরে আসল শিফা,বিস্ময়-বিস্ফারিত তাঁর দুই চোখ।তার জীবনে এই প্রথম দেখা কোন মানুষ এতো গভীর রাতে দুই হাত তোলে মহান স্রষ্টা আল্লাহর কাছে বুক ভাসা কান্না করছে,তাও শিফার হেদায়ত আর শান্তি কামনা করছে,এমন একজন ফেরেস্তার মতো মানুষের সাথে নির্মম আচরণ তার উচিত হয়নি,সে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারল না আবেগে অনুশোচনায় ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠল,দ্রুত ছুটে গিয়ে স্বামীর পায়ে পড়ল,ক্ষমা চাই কৃত কর্মের জন্য।রহমান তার মাথায় হাতের পরশ দিয়ে সান্ত্বন�� দেয়,শিফার আঁখিদয় হতে অঝোর ধারায় গড়িয়ে পড়তে লাগল অনুতপ্তর নিষ্পাপ অশ্রু।
নারীদের অধিকার বিষয়ে মানব ইতিহাসে সর্বপ্রথম সরব হয়েছে ইসলাম। ইসলাম মা হিসেবে, বোন হিসেবে, নিকটাত্মীয় হিসেবে এবং স্ত্রী হিসেবে দিয়েছে ভিন্ন ভিন্ন অধিকার। সেসব অধিকার সমাজে বাস্তবায়িত হলে পরিবার হয়ে উঠবে এক টুকরো জান্নাত।
1. স্ত্রীর অনুমতি ব্যতীত তার সম্পদ গ্রহণ করাকে নিষিদ্ধ করেছে। এ বিষয়ক দলিল হচ্ছে,: “তোমরা তাদের সাথে সদ্ভাবে জীবনযাপন কর” [সূরা নিসা, আয়াত: ১৯]
2. “আর নারীদের তেমনি ন্যায়সংগত অধিকার আছে যেমন আছে তাদের উপর পুরুষদের;[সূরা নিসা, আয়াত: ২২৮]
3. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি উত্তম যে তার স্ত্রীর কাছে উত্তম। আমি আমার স্ত্রীর কাছে উত্তম।”
4. স্ত্রীকে খুশি করার জন্য আইসক্রিম কিনে আনা মসজিদে টাকা দেওয়া চেয়ে উত্তম। (ড.আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীর)
5. সাফিয়্যা (রা.) ছিলেন, নবীজির অন্যতম স্ত্রী। তিনি কিছুটা খাটো ছিলেন, ফলে উটের পীঠে আরোহন করতে কষ্ট হতো। তাই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে সাহায্য করার জন্যে নিজের হাঁটু পেতে দিতেন। সাফিয়্যা (রা.) সেই হাঁটুতে পা রেখে উটের হাওদায় ওঠে বসতেন [সহিহ বুখারি: ৪২১১]
চিন্তা করেন পৃথিবীর সবচেয়ে দামী মানুষ হজরত মুহাম্ম�� সা: নিজের হাঁটু পেতে দিতেন স্ত্রীর পা রাখার জন্য। এখান থেকে আমরা বুঝতে পারি স্ত্রীর কতো সন্মান।
6. মহান আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘আর তোমরা তাদের সঙ্গে উত্তম আচরণ করো। আর যদি তাকে তোমার অপছন্দও হয়, তবু তুমি যা অপছন্দ করছ আল্লাহ তাতে সীমাহীন কল্যাণ দিয়ে দেবেন।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ১৯)
7. স্ত্রীর মন প্রফুল্ল রাখার চেষ্টা করা.
