Tumgik
#সূরা ফাতিহা
muslim-shoilee · 2 months
Text
0 notes
islamicsoundzone · 23 hours
Video
youtube
নামাযে ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহা পড়া যাবে কিনা? #abdul_matin_saheb
0 notes
attaralobd · 3 days
Text
সূরা ফাতিহা | Surah Fatiha
0 notes
ilyforallahswt · 1 month
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
সুরা ফাতিহা কোরআন শরিফের প্রথম সুরা। ‘ফাতিহা’ শব্দের অর্থ ‘সূচনা’, ‘উদ্বোধন’ বা ‘প্রারম্ভিকা’। এ অর্থ থেকেই এ সুরার গুরুত্ব বোঝা যায়। নামাজে অন্য যেকোনো সুরা পড়ার আগে এটি পড়তে হয়। এর মানে নামাজ পড়তে সুরা ফাতিহা পাঠের মাধ্যমে অন্য সুরা বা আয়াতগুলো পড়তে হয়।
সুরা ফাতিহা এমন এক সুরা, কেউ যখন এর একটি করে আয়াত পড়তে থাকে, আল্লাহ সঙ্গে সঙ্গে সেই আয়াতের জবাব দিতে থাকেন। এই সুরা যেন আল্লাহর সঙ্গে তাঁর বান্দার সরাসরি যোগাযোগ।
সুরা ফাতিহার বাংলা উচ্চারণ:
আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন
আর রাহমানির রাহিম
মালিকি ইয়াওমিদ্দিন
ইয়্যাকা নাবুদু ওয়া ইয়্যাকা নাস্তায়িন
ইহদিনাছ ছিরাতল মুস্তাকিম, ছিরাতল্লাজিনা আনআমতা আলাইহিম, গয়রিল মাগদুবি আলাইহিম ওয়ালাদ্দল্লিন
সুরা ফাতিহার অর্থ:
১.সমস্ত প্রশংসা বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহরই।
২.যিনি পরম করুণাময়, পরম দয়াময়;
৩.বিচার দিনের মালিক।
৪.আমরা তোমারই উপাসনা করি, তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি;
৫.তুমি আমাদের চালিত করো সঠিক পথে,
৬.তাঁদের পথে, যাঁদের তুমি অনুগ্রহ দান করেছ,
৭.যারা (তোমার) রোষে পতিত হয়নি, পথভ্রষ্ট হয়নি।
এই সাতটি আয়াতের মধ্যে প্রথম তিনটি আয়াতে আছে আল্লাহর পরিচয়। আর শেষ তিন আয়াতে আছে আল্লাহর কাছে আমাদের প্রার্থনা।
আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং একমাত্র তোমারই সাহায্য চাই।
You alone do we worship, and Your aid alone we seek.
আমরা একমাত্র  তোমার উপাসনা করি এবং একমাত্র তোমার সাহায্য প্রার্থনা করি।
আমরা তোমারই ইবাদত করি এবং তোমার কাছেই সাহায্য প্রার্থনা করি।) (তিনিই একমাত্র) পূর্ব ও পশ্চিমের প্রতিপালক; লা ইলাহা ইল্লা হুওয়া (তিনি ছাড়া আর কারো ইবাদত করার অধিকার নেই) (আমরা তোমারই ইবাদত করি, এবং আমরা তোমার কাছে সাহায্য চাই)।
ইবাদত কথাটি প্রথম এই যে, যে বন্দিগি স্বীকার করেছে সে বান্দা ছাড়া আর কিছুই নয়, বান্দা হওয়া ও বান্দা হয়ে থাকাই তার সঠিক মর্যাদা। দ্বিতীয় এই যে, এমন একজন আছেন যাঁর বন্দেগী করা হচ্ছে, যার বান্দা হয়ে থাকা সম্ভব হচ্ছে। তৃতীয়, যার বন্দেগী করা হচ্ছে, তার তরফ হতে নিয়ম ও বিধি বিধান নাযিল হচ্ছে এবং যে বন্দেগী করছে, সে তাঁকে স্বীকার করার সঙ্গে সঙ্গে তার বিধানকেও পুরোপুরি মেনে নিচ্ছে। আর চতুর্থ এই যে, কাউকেও মাবুদ বলে স্বীকার করা এবং তাঁর দেয়া দেয়া বিধি বিধান পালন করে চলার একটি অনিবার্য ফলাফল রয়েছে, যে ফলাফলের দিকে লক্ষ্য রেখেই এ বন্দেগীর কাজ করা হচ্ছে। ইবাদতের পূর্ণাঙ্গ ভাবধারায় ইবাদত-বন্দেগী করা; আনুগত্য করা, আদেশ নিষেধ মেনে চলা এবং বান্দা হয়ে থাকা, বান্দা হওয়ার লক্ষ্যে এ কথা কয়টি অবশ্যই স্পষ্ট হতে হয়।
সূরা ফাতিহার বিস্ময়কর তাফসীর
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
আল্লাহর প্রশংসা 
youtube
আল্লাহর পরিচয় হিসেবে বলা হয়েছে, তিনি পরম দয়ালু ও করুণাময়; কারণ তিনিই মহাবিশ্বের প্রতিপালন করছেন। তাই তিনিই আমাদের মাফ করে দেওয়ার চূড়ান্ত অধিকারী। তিনি যেহেতু বিচার দিবসের প্রভূ, সেই বিচারে তিনিই আমাদের প্রতি দয়া বর্ষণ করার একমাত্র ত্রাণকর্তা।
সুরাটির শেষ তিন আয়াতের প্রথমেই আল্লাহর কাছে আমরা সরল পথ দেখিয়ে দেওয়ার পথনির্দেশ চাচ্ছি। কোন পথ সরল? আল্লাহ তায়ালা নবী-রাসুলকে যে পথে চালিত করেছেন। এটি হলো আল্লাহর কাছে আমাদের প্রত্যাশা। যিনি নবী-রাসুলদের পথ দেখিয়েছেন, তিনি ছাড়া আমাদের কে আর সর্বোত্তম পথ দেখাতে পারেন!
নামাজে অন্য যেকোনো সুরা পড়ার আগে সুরা ফাতিহা পড়তে হয়
সুরাটির পঞ্চম আয়াতে বলা হচ্ছে, তুমি আমাদের সরল পথ দেখাও। এর পরেই কথাটি আরেকটু বিশদ করে পর পর দুই আয়াতে বলা হয়েছে, আল্লাহ যাঁদের পরম অনুগ্রহ করেছেন, তাঁদেরকে দেখানো পথটিই হলো এ সরল পথ। কারা আল্লাহর এই অনুগ্রহ পেয়েছেন? যাঁরা পথভ্রষ্ট হননি। এ জন্য তাঁরা আল্লাহর ক্রোধেরও শিকার হননি।
প্রথম অংশে আল্লাহর পরিচয় আর শেষ অংশে আল্লাহর কাছে আমাদের প্রত্যাশার মাঝখানে বলা হয়েছে, ‘ইয়া কানা বুদু ওয়া ইয়া কানাস্তাইন।’ অর্থাৎ, ‘আমরা তোমারই উপাসনা করি, তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি।’ এই আয়াতকে বলতে পারি আল্লাহর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক। তাঁর কাছে আমাদের নিঃশর্ত আত্মনিবেদনের সম্পর্ক। আমাদের একমাত্র ইবাদত আল্লাহরই প্রতি। সব সাহায্যও আমরা তাঁর কাছেই চাই।
সুরা ফাতিহার ফজিলত:
একবার মহানবী (সা.) একদল সাহাবিকে একটি সামরিক অভিযানে পাঠালেন। দীর্ঘদিনের পথ। পথে সাহাবিরা একটি লোকালয় খুঁজে পেলেন। তাঁরা ভাবলেন, কিছুদিন এখানে বিশ্রাম নেওয়া যাবে। লোকালয়ের মানুষ সাহাবিদের মোটেও ভালো চোখে দেখল না। তারা কোনো সাহায্য তো করলই না, তার ওপর খুবই রুক্ষ ও অমানবিক আচরণ করল। সাহাবিরা সিদ্ধান্ত নিলেন এখানে এক রাতের বেশি থাকা ঠিক হবে না। কাল সূর্যোদয়ের আগেই রওনা দিতে হবে।
সেই রাতে লোকালয়ের গোত্রপ্রধানকে এক বিষাক্ত সাপে কামড় দিল। লোকালয়ের চিকিৎসকেরা হাজার চেষ্টা করেও বিষ নামাতে পারল না। বিষ নামানো না গেলে মৃত্যু নিশ্চিত। এবার লোকজন বাধ্য হয়ে নবী (সা.)-এর সাহাবিদের কাছে এসে বলল, ‘আপনাদের মধ্যে এমন কেউ কি আছে যে সাপের বিষ নামাতে জানে? আমাদের এক দলনেতাকে সাপে কামড় দিয়েছে।’
একজন সাহাবি বলে উঠলেন, ‘আমরা আপনাদের কাছ থেকে কোনো ভালো আচরণ পাইনি, তবু চেষ্টা করে দেখতে পারি। যদি তিনি সুস্থ হন, তবে এর বিনিময় কী হবে?’
