#ডেংগু রোগ #চিন্তার বিষয়। (শেষ)
#ডেঙ্গু রোগে রক্তের #প্লাটিলেট এর সংখ্যা কমে যাওয়ার দরুন রক্ত জমাট বাধার প্রক্রিয়াটি বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে। এক্ষেত্রে ভিটামিন-কে বেশি আছে এমন খাবার, যেমন- পালং শাক, ব্রোকলি, মাংস বিশেষ করে কবুতরের বাচ্চার মাংস, কলিজা, মটরশুঁটি, পনির ইত্যাদি খেলে বেশ তাড়াতাড়ি সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
#ডেঙ্গু রোগে রোগীর মুখের খাবারের রুচি বেশ কমে যায়। তাই রোগী যাতে সহজেই খাবার খেতে পারে এবং হজমের সুবিধার জন্য বিভিন্ন ধরনের স্যুপ, পাতলা খিচুড়ি, নরম খাবার ইত্যাদি দিয়ে শুরু করতে পারেন। বেশি তেল, মসলাযুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে যাতে পেটে গ্যাস বা বদহজম না হয়।
#ডায়াবেটিক ও #কিডনি রোগে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে অবশ্যই বাড়তি সতর্কতা মেনে চলতে হবে। রোগ ভেদে রোগীর খাদ্য তালিকা অবশ্যই ভিন্ন ভিন্ন প্রকারের হবে। রোগীদের প্রতিদিনের রক্ত পরীক্ষার ফল, শারীরিক অবস্থা, পছন্দ অপছন্দের ওপর নির্ভর করে খাবার তৈরি করতে হবে যাতে রোগী তার রুচি অনুযায়ী খেতে পারে ও তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠতে পারে।
সমাপ্ত।
(লক্ষ্য করুনঃ এটি কেবলমাত্র একটি স্বাস্থ্য সচেতনতা মূলক লেখা। আপনার যে কোন শারীরিক সমস্যার জন্য, দয়া করে, একজন রেজিষ্টার্ড বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।)
(বি.দ্র. এই প্রবন্ধটি লিখতে দেশী-বিদেশী অনেক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞ বিশেষজ্ঞদের লেখা থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। ঐ সব বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন লেখকদের সবার নিকট আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। যদি অনিচ্ছা বশত কোন তথ্য ভুল বা বিকৃতভাবে উল্লেখ করে থাকি, তার জন্য পাঠকসহ সকলের কাছে বিনীত ক্ষমা প্রার্থনা করছি।)
0 notes
কিডনি কিভাবে পরিষ্কার করলে সারাজীবন সুস্থ্য থাকবে, পাথর হবে না?
আপনার কিডনি কি সুস্থ্য আছে? আপনি নিজেই কিভাবে আপনার কিডনি রোগ শনাক্ত করবেন? এবং কিডনি কিভাবে পরিষ্কার করলে সারাজীবন আপনার কিডনি সুস্থ্য থাকবে? কিভাবে কিডনি পরিষ্কার করলে কিডনিতে কোন ধরনের রোগ বা পাথর হবে না?
এই বিষয় নিয়ে আজকের এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।
প্রিয় পাথক শুরুতেই আমি ছটফট ১৩টি লক্ষণের কথা বলব যেগুলো উপসর্গ প্রকাশ পেলেই বুঝবেন কিডনিতে সমস্যা আছে।
এক নম্বরঃ প্রস্রাবের সময় ব্যথা।
দুই নম্বরঃ প্রস্তাবের রঙের পরিবর্তন হয়ে যাওয়া অর্থাৎ প্রস্রাব ঘন হয়ে যাওয়া।
তিন নম্বরঃ প্রস্রাবের সাথে রক্ত যাওয়া।
চার নম্বরঃ দেহে ফোলা ভাব।
পাঁচ নম্বরঃ সবসময় শীত অনুভব হওয়া, এমনকি প্রচণ্ড গরমের সময় যদি আপনার শীত শীত লাগে বুঝবেন কিডনিতে সমস্যা আছে।
ছয় নম্বরঃ মনোযোগ দিতে অসুবিধা হওয়া।
সাত নম্বরঃ বমি বমি ভাব।
আট নম্বরঃ ত্বকের মধ্যে. ফুসকুড়ি এলার্জি দাদ হওয়া।
নয় নম্বরঃ পিঠ এবং কোমরে প্রচন্ড ব্যথা বেড়ে যাওয়া।
দশ নম্বরঃ ছোট ছোট শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া।
প্রিয় পাথক এগুলো দেখলেই দ্রুত সিরাম ক্রিয়েটিনিন পরীক্ষা করি আপনার কিডনির কন্ডিশনটা জেনে নিন। আরও তিনটি লক্ষণ আছে তাহলে যদি কিডনিতে পাথর হয় তাহলে।
এগার নম্বরঃ অনেক সময়ই খুব ছোট ছোট পাথর প্রস্রাবের সঙ্গে যেতে পারে।
বার নম্বরঃ এছাড়া প্রস্রাবে অত্যাধিক ফেনা হওয়া এবং
তের নম্বরঃ প্রস্রাবের সঙ্গে প্রোটিন যাওয়া বা চোখের চারপাশ ফুলে যাওয়া চোখের চারপাশে পানি জমে যাওয়া এগুলো কিন্তু কিডনি রোগের লক্ষণ।
এরকম কোন লক্ষণ আপনার দেহের থাক বা না থাক আপনি আপনার কিডনিকে প্রতি মাসে ২ বার করে পরিষ্কার করুন এটি করার জন্য সবচেয়ে সহজ এবং সবচেয়ে কম সময় যে রেমেডি আপনি প্রস্তুত করবেন তার জন্য মাত্র চারটি উপাদানের প্রয়োজন।
১০০গ্রাম ধনেপাতা
পরিমানমত লবণ
একটি সম্পূর্ণ লেবুর
এক চামচ গোটা জিরা…………….