*বৈধতার সীমারেখায় স্ত্রীকে যথাসম্ভব আনন্দে ও প্রফুল্ল রাখা হলো স্বামীর প্রতি শরিয়তের নির্দেশ। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কর্মপদ্ধতি দ্বারাও তা প্রমাণিত। রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘মুসলমানের জন্য সব খেল-তামাশা নিষিদ্ধ, তবে তার ধনুক থেকে তীর চালনা, ঘোড়া চালনা, স্বামী-স্ত্রীর পরস্পরের রসিকতা, কেননা এগুলো ন্যায়সংগত।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ১৬৩৭)
*আয়েশা (রা.) সূত্রে এক সফরে (একটি জনমানবহীন নির্জন উপত্যকায়) নবী (সা.)-এর সঙ্গে ছিলেন। তিনি বলেন, আমি তাঁর সঙ্গে দৌড় প্রতিযোগিতা করে তাঁর আগে চলে গেলাম। পরবর্তী সময় আমি স্বাস্থ্যবান হয়ে যাওয়ার পর তাঁর সঙ্গে আবারও দৌড় প্রতিযোগিতা করলাম, এবার তিনি আমাকে পেছনে ফেলে দিয়ে বিজয়ী হলেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, এ বিজয় সেই বিজয়ের বদলা। (আবু দাউদ, হাদিস : ২৫৭৮)
*আয়েশা (রা.) বলেন, একদা মসজিদের কাছে হাবশি ছেলেরা যুদ্ধাস্ত্র নিয়ে খেলা করছিল। রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে আড়াল করে দাঁড়িয়ে ছিলেন, আর আমি হাবশিদের খেলা দেখছিলাম। যতক্ষণ না আমার খেলা দেখার শখ পূর্ণ হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) ততক্ষণ কষ্ট করে আমার জন্য পূর্ণ সময় দাঁড়িয়ে ছিলেন। তোমরা ভেবে দেখো! একজন অল্পবয়সী খেলাপাগল মেয়ে কতক্ষণে তার শখ পূরণ হবে? (বুখারি, হাদিস : ৫২৩৬)
8.স্বামী যদি বিহিত কারণ ছাড়া স্ত্রী-সন্তানের তথা সাংসারিক জরুরি খরচ না করে, তাহলে স্ত্রী স্বামীর অনুমতি ছাড়াও স্বামীর সম্পদ থেকে প্রয়োজনমতো অপচয় না করে খরচ করতে পারবে। হাদিস শরিফে এসেছে, সাহাবিয়া হিনদ বিনতে উতবা (রা.) রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে এসে বলেন, হে আল্লাহর রাসুল! (আমার স্বামী) আবু সুফিয়ান সংসারের খরচে সংকীর্ণতাকারী, সে আমার ও আমার সন্তানের প্রয়োজন পরিমাণ খরচ দেয় না, তাহলে আমি কি তার অগোচরে তার থেকে কিছু নিতে পারি। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, হ্যাঁ, তুমি তোমার ও তোমার সন্তানের প্রয়োজন পরিমাণ তার অগোচরে তার থেকে নিতে পারবে। (বুখারি : হাদিস : ৫২৬৪, বাদায়েউস সানায়ে : ২/২৭)
৯. স্ত্রীর প্রতি আকর্ষণ না থাকলে তাকে রেখো না। শুধু নির্যাতন ও বাড়াবাড়ি করার জন্য তাকে আটকে রাখা, এই রূপ আচরণ করতে কোরআন মাজিদে অন্তত কঠিন ভাষায় নিষেধ করা হয়েছে। "তাদেরকে কষ্ট দিয়ে সীমালঙ্ঘনের উদ্দেশ্যে তাদেরকে আটকে রেখো না। আর যে তা করবে সে তো নিজের প্রতি যুলম করবে। আর তোমরা আল্লাহর আয়াতসমূহকে উপহাসরূপে গ্রহণ করো না।"(সুরা বাকারা আয়াত 231)
১০.স্ত্রীর কাজে সহযোগিতা করা সুন্নত (সহীহ বুখারী ৬৭৬)
আসওয়াদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহাকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘরে তার স্ত্রীদের সাথে কী কী করতেন তা জিজ্ঞেস করা হলো। তিনি বললেন, “তিনি স্ত্রীদের কাজে সহযোগিতা করতেন, আর যখন নামাযের সময় হতো তখন তিনি নামাযে যেতেন”। [2]সুতরাং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতাপ দেখানোর মত লোক ছিলেন না। বরং নিজের কাজ নিজেই করতেন। এ হাদীস দ্বারা তিনি উম্মতকে এ শিক্ষা দিয়েছেন যে, স্ত্রীদের সাথে ভালো ব্যবহার করতে হবে, তাদের সাথে ঔদ্ধত্য আচরণ করা যাবে না।