লোকালয়ের লোকেরা বলল, ‘যে আমাদের দলনেতাকে সুস্থ করতে পারবে, তার জন্য ৩০টি বকরি পুরস্কারের ঘোষণা করা হয়েছে।’
সাহাবিরা রাজি হলেন। তাঁরা দলনেতার পাশে গিয়ে সুরা ফাতিহা তিলাওয়াত করা শুরু করলেন: ‘সব প্রশংসা শুধু আল্লাহর, যিনি জগৎসমূহ প্রতিপালন করেন। যিনি দয়াময় ও পরম দয়ালু। যিনি বিচার দিবসের মালিক। আমরা শুধু আপনারই ইবাদত করি এবং আপনার কাছে সাহায্য চাই। আপনি আমাদের সরল সঠিক পথ দেখান। তাদের পথ, যাদের আপনি অনুগ্রহ করেছেন। তবে তাদের পথে নয়, যাদের প্রতি আপনার শাস্তি বর্ষিত হয়েছে, যারা পথভ্রষ্ট। আমিন।’
সুরা ফাতিহার ফজিলত:
একবার মহানবী (সা.) একদল সাহাবিকে একটি সামরিক অভিযানে পাঠালেন। দীর্ঘদিনের পথ। পথে সাহাবিরা একটি লোকালয় খুঁজে পেলেন। তাঁরা ভাবলেন, কিছুদিন এখানে বিশ্রাম নেওয়া যাবে। লোকালয়ের মানুষ সাহাবিদের মোটেও ভালো চোখে দেখল না। তারা কোনো সাহায্য তো করলই না, তার ওপর খুবই রুক্ষ ও অমানবিক আচরণ করল। সাহাবিরা সিদ্ধান্ত নিলেন এখানে এক রাতের বেশি থাকা ঠিক হবে না। কাল সূর্যোদয়ের আগেই রওনা দিতে হবে।
সেই রাতে লোকালয়ের গোত্রপ্রধানকে এক বিষাক্ত সাপে কামড় দিল। লোকালয়ের চিকিৎসকেরা হাজার চেষ্টা করেও বিষ নামাতে পারল না। বিষ নামানো না গেলে মৃত্যু নিশ্চিত। এবার লোকজন বাধ্য হয়ে নবী (সা.)-এর সাহাবিদের কাছে এসে বলল, ‘আপনাদের মধ্যে এমন কেউ কি আছে যে সাপের বিষ নামাতে জানে? আমাদের এক দলনেতাকে সাপে কামড় দিয়েছে।’
একজন সাহাবি বলে উঠলেন, ‘আমরা আপনাদের কাছ থেকে কোনো ভালো আচরণ পাইনি, তবু চেষ্টা করে দেখতে পারি। যদি তিনি সুস্থ হন, তবে এর বিনিময় কী হবে?’
লোকালয়ের লোকেরা বলল, ‘যে আমাদের দলনেতাকে সুস্থ করতে পারবে, তার জন্য ৩০টি বকরি পুরস্কারের ঘোষণা করা হয়েছে।’
সুরা ফাতিহা: নিরাময়ের অনন্য ঘটনা
কিছু বর্ণনা অনুযায়ী, তারা সাতবার সুরা ফাতিহা তিলাওয়াত করেছিলেন। তারপর সামান্য থুতু নিয়ে ক্ষতস্থানে মেখে দিয়েছিলেন। কিছুক্ষণ পরই লোকালয়ের দলপতি সুস্থ অনুভব করতে লাগলেন। তিনি রোগমুক্ত হয়ে গেলেন। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সাহাবিদের ৩০টি বকরি পুরস্কার দেওয়া হলো।
ফিরে আসার পথে এক সাহাবির মনে হলো, আচ্ছা এ বকরিগুলো তো আল্লাহর আয়াত ব্যবহার করে পেয়েছি। এগুলো খাওয়া কি হালাল হবে?
এরপর সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিলেন, এখন কিছু করার দরকার নেই। আগে মদিনায় ফিরে যাওয়া যাক। মহানবী (সা.) এ ব্যাপারে কী বলেন, তা জানা প্রয়োজন। সাহাবিরা মহানবী (সা.)-এর কাছে গিয়ে সবকিছু খুলে বললেন।
মহানবী (সা.) এ ঘটনা শুনে অবাক হলেন। তিনি বললেন, ‘তোমরা কী করে জানলে যে সুরা ফাতিহা দিয়ে রোগের চিকিৎসা হয়? আমি তো এ ব্যাপারে কিছুই বলিনি।’
এরপর মহানবী (সা.) হাসতে হাসতে বললেন, ‘এগুলো সবার মধ্যে ভাগ করে দাও এবং আমার জন্য একটি অংশ রেখো।’
সাহাবিরা খুশি হয়ে চলে গেলেন এবং বকরিগুলো সবার মধ্যে বণ্টন করে দিলেন।
হাদিসটি আবু সাইদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত। বুখারি, মুসলিম, তিরমিজি ও ইবনে মাজাহ শরিফে হাদিসটি রয়েছে।
সুরা ফাতিহা
আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং একমাত্র তোমারই সাহায্য চাই।
You alone do we worship, and Your aid alone we seek.
0 notes
allahisourrabb · 1 month
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
সুরা ফাতিহা কোরআন শরিফের প্রথম সুরা। ‘ফাতিহা’ শব্দের অর্থ ‘সূচনা’, ‘উদ্বোধন’ বা ‘প্রারম্ভিকা’। এ অর্থ থেকেই এ সুরার গুরুত্ব বোঝা যায়। নামাজে অন্য যেকোনো সুরা পড়ার আগে এটি পড়তে হয়। এর মানে নামাজ পড়তে সুরা ফাতিহা পাঠের মাধ্যমে অন্য সুরা বা আয়াতগুলো পড়তে হয়।
সুরা ফাতিহা এমন এক সুরা, কেউ যখন এর একটি করে আয়াত পড়তে থাকে, আল্লাহ সঙ্গে সঙ্গে সেই আয়াতের জবাব দিতে থাকেন। এই সুরা যেন আল্লাহর সঙ্গে তাঁর বান্দার সরাসরি যোগাযোগ।
সুরা ফাতিহার বাংলা উচ্চারণ:
আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন
আর রাহমানির রাহিম
মালিকি ইয়াওমিদ্দিন
ইয়্যাকা নাবুদু ওয়া ইয়্যাকা নাস্তায়িন
ইহদিনাছ ছিরাতল মুস্তাকিম, ছিরাতল্লাজিনা আনআমতা আলাইহিম, গয়রিল মাগদুবি আলাইহিম ওয়ালাদ্দল্লিন
সুরা ফাতিহার অর্থ:
১.সমস্ত প্রশংসা বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহরই।
২.যিনি পরম করুণাময়, পরম দয়াময়;
৩.বিচার দিনের মালিক।
৪.আমরা তোমারই উপাসনা করি, তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি;
৫.তুমি আমাদের চালিত করো সঠিক পথে,
৬.তাঁদের পথে, যাঁদের তুমি অনুগ্রহ দান করেছ,
৭.যারা (তোমার) রোষে পতিত হয়নি, পথভ্রষ্ট হয়নি।
এই সাতটি আয়াতের মধ্যে প্রথম তিনটি আয়াতে আছে আল্লাহর পরিচয়। আর শেষ তিন আয়াতে আছে আল্লাহর কাছে আমাদের প্রার্থনা।
আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং একমাত্র তোমারই সাহায্য চাই।
You alone do we worship, and Your aid alone we seek.