বাকি অংশঃ https://www.tinybaskett.com/2022/04/kidney-detoxify-remedy.html
0 notes
রোজায় কি খাবেন আর কি খাবেন না ? গ্যাস্ট্রিক,ডায়বেটিসে,আই বি এস থাকলে রোজায় করণীয় কি ?
কেমন হবে রমজান মাসের খাওয়াদাওয়া
সবাইকে পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা। দরজায় কড়া নাড়ছে মাহে রমজান। মুসলিম জাহানের সবচেয়ে পবিত্র মাস এই মাহে রমজান। সংযমের মাস রমজান। মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য অনেক সাধনার একটি মাস হলো এটি। ভোরের সাহ্রিতে রোজা শুরু আর সন্ধ্যার ইফতারিতে শেষ। রোজাদারের আনন্দ ইফতারিতে, যদিও রোজাদারের জন্য আরও অনেক উপহার আছে। এই কাঠফাটা গরমে প্রায় ১৫ ঘণ্টা রোজা রেখে শরীরকে সতেজ রাখাটা কিন্তু বেশ চ্যালেঞ্জিং। আসুন, জেনে নিই কিছু টিপস, যেগুলো আপনাকে লম্বা সময় রোজা রাখতে কিছুটা হলেও সাহায্য করবে
সাহ্রি
কোনো কিছুই অতিরিক্ত খাবেন না। মনে রাখবেন, খাদ্য হচ্ছে মানবদেহের জ্বালানি, শরীরে সব ধরনের খাবারের একটা নির্দিষ্ট পরিমাণে চাহিদা থাকে, চাহিদার অতিরিক্ত খেলেই বিপত্তি ঘটবে।
সাহ্রি দিয়ে একজন রোজাদারের দিন শুরু হয়। অনেকে মনে করেন যে সারিতে পেটপুরে খেলে মনে হয় সারা দিনে আর ক্ষুধা লাগে না। তাই অনেককে সারিতে প্রচুর পরিমাণে খেতে দেখা যায়। এরপর পানির জাগ অথবা বোতল হাতে করে বসে থাকেন। শেষ সময়ের সাইরেন বাজার আগপর্যন্ত পানি খেতেই থাকেন। এগুলো কখনোই করবেন না। কারণ, এতে আপনার শরীরে একধরনের অস্বস্তি হবে, যা আপনাকে সারা দিন কষ্ট দেবে। সাহ্রির শেষ সময়ের কমপক্ষে ১৫-২০ মিনিট আগে সাহ্রি খাওয়া শেষ করতে হবে।
সাহ্রিতে আপনি আপনার স্বাভাবিক খাবারটাই খাবেন। পরিমিত পরিমাণে ভাত নেবেন সঙ্গে মাছ বা মাংস, ডাল, সবজি, সালাদ। শেষে এক কা�� দুধ বা দই আর একটু মিষ্টি ফল। সাহ্রিতে একটু দুধ বা দই খেলে এখান থেকে আপনি ধীরে ধীরে শক্তি পাবেন, যা আপনাকে সারা দিন বেশ সতেজ রাখবে। আতপ চালের ভাত না খেয়ে আপনি সেদ্ধ মোটা চালের ভাত খেতে পারেন। লাল চাল হলে সেটা সবচেয়ে বেশি ভালো হয়, এগুলো আপনার সারা দিনের না খেয়ে থাকার পক্ষে বেশ সহায়ক হবে। তার মানে কিন্তু আমি বলছি না যে আতপ চাল খাওয়া যাবে না, অবশ্যই খাওয়া যাবে।
আবারও বলছি, কোনো কিছুই অতিরিক্ত খাবেন না। মনে রাখবেন, খাদ্য হচ্ছে মানবদেহের জ্বালানি, শরীরে সব ধরনের খাবারের একটা নির্দিষ্ট পরিমাণে চাহিদা থাকে, চাহিদার অতিরিক্ত খেলেই বিপত্তি ঘটবে। শরীর প্রয়োজনীয় খাবার নিয়ে বাকিটা চর্বি হিসেবে জমা করে রাখবে। ফলাফল, আপনার ওজন বেড়ে যাবে এবং কিছু শারীরিক ঝুঁকিও বৃদ্ধি পাবে।
রমজানে রোজাদারের জন্য খুব আনন্দের সময় হচ্ছে ইফতারের সময়। ইফতারের ১ ঘণ্টা আগে থেকেই চলতে থাকে আমাদের ইফতারের প্রস্তুতি, তাই সারা দিনের সব ক্লান্তি যেন ইফতারের ১ ঘণ্টা আগেই উড়ে যায়। ইফতারিতে সবাই তাঁদের সাধ্যমতো আয়োজন করে থাকেন। তবে সারা দিন যেহেতু না খেয়ে থাকতে হয়, তাই ইফতারিটা অবশ্যই স্বাস্থ্যসম্মত হতে হবে। সারা দিন রোজা রেখে অস্বাস্থ্যকর খাবার খেলে অ্যাসিডিটিসহ অন্যান্য সমস্যা তৈরি হতে পারে।
তবে ইফতারের আয়োজনে বাড়ির সব সদস্যের কথা মাথায় রেখে ইফতারের আয়োজন করতে হবে। ছোটদের জন্য একটু প্রোটিন জাতীয় খাবার বেশি রাখার চেষ্টা করবেন। বয়স্ক সদস্যদের শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে তাঁদের জন্য প্রযোজ্য খাবার রাখার চেষ্টা করবেন। যেমন বাড়িতে হয়তো কারও কিডনির সমস্যা আছে, তাহলে তাঁর জন্য ডাল বা ডাল দিয়ে তৈরি কোনো ইফতারি রাখবেন না। প্রোটিন জাতীয় খাবার কম রাখবেন। অথবা কারও হয়তো হৃদ্রোগ আছে, তাহলে তাঁর জন্য তেল বা চর্বিযুক্ত খাবার রাখবেন না। বাসায় কোনো ডায়াবেটি���ের রোগী থাকতে পারেন, তাহলে তাঁর জন্যও কিন্তু আয়োজনটা ভিন্ন হবে। এভাবে বুঝেশুনে সবার জন্য স্বাস্থ্যকর খাবারের আয়োজন করতে হবে।
