যাকাত আদায়
Collection of Zakat
জাকাত কাকে বলে
প্রত্যেক স্বাধীন, পূর্ণবয়স্ক মুসলমান নর-নারীকে প্রতি বছর স্বীয় আয় ও সম্পত্তির একটি নির্দিষ্ট অংশ, যদি তা ইসলামী শরিয়ত নির্ধারিত সীমা (নিসাব পরিমাণ) অতিক্রম করে তবে, গরীব-দুঃস্থদের মধ্যে বিতরণের নিয়মকে যাকাত বলা হয়।
জাকাত: ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটির মৌলিক নিয়ম
জাকাত হল একটি ইসলামী অর্থ পরিভাষা যা একজন ব্যক্তিকে প্রতি বছর দাতব্য কাজের জন্য একটি নির্দিষ্ট অনুপাত সম্পদ দান করতে হয় এমন বাধ্যবাধকতাকে নির্দেশ করে।
জাকাত: ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটির মৌলিক নিয়ম
জাকাত হল একটি ইসলামী অর্থ পরিভাষা যা একজন ব্যক্তিকে প্রতি বছর দাতব্য কাজের জন্য একটি নির্দিষ্ট অনুপাত সম্পদ দান করতে হয় এমন বাধ্যবাধকতাকে নির্দেশ করে।
যাকাত কি?
যাকাত হল একটি দাতব্য সংস্থা যা আল্লাহ্ মুসলমানদেরকে তাদের অর্থ, সম্পত্তি এবং ফসলের উপর বাৎসরিক বা ফসল কাটার সময় দিতে বাধ্য করেন। যাকাত এর অর্থ প্রদান করা হয় আটটি শ্রেণির দরিদ্র, অরক্ষিত এবং যোগ্যদের জন্য যা আল্লাহ নিজেই কুরআনে উল্লেখ করেছেন (সূরা আল-তওবাহ, 9:60)। নবী মুহাম্মদ, তাঁর উপর শান্তি, জাকাতকে ইসলামের বিখ্যাত পাঁচটি স্তম্ভের তৃতীয় হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
(ফরয) স্বাদক্বাসমূহ শুধুমাত্র নিঃস্ব,অভাবগ্রস্ত এবং জাকাত (আদায়ের) কাজে নিযুক্ত কর্মচারীদের জন্য, যাদের মনকে ইসলামের প্রতি অনুরাগী করা আবশ্যক তাদের জন্য, দাসমুক্তির জন্য, ঋণগ্রস্তদের জন্য, আল্লাহর পথে (সংগ্রামকারী) ও (বিপদগ্রস্ত) মুসাফিরের জন্য। এ হল আল্লাহর পক্ষ হতে নির্ধারিত (ফরয বিধান)। আর আল্লাহ মহাজ্ঞানী, প্রজ্ঞাময়। আল কোরআন, সূরা তাওবা আয়াত ৬০
যাকাত ইসলামের প্রধান আর্থিক ইবাদাত। সুষম সমাজ গঠনের লক্ষ্যে এটি আল্লাহ প্রদত্ত ইসলামি অর্থব্যবস্থার মূলভিত্তি ও ইসলামের মৌল স্তম্ভের উল্লেখযোগ্য একটি বুনিয়াদ। ঈমানের পর সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও অপরিহার্য ইবাদাত হল সালাত ও যাকাত। কুরআন মাজীদে বহু স্থানে সালাত ও যাকাতের আদেশ করা হয়েছে এবং আল্লাহর অনুগত বান্দাদের জন্য অশেষ সাওয়াব, রহমত ও মাগফিরাতের পাশাপাশি আত্মশুদ্ধিরও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, “তোমরা সালাত আদায় কর এবং যাকাত প্রদান কর। তোমরা যে উত্তম কাজ নিজেদের জন্য অগ্রে প্রেরণ করবে তা আল্লাহর নিকটে পাবে। নিশ্চয়ই তোমরা যা কর আল্লাহ তা দেখছেন।” [সূরা বাকারা : ১১০]
আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন, “তোমরা সালাত আদায় কর, যাকাত দাও এবং রাসূলের আনুগত্য কর যাতে তোমরা অনুগ্রহভাজন হতে পার।’’ [সূরা নূর : ৫৬]
হাদস শরীফে একে ইসলামের সেতুবন্ধন বলা হয়েছে। কারণ, এটি ধনী ও গরীবের মাঝে অর্থনৈতিক সেতুবন্ধন। মুসলিম সমাজ থেকে দরিদ্রতা দূরীকরণে এবং সমাজে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনয়নে যাকাতের ভূমিকা অপরিসীম।
যাকাতের উপকারিতা
সম্পদের যাকাত আদায় করা মহান আল্লাহ তা‘আলার নির্দেশ। আল্লাহর সন্তুষ্টির অন্যতম মাধ্যম। পার্থিব কোন উপকারিতা থাকুক আর না থাকুক, আল্লাহর নির্দেশ পালনে মুমিন সর্বদা বাধ্য। তবে আল্লাহর কোন নির্দেশ-ই পার্থিব উপকারিতা মুক্ত নয়। তেমনি যাকাতের মাঝেও রয়েছে ধর্মীয় অনুশাসন পালনের পাশাপাশি পার্থিব অনেক উপকারিতা। আল্লাহ তা‘আলা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেছেন, “আল্লাহ তা‘আলা সুদকে নিশ্চিহ্ন করেন এবং দান খয়রাতকে বর্ধিত করেন। আল্লাহ পছন্দ করেন না কোন অবিশ্বাসী পাপীকে।” [ সূরা বাকারা : ২৭৬ ]
যাকাত যাদের দেওয়া যাবে
আল্লাহ তা‘আলা বলেন, “যাকাত তো কেবল নিঃস্ব, অভাবগ্রস্ত ও যাকাতের কাজে নিযুক্ত ব্যক্তিদের জন্য, যাদের মনোরঞ্জন উদ্দেশ্য তাদের জন্য, দাসমুক্তির জন্য, ঋণগ্রস্তদের জন্য, আল্লাহর পথে জিহাদকারী ও মুসাফিরের জন্য। এ আল্লাহর বিধান। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।” [সূরা তাওবা : ৬০]
আবদুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের দিকে এগিয়ে এসে বলেনঃ হে মুহাজিরগণ! তোমরা পাঁচটি বিষয়ে পরীক্ষার সম্মুখীন হবে। তবে আমি আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি যেন তোমরা তার সম্মুখীন না হও। যখন কোন জাতির মধ্যে প্রকাশ্যে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ে তখন সেখানে মহামারী আকারে প্লেগরোগের প্রাদুর্ভাব হয়। তাছাড়া এমন সব ব্যাধির উদ্ভব হয়, যা পূর্বেকার লোকেদের মধ্যে কখনো দেখা যায়নি। যখন কোন জাতি ওযন ও পরিমাপে কারচুপি করে তখন তাদের উপর নেমে আসে দুর্ভিক্ষ, শাসকের তরফ থেকে অত্যাচার কঠিন বিপদ-মুসীবত এবং যখন যাকাত আদায় করে না তখন আসমান থেকে বৃষ্টি বর্ষণ বন্ধ করে দেয়া হয়। যদি ভূ-পৃষ্ঠে চতুস্পদ জন্তু ও নির্বাক প্রাণী না থাকতো তাহলে আর কখনো বৃষ্টিপাত হতো না। যখন কোন জাতি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অঙ্গীকার ভঙ্গ করে, তখন আল্লাহ তাদের উপর তাদের বিজাতীয় দুশমনকে ক্ষমতাশীন করেন এবং সে তাদের সহায়-সম্পদ কেড়ে নেয়। যখন তোমাদের শাসকবর্গ আল্লাহর কিতাব মোতাবেক মীমাংসা করে না এবং আল্লাহর নাযিলকৃত বিধানকে গ্রহণ করে না, তখন আল্লাহ তাদের পরস্পরের মধ্যে যুদ্ধ বাঁধিয়ে দেন।
জাকাত: ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটির মৌলিক নিয়ম
আপনার উপর যাকাত ফরয হয়েছে কিভাবে বুঝবেন │
যেসব সম্পদের ওপর যাকাত ফরজ
স্বর্ণের যাকাত।
যাকাতের হিসাব নিয়ে সকল সমস্যার সমাধান
যাকাত আদায়
Collection of Zakat
জাকাত: ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটির মৌলিক নিয়ম
0 notes
যাকাত আদায়
Collection of Zakat
জাকাত কাকে বলে
প্রত্যেক স্বাধীন, পূর্ণবয়স্ক মুসলমান নর-নারীকে প্রতি বছর স্বীয় আয় ও সম্পত্তির একটি নির্দিষ্ট অংশ, যদি তা ইসলামী শরিয়ত নির্ধারিত সীমা (নিসাব পরিমাণ) অতিক্রম করে তবে, গরীব-দুঃস্থদের মধ্যে বিতরণের নিয়মকে যাকাত বলা হয়।
জাকাত: ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটির মৌলিক নিয়ম
জাকাত হল একটি ইসলামী অর্থ পরিভাষ�� যা একজন ব্যক্তিকে প্রতি বছর দাতব্য কাজের জন্য একটি নির্দিষ্ট অনুপাত সম্পদ দান করতে হয় এমন বাধ্যবাধকতাকে নির্দেশ করে।
জাকাত: ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটির মৌলিক নিয়ম
জাকাত হল একটি ইসলামী অর্থ পরিভাষা যা একজন ব্যক্তিকে প্রতি বছর দাতব্য কাজের জন্য একটি নির্দিষ্ট অনুপাত সম্পদ দান করতে হয় এমন বাধ্যবাধকতাকে নির্দেশ করে।
যাকাত কি?
যাকাত হল একটি দাতব্য সংস্থা যা আল্লাহ্ মুসলমানদেরকে তাদের অর্থ, সম্পত্তি এবং ফসলের উপর বাৎসরিক বা ফসল কাটার সময় দিতে বাধ্য করেন। যাকাত এর অর্থ প্রদান করা হয় আটটি শ্রেণির দরিদ্র, অরক্ষিত এবং যোগ্যদের জন্য যা আল্লাহ নিজেই কুরআনে উল্লেখ করেছেন (সূরা আল-তওবাহ, 9:60)। নবী মুহাম্মদ, তাঁর উপর শান্তি, জাকাতকে ইসলামের বিখ্যাত পাঁচটি স্তম্ভের তৃতীয় হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
(ফরয) স্বাদক্বাসমূহ শুধুমাত্র নিঃস্ব,অভাবগ্রস্ত এবং জাকাত (আদায়ের) কাজে নিযুক্ত কর্মচারীদের জন্য, যাদের মনকে ইসলামের প্রতি অনুরাগী করা আবশ্যক তাদের জন্য, দাসমুক্তির জন্য, ঋণগ্রস্তদের জন্য, আল্লাহর পথে (সংগ্রামকারী) ও (বিপদগ্রস্ত) মুসাফিরের জন্য। এ হল আল্লাহর পক্ষ হতে নির্ধারিত (ফরয বিধান)। আর আল্লাহ মহাজ্ঞানী, প্রজ্ঞাময়। আল কোরআন, সূরা তাওবা আয়াত ৬০
যাকাত ইসলামের প্রধান আর্থিক ইবাদাত। সুষম সমাজ গঠনের লক্ষ্যে এটি আল্লাহ প্রদত্ত ইসলামি অর্থব্যবস্থার মূলভিত্তি ও ইসলামের মৌল স্তম্ভের উল্লেখযোগ্য একটি বুনিয়াদ। ঈমানের পর সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও অপরিহার্য ইবাদাত হল সালাত ও যাকাত। কুরআন মাজীদে বহু স্থানে সালাত ও যাকাতের আদেশ করা হয়েছে এবং আল্লাহর অনুগত বান্দাদের জন্য অশেষ সাওয়াব, রহমত ও মাগফিরাতের পাশাপাশি আত্মশুদ্ধিরও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, “তোমরা সালাত আদায় কর এবং যাকাত প্রদান কর। তোমরা যে উত্তম কাজ নিজেদের জন্য অগ্রে প্রেরণ করবে তা আল্লাহর নিকটে পাবে। নিশ্চয়ই তোমরা যা কর আল্লাহ তা দেখছেন।” [সূরা বাকারা : ১১০]
আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন, “তোমরা সালাত আদায় কর, যাকাত দাও এবং রাসূলের আনুগত্য কর যাতে তোমরা অনুগ্রহভাজন হতে পার।’’ [সূরা নূর : ৫৬]
হাদস শরীফে একে ইসলামের সেতুবন্ধন বলা হয়েছে। কারণ, এটি ধনী ও গরীবের মাঝে অর্থনৈতিক সেতুবন্ধন। মুসলিম সমাজ থেকে দরিদ্রতা দূরীকরণে এবং সমাজে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনয়নে যাকাতের ভূমিকা অপরিসীম।
যাকাতের উপকারিতা