আমরা একমাত্র  তোমার উপাসনা করি এবং একমাত্র তোমার সাহায্য প্রার্থনা করি।
আমরা তোমারই ইবাদত করি এবং তোমার কাছেই সাহায্য প্রার্থনা করি।) (তিনিই একমাত্র) পূর্ব ও পশ্চিমের প্রতিপালক; লা ইলাহা ইল্লা হুওয়া (তিনি ছাড়া আর কারো ইবাদত করার অধিকার নেই) (আমরা তোমারই ইবাদত করি, এবং আমরা তোমার কাছে সাহায্য চাই)।
ইবাদত কথাটি প্রথম এই যে, যে বন্দিগি স্বীকার করেছে সে বান্দা ছাড়া আর কিছুই নয়, বান্দা হওয়া ও বান্দা হয়ে থাকাই তার সঠিক মর্যাদা। দ্বিতীয় এই যে, এমন একজন আছেন যাঁর বন্দেগী করা হচ্ছে, যার বান্দা হয়ে থাকা সম্ভব হচ্ছে। তৃতীয়, যার বন্দেগী করা হচ্ছে, তার তরফ হতে নিয়ম ও বিধি বিধান নাযিল হচ্ছে এবং যে বন্দেগী করছে, সে তাঁকে স্বীকার করার সঙ্গে সঙ্গে তার বিধানকেও পুরোপুরি মেনে নিচ্ছে। আর চতুর্থ এই যে, কাউকেও মাবুদ বলে স্বীকার করা এবং তাঁর দেয়া দেয়া বিধি বিধান পালন করে চলার একটি অনিবার্য ফলাফল রয়েছে, যে ফলাফলের দিকে লক্ষ্য রেখেই এ বন্দেগীর কাজ করা হচ্ছে। ইবাদতের পূর্ণাঙ্গ ভাবধারায় ইবাদত-বন্দেগী করা; আনুগত্য করা, আদেশ নিষেধ মেনে চলা এবং বান্দা হয়ে থাকা, বান্দা হওয়ার লক্ষ্যে এ কথা কয়টি অবশ্যই স্পষ্ট হতে হয়।
সূরা ফাতিহার বিস্ময়কর তাফসীর
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
আল্লাহর প্রশংসা 
youtube
আল্লাহর পরিচয় হিসেবে বলা হয়েছে, তিনি পরম দয়ালু ও করুণাময়; কারণ তিনিই মহাবিশ্বের প্রতিপালন করছেন। তাই তিনিই আমাদের মাফ করে দেওয়ার চূড়ান্ত অধিকারী। তিনি যেহেতু বিচার দিবসের প্রভূ, সেই বিচারে তিনিই আমাদের প্রতি দয়া বর্ষণ করার একমাত্র ত্রাণকর্তা।
সুরাটির শেষ তিন আয়াতের প্রথমেই আল্লাহর কাছে আমরা সরল পথ দেখিয়ে দেওয়ার পথনির্দেশ চাচ্ছি। কোন পথ সরল? আল্লাহ তায়ালা নবী-রাসুলকে যে পথে চালিত করেছেন। এটি হলো আল্লাহর কাছে আমাদের প্রত্যাশা। যিনি নবী-রাসুলদের পথ দেখিয়েছেন, তিনি ছাড়া আমাদের কে আর সর্বোত্তম পথ দেখাতে পারেন!
নামাজে অন্য যেকোনো সুরা পড়ার আগে সুরা ফাতিহা পড়তে হয়
সুরাটির পঞ্চম আয়াতে বলা হচ্ছে, তুমি আমাদের সরল পথ দেখাও। এর পরেই কথাটি আরেকটু বিশদ করে পর পর দুই আয়াতে বলা হয়েছে, আল্লাহ যাঁদের পরম অনুগ্রহ করেছেন, তাঁদেরকে দেখানো পথটিই হলো এ সরল পথ। কারা আল্লাহর এই অনুগ্রহ পেয়েছেন? যাঁরা পথভ্রষ্ট হননি। এ জন্য তাঁরা আল্লাহর ক্রোধেরও শিকার হননি।
প্রথম অংশে আল্লাহর পরিচয় আর শেষ অংশে আল্লাহর কাছে আমাদের প্রত্যাশার মাঝখানে বলা হয়েছে, ‘ইয়া কানা বুদু ওয়া ইয়া কানাস্তাইন।’ অর্থাৎ, ‘আমরা তোমারই উপাসনা করি, তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি।’ এই আয়াতকে বলতে পারি আল্লাহর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক। তাঁর কাছে আমাদের নিঃশর্ত আত্মনিবেদনের সম্পর্ক। আমাদের একমাত্র ইবাদত আল্লাহরই প্রতি। সব সাহায্যও আমরা তাঁর কাছেই চাই।
সুরা ফাতিহার ফজিলত:
একবার মহানবী (সা.) একদল সাহাবিকে একটি সামরিক অভিযানে পাঠালেন। দীর্ঘদিনের পথ। পথে সাহাবিরা একটি লোকালয় খুঁজে পেলেন। তাঁরা ভাবলেন, কিছুদিন এখানে বিশ্রাম নেওয়া যাবে। লোকালয়ের মানুষ সাহাবিদের মোটেও ভালো চোখে দেখল না। তারা কোনো সাহায্য তো করলই না, তার ওপর খুবই রুক্ষ ও অমানবিক আচরণ করল। সাহাবিরা সিদ্ধান্ত নিলেন এখানে এক রাতের বেশি থাকা ঠিক হবে না। কাল সূর্যোদয়ের আগেই রওনা দিতে হবে।
সেই রাতে লোকালয়ের গোত্রপ্রধানকে এক বিষাক্ত সাপে কামড় দিল। লোকালয়ের চিকিৎসকেরা হাজার চেষ্টা করেও বিষ নামাতে পারল না। বিষ নামানো না গেলে মৃত্যু নিশ্চিত। এবার লোকজন বাধ্য হয়ে নবী (সা.)-এর সাহাবিদের কাছে এসে বলল, ‘আপনাদের মধ্যে এমন কেউ কি আছে যে সাপের বিষ নামাতে জানে? আমাদের এক দলনেতাকে সাপে কামড় দিয়েছে।’
একজন সাহাবি বলে উঠলেন, ‘আমরা আপনাদের কাছ থেকে কোনো ভালো আচরণ পাইনি, তবু চেষ্টা করে দেখতে পারি। যদি তিনি সুস্থ হন, তবে এর বিনিময় কী হবে?’
লোকালয়ের লোকেরা বলল, ‘যে আমাদের দলনেতাকে সুস্থ করতে পারবে, তার জন্য ৩০টি বকরি পুরস্কারের ঘোষণা করা হয়েছে।’
সাহাবিরা রাজি হলেন। তাঁরা দলনেতার পাশে গিয়ে সুরা ফাতিহা তিলাওয়াত করা শুরু করলেন: ‘সব প্রশংসা শুধু আল্লাহর, যিনি জগৎসমূহ প্রতিপালন করেন। যিনি দয়াময় ও পরম দয়ালু। যিনি বিচার দিবসের মালিক। আমরা শুধু আপনারই ইবাদত করি এবং আপনার কাছে সাহায্য চাই। আপনি আমাদের সরল সঠিক পথ দেখান। তাদের পথ, যাদের আপনি অনুগ্রহ করেছেন। তবে তাদের পথে নয়, যাদের প্রতি আপনার শাস্তি বর্ষিত হয়েছে, যারা পথভ্রষ্ট। আমিন।’
সুরা ফাতিহার ফজিলত:
একবার মহানবী (সা.) একদল সাহাবিকে একটি সামরিক অভিযানে পাঠালেন। দীর্ঘদিনের পথ। পথে সাহাবিরা একটি লোকালয় খুঁজে পেলেন। তাঁরা ভাবলেন, কিছুদিন এখানে বিশ্রাম নেওয়া যাবে। লোকালয়ের মানুষ সাহাবিদের মোটেও ভালো চোখে দেখল না। তারা কোনো সাহায্য তো করলই না, তার ওপর খুবই রুক্ষ ও অমানবিক আচরণ করল। সাহাবিরা সিদ্ধান্ত নিলেন এখানে এক রাতের বেশি থাকা ঠিক হবে না। কাল সূর্যোদয়ের আগেই রওনা দিতে হবে।
সেই রাতে লোকালয়ের গোত্রপ্রধানকে এক বিষাক্ত সাপে কামড় দিল। লোকালয়ের চিকিৎসকেরা হাজার চেষ্টা করেও বিষ নামাতে পারল না। বিষ নামানো না গেলে মৃত্যু নিশ্চিত। এবার লোকজন বাধ্য হয়ে নবী (সা.)-এর সাহাবিদের কাছে এসে বলল, ‘আপনাদের মধ্যে এমন কেউ কি আছে যে সাপের বিষ নামাতে জানে? আমাদের এক দলনেতাকে সাপে কামড় দিয়েছে।’
একজন সাহাবি বলে উঠলেন, ‘আমরা আপনাদের কাছ থেকে কোনো ভালো আচরণ পাইনি, তবু চেষ্টা করে দেখতে পারি। যদি তিনি সুস্থ হন, তবে এর বিনিময় কী হবে?’