১১. ‘‘ বান্দা যখন বিবাহ করে, তখন সে তার অর্ধেক ঈমান (দ্বীন) পূর্ণ করে। অতএব বাকী অর্ধেকাংশে সে যেন আল্লাহকে ভয় করে।’’[সহীহ আল-জামিউস সাগীর ওয়া যিয়াদাতুহ হা/ ৬১৪৮, সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, ইমাম আলবানী বলেন, হাদিসটি হাসান লিগাইরিহ]
১২.সা‘দ বিন আবী ওয়াকক্বাছ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, চারটি বস্ত্ত হ’ল সৌভাগ্যের নিদর্শন: পুণ্যবতী স্ত্রী, প্রশস্ত বাড়ী, স��� প্রতিবেশী ও আরামদায়ক বাহন। আর চারটি বস্ত্ত হ’ল দুর্ভাগ্যের নিদর্শন : মন্দ স্ত্রী, সংকীর্ণ বাড়ী, মন্দ প্রতিবেশী ও মন্দ বাহন।(আহমাদ হা/২৪৪৫; ছহীহ ইবনু হিববান হা/৪০৩২; ছহীহাহ হা/২৮২; ছহীহুল জামে‘ হা/৮৮৭।)
উক্ত হাদীছে একটি উত্তম পরিবারের জন্য আবশ্যিক বিষয়গুলি বিধৃত হয়েছে। যার মধ্যে ক্রমিকের হিসাবে পুণ্যবতী স্ত্রীকে প্রথমে আনা হয়েছে। এর দ্বারা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, সকল সম্পদের সেরা সম্পদ হ’ল পুণ্যবতী স্ত্রী।
১৩.রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, الدُّنْيَا مَتَاعٌ وَخَيْرُ مَتَاعِ الدُّنْيَا الْمَرْأَةُ الصَّالِحَةُ ‘দুনিয়াটাই সম্পদ। আর সেরা সম্পদ হ’ল পূণ্যশীলা স্ত্রী’।( মুসলিম হা/১৪৬৭, মিশকাত হা/৩০৮৩)
১৪.আনাস ইব্নু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তাঁর স্ত্রীদের কেউ কেউ একই পাত্রের পানি নিয়ে গোসল করতেন। মুসলিম (রহঃ) এবং ওয়াহ্ব ইব্নু জারীর (রহঃ) শু‘বাহ (রাঃ) হতে ‘তা ফরয গোসল ছিল বলে বর্ণনা করেছেন।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৫৭, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ২৬২)
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ২৬৪
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
১৫.একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার ঘরে অবস্থান করছিলেন, রাসূলের অপর স্ত্রী খানাসহ একটি পাত্র তার নিকট প্রেরণ করেন, আয়েশা রাদিআল্লাহু আনহা পাত্রটি হাতে নিয়ে ভেঙ্গে ফেলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খানা জমা করতে করতে বলতে ছিলেন: “তোমাদের মা ঈর্ষা ও আত্মসম্মানে এসে গেছে”। [বুখারি]
১৬.- আয়েশা! একটা দৃশ্য আমার মৃত্যুটা সহজ করে দিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের দাবিসমূহ: ১. এই ন্যাক্কারজনক হামলার উস্কানিদাতা, ইন্ধনদাতা ও হামলাকারীদের তদন্ত সাপেক্ষে চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। ২. আহত সকল শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার সকল দায়ভার নিউমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতি ও আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে নিতে হবে। ৩. হকারদের হামলায় নিহত পথচারী নাহিদের পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ৪. রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সের ওপর হামলাকারীদের ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। ৫. দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ডিসি, এডিসি ও নিউ মার্কেট থানার ওসিকে প্রত্যাহার করতে হবে। এবং পুলিশ প্রশাসনকে কলেজ প্রশাসনের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। ৬. প্রতিটি মার্কেট ও দোকানে সিসিটিভি স্থাপন করতে হবে। ৭. প্রতিটি মার্কেটে কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের জন্য আচরণ বিধি প্রণয়ন ও তার সুষ্ঠু বাস্তবায়ন করতে হবে। ৮. ফুটপাত দখলমুক্ত, অবৈধ কার পার্কিং উচ্ছেদ ও চাদাবাজি বন্ধ করতে হবে। ৯. ক্রেতা হয়রানি, নারীদের যৌন হয়রানি বন্ধে একটি বিশেষ মনিটরিং সেল গঠন করে ক্রেতাদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ১০. চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট ও নিউ সুপার মার্কেটে ঢাকা কলেজের সম্পদ লিজ বাতিল করে ফিরিয়ে দিতে হবে। এই দাবি অনতিবিলম্বে কার্যকর করা না হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। https://www.instagram.com/p/CcleqFehgf1/?igshid=NGJjMDIxMWI=
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের দাবিসমূহ: ১. এই ন্যাক্কারজনক হামলার উস্কানিদাতা, ইন্ধনদাতা ও হামলাকারীদের তদন্ত সাপেক্ষে চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। ২. আহত সকল শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার সকল দায়ভার নিউমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতি ও আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে নিতে হবে। ৩. হকারদের হামলায় নিহত পথচারী নাহিদের পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ৪. রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সের ওপর হামলাকারীদের ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। ৫. দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ডিসি, এডিসি ও নিউ মার্কেট থানার ওসিকে প্রত্যাহার করতে হবে। এবং পুলিশ প্রশাসনকে কলেজ প্রশাসনের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। ৬. প্রতিটি মার্কেট ও দোকানে সিসিটিভি স্থাপন করতে হবে। ৭. প্রতিটি মার্কেটে কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের জন্য আচরণ বিধি প্রণয়ন ও তার সুষ্ঠু বাস্তবায়ন করতে হবে। ৮. ফুটপাত দখলমুক্ত, অবৈধ কার পার্কিং উচ্ছেদ ও চাদাবাজি বন্ধ করতে হবে। ৯. ক্রেতা হয়রানি, নারীদের যৌন হয়রানি বন্ধে একটি বিশেষ মনিটরিং সেল গঠন করে ক্রেতাদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ১০. চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট ও নিউ সুপার মার্কেটে ঢাকা কলেজের সম্পদ লিজ বাতিল করে ফিরিয়ে দিতে হবে। এই দাবি অনতিবিলম্বে কার্যকর করা না হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। সংগৃহীত https://www.instagram.com/p/Cclb527hxq4/?igshid=NGJjMDIxMWI=