ইফতারিতে পানির চাহিদা বেশি থাকবে, তাই এ সময় এমন কিছু পানীয় রাখবেন যেগুলো আপনার পিপাসা মেটানোর পাশাপাশি শরীরে শক্তি জোগাবে। এ জন্য শরবত হিসেবে অল্প চিনিযুক্ত লেবুপানি, মিষ্টি ফলের রস, ডাবের পানি, মিল্কসেক, লাচ্চি এগুলো রাখতে পারেন আপনার ইফতারির তালিকায়।
খেজুর ছাড়া ইফতারি যেন অসম্পূর্ণ। তবে মনে রাখতে হবে, খেজুর একটি উচ্চ ক্যালরিসম্পন্ন ফল। ইফতারিতে খেজুরসহ বেশি বেশি অন্যান্য ফল রাখুন। বাজারে এখন অনেক রকমের ফল পাওয়া যাচ্ছে, দামও মোটামুটি সহনীয় পর্যায়ে, তাই ইফতারিতে বেশি করে ফল রাখুন। পেয়ারা, আপেল, নাশপাতি, তরমুজ এগুলো বেশি রাখুন ইফতারির মেনুতে।
ইফতারির আর একটা অপরিহার্য উপাদান হচ্ছে হালিম, ইফতারিতে একটু হালিম খেলে সারা দিনের ক্লান্ত পেশিগুলো আবার সতেজ হয়ে উঠবে। হালিমের পরিবর্তে আপনি একটু স্যুপ খেতে পারেন।
এখানে রোজার মাসের জন্য একটা নমুনা তালিকা দেওয়া হলো। সবার ক্ষেত্রে হয়তো এমনটা না-ও হতে পারে। তবে এটা বেশির ভাগ মানুষের জন্যই উপযোগী হবে।
ইফতার
পানীয়
চিনি ছাড়া লেবু পানির শরবত।
ডাবের পানি।
একটা মাল্টা/একটা কমলার রস।
চিনি ছাড়া এক গ্লাস তরমুজের জুস।
এক কাপ টকদই, এক কাপ পানি, একটা ছোট কলা বা ছোট দুই স্লাইস আম একসঙ্গে ব্লেন্ড করে বানানো লাচ্ছি।
চিনি ছাড়া বেলের শরবত।
বিশেষ খাবার
১৫-২০টা ভেজানো ছোলা, সেদ্ধ করা নয়। সাহ্রির সময়ে ১৫-২০টা ছোলা (একজনের জন্য) পানিতে ভিজিয়ে দেবেন। সারা দিন ভিজবে। ইফতারের আগে ওই ভেজানো খোসাসহ ছোলার সঙ্গে খুবই কুচি কুচি করে কাটা আদা এবং পরিমাণমতো লবণ দিয়ে ভালো করে চটকে মেখে খেয়ে নেবেন।
ফল
খেজুর ২-৩টা সঙ্গে ১টা আপেল বা কলা নেবেন। অন্যান্য ফল যদি থাকে তাহলে সবগুলো এক টুকরা করে নেবেন। যেমন এক টুকরা তরমুজ, আনারস, কমলা, আঙুর, আম, কাঁঠাল ইত্যাদি। শসা, ক্ষীরা, পেয়ারা এগুলো বেশি খেতে পারবেন।
অন্যান্য খাবার
বুট ভুনা ১ কাপ সঙ্গে ১-২ কাপ মুড়ি নেবেন। হালিম যদি থাকে তাহলে ১-২ কাপ। কোনো তেলে ভাজা ইফতারে না খাওয়াই ভালো। কারণ, সারা দিন রোজা রেখে ডুবো তেলে ভাজা খাবার খেলে শরীর খারাপ হতে পারে। ওজন বেড়ে যেতে পারে, রক্তচাপ বাড়তে পারে। চনাবুট, হালিম ও ডালের তৈরি আইটেমগুলো কিডনি রোগীদের জটিলতা বাড়িয়ে দিতে পারে।
অথবা
২ কাপ ভেজানো চিড়া, এক কাপ দুধ/টক দই, ১টা কলা।
অথবা
২-৩ কাপ ভাত/২-৩টি রুটি সঙ্গে মাছ/মাংস ১ পিস, সবজি, সালাদ।
রাতের খাবার
তারাবির পরে খাবেন,
রুটি/ভাত, মাছ বা মাংস (ঝোল কম), শাকসবজি, সালাদ। এ খাবার হবে অন্যান্য সময়ের সকালের নাশতার মতো পরিমাণে কম।
সাহ্রি
ভাত, মাছ বা মাংস (ঝোল কম), শাকসবজি, ডাল, সালাদ। এ খাবার হবে অন্যান্য সময়ের দুপুরের খাবারের মতো। সঙ্গে এক কাপ টক দই এবং দুইটা খেজুর।
ঘুমানোর আগে এক কাপ দুধ/টক দই অথবা ১০টা কাজুবাদাম খাবেন।
ব্যায়াম
রমজান মাসে ব্যায়ামের দরকার নেই। তবে যদি সম্ভব হয় তাহলে ইফতারের পর একটু হাঁটবেন অথবা ঘরে বসে কিছু ব্যায়াম করে নেবেন। অবশ্যই তারাবির নামাজ পড়বেন, এতে ইবাদতের পাশাপাশি ব্যায়ামের কাজও হয়ে যাবে।
বুঝেশুনে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খান, সুস্থ থাকুন।