লোকালয়ের লোকেরা বলল, ‘যে আমাদের দলনেতাকে সুস্থ করতে পারবে, তার জন্য ৩০টি বকরি পুরস্কারের ঘোষণা করা হয়েছে।’
সুরা ফাতিহা: নিরাময়ের অনন্য ঘটনা
কিছু বর্ণনা অনুযায়ী, তারা সাতবার সুরা ফাতিহা তিলাওয়াত করেছিলেন। তারপর সামান্য থুতু নিয়ে ক্ষতস্থানে মেখে দিয়েছিলেন। কিছুক্ষণ পরই লোকালয়ের দলপতি সুস্থ অনুভব করতে লাগলেন। তিনি রোগমুক্ত হয়ে গেলেন। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সাহাবিদের ৩০টি বকরি পুরস্কার দেওয়া হলো।
ফিরে আসার পথে এক সাহাবির মনে হলো, আচ্ছা এ বকরিগুলো তো আল্লাহর আয়াত ব্যবহার করে পেয়েছি। এগুলো খাওয়া কি হালাল হবে?
এরপর সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিলেন, এখন কিছু করার দরকার নেই। আগে মদিনায় ফিরে যাওয়া যাক। মহানবী (সা.) এ ব্যাপারে কী বলেন, তা জানা প্রয়োজন। সাহাবিরা মহানবী (সা.)-এর কাছে গিয়ে সবকিছু খুলে বললেন।
মহানবী (সা.) এ ঘটনা শুনে অবাক হলেন। তিনি বললেন, ‘তোমরা কী করে জানলে যে সুরা ফাতিহা দিয়ে রোগের চিকিৎসা হয়? আমি তো এ ব্যাপারে কিছুই বলিনি।’
এরপর মহানবী (সা.) হাসতে হাসতে বললেন, ‘এগুলো সবার মধ্যে ভাগ করে দাও এবং আমার জন্য একটি অংশ রেখো।’
সাহাবিরা খুশি হয়ে চলে গেলেন এবং বকরিগুলো সবার মধ্যে বণ্টন করে দিলেন।
হাদিসটি আবু সাইদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত। বুখারি, মুসলিম, তিরমিজি ও ইবনে মাজাহ শরিফে হাদিসটি রয়েছে।
সুরা ফাতিহা
আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং একমাত্র তোমারই সাহায্য চাই।
You alone do we worship, and Your aid alone we seek.
0 notes
mylordisallah · 1 month
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
সুরা ফাতিহা কোরআন শরিফের প্রথম সুরা। ‘ফাতিহা’ শব্দের অর্থ ‘সূচনা’, ‘উদ্বোধন’ বা ‘প্রারম্ভিকা’। এ অর্থ থেকেই এ সুরার গুরুত্ব বোঝা যায়। নামাজে অন্য যেকোনো সুরা পড়ার আগে এটি পড়তে হয়। এর মানে নামাজ পড়তে সুরা ফাতিহা পাঠের মাধ্যমে অন্য সুরা বা আয়াতগুলো পড়তে হয়।
সুরা ফাতিহা এমন এক সুরা, কেউ যখন এর একটি করে আয়াত পড়তে থাকে, আল্লাহ সঙ্গে সঙ্গে সেই আয়াতের জবাব দিতে থাকেন। এই সুরা যেন আল্লাহর সঙ্গে তাঁর বান্দার সরাসরি যোগাযোগ।
সুরা ফাতিহার বাংলা উচ্চারণ:
আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন
আর রাহমানির রাহিম
মালিকি ইয়াওমিদ্দিন
ইয়্যাকা নাবুদু ওয়া ইয়্যাকা নাস্তায়িন
ইহদিনাছ ছিরাতল মুস্তাকিম, ছিরাতল্লাজিনা আনআমতা আলাইহিম, গয়রিল মাগদুবি আলাইহিম ওয়ালাদ্দল্লিন
সুরা ফাতিহার অর্থ:
১.সমস্ত প্রশংসা বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহরই।
২.যিনি পরম করুণাময়, পরম দয়াময়;
৩.বিচার দিনের মালিক।
৪.আমরা তোমারই উপাসনা করি, তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি;
৫.তুমি আমাদের চালিত করো সঠিক পথে,
৬.তাঁদের পথে, যাঁদের তুমি অনুগ্রহ দান করেছ,
৭.যারা (তোমার) রোষে পতিত হয়নি, পথভ্রষ্ট হয়নি।
এই সাতটি আয়াতের মধ্যে প্রথম তিনটি আয়াতে আছে আল্লাহর পরিচয়। আর শেষ তিন আয়াতে আছে আল্লাহর কাছে আমাদের প্রার্থনা।
আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং একমাত্র তোমারই সাহায্য চাই।
You alone do we worship, and Your aid alone we seek.
আমরা একমাত্র  তোমার উপাসনা করি এবং একমাত্র তোমার সাহায্য প্রার্থনা করি।
আমরা তোমারই ইবাদত করি এবং তোমার কাছেই সাহায্য প্রার্থনা করি।) (তিনিই একমাত্র) পূর্ব ও পশ্চিমের প্রতিপালক; লা ইলাহা ইল্লা হুওয়া (তিনি ছাড়া আর কারো ইবাদত করার অধিকার নেই) (আমরা তোমারই ইবাদত করি, এবং আমরা তোমার কাছে সাহায্য চাই)।
ইবাদত কথাটি প্রথম এই যে, যে বন্দিগি স্বীকার করেছে সে বান্দা ছাড়া আর কিছুই নয়, বান্দা হওয়া ও বান্দা হয়ে থাকাই তার সঠিক মর্যাদা। দ্বিতীয় এই যে, এমন একজন আছেন যাঁর বন্দেগী করা হচ্ছে, যার বান্দা হয়ে থাকা সম্ভব হচ্ছে। তৃতীয়, যার বন্দেগী করা হচ্ছে, তার তরফ হতে নিয়ম ও বিধি বিধান নাযিল হচ্ছে এবং যে বন্দেগী করছে, সে তাঁকে স্বীকার করার সঙ্গে সঙ্গে তার বিধানকেও পুরোপুরি মেনে নিচ্ছে। আর চতুর্থ এই যে, কাউকেও মাবুদ বলে স্বীকার করা এবং তাঁর দেয়া দেয়া বিধি বিধান পালন করে চলার একটি অনিবার্য ফলাফল রয়েছে, যে ফলাফলের দিকে লক্ষ্য রেখেই এ বন্দেগীর কাজ করা হচ্ছে। ইবাদতের পূর্ণাঙ্গ ভাবধারায় ইবাদত-বন্দেগী করা; আনুগত্য করা, আদেশ নিষেধ মেনে চলা এবং বান্দা হয়ে থাকা, বান্দা হওয়ার লক্ষ্যে এ কথা কয়টি অবশ্যই স্পষ্ট হতে হয়।
সূরা ফাতিহার বিস্ময়কর তাফসীর
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
আল্লাহর প্রশংসা 
youtube
আল্লাহর পরিচয় হিসেবে বলা হয়েছে, তিনি পরম দয়ালু ও করুণাময়; কারণ তিনিই মহাবিশ্বের প্রতিপালন করছেন। তাই তিনিই আমাদের মাফ করে দেওয়ার চূড়ান্ত অধিকারী। তিনি যেহেতু বিচার দিবসের প্রভূ, সেই বিচারে তিনিই আমাদের প্রতি দয়া বর্ষণ করার একমাত্র ত্রাণকর্তা।
সুরাটির শেষ তিন আয়াতের প্রথমেই আল্লাহর কাছে আমরা সরল পথ দেখিয়ে দেওয়ার পথনির্দেশ চাচ্ছি। কোন পথ সরল? আল্লাহ তায়ালা নবী-রাসুলকে যে পথে চালিত করেছেন। এটি হলো আল্লাহর কাছে আমাদের প্রত্যাশা। যিনি নবী-রাসুলদের পথ দেখিয়েছেন, তিনি ছাড়া আমাদের কে আর সর্বোত্তম পথ দেখাতে পারেন!