অশ্লীলতা, অনৈতিকতা ও অমার্জিত আচার-আচরণ থেকে বেঁচে থাকা। নারী চারিত্রিক পবিত্রতা রক্ষায় আল্লাহ তাদের সংযত চলাফেরা, দৃষ্টি অবনত রাখা ও লজ্জাস্থান হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। আল্লাহ বলেন, ‘মুমিন নারীকে বলুন, তারা যেন দৃষ্টি অবনত রাখে এবং লজ্জাস্থান হেফাজত করে
পবিত্র কোরআনের একাধিক জায়গায় নারীদের আলোচনা এসেছে। আল্লাহ নারীবাচক বিভিন্ন শব্দ ও গুণাবলির দ্বারা তাদের উল্লেখ করেছেন। যেমন—কন্যা, স্ত্রী, বোন, মা, নারী, যুবতি, মুমিনা, মুসলিমা ইত্যাদি। এতে যেমন নারীদের সামগ্রিক আলোচনা এসেছে, তেমনি কয়েকজন মহীয়সী নারীর প্রশংসামূলক বর্ণনাও এসেছে। এসেছে পাপী নারী ও তার পরিণতির কথাও। কোরআনে নারী আলোচনা যেভাবেই আসুক না কেন, তা অবশ্যই মানবজাতির জন্য শিক্ষণীয়। নিম্নে…
#Respect of #woman #Rights #Islam #Quran4 #AnNisa #SurahAnNisa সূরা আন নিসা (আরবি ভাষায়: سورة النساء, Sūratu an-Nisā, অর্থ “মহিলা”) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের চতুর্থ সূরা, এর আয়াত সংখ্যা ১৭৬টি এবং এর রূকুর সংখ্যা ২৪টি। আন নিসা সূরাটি মদিনায় অবতীর্ণ হয়েছে। এই সূরাতে মুসলিমদের জীবন পরিচালনা ও কিভাবে একতাবদ্ধ থাকতে হবে সে সম্পর্কে বলা আছে। সূরা আন নিসা পবিত্র কোরআনের চতুর্থ সূরা। এর মোট আয়াত সংখ্যা ১৭৬টি। এই সূরা মদীনায় নাজিল হওয়ায় এটি মাদিনী সূরা। এই সূরার অধিকাংশ আয়াতে পরিবারে নারীদের অধিকার এবং পারিবারিক বিষয়ে বক্তব্য থাকায় এর নাম হয়েছে সূরা নিসা। এই সূরার অধিকাংশ আয়াতে পরিবারে নারীদের অধিকার এবং পারিবারিক বিষয়ে বক্তব্য থাকায় এর নাম হয়েছে সূরা নিসা। ইসলাম নারীর ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করেছে। দিয়েছে নারীর জান-মালের নিরাপত্তা ও সর্বোচ্চ সম্মান। নারীদের তালিম তালবিয়ার ব্যাপারে পবিত্র কোরআনে আছে, ‘তোমরা তাদের (নারীদের) সঙ্গে উত্তম আচরণ করো ও উত্তম আচরণ করার শিক্ষা দাও। ’ (সূরা-৪ নিসা, আয়াত: ১৯)। (১) সূরা আন নিসার শুরুতে পারস্পরিক সম্পর্ক এবং অন্যের অধিকার সংক্রান্ত বিধান জারি করা হয়েছে। যেমন- অনাথ ইয়াতীমের অধিকার, আত্মীয়-স্বজনের অধিকার ও স্ত্রীদের অধিকারসহ নানা কথা বলা হয়েছে. উল্লেখ্য যে, হক্কুল-‘ইবাদ বা অন্যের অধিকারের সাথে সংশ্লিষ্ট এমন কতকগুলো অধিকার রয়েছে, যেগুলো সাধারণত: দেশের প্রচলিত আইনের আওতায় পড়ে এবং আইন প্রয়োগের মাধ্যমে তা কার্যকর করা যেতে পারে। সাধারণ ব্যবসা-বাণিজ্য, ক্রয়-বিক্রয়, ভাড়া ও শ্রমের মজুরী প্রভৃতি এ জাতীয় অধিকার যা মূলত: দ্বিপাক্ষিক চুক্তির ভিত্তিতে কার্যকর হয়ে থাকে। এসব অধিকার যদি কোন এক পক্ষ আদায় করতে ব্যর্থ হয় অথবা সেক্ষেত্রে কোন প্রকার ক্রটি-বিচ্যুতি হয়, তাহলে আইন প্রয়োগের মাধ্যমে তার সুরাহা করা যেতে পারে। কিন্তু সন্তান-সন্ততি, পিতা-মাতা, স্বামী-স্ত্রী, কারো নিজ বংশের ইয়াতীম ছেলে-মেয়ে এবং আত্মীয়-স্বজনের পারস্পারিক অধিকার আদায় হওয়া নির্ভর করে সহানুভূতি, সহমর্মিতা ও আন্তরিকতার উপর। এসব অধিকার তুলাদণ্ডে পরিমাপ করা যায় না। কোন চুক্তির মাধ্যমেও তা নির্ধারণ করা দুষ্কর। সুতরাং এসব অধিকার আদায়ের জন্য আল্লাহ-ভীতি