সম্পদের যাকাত আদায় করা মহান আল্লাহ তা‘আলার নির্দেশ। আল্লাহর সন্তুষ্টির অন্যতম মাধ্যম। পার্থিব কোন উপকারিতা থাকুক আর না থাকুক, আল্লাহর নির্দেশ পালনে মুমিন সর্বদা বাধ্য। তবে আল্লাহর কোন নির্দেশ-ই পার্থিব উপকারিতা মুক্ত নয়। তেমনি যাকাতের মাঝেও রয়েছে ধর্মীয় অনুশাসন পালনের পাশাপাশি পার্থিব অনেক উপকারিতা। আল্লাহ তা‘আলা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেছেন, “আল্লাহ তা‘আলা সুদকে নিশ্চিহ্ন করেন এবং দান খয়রাতকে বর্ধিত করেন। আল্লাহ পছন্দ করেন না কোন অবিশ্বাসী পাপীকে।” [ সূরা বাকারা : ২৭৬ ]
যাকাত যাদের দেওয়া যাবে
আল্লাহ তা‘আলা বলেন, “যাকাত তো কেবল নিঃস্ব, অভাবগ্রস্ত ও যাকাতের কাজে নিযুক্ত ব্যক্তিদের জন্য, যাদের মনোরঞ্জন উদ্দেশ্য তাদের জন্য, দাসমুক্তির জন্য, ঋণগ্রস্তদের জন্য, আল্লাহর পথে জিহাদকারী ও মুসাফিরের জন্য। এ আল্লাহর বিধান। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।” [সূরা তাওবা : ৬০]
আবদুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের দিকে এগিয়ে এসে বলেনঃ হে মুহাজিরগণ! তোমরা পাঁচটি বিষয়ে পরীক্ষার সম্মুখীন হবে। তবে আমি আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি যেন তোমরা তার সম্মুখীন না হও। যখন কোন জাতির মধ্যে প্রকাশ্যে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ে তখন সেখানে মহামারী আকারে প্লেগরোগের প্রাদুর্ভাব হয়। তাছাড়া এমন সব ব্যাধির উদ্ভব হয়, যা পূর্বেকার লোকেদের মধ্যে কখনো দেখা যায়নি। যখন কোন জাতি ওযন ও পরিমাপে কারচুপি করে তখন তাদের উপর নেমে আসে দুর্ভিক্ষ, শাসকের তরফ থেকে অত্যাচার কঠিন বিপদ-মুসীবত এবং যখন যাকাত আদায় করে না তখন আসমান থেকে বৃষ্টি বর্ষণ বন্ধ করে দেয়া হয়। যদি ভূ-পৃষ্ঠে চতুস্পদ জন্তু ও নির্বাক প্রাণী না থাকতো তাহলে আর কখনো বৃষ্টিপাত হতো না। যখন কোন জাতি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অঙ্গীকার ভঙ্গ করে, তখন আল্লাহ তাদের উপর তাদের বিজাতীয় দুশমনকে ক্ষমতাশীন করেন এবং সে তাদের সহায়-সম্পদ কেড়ে নেয়। যখন তোমাদের শাসকবর্গ আল্লাহর কিতাব মোতাবেক মীমাংসা করে না এবং আল্লাহর নাযিলকৃত বিধানকে গ্রহণ করে না, তখন আল্লাহ তাদের পরস্পরের মধ্যে যুদ্ধ বাঁধিয়ে দেন।
জাকাত: ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটির মৌলিক নিয়ম
আপনার উপর যাকাত ফরয হয়েছে কিভাবে বুঝবেন │
যেসব সম্পদের ওপর যাকাত ফরজ
স্বর্ণের যাকাত।
যাকাতের হিসাব নিয়ে সকল সমস্যার সমাধান
যাকাত আদায়
Collection of Zakat
জাকাত: ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটির মৌলিক নিয়ম
0 notes
যাকাত আদায়
Collection of Zakat
জাকাত কাকে বলে
প্রত্যেক স্বাধীন, পূর্ণবয়স্ক মুসলমান নর-নারীকে প্রতি বছর স্বীয় আয় ও সম্পত্তির একটি নির্দিষ্ট অংশ, যদি তা ইসলামী শরিয়ত নির্ধারিত সীমা (নিসাব পরিমাণ) অতিক্রম করে তবে, গরীব-দুঃস্থদের মধ্যে বিতরণের নিয়মকে যাকাত বলা হয়।
জাকাত: ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটির মৌলিক নিয়ম
জাকাত হল একটি ইসলামী অর্থ পরিভাষা যা একজন ব্যক্তিকে প্রতি বছর দাতব্য কাজের জন্য একটি নির্দিষ্ট অনুপাত সম্পদ দান করতে হয় এমন বাধ্যবাধকতাকে নির্দেশ করে।
জাকাত: ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটির মৌলিক নিয়ম
জাকাত হল একটি ইসলামী অর্থ পরিভাষা যা একজন ব্যক্তিকে প্রতি বছর দাতব্য কাজের জন্য একটি নির্দিষ্ট অনুপাত সম্পদ দান করতে হয় এমন বাধ্যবাধকতাকে নির্দেশ করে।
যাকাত কি?
যাকাত হল একটি দাতব্য সংস্থা যা আল্লাহ্ মুসলমানদেরকে তাদের অর্থ, সম্পত্তি এবং ফসলের উপর বাৎসরিক বা ফসল কাটার সময় দিতে বাধ্য করেন। যাকাত এর অর্থ প্রদান করা হয় আটটি শ্রেণির দরিদ্র, অরক্ষিত এবং যোগ্যদের জন্য যা আল্লাহ নিজেই কুরআনে উল্লেখ করেছেন (সূরা আল-তওবাহ, 9:60)। নবী মুহাম্মদ, তাঁর উপর শান্তি, জাকাতকে ইসলামের বিখ্যাত পাঁচটি স্তম্ভের তৃতীয় হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
(ফরয) স্বাদক্বাসমূহ শুধুমাত্র নিঃস্ব,অভাবগ্রস্ত এবং জাকাত (আদায়ের) কাজে নিযুক্ত কর্মচারীদের জন্য, যাদের মনকে ইসলামের প্রতি অনুরাগী করা আবশ্যক তাদের জন্য, দাসমুক্তির জন্য, ঋণগ্রস্তদের জন্য, আল্লাহর পথে (সংগ্রামকারী) ও (বিপদগ্রস্ত) মুসাফিরের জন্য। এ হল আল্লাহর পক্ষ হতে নির্ধারিত (ফরয বিধান)। আর আল্লাহ মহাজ্ঞানী, প্রজ্ঞাময়। আল কোরআন, সূরা তাওবা আয়াত ৬০