নামাজে অন্য যেকোনো সুরা পড়ার আগে সুরা ফাতিহা পড়তে হয়
সুরাটির পঞ্চম আয়াতে বলা হচ্ছে, তুমি আমাদের সরল পথ দেখাও। এর পরেই কথাটি আরেকটু বিশদ করে পর পর দুই আয়াতে বলা হয়েছে, আল্লাহ যাঁদের পরম অনুগ্রহ করেছেন, তাঁদেরকে দেখানো পথটিই হলো এ সরল পথ। কারা আল্লাহর এই অনুগ্রহ পেয়েছেন? যাঁরা পথভ্রষ্ট হননি। এ জন্য তাঁরা আল্লাহর ক্রোধেরও শিকার হননি।
প্রথম অংশে আল্লাহর পরিচয় আর শেষ অংশে আল্লাহর কাছে আমাদের প্রত্যাশার মাঝখানে বলা হয়েছে, ‘ইয়া কানা বুদু ওয়া ইয়া কানাস্তাইন।’ অর্থাৎ, ‘আমরা তোমারই উপাসনা করি, তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি।’ এই আয়াতকে বলতে পারি আল্লাহর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক। তাঁর কাছে আমাদের নিঃশর্ত আত্মনিবেদনের সম্পর্ক। আমাদের একমাত্র ইবাদত আল্লাহরই প্রতি। সব সাহায্যও আমরা তাঁর কাছেই চাই।
সুরা ফাতিহার ফজিলত:
একবার মহানবী (সা.) একদল সাহাবিকে একটি সামরিক অভিযানে পাঠালেন। দীর্ঘদিনের পথ। পথে সাহাবিরা একটি লোকালয় খুঁজে পেলেন। তাঁরা ভাবলেন, কিছুদিন এখানে ��িশ্রাম নেওয়া যাবে। লোকালয়ের মানুষ সাহাবিদের মোটেও ভালো চোখে দেখল না। তারা কোনো সাহায্য তো করলই না, তার ওপর খুবই রুক্ষ ও অমানবিক আচরণ করল। সাহাবিরা সিদ্ধান্ত নিলেন এখানে এক রাতের বেশি থাকা ঠিক হবে না। কাল সূর্যোদয়ের আগেই রওনা দিতে হবে।
সেই রাতে লোকালয়ের গোত্রপ্রধানকে এক বিষাক্ত সাপে কামড় দিল। লোকালয়ের চিকিৎসকেরা হাজার চেষ্টা করেও বিষ নামাতে পারল না। বিষ নামানো না গেলে মৃত্যু নিশ্চিত। এবার লোকজন বাধ্য হয়ে নবী (সা.)-এর সাহাবিদের কাছে এসে বলল, ‘আপনাদের মধ্যে এমন কেউ কি আছে যে সাপের বিষ নামাতে জানে? আমাদের এক দলনেতাকে সাপে কামড় দিয়েছে।’
একজন সাহাবি বলে উঠলেন, ‘আমরা আপনাদের কাছ থেকে কোনো ভালো আচরণ পাইনি, তবু চেষ্টা করে দেখতে পারি। যদি তিনি সুস্থ হন, তবে এর বিনিময় কী হবে?’
লোকালয়ের লোকেরা বলল, ‘যে আমাদের দলনেতাকে সুস্থ করতে পারবে, তার জন্য ৩০টি বকরি পুরস্কারের ঘোষণা করা হয়েছে।’
সাহাবিরা রাজি হলেন। তাঁরা দলনেতার পাশে গিয়ে সুরা ফাতিহা তিলাওয়াত করা শুরু করলেন: ‘সব প্রশংসা শুধু আল্লাহর, যিনি জগৎসমূহ প্রতিপালন করেন। যিনি দয়াময় ও পরম দয়ালু। যিনি বিচার দিবসের মালিক। আমরা শুধু আপনারই ইবাদত করি এবং আপনার কাছে সাহায্য চাই। আপনি আমাদের সরল সঠিক পথ দেখান। তাদের পথ, যাদের আপনি অনুগ্রহ করেছেন। তবে তাদের পথে নয়, যাদের প্রতি আপনার শাস্তি বর্ষিত হয়েছে, যারা পথভ্রষ্ট। আমিন।’
সুরা ফাতিহার ফজিলত:
একবার মহানবী (সা.) একদল সাহাবিকে একটি সামরিক অভিযানে পাঠালেন। দীর্ঘদিনের পথ। পথে সাহাবিরা একটি লোকালয় খুঁজে পেলেন। তাঁরা ভাবলেন, কিছুদিন এখানে বিশ্রাম নেওয়া যাবে। লোকালয়ের মানুষ সাহাবিদের মোটেও ভালো চোখে দেখল না। তারা কোনো সাহায্য তো করলই না, তার ওপর খুবই রুক্ষ ও অমানবিক আচরণ করল। সাহাবিরা সিদ্ধান্ত নিলেন এখানে এক রাতের বেশি থাকা ঠিক হবে না। কাল সূর্যোদয়ের আগেই রওনা দিতে হবে।
সেই রাতে লোকালয়ের গোত্রপ্রধানকে এক বিষাক্ত সাপে কামড় দিল। লোকালয়ের চিকিৎসকেরা হাজার চেষ্টা করেও বিষ নামাতে পারল না। বিষ নামানো না গেলে মৃত্যু নিশ্চিত। এবার লোকজন বাধ্য হয়ে নবী (সা.)-এর সাহাবিদের কাছে এসে বলল, ‘আপনাদের মধ্যে এমন কেউ কি আছে যে সাপের বিষ নামাতে জানে? আমাদের এক দলনেতাকে সাপে কামড় দিয়েছে।’
একজন সাহাবি বলে উঠলেন, ‘আমরা আপনাদের কাছ থেকে কোনো ভালো আচরণ পাইনি, তবু চেষ্টা করে দেখতে পারি। যদি তিনি সুস্থ হন, তবে এর বিনিময় কী হবে?’
লোকালয়ের লোকেরা বলল, ‘যে আমাদের দলনেতাকে সুস্থ করতে পারবে, তার জন্য ৩০টি বকরি পুরস্কারের ঘোষণা করা হয়েছে।’
সুরা ফাতিহা: নিরাময়ের অনন্য ঘটনা
কিছু বর্ণনা অনুযায়ী, তারা সাতবার সুরা ফাতিহা তিলাওয়াত করেছিলেন। তারপর সামান্য থুতু নিয়ে ক্ষতস্থানে মেখে দিয়েছিলেন। কিছুক্ষণ পরই লোকালয়ের দলপতি সুস্থ অনুভব করতে লাগলেন। তিনি রোগমুক্ত হয়ে গেলেন। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সাহাবিদের ৩০টি বকরি পুরস্কার দেওয়া হলো।
ফিরে আসার পথে এক সাহাবির মনে হলো, আচ্ছা এ বকরিগুলো তো আল্লাহর আয়াত ব্যবহার করে পেয়েছি। এগুলো খাওয়া কি হালাল হবে?
এরপর সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিলেন, এখন কিছু করার দরকার নেই। আগে মদিনায় ফিরে যাওয়া যাক। মহানবী (সা.) এ ব্যাপারে কী বলেন, তা জানা প্রয়োজন। সাহাবিরা মহানবী (সা.)-এর কাছে গিয়ে সবকিছু খুলে বললেন।
মহানবী (সা.) এ ঘটনা শুনে অবাক হলেন। তিনি বললেন, ‘তোমরা কী করে জানলে যে সুরা ফাতিহা দিয়ে রোগের চিকিৎসা হয়? আমি তো এ ব্যাপারে কিছুই বলিনি।’
এরপর মহানবী (সা.) হাসতে হাসতে বললেন, ‘এগুলো সবার মধ্যে ভাগ করে দাও এবং আমার জন্য একটি অংশ রেখো।’
সাহাবিরা খুশি হয়ে চলে গেলেন এবং বকরিগুলো সবার মধ্যে বণ্টন করে দিলেন।
হাদিসটি আবু সাইদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত। বুখারি, মুসলিম, তিরমিজি ও ইবনে মাজাহ শরিফে হাদিসটি রয়েছে।
সুরা ফাতিহা
আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং একমাত্র তোমারই সাহায্য চাই।
You alone do we worship, and Your aid alone we seek.
0 notes
sazonlinenewsmedia · 4 months
Video
youtube
সূরা ফাতিহা, আয়াতুল কুরসি ও চার কুল তেলাওয়াত | Recitation Surah Fatiha, ...
0 notes
mustafiz123 · 7 months
Text
0 notes
muslim-shoilee · 2 months
Text
0 notes
wasaservice · 1 year
Video
youtube
WS 99 মৃত ব্যক্তির জন্য সূরা ফাতিহা ও কুলহু সূরা পড়ে বখশে দেয়ার যে নিয়...