লেখক: পুষ্টিবিদ, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল, চট্টগ্রাম।
0 notes
New Post has been published on https://www.paathok.news/110457
করোনায় ডায়াবেটিস রোগী যেভাবে সতর্ক থাকবেন
বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। আমাদের দেশে প্রাণঘাতী করোনায় প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছেই। যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের বেলায় কোভিড-১৯-এর ছোবল অন্যদের তুলনায় বেশি মারাত্মক বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। তাই বাঁচার উপায় বলতে রোগটাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করা উচিত। সাধারণত এ রোগের লক্ষণ জ্বর, শুকনো কাশি, গায়ে ব্যথা। তবে খুব কম ক্ষেত্রেই এই রোগ মারাত্মক হয়। কিন্তু কিছু সংখ্যক লোকের ক্ষেত্রে এই ভাইরাসের সংক্রমণ মারাত্মক হতে পারে। যারা দীর্ঘমেয়াদী রোগ ডায়াবেটিস, কিডনি জটিলতা, হৃদরোগ, হাঁপানি বা ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিস রোগে ভুগছেন তাদের সংক্রমণের ঝুঁকির মাত্রা সবচেয়ে বেশি।
সাধারণত বেশিরভাগ ডায়াবেটিস আক্রান্তের মধ্যেই বিশেষ করে যাদের অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, তাদের উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি জটিলতা, হৃদরোগ প্রভৃতি রোগের জটিলত��� বেশি। তাছাড়া ডায়াবেটিস রোগীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটাই কম। আবার অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস থাকলে যে কোনো সংক্রমণ ও জটিলতার ঝুঁকি বহুগুণ বেড়ে যায়।
তাই করোনা সংক্রমণের এই সময় ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের অধিক সতর্কতা জরুরি। কী ভাবে নিবেন এই সতর্কতা, তা এবার জেনে নিন…
* অবশ্যই রক্তের শর্করার মাত্রা পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন। কখনই ওষুধ বাদ দেওয়া যাবে না। এর সঙ্গে নির্দেশিত খাদ্য তালিকা অনুসরণ করতে হবে। সুষম ও পুষ্টিকর খাবার খাবেন। এই তালিকায় রাখুন প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি ও ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ ফল। কোনো অবস্থাতেই মিষ্টি জাতীয় খাবার গ্রহণ করা যাবে না।
* ডায়াবেটিস রোগীর বাইরে বের না হওয়াই ভাল। হাঁটা বা ব্যায়ামের জন্য রাস্তা বা পার্কে না গিয়ে বাড়ির আঙিনা বা ছাদে হাঁটুন। বাসায় ফ্রিহ্যান্ড এক্সারসাইজ করতে পারেন।
* অবশ্যই বাসায় সপ্তাহে দু-তিনবার রক্তের শর্করার মাত্রা চেক করুন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের সঙ্গে টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে পরামর্শ নিন।
* পারিবারিক কোন অনুষ্ঠান, বাজার, শপিংমল, জনবহুল স্থান যথাসম্ভব এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।
* একান্ত প্রয়োজনে বাইরে বের হলে অবশ্যই মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস পরিধান করুন। বাইরে থেকে ফিরে যে কোনো বস্তু স্পর্শ করার আগে ভালো করে হাত সাবান-পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। বাইরে পরে যাওয়া জামা-কাপড় দ্রুত বদলে সেগুলো যথাসম্ভব তাৎক্ষণিক সাবান দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।
* হাত মেলানো, কোলাকুলি, বাচ্চাদের চুমু দিয়ে আদর করা থেকে বিরত থাকুন।