যাকাত ইসলামের প্রধান আর্থিক ইবাদাত। সুষম সমাজ গঠনের লক্ষ্যে এটি আল্লাহ প্রদত্ত ইসলামি অর্থব্যবস্থার মূলভিত্তি ও ইসলামের মৌল স্তম্ভের উল্লেখযোগ্য একটি বুনিয়াদ। ঈমানের পর সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও অপরিহার্য ইবাদাত হল সালাত ও যাকাত। কুরআন মাজীদে বহু স্থানে সালাত ও যাকাতের আদেশ করা হয়েছে এবং আল্লাহর অনুগত বান্দাদের জন্য অশেষ সাওয়াব, রহমত ও মাগফিরাতের পাশাপাশি আত্মশুদ্ধিরও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, “তোমরা সালাত আদায় কর এবং যাকাত প্রদান কর। তোমরা যে উত্তম কাজ নিজেদের জন্য অগ্রে প্রেরণ করবে তা আল্লাহর নিকটে পাবে। নিশ্চয়ই তোমরা যা কর আল্লাহ তা দেখছেন।” [সূরা বাকারা : ১১০]
আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন, “তোমরা সালাত আদায় কর, যাকাত দাও এবং রাসূলের আনুগত্য কর যাতে তোমরা অনুগ্রহভাজন হতে পার।’’ [সূরা নূর : ৫৬]
হাদস শরীফে একে ইসলামের সেতুবন্ধন বলা হয়েছে। কারণ, এটি ধনী ও গরীবের মাঝে অর্থনৈতিক সেতুবন্ধন। মুসলিম সমাজ থেকে দরিদ্রতা দূরীকরণে এবং সমাজে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনয়নে যাকাতের ভূমিকা অপরিসীম।
যাকাতের উপকারিতা
সম্পদের যাকাত আদায় করা মহান আল্লাহ তা‘আলার নির্দেশ। আল্লাহর সন্তুষ্টির অন্যতম মাধ্যম। পার্থিব কোন উপকারিতা থাকুক আর না থাকুক, আল্লাহর নির্দেশ পালনে মুমিন সর্বদা বাধ্য। তবে আল্লাহর কোন নির্দেশ-ই পার্থিব উপকারিতা মুক্ত নয়। তেমনি যাকাতের মাঝেও রয়েছে ধর্মীয় অনুশাসন পালনের পাশাপাশি পার্থিব অনেক উপকারিতা। আল্লাহ তা‘আলা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেছেন, “আল্লাহ তা‘আলা সুদকে নিশ্চিহ্ন করেন এবং দান খয়রাতকে বর্ধিত করেন। আল্লাহ পছন্দ করেন না কোন অবিশ্বাসী পাপীকে।” [ সূরা বাকারা : ২৭৬ ]
যাকাত যাদের দেওয়া যাবে
আল্লাহ তা‘আলা বলেন, “যাকাত তো কেবল নিঃস্ব, অভাবগ্রস্ত ও যাকাতের কাজে নিযুক্ত ব্যক্তিদের জন্য, যাদের মনোরঞ্জন উদ্দেশ্য তাদের জন্য, দাসমুক্তির জন্য, ঋণগ্রস্তদের জন্য, আল্লাহর পথে জিহাদকারী ও মুসাফিরের জন্য। এ আল্লাহর বিধান। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।” [সূরা তাওবা : ৬০]
আবদুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের দিকে এগিয়ে এসে বলেনঃ হে মুহাজিরগণ! তোমরা পাঁচটি বিষয়ে পরীক্ষার সম্মুখীন হবে। তবে আমি আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি যেন তোমরা তার সম্মুখীন না হও। যখন কোন জাতির মধ্যে প্রকাশ্যে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ে তখন সেখানে মহামারী আকারে প্লেগরোগের প্রাদুর্ভাব হয়। তাছাড়া এমন সব ব্যাধির উদ্ভব হয়, যা পূর্বেকার লোকেদের মধ্যে কখনো দেখা যায়নি। যখন কোন জাতি ওযন ও পরিমাপে কারচুপি করে তখন তাদের উপর নেমে আসে দুর্ভিক্ষ, শাসকের তরফ থেকে অত্যাচার কঠিন বিপদ-মুসীবত এবং যখন যাকাত আদায় করে না তখন আসমান থেকে বৃষ্টি বর্ষণ বন্ধ করে দেয়া হয়। যদি ভূ-পৃষ্ঠে চতুস্পদ জন্তু ও নির্বাক প্রাণী না থাকতো তাহলে আর কখনো বৃষ্টিপাত হতো না। যখন কোন জাতি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অঙ্গীকার ভঙ্গ করে, তখন আল্লাহ তাদের উপর তাদের বিজাতীয় দুশমনকে ক্ষমতাশীন করেন এবং সে তাদের সহায়-সম্পদ কেড়ে নেয়। যখন তোমাদের শাসকবর্গ আল্লাহর কিতাব মোতাবেক মীমাংসা করে না এবং আল্লাহর নাযিলকৃত বিধানকে গ্রহণ করে না, তখন আল্লাহ তাদের পরস্পরের মধ্যে যুদ্ধ বাঁধিয়ে দেন।
জাকাত: ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটির মৌলিক নিয়ম
আপনার উপর যাকাত ফরয হয়েছে কিভাবে বুঝবেন │
যেসব সম্পদের ওপর যাকাত ফরজ
স্বর্ণের যাকাত।
যাকাতের হিসাব নিয়ে সকল সমস্যার সমাধান
যাকাত আদায়
Collection of Zakat
জাকাত: ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটির মৌলিক নিয়ম
0 notes
যাকাত আদায়
Collection of Zakat
জাকাত কাকে বলে
প্রত্যেক স্বাধীন, পূর্ণবয়স্ক মুসলমান নর-নারীকে প্রতি বছর স্বীয় আয় ও সম্পত্তির একটি নির্দিষ্ট অংশ, যদি তা ইসলামী শরিয়ত নির্ধারিত সীমা (নিসাব পরিমাণ) অতিক্রম করে তবে, গরীব-দুঃস্থদের মধ্যে বিতরণের নিয়মকে যাকাত বলা হয়।
জাকাত: ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটির মৌলিক নিয়ম
জাকাত হল একটি ইসলামী অর্থ পরিভাষা যা একজন ব্যক্তিকে প্রতি বছর দাতব্য কাজের জন্য একটি নির্দিষ্ট অনুপাত সম্পদ দান করতে হয় এমন বাধ্যবাধকতাকে নির্দেশ করে।
জাকাত: ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটির মৌলিক নিয়ম
জাকাত হল একটি ইসলামী অর্থ পরিভাষা যা একজন ব্যক্তিকে প্রতি বছর দাতব্য কাজের জন্য একটি নির্দিষ্ট অনুপাত সম্পদ দান করতে হয় এমন বাধ্যবাধকতাকে নির্দেশ করে।
যাকাত কি?