0 notes
azharitvofficial · 1 year
Video
youtube
সূরা ফাতিহা তেলাওয়াত আপনাকে বাকরুদ্ধ করে দেবে #মুফতিমেঙ্ক #ফাতিহা #দুবাই
1 note · View note
ilyforallahswt · 4 months
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
▪ রব الرَّبُّ শব্দের অর্থ: প্রভু, প্রতিপালক, স্রষ্টা, পরিচালক, মালিক, অধিপতি ইত্যাদি।
▪ব্যাখ্যা: 
এটি মহান আল্লাহর একটি অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ নাম।
    তিনি সমগ্র বিশ্বচরাচরের স্রষ্টা, অধিপতি, পরিচালক এবং প্রতিপালক। তিনি সৃষ্টি জগতকে অসংখ্য নিয়ামত সহকারে প্রতিপালন করেন আর তার প্রিয়ভাজনদেরকে এমনভাবে প্রতিপালন করেন যেন তাদের অন্তরগুলো সঠিক পথে প্রতিষ্ঠিত থাকে।
   তিনিই সৃষ্টিকুলকে তাঁর নেয়ামতরাজি দিয়ে প্রতিপালন করেন, তাদেরকে ধীরে ধীরে গড়ে তোলেন। তিনি মুমিন বন্ধুদের অন্তর যেভাবে সংশোধন হয় সেভাবে যত্নসহকারে লালন-পালন করেন। তিনিই মালিক, স্রষ্টা, নেতা ও পরিচালক।
 ❑ কুরআনে এ নামটি ৯০০ বার উল্লেখিত হয়েছে।
❑ যেমন, আল্লাহ তায়ালা বলেন:
 الْحَمْدُ لِلَّـهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ
 “যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার যিনি সকল সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা।” (সূরা ফাতিহা: ২) 
রবের পরিচয় 
আল্লাহ আমার রব
Allah is my Lord
যারা বলে আল্লাহ আমাদের রব, অতঃপর তার ওপর দৃঢ় ও স্থির থাকে নিশ্চিত তাদের কাছে ফেরেশতারা আসে এবং তাদের বলে, ভীত হয়ো না, দুঃখ করো না এবং সেই জান্নাতের সুসংবাদ শুনে খুশি হও, তোমাদেরকে যার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে। আমরা এই দুনিয়ার জীবনেও তোমাদের বন্ধু এবং আখিরাতেও। সেখানে তোমরা যা চাইবে তা-ই পাবে। আর যে জিনিসেরই আকাক্সক্ষা করবে তা-ই লাভ করবে। (সূরা হামিম আস সাজদা : ৩০-৩১)
‘যারা আল্লাহকে রব হিসেবে ঘোষণা করেছে’ এ আয়াতটির ব্যাখ্যা ব্যাপক ও বিস্তৃত। আয়াতটিতে রব বলতে শুধু আক্ষরিক অর্থে রব বলা হয়নি যে, কেউ হঠাৎ করে আল্লাহকে রব হিসেবে ঘোষণা করে চুপ হয়ে গেল। আল্লাহকে ‘রব’ ঘোষণা করেই থেমে যায়নি এবং এ ভ্রান্তিতেও লিপ্ত হয়নি যে, আল্লাহকে রব বলে ঘোষণাও করেছে এবং তার সাথে অন্যদেরও রব হিসেবে গ্রহণ করেছে; বরং একবার এ আকিদা পোষণ করার পর সারা জীবন তার ওপর প্রতিষ্ঠিত থেকেছে, তার পরিপন্থী অন্য কোনো আকিদা গ্রহণ করেনি কিংবা এর সাথে কোনো বাতিল আকিদার সংমিশ্রণও ঘটায়নি এবং নিজের কর্মজীবনে তাওহিদের আকিদার দাবিগুলোও পূরণ করেছে।
youtube
youtube
youtube
আল্লাহ্‌ আমার রব্ব
আল্লাহ্‌ কে?
আল্লাহর পরিচয়, নাম ও গুণাবলী
আল্লাহ্‌:
একমাত্র প্রশংসাযোগ্য, সর্বশক্তিমান উপাস্যের প্রকৃত নাম।
আকাশ ও জমিনের সবই সৃষ্টি,
স্রষ্টা আল্লাহ্‌ একমাত্র ইলাহ,
জগতসমুহের সকল নিদর্শনে
সত্য কালেমা 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ'।
আল্লাহ্‌ তায়ালা আছেন আসমানে,
মহান আরশের উরধে সমুন্নত,
সবকিছু তাঁরই ক্ষমতা, জ্ঞান, দৃষ্টি ও নিয়ন্ত্রণে
কোথাও কিছু নেই আল্লাহ্‌র মতো।
সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ্‌র,
সকল ক্ষমতা ও সকল রাজত্ব,
সুন্দর নাম, পূর্ণ গুণ একমাত্র আল্লাহ্‌র ,
বিশুদ্ধ ও অবিভাজ্য তাঁরই একত্ব।
youtube
আল্লাহ একমাত্র সত্য উপাস্য।
আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান, একমাত্র উপাস্য। আল্লাহ একমাত্র সত্য মাবুদ। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য ইলাহ'/ 'সত্য উপাস্য' নেই। আল্লাহ তাঁর কর্মে-পরিচালনায়, প্রভুত্ব-কর্তৃত্বে, উপাস্যের যোগ্যতা-অধিকারে এক, অদ্বিতীয় অংশীদারমুক্ত। আল্লাহ তায়ালা আসমানে আরশের ঊরধে সমুন্নত আছেন। আল্লাহকে জানতে হবে তাঁর সুন্দর নাম 'আসমাউল হুসনা' ও পরিপূর্ণ সিফাত দ্বারা।  কোরআন আল্লাহর বাণী। মানবজাতির জন্য চূড়ান্ত পথ নির্দেশনা।
আল্লাহকে জানা হল সেই স্তম্ভ যেখানে ইসলাম সম্পূর্ণভাবে আবদ্ধ।
youtube
youtube
youtube
আল্লাহ একমাত্র 'সত্য মাবুদ’।
আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান এবং একমাত্র উপাস্য। আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য মাবুদ ' / 'সত্য ইলাহ' নেই। আল্লাহ তায়ালা আসমানে 'আরশের ঊর্ধ্বে সমুন্নত। আল্লাহকে জানুন তাঁর সুন্দরতম নাম ও পরিপূর্ণ গুণাবলী দ্বারা। কোরআন আল্লাহর বাণী। পবিত্র কুরআন মানবজাতির জন্য চূড়ান্ত প্রত্যাদেশ ও নির্দেশনা। আল্লাহকে জানা সেই স্তম্ভ যেখানে ইসলাম সম্পূর্ণভাবে আবদ্ধ।
youtube
youtube
youtube
আল্লাহর পরিচয়, নাম ও গুণাবলী
আল্লাহ একমাত্র সত্য উপাস্য।
আল্লাহ একমাত্র 'সত্য মাবুদ’।
Allah's Identity, Names and Attributes
আল্লাহ্‌ আমার রব্ব
Rabb in Quran
0 notes
myreligionislam · 4 months
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
▪ রব الرَّبُّ শব্দের অর্থ: প্রভু, প্রতিপালক, স্রষ্টা, পরিচালক, মালিক, অধিপতি ইত্যাদি।
▪ব্যাখ্যা: 
এটি মহান আল্লাহর একটি অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ নাম।
    তিনি সমগ্র বিশ্বচরাচরের স্রষ্টা, অধিপতি, পরিচালক এবং প্রতিপালক। তিনি সৃষ্টি জগতকে অসংখ্য নিয়ামত সহকারে প্রতিপালন করেন আর তার প্রিয়ভাজনদেরকে এমনভাবে প্রতিপালন করেন যেন তাদের অন্তরগুলো সঠিক পথে প্রতিষ্ঠিত থাকে।
   তিনিই সৃষ্টিকুলকে তাঁর নেয়ামতরাজি দিয়ে প্রতিপালন করেন, তাদেরকে ধীরে ধীরে গড়ে তোলেন। তিনি মুমিন বন্ধুদের অন্তর যেভাবে সংশোধন হয় সেভাবে যত্নসহকারে লালন-পালন করেন। তিনিই মালিক, স্রষ্টা, নেতা ও পরিচালক।
 ❑ কুরআনে এ নামটি ৯০০ বার উল্লেখিত হয়েছে।
❑ যেমন, আল্লাহ তায়ালা বলেন:
 الْحَمْدُ لِلَّـهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ
 “যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার যিনি সকল সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা।” (সূরা ফাতিহা: ২) 
রবের পরিচয় 
আল্লাহ আমার রব
Allah is my Lord
যারা বলে আল্লাহ আমাদের রব, অতঃপর তার ওপর দৃঢ় ও স্থির থাকে নিশ্চিত তাদের কাছে ফেরেশতারা আসে এবং তাদের বলে, ভীত হয়ো না, দুঃখ করো না এবং সেই জান্নাতের সুসংবাদ শুনে খুশি হও, তোমাদেরকে যার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে। আমরা এই দুনিয়ার জীবনেও তোমাদের বন্ধু এবং আখিরাতেও। সেখানে তোমরা যা চাইবে তা-ই পাবে। আর যে জিনিসেরই আকাক্সক্ষা করবে তা-ই লাভ করবে। (সূরা হামিম আস সাজদা : ৩০-৩১)
‘যারা আল্লাহকে রব হিসেবে ঘোষণা করেছে’ এ আয়াতটির ব্যাখ্যা ব্যাপক ও বিস্তৃত। আয়াতটিতে রব বলতে শুধু আক্ষরিক অর্থে রব বলা হয়নি যে, কেউ হঠাৎ করে আল্লাহকে রব হিসেবে ঘোষণা করে চুপ হয়ে গেল। আল্লাহকে ‘রব’ ঘোষণা করেই থেমে যায়নি এবং এ ভ্রান্তিতেও লিপ্ত হয়নি যে, আল্লাহকে রব বলে ঘোষণাও করেছে এবং তার সাথে অন্যদেরও রব হিসেবে গ্রহণ করেছে; বরং একবার এ আকিদা পোষণ করার পর সারা জীবন তার ওপর প্রতিষ্ঠিত থেকেছে, তার পরিপন্থী অন্য কোনো আকিদা গ্রহণ করেনি কিংবা এর সাথে কোনো বাতিল আকিদার সংমিশ্রণও ঘটায়নি এবং নিজের কর্মজীবনে তাওহিদের আকিদার দাবিগুলোও পূরণ করেছে।
youtube
youtube
youtube
আল্লাহ্‌ আমার রব্ব
আল্লাহ্‌ কে?