* ঘরে অবস্থানকালে অযথা নাকে-মুখে ও চোখে হাত দেবেন না। হাঁচি-কাশি দেওয়ার সময় হাতের কনুইয়ের ভাঁজে বা টিস্যু দিয়ে নাক-মুখ ঢাকুন। ব্যবহৃত টিস্যু যেখানে সেখানে না ফেলে বদ্ধ ডাস্টবিনে ফেলুন।
* টয়লেট ব্যবহারের পর, হাঁচি-কাশির পর, খাবার তৈরি ও পরিবেশনের আগে, খাওয়ার আগে অবশ্যই সাবান ও পরিস্কার পানি দিয়ে ভালো করে হাত ধুয়ে নিতে হবে।
* ধূমপান ত্যাগ করুন, আর দুশ্চিন্তামুক্ত থাকুন।
* প্রয়োজনীয় ওষুধ বা ইনসুলিন যথাযথভাবে মজুদ রাখুন। তবে অতিরিক্ত ওষুধ বা ইনসুলিন কিনে ফেলার দরকার নেই। বাজারে এগুলোর কোনো ঘাটতি নেই।
* সতর্কতার পরেও যদি করোনা সংক্রমণের লক্ষণ যেমন- সর্দি, জ্বর, কাশি, গলাব্যথা বা শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে সরকার নির্দেশিত করোনা স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা হাসপাতালে দ্রুত যোগাযোগ করুন। প্রয়োজনে টেলিমেডিসিন সেবা নিতে পারেন।
* নিজের বা পরিবারের অন্য কারও করোনা সংক্রমণের লক্ষণ প্রকাশ পেলে এক্ষেত্রে ডায়াবেটিস রোগী আলাদা থাকার ব্যবস্থা নিন।
0 notes
কিডনিতে পাথর হওয়া প্রতিরোধ করতে এই ১০টি খাবার খান। এটিই কিডনি ভালো রাখার সহজ উপায়।
আমাদের প্রায় সকলেই ইউরিক এসিডের কথা শুনেছি কিন্তু আমাদের খুব কম সংখ্যক মানুষই এর প্রকৃত অর্থ কী তা জানি। আপনার দেহের কোষগুলো প্রাকৃতিকভাবে ভেঙ্গে এবং আপনি যা খানে সে খাবার থেকেই উৎপাদিত হয় ইউরিক এসিড।
বেশিরভাগ ইউরিক এসিড কিডনির মাধ্যমে ফিল্টার হয়ে এবং পেশাবের সঙ্গে আমাদের দেহ থেকে বের হয়ে যায়। পায়খানার সঙ্গেও সামান্য পরিমাণে ইউরিক এসিড আমাদের দেহ থেকে বের হয়ে যায়।
তবে, দেহে যদি অতিরিক্ত ইউরিক এসিড উৎপাদিত হয় এবং কিডনি যদি সেই অতিরিক্ত ইউরিক এসিডকে রক্ত থেকে বের করে দিতে না পারে তাহলে রক্তে এই এসিডের মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে দেহের জয়েন্টগুলোতে কঠিন প���ার্থ- ক্রিস্টাল বা স্ফটিক তৈরি হয়। যার ফলে জয়েন্টগুলোতে ব্যথা করে। আর একে বলা হয় গেঁটেবাত।
উচ্চ মাত্রায় ইউরিক এসিড উৎপাদিত হওয়ার ফলে কিডনিতে স্টোন বা পাথর এবং কিডনি ফেইলিওর বা বিকল হয়ে পড়তে পারে। যাদের দেহে উচ্চহারে ইউরিক এসিড উৎপাদিত হয় সেসব রোগীদের জন্য খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কিত প্রচুর বিশেষ ধরনের পরামর্শ আছে। তাদেরকে সাধারণত মদপান ও মিষ্টিজাতীয় খাদ্য কম খেতে বলা হয় এবং পিউরিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন, মাংস, পোল্ট্রি, সামুদ্রিক খাদ্য এবং ডালজাতীয় খাদ্য কম খেতে বলা হয়।
পিউরিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পর পিউরিন হজম হয়ে ইউরিক এসিড তৈরি হয়। এখানে রইল এমন কিছু খাদ্যের তালিকা যেগুলো খেলে ইউরিক এসিড উৎপাদন কমবে এবং গেঁটেবাত ও কিডনি স্টোন থেকে রেহাই পাওয়া যাবে।
১. পানি
দেহ থেকে ট্রক্সিন সহ অতিরিক্ত ইউরিক এসিড বের করে দেয় পানি। এজন্য প্রতিদিন আপনাকে অন্তত ১০ থেকে ১২ গ্লাস পানি পান করতে হবে।
২. সবুজ শাকসবজি
সবুজ শাকসবজিতে থাকে ভিটামিন সি, যা আপনার দেহের এসিডিটি কমাতে সহায়ক এবং তা ইউরিক এসিডের মাত্রাও বাড়তে দেয় না। সুতরাং প্রতিদিন যত বেশি সম্ভব সবুজ শাকসবজি খেতে হবে।
৩. ফ্ল্যাক্সসীড বা শ্বেতবীজ
এই বীজ এবং এর তেলে আছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড। যা স্ফীতি এবং প্রদাহ কমাতে সহায়ক।
৪. ফলমূল
আঙ্গুর, আনারস এবং চেরি ও বেরির মতো ফলে আছে প্রদাহরোধী উপাদান অ্যান্থোসায়ানিন। যা ইউরিক এসিডের মাত্রা কমাতে সহ��য়ক। এছাড়া ইউরিক এসিড থেকে ক্রিস্টাল উৎপন্ন হয়ে তা জয়েন্টে জমা হওয়াও প্রতিরোধ করে অ্যান্থোসায়ানিন।