এবং আখেরাতের ভয় ছাড়া দ্বিতীয় আর কোন উত্তম উপায় নেই। আর একেই বলা হয়েছে ‘তাকওয়া’। বস্তুত: এই তাকওয়া দেশের প্রচলিত আইন ও প্রশাসনিক শক্তির চেয়ে অনেক বড়। তাই আলোচ্য সূরাটিও তাকওয়ার বিধান দিয়ে শুরু হয়েছে। সম্ভবতঃ এ কারণেই রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিয়ের খোত্বায় এ আয়াতটি পাঠ করতেন। বিয়ের খোতবায় এ আয়াতটি পাঠ করা সুন্নাত। তাকওয়ার হুকুমের সাথে সাথ�� আল্লাহর অসংখ্য নামের মধ্যে এখানে ‘রব’ শব্দটি ব্যবহার করার মধ্যেও একটি বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। অর্থাৎ এমন এক সত্তার বিরুদ্ধাচারণ করা কি করে সম্ভব হতে পারে, যিনি সমগ্র সৃষ্টিলোকের লালন-পালনের যিম্মাদার এবং যাঁর রুবুবিয়্যাত বা পালন-নীতির দৃষ্টান্ত সৃষ্টির প্রতিটি স্তরে স্তরে সুস্পষ্টভাবে প্রকাশিত। ২) এখানে দু’টি মত রয়েছে, (এক) তার থেকে অর্থাৎ তারই সমপর্যায়ের করে তার স্ত্রীকে সৃষ্টি করেছেন। (দুই) তার শরীর থেকেই তার স্ত্রীকে সৃষ্টি করেছেন। এ মতের সপক্ষে হাদীসের কিছু উক্তি পাওয়া যায়, যাতে বুঝা যায় যে, মহিলাদেরকে বাকা হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। (দেখুন- বুখারীঃ ৩৩৩১, মুসলিমঃ ১৪৬৮)(৩) বলা হয়েছে যে, যাঁর নাম উচ্চারণ করে তোমরা অন্যের থেকে অধিকার দাবী কর এবং যাঁর নামে শপথ করে অন্যের কাছ থেকে নিজের উদ্দেশ্য হাসিল করে থাক সে মহান সত্ত্বার তাকওয়া অবলম্বন কর। আরও বলা হয়েছে যে, আত্মীয়তার সম্পর্কে -তা পিতার দিক থেকেই হোক, অথবা মায়ের দিক থেকেই হোক -তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন থাক এবং তা আদায়ের যথাযথ ব্যবস্থা অবলম্বন কর। (৪) আলোচ্য আয়াতের দু’টি অর্থ হতে পারে। একটি যা ওপরে উল্লেখ করা হয়েছে, অর্থাৎ তোমরা আত্মীয়তার সম্পর্কের ব্যাপারে আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর। সুতরাং তোমরা আত্মীয়তার সম্পর্ক ঠিক রাখ। এ অর্থটি ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিত আছে। (তাবারী) আয়াতের দ্বিতীয় অর্থ হচ্ছে, তোমরা যে আল্লাহ ও আত্মীয়তার সম্পর্কের খাতিরে পরস্পর কোন কিছু চেয়ে থাক। অর্থাৎ তোমরা সাধারণত বলে থাক যে, আমি আল্লাহর ওয়াস্তে এবং আত্মীয়তার সম্পর্কের খাতিরে কোন কিছু তোমার কাছে চাই। সুতরাং দু’ কারণেই তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর। এ অর্থটি মুজাহিদ থেকে বর্ণিত হয়েছে। [আত-তাফসীরুস সহীহ] পবিত্র কুরআনের আত্মীয়তার সম্পর্ক বুঝানোর জন্য ‘আরহাম’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে, যা মূলতঃ একটি বহুবচনবোধক শব্দ। এর একবচন হচ্ছে ‘রাহেম’। যার অর্থ জরায়ু বা গর্ভাশয়। অর্থাৎ জন্মের প্রাক্কালে মায়ের উদরে যে স্থানে সন্তান অবস্থান করে। জন্মসূত্রেই মূলতঃ মানুষ পারস্পরিক সম্পর্কের বন্ধনে আবদ্ধ হয়। আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কের বুনিয়াদকে ইসলামী পরিভাষায় ‘সেলায়ে-রাহ্মী’ বলা হয়। আর এতে কোন রকম বিচ্ছিন্নতা সৃষ্টি হলে তাকে বলা হয় ‘কেত্বয়ে-রাহ্মী’। হাদীসে আত্মীয়তার সম্পর্কের উপর বিশেষ জোর দেয়া