আল্লাহর পরিচয়, নাম ও গুণাবলী
আল্লাহ্‌:
একমাত্র প্রশংসাযোগ্য, সর্বশক্তিমান উপাস্যের প্রকৃত নাম।
আকাশ ও জমিনের সবই সৃষ্টি,
স্রষ্টা আল্লাহ্‌ একমাত্র ইলাহ,
জগতসমুহের সকল নিদর্শনে
সত্য কালেমা 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ'।
আল্লাহ্‌ তায়ালা আছেন আসমানে,
মহান আরশের উরধে সমুন্নত,
সবকিছু তাঁরই ক্ষমতা, জ্ঞান, দৃষ্টি ও নিয়ন্ত্রণে
কোথাও কিছু নেই আল্লাহ্‌র মতো।
সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ্‌র,
সকল ক্ষমতা ও সকল রাজত্ব,
সুন্দর নাম, পূর্ণ গুণ একমাত্র আল্লাহ্‌র ,
বিশুদ্ধ ও অবিভাজ্য তাঁরই একত্ব।
youtube
আল্লাহ একমাত্র সত্য উপাস্য।
আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান, একমাত্র উপাস্য। আল্লাহ একমাত্র সত্য মাবুদ। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য ইলাহ'/ 'সত্য উপাস্য' নেই। আল্লাহ তাঁর কর্মে-পরিচালনায়, প্রভুত্ব-কর্তৃত্বে, উপাস্যের যোগ্যতা-অধিকারে এক, অদ্বিতীয় অংশীদারমুক্ত। আল্লাহ তায়ালা আসমানে আরশের ঊরধে সমুন্নত আছেন। আল্লাহকে জানতে হবে তাঁর সুন্দর নাম 'আসমাউল হুসনা' ও পরিপূর্ণ সিফাত দ্বারা।  কোরআন আল্লাহর বাণী। মানবজাতির জন্য চূড়ান্ত পথ নির্দেশনা।
আল্লাহকে জানা হল সেই স্তম্ভ যেখানে ইসলাম সম্পূর্ণভাবে আবদ্ধ।
youtube
youtube
youtube
আল্লাহ একমাত্র 'সত্য মাবুদ’।
আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান এবং একমাত্র উপাস্য। আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য মাবুদ ' / 'সত্য ইলাহ' নেই। আল্লাহ তায়ালা আসমানে 'আরশের ঊর্ধ্বে সমুন্নত। আল্লাহকে জানুন তাঁর সুন্দরতম নাম ও পরিপূর্ণ গুণাবলী দ্বারা। কোরআন আল্লাহর বাণী। পবিত্র কুরআন মানবজাতির জন্য চূড়ান্ত প্রত্যাদেশ ও নির্দেশনা। আল্লাহকে জানা সেই স্তম্ভ যেখানে ইসলাম সম্পূর্ণভাবে আবদ্ধ।
youtube
youtube
youtube
আল্লাহর পরিচয়, নাম ও গুণাবলী
আল্লাহ একমাত্র সত্য উপাস্য।
আল্লাহ একমাত্র 'সত্য মাবুদ’।
Allah's Identity, Names and Attributes
আল্লাহ্‌ আমার রব্ব
Rabb in Quran
0 notes
allahisourrabb · 4 months
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
▪ রব الرَّبُّ শব্দের অর্থ: প্রভু, প্রতিপালক, স্রষ্টা, পরিচালক, মালিক, অধিপতি ইত্যাদি।
▪ব্যাখ্যা: 
এটি মহান আল্লাহর একটি অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ নাম।
    তিনি সমগ্র বিশ্বচরাচরের স্রষ্টা, অধিপতি, পরিচালক এবং প্রতিপালক। তিনি সৃষ্টি জগতকে অসংখ্য নিয়ামত সহকারে প্রতিপালন করেন আর তার প্রিয়ভাজনদেরকে এমনভাবে প্রতিপালন করেন যেন তাদের অন্তরগুলো সঠিক পথে প্রতিষ্ঠিত থাকে।
   তিনিই সৃষ্টিকুলকে তাঁর নেয়ামতরাজি দিয়ে প্রতিপালন করেন, তাদেরকে ধীরে ধীরে গড়ে তোলেন। তিনি মুমিন বন্ধুদের অন্তর যেভাবে সংশোধন হয় সেভাবে যত্নসহকারে লালন-পালন করেন। তিনিই মালিক, স্রষ্টা, নেতা ও পরিচালক।
 ❑ কুরআনে এ নামটি ৯০০ বার উল্লেখিত হয়েছে।
❑ যেমন, আল্লাহ তায়ালা বলেন:
 الْحَمْدُ لِلَّـهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ
 “যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার যিনি সকল সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা।” (সূরা ফাতিহা: ২) 
রবের পরিচয় 
আল্লাহ আমার রব
Allah is my Lord
যারা বলে আল্লাহ আমাদের রব, অতঃপর তার ওপর দৃঢ় ও স্থির থাকে নিশ্চিত তাদের কাছে ফেরেশতারা আসে এবং তাদের বলে, ভীত হয়ো না, দুঃখ করো না এবং সেই জান্নাতের সুসংবাদ শুনে খুশি হও, তোমাদেরকে যার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে। আমরা এই দুনিয়ার জীবনেও তোমাদের বন্ধু এবং আখিরাতেও। সেখানে তোমরা যা চাইবে তা-ই পাবে। আর যে জিনিসেরই আকাক্সক্ষা করবে তা-ই লাভ করবে। (সূরা হামিম আস সাজদা : ৩০-৩১)
‘যারা আল্লাহকে রব হিসেবে ঘোষণা করেছে’ এ আয়াতটির ব্যাখ্যা ব্যাপক ও বিস্তৃত। আয়াতটিতে রব বলতে শুধু আক্ষরিক অর্থে রব বলা হয়নি যে, কেউ হঠাৎ করে আল্লাহকে রব হিসেবে ঘোষণা করে চুপ হয়ে গেল। আল্লাহকে ‘রব’ ঘোষণা করেই থেমে যায়নি এবং এ ভ্রান্তিতেও লিপ্ত ���য়নি যে, আল্লাহকে রব বলে ঘোষণাও করেছে এবং তার সাথে অন্যদেরও রব হিসেবে গ্রহণ করেছে; বরং একবার এ আকিদা পোষণ করার পর সারা জীবন তার ওপর প্রতিষ্ঠিত থেকেছে, তার পরিপন্থী অন্য কোনো আকিদা গ্রহণ করেনি কিংবা এর সাথে কোনো বাতিল আকিদার সংমিশ্রণও ঘটায়নি এবং নিজের কর্মজীবনে তাওহিদের আকিদার দাবিগুলোও পূরণ করেছে।
youtube
youtube
youtube
আল্লাহ্‌ আমার রব্ব
আল্লাহ্‌ কে?