৫. লেবু পানি
এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। এতে আরো আছে সাইট্রিক এসিড যা ইউরিক এসিডের দ্রাবক। একগ্লাস পানিতে অর্ধেক লেবু চিপে রস বের করে তা পান করুন। প্রতিদিন দুই বার এভাবে লেবু পানি পান করুন। তাহলেই আপনার দেহে ইউরিক এসিড এর মাত্রা ঠিক থাকবে।
৬. আপেল সিডার ভিনেগার
অনেকেই এই উপাদানটি ব্যবহার করেন ওজন কমানোর ডায়েটে। কিন্তু খুব কম লোকেই জানেন এতে আছে বিস্ময়কর অ্যান্ট্রিঅক্সিডেন্ট এবং প্রদাহরোধী উপাদান। যা দেহে ইউরিক এসিডের মাত্রা কমিয়ে রাখতেও সহায়ক। আপেল সিডার ভিনেগার অযাচিত ইউরিক এসিড দেহ থেকে পুরোপুরি ভেঙ্গে ফেলতে এবং অপসারণ করতে সহায়ক। প্রতিদিন পানির সঙ্গে মিশিয়ে দুই থেকে তিনবার আপেল সিডার ভিনেগার পান করুন।
৭. গাজর, বিট এবং শসার জুস
গাজর জুস, বিট জুস এবং শসার জুস একসঙ্গে মিশিয়ে খেলে রক্তে ইউরিক এসিডের উচ্চমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৮. স্বল্প চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত পণ্য
স্বল্প চর্বিযুক্ত দুধ ও দই খেলে রক্তে ইউরিক এসিড উৎপাদন কমে আসে।
৯. উচ্চ আঁশযুক্ত খাবার
উচ্চ আঁশযুক্ত খাবার রক্তের প্রবাহ থেকে অতিরিক্ত ইউরিক এসিড শুষে নেয় এবং কিডনির মাধ্যমে দেহ থেকে ইউরিক এসিড বের করে দিতে সহায়ক ভুমিকা পালন করে। ওটস, ব্রোকোলি, বার্লি, শসা, শস্যদানা এবং গাজরে আঁশ থাকে প্রচুর। এছাড়া আপেল, পিয়ার্স, কমলা, স্ট্রবেরি এবং ব্লুবেরিও আঁশসমৃদ্ধ।
১০. গ্রিন টি
এই চা দেহকে বিষমুক্ত করতে বেশ কার্যকর। প্রতিদিন গ্রিন টি পান করলে দেহে অতিরিক্ত ইউরিক এসিড উৎপাদনও কমবে। ফলে গেঁটে বাত এবং কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকিও দূর হবে।
0 notes
কিডনিতে পাথর হওয়া প্রতিরোধ করতে এই ১০টি খাবার খান। এটিই কিডনি ভালো রাখার সহজ উপায়।
আমাদের প্রায় সকলেই ইউরিক এসিডের কথা শুনেছি কিন্তু আমাদের খুব কম সংখ্যক মানুষই এর প্রকৃত অর্থ কী তা জানি। আপনার দেহের কোষগুলো প্রাকৃতিকভাবে ভেঙ্গে এবং আপনি যা খানে সে খাবার থেকেই উৎপাদিত হয় ইউরিক এসিড।
বেশিরভাগ ইউরিক এসিড কিডনির মাধ্যমে ফিল্টার হয়ে এবং পেশাবের সঙ্গে আমাদের দেহ থেকে বের হয়ে যায়। পায়খানার সঙ্গেও সামান্য পরিমাণে ইউরিক এসিড আমাদের দেহ থেকে বের হয়ে যায়।
তবে, দেহে যদি অতিরিক্ত ইউরিক এসিড উৎপাদিত হয় এবং কিডনি যদি সেই অতিরিক্ত ইউরিক এসিডকে রক্ত থেকে বের করে দিতে না পারে তাহলে রক্তে এই এসিডের মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে দেহের জয়েন্টগুলোতে কঠিন পদার্থ- ক্রিস্টাল বা স্ফটিক তৈরি হয়। যার ফলে জয়েন্টগুলোতে ব্যথা করে। আর একে বলা হয় গেঁটেবাত।
উচ্চ মাত্রায় ইউরিক এসিড উৎপাদিত হওয়ার ফলে কিডনিতে স্টোন বা পাথর এবং কিডনি ফেইলিওর বা বিকল হয়ে পড়তে পারে। যাদের দেহে উচ্চহারে ইউরিক এসিড উৎপাদিত হয় সেসব রোগীদের জন্য খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কিত প্রচুর বিশেষ ধরনের পরামর্শ আছে। তাদেরকে সাধারণত মদপান ও মিষ্টিজাতীয় খাদ্য কম খেতে বলা হয় এবং পিউরিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন, মাংস, পোল্ট্রি, সামুদ্রিক খাদ্য এবং ডালজাতীয় খাদ্য কম খেতে বলা হয়।
পিউরিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পর পিউরিন হজম হয়ে ইউরিক এসিড তৈরি হয়। এখানে রইল এমন কিছু খাদ্যের তালিকা যেগুলো খেলে ইউরিক এসিড উৎপাদন কমবে এবং গেঁটেবাত ও কিডনি স্টোন থেকে রেহাই পাওয়া যাবে।