হয়েছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি তার রিযিকের প্রাচুর্য এবং দীর্ঘ জীবনের প্রত্যাশা করে, তার উচিত আত্মীয়-স্বজনের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা। [বুখারীঃ ২০৬৭; মুসলিমঃ ২৫৫৭] অন্য হাদীসে আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেনঃ ‘রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের আগমনের প্রায় সাথে সাথেই আমিও তাঁর দরবারে গিয়ে হাজির হলাম। সর্বপ্রথম আমার কানে তার যে কথাটি প্রবেশ করল, তা হল এইঃ হে লোক সকল! তোমরা পরস্পর পরস্পরকে বেশী বেশী সালাম দাও। আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য মানুষকে খাদ্য দান কর। আত্মীয়-স্বজনের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোল এবং রাতের বেলায় সালাতে মনোনিবেশ কর, যখন সাধারণ লোকেরা নিদ্রামগ্ন থাকে। স্মরণ রেখো, এ কথাগুলো পালন করলে তোমরা পরম সুখ ও শান্তিতে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে’। (মুসনাদে আহমাদ: ৫৪৫১; ইবন মাজা
মালয়েশিয়া প্রবাসী স্বামীকে বশে আনতে বৈদ্যের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক গৃহবধূ। কিন্তু নেশা জাতীয় পানি পড়া খাইয়ে অজ্ঞান করে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করেছে ভণ্ড বৈদ্য কথিত কবিরাজ মোহাম্মদ আলী (৬২)। জেলার হাটহাজারীর থানাধীন বাথুয়া গ্রামে।
গৃহবধূর এমন অভিযোগের পর র্যাব-৭ এর একটি টিম হাটহাজারীতে অভিযান চালিয়ে ভন্ড কবিরাজ মো. আলীকে গ্রেফতার করেছে।
প্রবাসী স্বামীর সঙ্গে তিন মাস যোগাযোগ ছিল না এক সন্তানের জননী ওই গৃহবধূর। অনেক চেষ্টা করেও স্বামীর সাথে যোগাযোগে ব্যর্থ হয়ে একপর্যায়ে প্রতিবেশীর পরামর্শে স্বামীর খোঁজ মেলাতে দ্বারস্থ হন মো আলী নামে ওই বৈদ্যের কাছে।
ভন্ড কবিরাজ মো. আলী
স্বামীর সন্ধান দিতে গৃহবধূকে প্রথমে তিন দফা পানি পড়া খাওয়ান বৈদ্য। বিনিময়ে প্রতিবার গুণতে হয় ৫ হাজার টাকা। কিন্তু পানি পড়ায় কাজ হয়নি, মিলেনি স্বামীর খোঁজ। আবারও বৈদ্যের কাছে যান তিনি।
এবার বৈদ্য বলে তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করলেই কেবল নিখোঁজ স্বামীর খোঁজ পাওয়া যাবে। কিন্তু এতে রাজি না হলে বৈদ্য কৌশলে উক্ত নারীকে নেশা জাতীয় পানি খাইয়ে অজ্ঞান করে সর্বস্ত্র লুটে নেয়।
র্যাব জানায়, ইসলামি শরীয়া মোতাবেক বিবাহ করে ১৮ বছর সংসার জ��বন অতিবাহিত করে আসছিল এক দম্পত্তি। তাদের সংসারে একটি মেয়েও আছে। কিন্তু স্বামী গত ৬ বছর ধরে মালেশিয়াতে থাকে। সন্তানের লেখাপড়া করানোর জন্য চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও একটি বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতো মা ও মেয়ে। বাসা ভাড়া নেওয়ার ৩ মাস পরে ওই স্বামী তার স্ত্রীর (ভিকটিম) সঙ্গে কোনো প্রকার যোগাযোগ করেনি। এছাড়া মেয়ের পড়াশুনা ও সংসারের কোনো খরচ দেয়নি। স্বামী কেন তার সঙ্গে এমন আচরণ করছে তাতে স্ত্রী অনেক চিন্তিত হয়ে পড়ে। সে তার প্রতিবেশীদের সহিত বিষয়টি আলোচনা করলে তার প্রতিবেশী বৈদ্য, কবিরাজের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেয়।