যাকাত হল একটি দাতব্য সংস্থা যা আল্লাহ্ মুসলমানদেরকে তাদের অর্থ, সম্পত্তি এবং ফসলের উপর বাৎসরিক বা ফসল কাটার সময় দিতে বাধ্য করেন। যাকাত এর অর্থ প্রদান করা হয় আটটি শ্রেণির দরিদ্র, অরক্ষিত এবং যোগ্যদের জন্য যা আল্লাহ নিজেই কুরআনে উল্লেখ করেছেন (সূরা আল-তওবাহ, 9:60)। নবী মুহাম্মদ, তাঁর উপর শান্তি, জাকাতকে ইসলামের বিখ্যাত পাঁচটি স্তম্ভের তৃতীয় হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
(ফরয) স্বাদক্বাসমূহ শুধুমাত্র নিঃস্ব,অভাবগ্রস্ত এবং জাকাত (আদায়ের) কাজে নিযুক্ত কর্মচারীদের জন্য, যাদের মনকে ইসলামের প্রতি অনুরাগী করা আবশ্যক তাদের জন্য, দাসমুক্তির জন্য, ঋণগ্রস্তদের জন্য, আল্লাহর পথে (সংগ্রামকারী) ও (বিপদগ্রস্ত) মুসাফিরের জন্য। এ হল আল্লাহর পক্ষ হতে নির্ধারিত (ফরয বিধান)। আর আল্লাহ মহাজ্ঞানী, প্রজ্ঞাময়। আল কোরআন, সূরা তাওবা আয়াত ৬০
যাকাত ইসলামের প্রধান আর্থিক ইবাদাত। সুষম সমাজ গঠনের লক্ষ্যে এটি আল্লাহ প্রদত্ত ইসলামি অর্থব্যবস্থার মূলভিত্তি ও ইসলামের মৌল স্তম্ভের উল্লেখযোগ্য একটি বুনিয়াদ। ঈমানের পর সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও অপরিহার্য ইবাদাত হল সালাত ও যাকাত। কুরআন মাজীদে বহু স্থানে সালাত ও যাকাতের আদেশ করা হয়েছে এবং আল্লাহর অনুগত বান্দাদের জন্য অশেষ সাওয়াব, রহমত ও মাগফিরাতের পাশাপাশি আত্মশুদ্ধিরও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, “তোমরা সালাত আদায় কর এবং যাকাত প্রদান কর। তোমরা যে উত্তম কাজ নিজেদের জন্য অগ্রে প্রেরণ করবে তা আল্লাহর নিকটে পাবে। নিশ্চয়ই তোমরা যা কর আল্লাহ তা দেখছেন।” [সূরা বাকারা : ১১০]
আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন, “তোমরা সালাত আদায় কর, যাকাত দাও এবং রাসূলের আনুগত্য কর যাতে তোমরা অনুগ্রহভাজন হতে পার।’’ [সূরা নূর : ৫৬]
হাদস শরীফে একে ইসলামের সেতুবন্ধন বলা হয়েছে। কারণ, এটি ধনী ও গরীবের মাঝে অর্থনৈতিক সেতুবন্ধন। মুসলিম সমাজ থেকে দরিদ্রতা দূরীকরণে এবং সমাজে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনয়নে যাকাতের ভূমিকা অপরিসীম।
যাকাতের উপকারিতা
সম্পদের যাকাত আদায় করা মহান আল্লাহ তা‘আলার নির্দেশ। আল্লাহর সন্তুষ্টির অন্যতম মাধ্যম। পার্থিব কোন উপকারিতা থাকুক আর না থাকুক, আল্লাহর নির্দেশ পালনে মুমিন সর্বদা বাধ্য। তবে আল্লাহর কোন নির্দেশ-ই পার্থিব উপকারিতা মুক্ত নয়। তেমনি যাকাতের মাঝেও রয়েছে ধর্মীয় অনুশাসন পালনের পাশাপাশি পার্থিব অনেক উপকারিতা। আল্লাহ তা‘আলা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেছেন, “আল্লাহ তা‘আলা সুদকে নিশ্চিহ্ন করেন এবং দান খয়রাতকে বর্ধিত করেন। আল্লাহ পছন্দ করেন না কোন অবিশ্বাসী পাপীকে।” [ সূরা বাকারা : ২৭৬ ]
যাকাত যাদের দেওয়া যাবে
আল্লাহ তা‘আলা বলেন, “যাকাত তো কেবল নিঃস্ব, অভাবগ্রস্ত ও যাকাতের কাজে নিযুক্ত ব্যক্তিদের জন্য, যাদের মনোরঞ্জন উদ্দেশ্য তাদের জন্য, দাসমুক্তির জন্য, ঋণগ্রস্তদের জন্য, আল্লাহর পথে জিহাদকারী ও মুসাফিরের জন্য। এ আল্লাহর বিধান। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।” [সূরা তাওবা : ৬০]
আবদুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের দিকে এগিয়ে এসে বলেনঃ হে মুহাজিরগণ! তোমরা পাঁচটি বিষয়ে পরীক্ষার সম্মুখীন হবে। তবে আমি আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি যেন তোমরা তার সম্মুখীন না হও। যখন কোন জাতির মধ্যে প্রকাশ্যে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ে তখন সেখানে মহামারী আকারে প্লেগরোগের প্রাদুর্ভাব হয়। তাছাড়া এমন সব ব্যাধির উদ্ভব হয়, যা পূর্বেকার লোকেদের মধ্যে কখনো দেখা যায়নি। যখন কোন জাতি ওযন ও পরিমাপে কারচুপি করে তখন তাদের উপর নেমে আসে দুর্ভিক্ষ, শাসকের তরফ থেকে অত্যাচার কঠিন বিপদ-মুসীবত এবং যখন যাকাত আদায় করে না তখন আসমান থেকে বৃষ্টি বর্ষণ বন্ধ করে দেয়া হয়। যদি ভূ-পৃষ্ঠে চতুস্পদ জন্তু ও নির্বাক প্রাণী না থাকতো তাহলে আর কখনো বৃষ্টিপাত হতো না। যখন কোন জাতি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অ��্গীকার ভঙ্গ করে, তখন আল্লাহ তাদের উপর তাদের বিজাতীয় দুশমনকে ক্ষমতাশীন করেন এবং সে তাদের সহায়-সম্পদ কেড়ে নেয়। যখন তোমাদের শাসকবর্গ আল্লাহর কিতাব মোতাবেক মীমাংসা করে না এবং আল্লাহর নাযিলকৃত বিধানকে গ্রহণ করে না, তখন আল্লাহ তাদের পরস্পরের মধ্যে যুদ্ধ বাঁধিয়ে দেন।
জাকাত: ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটির মৌলিক নিয়ম
আপনার উপর যাকাত ফরয হয়েছে কিভাবে বুঝবেন │
যেসব সম্পদের ওপর যাকাত ফরজ
স্বর্ণের যাকাত।
যাকাতের হিসাব নিয়ে সকল সমস্যার সমাধান
যাকাত আদায়
Collection of Zakat
জাকাত: ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটির মৌলিক নিয়ম
0 notes
#AlKabir_Islamic
#SaintRampalJi
আপনারা রমজানের দিনগুলিতে বিশেষ দান (জাকাত) করেন । কিন্তু আপনি কি জানেন, সদগুরুর (সত্য নবীর) অনুসারে দান করলেই লাভ পাওয়া সম্ভব, অন্যথায় নয় ।
22 notes
·
View notes
#AlKabir_Islamic
#SaintRampalJi
আপনারা রমজানের দিনগুলিতে বিশেষ দান (জাকাত) করেন । কিন্তু আপনি কি জানেন, সদগুরুর (সত্য নবীর) অনুসারে দান করলেই লাভ পাওয়া সম্ভব, অন্যথায় নয় ।
0 notes
#AlKabir_Islamic
#SaintRampalJi
আপনারা রমজানের দিনগুলিতে বিশেষ দান (জাকাত) করেন । কিন্তু আপনি কি জানেন, সদগুরুর (সত্য নবীর) অনুসারে দান করলেই লাভ পাওয়া সম্ভব, অন্যথায় নয় ।
0 notes
#AlKabir_Islamic
#SaintRampalJi
আপনারা রমজানের দিনগুলিতে বিশেষ দান (জাকাত) করেন । কিন্তু আপনি কি জানেন, সদগুরুর (সত্য নবীর) অনুসারে দান করলেই লাভ পাওয়া সম্ভব, অন্যথায় নয় ।
0 notes