আল্লাহর পরিচয়, নাম ও গুণাবলী
আল্লাহ্‌:
একমাত্র প্রশংসাযোগ্য, সর্বশক্তিমান উপাস্যের প্রকৃত নাম।
আকাশ ও জমিনের সবই সৃষ্টি,
স্রষ্টা আল্লাহ্‌ একমাত্র ইলাহ,
জগতসমুহের সকল নিদর্শনে
সত্য কালেমা 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ'।
আল্লাহ্‌ তায়ালা আছেন আসমানে,
মহান আরশের উরধে সমুন্নত,
সবকিছু তাঁরই ক্ষমতা, জ্ঞান, দৃষ্টি ও নিয়ন্ত্রণে
কোথাও কিছু নেই আল্লাহ্‌র মতো।
সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ্‌র,
সকল ক্ষমতা ও সকল রাজত্ব,
সুন্দর নাম, পূর্ণ গুণ একমাত্র আল্লাহ্‌র ,
বিশুদ্ধ ও অবিভাজ্য তাঁরই একত্ব।
youtube
আল্লাহ একমাত্র সত্য উপাস্য।
আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান, একমাত্র উপাস্য। আল্লাহ একমাত্র সত্য মাবুদ। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য ইলাহ'/ 'সত্য উপাস্য' নেই। আল্লাহ তাঁর কর্মে-পরিচালনায়, প্রভুত্ব-কর্তৃত্বে, উপাস্যের যোগ্যতা-অধিকারে এক, অদ্বিতীয় অংশীদারমুক্ত। আল্লাহ তায়ালা আসমানে আরশের ঊরধে সমুন্নত আছেন। আল্লাহকে জানতে হবে তাঁর সুন্দর নাম 'আসমাউল হুসনা' ও পরিপূর্ণ সিফাত দ্বারা।  কোরআন আল্লাহর বাণী। মানবজাতির জন্য চূড়ান্ত পথ নির্দেশনা।
আল্লাহকে জানা হল সেই স্তম্ভ যেখানে ইসলাম সম্পূর্ণভাবে আবদ্ধ।
youtube
youtube
youtube
আল্লাহ একমাত্র 'সত্য মাবুদ’।
আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান এবং একমাত্র উপাস্য। আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য মাবুদ ' / 'সত্য ইলাহ' নেই। আল্লাহ তায়ালা আসমানে 'আরশের ঊর্ধ্বে সমুন্নত। আল্লাহকে জানুন তাঁর সুন্দরতম নাম ও পরিপূর্ণ গুণাবলী দ্বারা। কোরআন আল্লাহর বাণী। পবিত্র কুরআন মানবজাতির জন্য চূড়ান্ত প্রত্যাদেশ ও নির্দেশনা। আল্লাহকে জানা সেই স্তম্ভ যেখানে ইসলাম সম্পূর্ণভাবে আবদ্ধ।
youtube
youtube
youtube
আল্লাহর পরিচয়, নাম ও গুণাবলী
আল্লাহ একমাত্র সত্য উপাস্য।
আল্লাহ একমাত্র 'সত্য মাবুদ’।
Allah's Identity, Names and Attributes
আল্লাহ্‌ আমার রব্ব
Rabb in Quran
0 notes
mylordisallah · 4 months
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
▪ রব الرَّبُّ শব্দের অর্থ: প্রভু, প্রতিপালক, স্রষ্টা, পরিচালক, মালিক, অধিপতি ইত্যাদি।
▪ব্যাখ্যা: 
এটি মহান আল্লাহর একটি অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ নাম।
    তিনি সমগ্র বিশ্বচরাচরের স্রষ্টা, অধিপতি, পরিচালক এবং প্রতিপালক। তিনি সৃষ্টি জগতকে অসংখ্য নিয়ামত সহকারে প্রতিপালন করেন আর তার প্রিয়ভাজনদেরকে এমনভাবে প্রতিপালন করেন যেন তাদের অন্তরগুলো সঠিক পথে প্রতিষ্ঠিত থাকে।
   তিনিই সৃষ্টিকুলকে তাঁর নেয়ামতরাজি দিয়ে প্রতিপালন করেন, তাদেরকে ধীরে ধীরে গড়ে তোলেন। তিনি মুমিন বন্ধুদের অন্তর যেভাবে সংশোধন হয় সেভাবে যত্নসহকারে লালন-পালন করেন। তিনিই মালিক, স্রষ্টা, নেতা ও পরিচালক।
 ❑ কুরআনে এ নামটি ৯০০ বার উল্লেখিত হয়েছে।
❑ যেমন, আল্লাহ তায়ালা বলেন:
 الْحَمْدُ لِلَّـهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ
 “যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার যিনি সকল সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা।” (সূরা ফাতিহা: ২) 
রবের পরিচয় 
আল্লাহ আমার রব
Allah is my Lord
যারা বলে আল্লাহ আমাদের রব, অতঃপর তার ওপর দৃঢ় ও স্থির থাকে নিশ্চিত তাদের কাছে ফেরেশতারা আসে এবং তাদের বলে, ভীত হয়ো না, দুঃখ করো না এবং সেই জান্নাতের সুসংবাদ শুনে খুশি হও, তোমাদেরকে যার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে। আমরা এই দুনিয়ার জীবনেও তোমাদের বন্ধু এবং আখিরাতেও। সেখানে তোমরা যা চাইবে তা-ই পাবে। আর যে জিনিসেরই আকাক্সক্ষা করবে তা-ই লাভ করবে। (সূরা হামিম আস সাজদা : ৩০-৩১)
‘যারা আল্লাহকে রব হিসেবে ঘোষণা করেছে’ এ আয়াতটির ব্যাখ্যা ব্যাপক ও বিস্তৃত। আয়াতটিতে রব বলতে শুধু আক্ষরিক অর্থে রব বলা হয়নি যে, কেউ হঠাৎ করে আল্লাহকে রব হিসেবে ঘোষণা করে চুপ হয়ে গেল। আল্লাহকে ‘রব’ ঘোষণা করেই থেমে যায়নি এবং এ ভ্রান্তিতেও লিপ্ত হয়নি যে, আল্লাহকে রব বলে ঘোষণাও করেছে এবং তার সাথে অন্যদেরও রব হিসেবে গ্রহণ করেছে; বরং একবার এ আকিদা পোষণ করার পর সারা জীবন তার ওপর প্রতিষ্ঠিত থেকেছে, তার পরিপন্থী অন্য কোনো আকিদা গ্রহণ করেনি কিংবা এর সাথে কোনো বাতিল আকিদার সংমিশ্রণও ঘটায়নি এবং নিজের কর্মজীবনে তাওহিদের আকিদার দাবিগুলোও পূরণ করেছে।
youtube
youtube
youtube
আল্লাহ্‌ আমার রব্ব
আল্লাহ্‌ কে?
আল্লাহর পরিচয়, নাম ও গুণাবলী
আল্লাহ্‌:
একমাত্র প্রশংসাযোগ্য, সর্বশক্তিমান উপাস্যের প্রকৃত নাম।
আকাশ ও জমিনের সবই সৃষ্টি,
স্রষ্টা আল্লাহ্‌ একমাত্র ইলাহ,
জগতসমুহের সকল নিদর্শনে
সত্য কালেমা 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ'।
আল্লাহ্‌ তায়ালা আছেন আসমানে,
মহান আরশের উরধে সমুন্নত,
সবকিছু তাঁরই ক্ষমতা, জ্ঞান, দৃষ্টি ও নিয়ন্ত্রণে
কোথাও কিছু নেই আল্লাহ্‌র মতো।
সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ্‌র,
সকল ক্ষমতা ও সকল রাজত্ব,
সুন্দর নাম, পূর্ণ গুণ একমাত্র আল্লাহ্‌র ,
বিশুদ্ধ ও অবিভাজ্য তাঁরই একত্ব।
youtube
আল্লাহ একমাত্র সত্য উপাস্য।
আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান, একমাত্র উপাস্য। আল্লাহ একমাত্র সত্য মাবুদ। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য ইলাহ'/ 'সত্য উপাস্য' নেই। আল্লাহ তাঁর কর্মে-পরিচালনায়, প্রভুত্ব-কর্তৃত্বে, উপাস্যের যোগ্যতা-অধিকারে এক, অদ্বিতীয় অংশীদারমুক্ত। আল্লাহ তায়ালা আসমানে আরশের ঊরধে সমুন্নত আছেন। আল্লাহকে জানতে হবে তাঁর সুন্দর নাম 'আসমাউল হুসনা' ও পরিপূর্ণ সিফাত দ্বারা।  কোরআন আল্লাহর বাণী। মানবজাতির জন্য চূড়ান্ত পথ নির্দেশনা।
আল্লাহকে জানা হল সেই স্তম্ভ যেখানে ইসলাম সম্পূর্ণভাবে আবদ্ধ।
youtube
youtube
youtube
আল্লাহ একমাত্র 'সত্য মাবুদ’।
আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান এবং একমাত্র উপাস্য। আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য মাবুদ ' / 'সত্য ইলাহ' নেই। আল্লাহ তায়ালা আসমানে 'আরশের ঊর্ধ্বে সমুন্নত। আল্লাহকে জানুন তাঁর সুন্দরতম নাম ও পরিপূর্ণ গুণাবলী দ্বারা। কোরআন আল্লাহর বাণী। পবিত্র কুরআন মানবজাতির জন্য চূড়ান্ত প্রত্যাদেশ ও নির্দেশনা। আল্লাহকে জানা সেই স্তম্ভ যেখানে ইসলাম সম্পূর্ণভাবে আবদ্ধ।
youtube
youtube
youtube
আল্লাহর পরিচয়, নাম ও গুণাবলী
আল্লাহ একমাত্র সত্য উপাস্য।
আল্লাহ একমাত্র 'সত্য মাবুদ’।
Allah's Identity, Names and Attributes
আল্লাহ্‌ আমার রব্ব
Rabb in Quran
Allah is my Lord
0 notes
hasirgolpo · 1 year
Text
0 notes