১. পানি
দেহ থেকে ট্রক্সিন সহ অতিরিক্ত ইউরিক এসিড বের করে দেয় পানি। এজন্য প্রতিদিন আপনাকে অন্তত ১০ থেকে ১২ গ্লাস পানি পান করতে হবে।
২. সবুজ শাকসবজি
সবুজ শাকসবজিতে থাকে ভিটামিন সি, যা আপনার দেহের এসিডিটি কমাতে সহায়ক এবং তা ইউরিক এসিডের মাত্রাও বাড়তে দেয় না। সুতরাং প্রতিদিন যত বেশি সম্ভব সবুজ শাকসবজি খেতে হবে।
৩. ফ্ল্যাক্সসীড বা শ্বেতবীজ
এই বীজ এবং এর তেলে আছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড। যা স্ফীতি এবং প্রদাহ কমাতে সহায়ক।
৪. ফলমূল
আঙ্গুর, আনারস এবং চেরি ও বেরির মতো ফলে আছে প্রদাহরোধী উপাদান অ্যান্থোসায়ানিন। যা ইউরিক এসিডের মাত্রা কমাতে সহায়ক। এছাড়া ইউরিক এসিড থেকে ক্রিস্টাল উৎপন্ন হয়ে তা জয়েন্টে জমা হওয়াও প্রতিরোধ করে অ্যান্থোসায়ানিন।
৫. লেবু পানি
এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। এতে আরো আছে সাইট্রিক এসিড যা ইউরিক এসিডের দ্রাবক। একগ্লাস পানিতে অর্ধেক লেবু চিপে রস বের করে তা পান করুন। প্রতিদিন দুই বার এভাবে লেবু পানি পান করুন। তাহলেই আপনার দেহে ইউরিক এসিড এর মাত্রা ঠিক থাকবে।
৬. আপেল সিডার ভিনেগার
অনেকেই এই উপাদানটি ব্যবহার করেন ওজন কমানোর ডায়েটে। কিন্তু খুব কম লোকেই জানেন এতে আছে বিস্ময়কর অ্যান্ট্রিঅক্সিডেন্ট এবং প্রদাহরোধী উপাদান। যা দেহে ইউরিক এসিডের মাত্রা কমিয়ে রাখতেও সহায়ক। আপেল সিডার ভিনেগার অযাচিত ইউরিক এসিড দেহ থেকে পুরোপুরি ভেঙ্গে ফেলতে এবং অপসারণ করতে সহায়ক। প্রতিদিন পানির সঙ্গে মিশিয়ে দুই থেকে তিনবার আপেল সিডার ভিনেগার পান করুন।
৭. গাজর, বিট এবং শসার জুস
গাজর জুস, বিট জুস এবং শসার জুস একসঙ্গে মিশিয়ে খেলে রক্তে ইউরিক এসিডের উচ্চমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৮. স্বল্প চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত পণ্য
স্বল্প চর্বিযুক্ত দুধ ও দই খেলে রক্তে ইউরিক এসিড উৎপাদন কমে আসে।
৯. উচ্চ আঁশযুক্ত খাবার
উচ্চ আঁশযুক্ত খাবার রক্তের প্রবাহ থেকে অতিরিক্ত ইউরিক এসিড শুষে নেয় এবং কিডনির মাধ্যমে দেহ থেকে ইউরিক এসিড বের করে দিতে সহায়ক ভুমিকা পালন করে। ওটস, ব্রোকোলি, বার্লি, শসা, শস্যদানা এবং গাজরে আঁশ থাকে প্রচুর। এছাড়া আপেল, পিয়ার্স, কমলা, স্ট্রবেরি এবং ব্লুবেরিও আঁশসমৃদ্ধ।
১০. গ্রিন টি
এই চা দেহকে বিষমুক্ত করতে বেশ কার্যকর। প্রতিদিন গ্রিন টি পান করলে দেহে অতিরিক্ত ইউরিক এসিড উৎপাদনও কমবে। ফলে গেঁটে বাত এবং কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকিও দূর হবে।
0 notes
কিডনিতে পাথর হওয়া প্রতিরোধ করতে এই ১০টি খাবার খান। এটিই কিডনি ভালো রাখার সহজ উপায়।
আমাদের প্রায় সকলেই ইউরিক এসিডের কথা শুনেছি কিন্তু আমাদের খুব কম সংখ্যক মানুষই এর প্রকৃত অর্থ কী তা জানি। আপনার দেহের কোষগুলো প্রাকৃতিকভাবে ভেঙ্গে এবং আপনি যা খানে সে খাবার থেকেই উৎপাদিত হয় ইউরিক এসিড।
বেশিরভাগ ইউরিক এসিড কিডনির মাধ্যমে ফিল্টার হয়ে এবং পেশাবের সঙ্গে আমাদের দেহ থেকে বের হয়ে যায়। পায়খানার সঙ্গেও সামান্য পরিমাণে ইউরিক এসিড আমাদের দেহ থেকে বের হয়ে যায়।
তবে, দেহে যদি অতিরিক্ত ইউরিক এসিড উৎপাদিত হয় এবং কিডনি যদি সেই অতিরিক্ত ইউরিক এসিডকে রক্ত থেকে বের করে দিতে না পারে তাহলে রক্তে এই এসিডের মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে দেহের জয়েন্টগুলোতে কঠিন পদার্থ- ক্রিস্টাল বা স্ফটিক তৈরি হয়। যার ফলে জয়েন্টগুলোতে ব্যথা করে। আর একে বলা হয় গেঁটেবাত।