তৃণমুল কিভাবে আদিবাসীদের ক্ষোভকে দূর করবে ? কাজের দাবীতে বিক্ষোভ
মহুয়া ঘোষাল দুর্গাপুর
কাজের দাবিতে কারখানার গেটের সামনে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বিক্ষোভে বসলো আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষরা।
শুক্রবার সকাল ১১ টা নাগাদ কাঁকসার আকন্দরা এলাকার একটি বেসরকারি গ্যাস উত্তোলন সংস্থার গেটের সামনে ভারত জাকাত মাঝি পরগনার পক্ষ থেকে কারখানার গেট বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখায় তারা।
তাদের অভিযোগ তৃণমূলের সাথে যুক্ত দের কাজে যোগদান করানো হলেও এলাকার বেকার আদিবাসী যুবকদের কাজে…
View On WordPress
0 notes
রমজানের প্রভাব মুমিনের জীবনজুড়ে থাকে
The effect of Ramadan lasts throughout the life of a believer
রমজানের প্রভাব মুমিনের জীবনজুড়ে থাকে
‘শবে কদর’ রমজানের অনন্য উপহার। এ মাসে রয়েছে শবে কদর বা এমন একটি রাত, যা হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। যা লাইলাতুল কদর বা শবে কদর নামে পরিচিত। হাজার মাস মানে সোয়া তিরাশি বছর। অর্থাৎ একটি মানবজীবনের ব্যাপ্তিকালের সমান। সুতরাং রমজানের সুফল জীবনব্যাপী।
‘ইমান’ হলো ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের প্রথম স্তম্ভ। ইমান বা বিশ্বাস ইসলামের প্রাণশক্তি। ইমান মানবজীবনে মূল চালিকা শক্তি। রমজানের সঙ্গে ইমানের সুদৃঢ় যোগসূত্র বিদ্যমান।
ইমানের ভিত্তি হলো ওহি। ওহি তথা আসমানি কিতাবগুলো অবতীর্ণ হয়েছে রমজান মাসে। কোরআন মাজিদও রমজান মাসে শবে কদরে অবতীর্ণ হয়েছে।
ইমান যেমন মানুষকে কুফর ও শিরক থেকে মুক্ত করে, তেমনি রমজান মানুষকে পাপ-পঙ্কিলতা থেকে পবিত্র করে।
‘সলাত’ বা নামাজ ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের দ্বিতীয় স্তম্ভ—ইমানের পরেই হলো নামাজ। রমজান মাস হলো নামাজের মাস। যেমন তারাবিহ বা প্রশান্তির বিশ্রামের নামাজ ও কিয়ামুল্লাইল বা রাত জাগরণের নামাজের পাশাপাশি রমজানে সাহ্রির বদৌলতে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া সহজ হয়; এশার নামাজ ও ফজরের নামাজ জামাতে পড়ার সুযোগ বৃদ্ধি হয়, যাতে সম্পূর্ণ রাত্রি জাগরণের সওয়াব পাওয়া যায়।
এই মাসে নফল নামাজ পড়ার সুযোগও বেশি পাওয়া যায়।
‘জাকাত’ ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের তৃতীয় স্তম্ভ। সাহাবায়ে কিরাম রমজানেই জাকাত প্রদান করতেন। চান্দ্রবর্ষের হিসাব ও তারিখ অনুযায়ী সঠিকভাবে জাকাত দেওয়া রমজান মাসে সহজ হয়। এতে গরিবদেরও সুবিধা হয়।
‘হজ’ ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের চতুর্থ স্তম্ভ। রমজানে ওমরাহ পালন করলে নবীজি (সা.)–এর সঙ্গে হজ করার সওয়াব পাওয়া যায়।
‘সওম’ বা রোজা হলো ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের পঞ্চম স্তম্ভ। সিয়াম বা রোজা হলো রমজানের সেরা অনুষঙ্গ। আগুন যেমন সোনাকে জ্বালিয়ে খাদমুক্ত করে দেয়, রোজা তেমন ইমানদারের ষড়্রিপুর কামনা–বাসনাকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে রোজাদারকে খাঁটি বান্দায় পরিণত করে। তাই মহান আল্লাহ রব্বুল আলামিন রোজার জন্য রমজান মাসকেই নির্ধারণ করেছেন।
‘শবে কদর’ রমজানের অনন্য উপহার। এ মাসে রয়েছে শবে কদর বা এমন একটি রাত, যা হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। যা লাইলাতুল কদর বা শবে কদর নামে পরিচিত। হাজার মাস মানে সোয়া তিরাশি বছর। অর্থাৎ একটি মানবজীবনের ব্যাপ্তিকালের সমান। সুতরাং রমজানের সুফল জীবনব্যাপী।
রোজার ফিদইয়া’ রমজানের একটি শ্রেষ্ঠ মাহাত্ম্য। রোজা একটি শারীরিক ও মানসিক ইবাদত। কিন্তু অক্ষম ও দুর্বল ব্যক্তির জন্য এর কাজার পাশাপাশি অপারগতায় ফিদইয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে; যা আর্থিক ইবাদত। এতে রোজার পরিধির ব্যাপকতা বোঝা যায়।
রোজা শারীরিক ইবাদত হওয়া সত্ত্বেও দুর্বল ব্যক্তি যদি রোজা ভঙ্গ করেন; তার জন্য আল্লাহ তাআলা কাফফারা বিধান দিয়েছেন। যার মাধ্যমগুলো হলো দাসমুক্ত করা বা ৬০ জন গরিবকে দুই বেলা তৃপ্তিসহকারে খাওয়ানো অথবা একাধারে ৬০টি রোজা রাখা। যিনি ৩০ দিবসের মধ্যেই রোজা ভাঙেন, তিনি ৬০ দিবস কীভাবে তা পালন করবেন? মানে আবারও ভাঙলে আবারও ভাঙার জন্য দাস মুক্তি বা ৬০ জন মিসকিন খাওয়ানো। মানে হলো দানখয়রাত–সদাকাত তথা গরিবের সেবা ও সমাজের কল্যাণই রমজানের মুখ্য উদ্দেশ্য।
‘সদকাতুল ফিতর’ রোজার সেরা সৌন্দর্য। রোজা শেষে ঈদুল ফিতরের দিন সকালবেলা ঈদের নামাজে যাওয়ার আগে সদকাতুল ফিতর আদায় করতে হয়। দাতা ও গ্রহীতার সুবিধার্থে রমজানেও প্রদান করা যায়। এই ঈদের সঙ্গে ফিতরার সম্পৃক্ততার কারণে এর নাম ঈদুল ফিতর। সদকাতুল ফিতর বা ‘ফিতরা’ হলো ঈদের আনন্দকে সর্বজনীন করার উপায়। ধনী–গরিব সবাই যেন ঈদের আনন্দে শামিল হতে পারেন, তাই এ ব্যবস্থা। মানুষ সামাজিক জীব, মানুষ অন্যের আনন্দ ও বেদনায় প্রভাবিত হয়। তাই এ আনন্দের দিনে পাড়া–প্রতিবেশী ও আত্মীয়স্বজন যদি আনন্দে শামিল হতে না পারে, তবে আনন্দ পূর্ণতা পাবে না। তাই নিজের আনন্দ সবার মধ্যে বিলিয়ে দিতে ও ছড়িয়ে দিতে এ ব্যবস্থা। ফিতরা বা সদকাতুল ফিতর হলো রমজানে রোজা পালনের শুকরিয়া স্বরূপ। এটি রোজার অপূর্ণতাকে পূর্ণতা দেয়।
‘ইতিকাফ’ রমজানের বিশেষ তুহফা। আল্লাহর সান্নিধ্য মানবজীবনে আরাধ্য। এর অন্যতম মাধ্যম হলো ইতিকাফ।
‘শবে কদর’ রমজানের অনন্য উপহার। এ মাসে রয়েছে শবে কদর বা এমন একটি রাত, যা হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। যা লাইলাতুল কদর বা শবে কদর নামে পরিচিত। হাজার মাস মানে সোয়া তিরাশি বছর। অর্থাৎ একটি মানবজীবনের ব্যাপ্তিকালের সমান। সুতরাং রমজানের সুফল জীবনব্যাপী।
মুসলমানের জীবনে রমজানের প্রভাব
রমজান: রোজা যখন রাখেন, তখন আপনার শরীরে কী ঘটে?