পরে তারা কবিরাজের সঙ্গে তিন দফায় দেখা করে পানিপড়া ও তাবিজ নেয়। তখন কবিরাজকে ১৫ হাজার টাকা পরিশোধ করে ভিকটিম। কিন্তু কবিরাজের পানিপড়া ও তাবিজে কোনো কাজ না হয়ার কারণে কবিরাজের বাসায় যায় স্ত্রী। এসময় কবিরাজ ভিকটিমের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করলে ওই নারীর সকল সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলে। নারী কুপ্রস্তাবে রাজি না হয়ায় কবিরাজ তার বাসার অন্য রুম থেকে একটি কাচের গ্লাসে করে পানি পড়া দেয় এবং তা খেলে তার সকল সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে বলে জানায়। সেই পানি খেয়ে অজ্ঞান হয়ে গেলে কবিরাজ ওই গৃহবধূকে (ভিকটিম) ধর্ষণ করে। একদিন পরে তার জ্ঞান ফিরলে সে কবিরাজের খাটে শুয়ে আছে এবং তার শরীরের কাপড় এলোমেলো দেখে অবাক হয়ে যায়। পরে ডাক্তারের কাছে গিয়ে চিকিৎসা শেষে সে জানতে পারে তাকে (ভিকটিম) ওই কবিরাজ ধর্ষণ করেছে। পরে এ বিষয়ে র্যাবের কাছে অভিযোগ জানালে অভিযুক্ত ওই কবিরাজকে আটক করা হয়।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার বলেন, গত ২২ জানুয়ারি শেষবারের মত পানি পড়া খেতে এবার নিজের আখড়া হাটহাজারীতে যেতে বলেন পানি বাবা মোহাম্মদ আলী। সেখানে কৌশলে রুপাকে পানির ভেতর ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খেতে দেয় বৈদ্য মোহাম্মদ আলী। সেই পানি পড়া খেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে ওই নারী। পরবর্তীতে জ্ঞান ফিরে এলে একটি খাটের উপর নিজেকে অর্ধউলঙ্গ অবস্থায় দেখতে পান তিনি। বুঝতে পারেন তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে।
এ ঘটনার দুই দিন পর সোমবার (২৪ জানুয়ারি) র্যাবের কাছে অভিযোগ দেয় ধর্ষিতা নারী। র্যাব অভিযান চালিয়ে এই বৈদ্যকে আটক করে।
র্যাবের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, আটক মোহাম্মদ আলী প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে সে একজন ভুয়া কবিরাজ। প্রতারণার মাধ্যমে মানুষকে বিভিন্নভাবে তাবিজ, পানি পড়া দেয় সে। এরপর বিভিন্ন কৌশলের অসহায় নারীদের নিয়ে এসে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে শারীরিক সম্পর্ক করে। তাদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়।
আটক আলীর বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নিতে তাকে হাটহাজারী থানায় হস্তান্তর করা হয় বলেও জানায় র্যাব।
প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণে নারী নেতৃত্ব গড়ে উঠছে: পরিকল্পনামন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীর প্রতি যত্নশীল। শেখ হাসিনার কল্যাণে শত শত নারী নেতৃত্ব গড়ে উঠছে বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
তিনি বলেন, তবে সততার সঙ্গে বলতে চাই। তথাকথিত উন্নত দেশেও নারীদের প্রতি বঞ্চনা আছে। ওইসব দেশে নারীর প্রতি মধ্যযুগীয় আচরণ করা হয়।
শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকশিত নারী কংগ্রেসের সপ্তম জাতীয় সম্মেলনে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এম এ মান্নান বলেন,…