উচ্চ মাত্রায় ইউরিক এসিড উৎপাদিত হওয়ার ফলে কিডনিতে স্টোন বা পাথর এবং কিডনি ফেইলিওর বা বিকল হয়ে পড়তে পারে। যাদের দেহে উচ্চহারে ইউরিক এসিড উৎপাদিত হয় সেসব রোগীদের জন্য খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কিত প্রচুর বিশেষ ধরনের পরামর্শ আছে। তাদেরকে সাধারণত মদপান ও মিষ্টিজাতীয় খাদ্য কম খেতে বলা হয় এবং পিউরিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন, মাংস, পোল্ট্রি, সামুদ্রিক খাদ্য এবং ডালজাতীয় খাদ্য কম খেতে বলা হয়।
পিউরিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পর পিউরিন হজম হয়ে ইউরিক এসিড তৈরি হয়। এখানে রইল এমন কিছু খাদ্যের তালিকা যেগুলো খেলে ইউরিক এসিড উৎপাদন কমবে এবং গেঁটেবাত ও কিডনি স্টোন থেকে রেহাই পাওয়া যাবে।
১. পানি
দেহ থেকে ট্রক্সিন সহ অতিরিক্ত ইউরিক এসিড বের করে দেয় পানি। এজন্য প্রতিদিন আপনাকে অন্তত ১০ থেকে ১২ গ্লাস পানি পান করতে হবে।
২. সবুজ শাকসবজি
সবুজ শাকসবজিতে থাকে ভিটামিন সি, যা আপনার দেহের এসিডিটি কমাতে সহায়ক এবং তা ইউরিক এসিডের মাত্রাও বাড়তে দেয় না। সুতরাং প্রতিদিন যত বেশি সম্ভব সবুজ শাকসবজি খেতে হবে।
৩. ফ্ল্যাক্সসীড বা শ্বেতবীজ
এই বীজ এবং এর তেলে আছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড। যা স্ফীতি এবং প্রদাহ কমাতে সহায়ক।
৪. ফলমূল
আঙ্গুর, আনারস এবং চেরি ও বেরির মতো ফলে আছে প্রদাহরোধী উপাদান অ্যান্থোসায়ানিন। যা ইউরিক এসিডের মাত্রা কমাতে সহায়ক। এছাড়া ইউরিক এসিড থেকে ক্রিস্টাল উৎপন্ন হয়ে তা জয়েন্টে জমা হওয়াও প্রতিরোধ করে অ্যান্থোসায়ানিন।
৫. লেবু পানি
এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। এতে আরো আছে সাইট্রিক এসিড যা ইউরিক এসিডের দ্রাবক। একগ্লাস পানিতে অর্ধেক লেবু চিপে রস বের করে তা পান করুন। প্রতিদিন দুই বার এভাবে লেবু পানি পান করুন। তাহলেই আপনার দেহে ইউরিক এসিড এর মাত্রা ঠিক থাকবে।
৬. আপেল সিডার ভিনেগার
অনেকেই এই উপাদানটি ব্যবহার করেন ওজন কমানোর ডায়েটে। কিন্তু খুব কম লোকেই জানেন এতে আছে বিস্ময়কর অ্যান্ট্রিঅক্সিডেন্ট এবং প্রদাহরোধী উপাদান। যা দেহে ইউরিক এসিডের মাত্রা কমিয়ে রাখতেও সহায়ক। আপেল সিডার ভিনেগার অযাচিত ইউরিক এসিড দেহ থেকে পুরোপুরি ভেঙ্গে ফেলতে এবং অপসারণ করতে সহায়ক। প্রতিদিন পানির সঙ্গে মিশিয়ে দুই থেকে তিনবার আপেল সিডার ভিনেগার পান করুন।
৭. গাজর, বিট এবং শসার জুস
গাজর জুস, বিট জুস এবং শসার জুস একসঙ্গে মিশিয়ে খেলে রক্তে ইউরিক এসিডের উচ্চমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৮. স্বল্প চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত পণ্য
স্বল্প চর্বিযুক্ত দুধ ও দই খেলে রক্তে ইউরিক এসিড উৎপাদন কমে আসে।
৯. উচ্চ আঁশযুক্ত খাবার
উচ্চ আঁশযুক্ত খাবার রক্তের প্রবাহ থেকে অতিরিক্ত ইউরিক এসিড শুষে নেয় এবং কিডনির মাধ্যমে দেহ থেকে ইউরিক এসিড বের করে দিতে সহায়ক ভুমিকা পালন করে। ওটস, ব্রোকোলি, বার্লি, শসা, শস্যদানা এবং গাজরে আঁশ থাকে প্রচুর। এছাড়া আপেল, পিয়ার্স, কমলা, স্ট্রবেরি এবং ব্লুবেরিও আঁশসমৃদ্ধ।
১০. গ্রিন টি
এই চা দেহকে বিষমুক্ত করতে বেশ কার্যকর। প্��তিদিন গ্রিন টি পান করলে দেহে অতিরিক্ত ইউরিক এসিড উৎপাদনও কমবে। ফলে গেঁটে বাত এবং কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকিও দূর হবে।
0 notes