কিশোর ও যুবকদের নৈতিক জীবন গঠনে রমজানের ভূমিকা
রমজানের প্রভাব মুমিনের জীবনজুড়ে থাকে
The effect of Ramadan lasts throughout the life of a believer
Ramadan has an effect throughout the life of a believer
0 notes
রমজানের প্রভাব মুমিনের জীবনজুড়ে থাকে
The effect of Ramadan lasts throughout the life of a believer
রমজানের প্রভাব মুমিনের জীবনজুড়ে থাকে
‘শবে কদর’ রমজানের অনন্য উপহার। এ মাসে রয়েছে শবে কদর বা এমন একটি রাত, যা হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। যা লাইলাতুল কদর বা শবে কদর নামে পরিচিত। হাজার মাস মানে সোয়া তিরাশি বছর। অর্থাৎ একটি মানবজীবনের ব্যাপ্তিকালের সমান। সুতরাং রমজানের সুফল জীবনব্যাপী।
‘ইমান’ হলো ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের প্রথম স্তম্ভ। ইমান বা বিশ্বাস ইসলামের প্রাণশক্তি। ইমান মানবজীবনে মূল চালিকা শক্তি। রমজানের সঙ্গে ইমানের সুদৃঢ় যোগসূত্র বিদ্যমান।
ইমানের ভিত্তি হলো ওহি। ওহি তথা আসমানি কিতাবগুলো অবতীর্ণ হয়েছে রমজান মাসে। কোরআন মাজিদও রমজান মাসে শবে কদরে অবতীর্ণ হয়েছে।
ইমান যেমন মানুষকে কুফর ও শিরক থেকে মুক্ত করে, তেমনি রমজান মানুষকে পাপ-পঙ্কিলতা থেকে পবিত্র করে।
‘সলাত’ বা নামাজ ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের দ্বিতীয় স্তম্ভ—ইমানের পরেই হলো নামাজ। রমজান মাস হলো নামাজের মাস। যেমন তারাবিহ বা প্রশান্তির বিশ্রামের নামাজ ও কিয়ামুল্লাইল বা রাত জাগরণের নামাজের পাশাপাশি রমজানে সাহ্রির বদৌলতে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া সহজ হয়; এশার নামাজ ও ফজরের নামাজ জামাতে পড়ার সুযোগ বৃদ্ধি হয়, যাতে সম্পূর্ণ রাত্রি জাগরণের সওয়াব পাওয়া যায়।
এই মাসে নফল নামাজ পড়ার সুযোগও বেশি পাওয়া যায়।
‘জাকাত’ ইসলামের পঞ্চস্তম্���ের তৃতীয় স্তম্ভ। সাহাবায়ে কিরাম রমজানেই জাকাত প্রদান করতেন। চান্দ্রবর্ষের হিসাব ও তারিখ অনুযায়ী সঠিকভাবে জাকাত দেওয়া রমজান মাসে সহজ হয়। এতে গরিবদেরও সুবিধা হয়।
‘হজ’ ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের চতুর্থ স্তম্ভ। রমজানে ওমরাহ পালন করলে নবীজি (সা.)–এর সঙ্গে হজ করার সওয়াব পাওয়া যায়।
‘সওম’ বা রোজা হলো ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের পঞ্চম স্তম্ভ। সিয়াম বা রোজা হলো রমজানের সেরা অনুষঙ্গ। আগুন যেমন সোনাকে জ্বালিয়ে খাদমুক্ত করে দেয়, রোজা তেমন ইমানদারের ষড়্রিপুর কামনা–বাসনাকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে রোজাদারকে খাঁটি বান্দায় পরিণত করে। তাই মহান আল্লাহ রব্বুল আলামিন রোজার জন্য রমজান মাসকেই নির্ধারণ করেছেন।
‘শবে কদর’ রমজানের অনন্য উপহার। এ মাসে রয়েছে শবে কদর বা এমন একটি রাত, যা হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। যা লাইলাতুল কদর বা শবে কদর নামে পরিচিত। হাজার মাস মানে সোয়া তিরাশি বছর। অর্থাৎ একটি মানবজীবনের ব্যাপ্তিকালের সমান। সুতরাং রমজানের সুফল জীবনব্যাপী।
রোজার ফিদইয়া’ রমজানের একটি শ্রেষ্ঠ মাহাত্ম্য। রোজা একটি শারীরিক ও মানসিক ইবাদত। কিন্তু অক্ষম ও দুর্বল ব্যক্তির জন্য এর কাজার পাশাপাশি অপারগতায় ফিদইয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে; যা আর্থিক ইবাদত। এতে রোজার পরিধির ব্যাপকতা বোঝা যায়।
রোজা শারীরিক ইবাদত হওয়া সত্ত্বেও দুর্বল ব্যক্তি যদি রোজা ভঙ্গ করেন; তার জন্য আল্লাহ তাআলা কাফফারা বিধান দিয়েছেন। যার মাধ্যমগুলো হলো দাসমুক্ত করা বা ৬০ জন গরিবকে দুই বেলা তৃপ্তিসহকারে খাওয়ানো অথবা একাধারে ৬০টি রোজা রাখা। যিনি ৩০ দিবসের মধ্যেই রোজা ভাঙেন, তিনি ৬০ দিবস কীভাবে তা পালন করবেন? মানে আবারও ভাঙলে আবারও ভাঙার জন্য দাস মুক্তি বা ৬০ জন মিসকিন খাওয়ানো। মানে হলো দানখয়রাত–সদাকাত তথা গরিবের সেবা ও সমাজের কল্যাণই রমজানের মুখ্য উদ্দেশ্য।
‘সদকাতুল ফিতর’ রোজার সেরা সৌন্দর্য। রোজা শেষে ঈদুল ফিতরের দিন সকালবেলা ঈদের নামাজে যাওয়ার আগে সদকাতুল ফিতর আদায় করতে হয়। দাতা ও গ্রহীতার সুবিধার্থে রমজানেও প্রদান করা যায়। এই ঈদের সঙ্গে ফিতরার সম্পৃক্ততার কারণে এর নাম ঈদুল ফিতর। সদকাতুল ফিতর বা ‘ফিতরা’ হলো ঈদের আনন্দকে সর্বজনীন করার উপায়। ধনী–গরিব সবাই যেন ঈদের আনন্দে শামিল হতে পারেন, তাই এ ব্যবস্থা। মানুষ সামাজিক জীব, মানুষ অন্যের আনন্দ ও বেদনায় প্রভাবিত হয়। তাই এ আনন্দের দিনে পাড়া–প্রতিবেশী ও আত্মীয়স্বজন যদি আনন্দে শামিল হতে না পারে, তবে আনন্দ পূর্ণতা পাবে না। তাই নিজের আনন্দ সবার মধ্যে বিলিয়ে দিতে ও ছড়িয়ে দিতে এ ব্যবস্থা। ফিতরা বা সদকাতুল ফিতর হলো রমজানে রোজা পালনের শুকরিয়া স্বরূপ। এটি রোজার অপূর্ণতাকে পূর্ণতা দেয়।
‘ইতিকাফ’ রমজানের বিশেষ তুহফা। আল্লাহর সান্নিধ্য মানবজীবনে আরাধ্য। এর অন্যতম মাধ্যম হলো ইতিকাফ।
‘শবে কদর’ রমজানের অনন্য উপহার। এ মাসে রয়েছে শবে কদর বা এমন একটি রাত, যা হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। যা লাইলাতুল কদর বা শবে কদর নামে পরিচিত। হাজার মাস মানে সোয়া তিরাশি বছর। অর্থাৎ একটি মানবজীবনের ব্যাপ্তিকালের সমান। সুতরাং রমজানের সুফল জীবনব্যাপী।
মুসলমানের জীবনে রমজানের প্রভাব
রমজান: রোজা যখন রাখেন, তখন আপনার শরীরে কী ঘটে?
কিশোর ও যুবকদের নৈতিক জীবন গঠনে রমজানের ভূমিকা
রমজানের প্রভাব মুমিনের জীবনজুড়ে থাকে
The effect of Ramadan lasts throughout the life of a believer
Ramadan has an effect throughout the life of a believer
The effect of Ramadan lasts throughout the life of a believer
0 notes
রমজানের প্রভাব মুমিনের জীবনজুড়ে থাকে
The effect of Ramadan lasts throughout the life of a believer
রমজানের প্রভাব মুমিনের জীবনজুড়ে থাকে
‘শবে কদর’ রমজানের অনন্য উপহার। এ মাসে রয়েছে শবে কদর বা এমন একটি রাত, যা হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। যা লাইলাতুল কদর বা শবে কদর নামে পরিচিত। হাজার মাস মানে সোয়া তিরাশি বছর। অর্থাৎ একটি মানবজীবনের ব্যাপ্তিকালের সমান। সুতরাং রমজানের সুফল জীবনব্যাপী।
‘ইমান’ হলো ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের প্রথম স্তম্ভ। ইমান বা বিশ্বাস ইসলামের প্রাণশক্তি। ইমান মানবজীবনে মূল চালিকা শক্তি। রমজানের সঙ্গে ইমানের সুদৃঢ় যোগসূত্র বিদ্যমান।
ইমানের ভিত্তি হলো ওহি। ওহি তথা আসমানি কিতাবগুলো অবতীর্ণ হয়েছে রমজান মাসে। কোরআন মাজিদও রমজান মাসে শবে কদরে অবতীর্ণ হয়েছে।
ইমান যেমন মানুষকে কুফর ও শিরক থেকে মুক্ত করে, তেমনি রমজান মানুষকে পাপ-পঙ্কিলতা থেকে পবিত্র করে।
‘সলাত’ বা নামাজ ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের দ্বিতীয় স্তম্ভ—ইমানের পরেই হলো নামাজ। রমজান মাস হলো নামাজের মাস। যেমন তারাবিহ বা প্রশান্তির বিশ্রামের নামাজ ও কিয়ামুল্লাইল বা রাত জাগরণের নামাজের পাশাপাশি রমজানে সাহ্রির বদৌলতে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া সহজ হয়; এশার নামাজ ও ফজরের নামাজ জামাতে পড়ার সুযোগ বৃদ্ধি হয়, যাতে সম্পূর্ণ রাত্রি জাগরণের সওয়াব পাওয়া যায়।
এই মাসে নফল নামাজ পড়ার সুযোগও বেশি পাওয়া যায়।
‘জাকাত’ ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের তৃতীয় স্তম্ভ। সাহাবায়ে কিরাম রমজানেই জাকাত প্রদান করতেন। চান্দ্রবর্ষের হিসাব ও তারিখ অনুযায়ী সঠিকভাবে জাকাত দেওয়া রমজান মাসে সহজ হয়। এতে গরিবদেরও সুবিধা হয়।
‘হজ’ ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের চতুর্থ স্তম্ভ। রমজানে ওমরাহ পালন করলে নবীজি (সা.)–এর সঙ্গে হজ করার সওয়াব পাওয়া যায়।
‘সওম’ বা রোজা হলো ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের পঞ্চম স্তম্ভ। সিয়াম বা রোজা হলো রমজানের সেরা অনুষঙ্গ। আগুন যেমন সোনাকে জ্বালিয়ে খাদমুক্ত করে দেয়, রোজা তেমন ইমানদারের ষড়্রিপুর কামনা–বাসনাকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে রোজাদারকে খাঁটি বান্দায় পরিণত করে। তাই মহান আল্লাহ রব্বুল আলামিন রোজার জন্য রমজান মাসকেই নির্ধারণ করেছেন।
‘শবে কদর’ রমজানের অনন্য উপহার। এ মাসে রয়েছে শবে কদর বা এমন একটি রাত, যা হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। যা লাইলাতুল কদর বা শবে কদর নামে পরিচিত। হাজার মাস মানে সোয়া তিরাশি বছর। অর্থাৎ একটি মানবজীবনের ব্যাপ্তিকালের সমান। সুতরাং রমজানের সুফল জীবনব্যাপী।
রোজার ফিদইয়া’ রমজানের একটি শ্রেষ্ঠ মাহাত্ম্য। রোজা একটি শারীরিক ও মানসিক ইবাদত। কিন্তু অক্ষম ও দুর্বল ব্যক্তির জন্য এর কাজার পাশাপাশি অপারগতায় ফিদইয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে; যা আর্থিক ইবাদত। এতে রোজার পরিধির ব্যাপকতা বোঝা যায়।
রোজা শারীরিক ইবাদত হওয়া সত্ত্বেও দুর্বল ব্যক্তি যদি রোজা ভঙ্গ করেন; তার জন্য আল্লাহ তাআলা কাফফারা বিধান দিয়েছেন। যার মাধ্যমগুলো হলো দাসমুক্ত করা বা ৬০ জন গরিবকে দুই বেলা তৃপ্তিসহকারে খাওয়ানো অথবা একাধারে ৬০টি রোজা রাখা। যিনি ৩০ দিবসের মধ্যেই রোজা ভাঙেন, তিনি ৬০ দিবস কীভাবে তা পালন করবেন? মানে আবারও ভাঙলে আবারও ভাঙার জন্য দাস মুক্তি বা ৬০ জন মিসকিন খাওয়ানো। মানে হলো দানখয়রাত–সদাকাত তথা গরিবের সেবা ও সমাজের কল্যাণই রমজানের মুখ্য উদ্দেশ্য।
‘সদকাতুল ফিতর’ রোজার সেরা সৌন্দর্য। রোজা শেষে ঈদুল ফিতরের দিন সকালবেলা ঈদের নামাজে যাওয়ার আগে সদকাতুল ফিতর আদায় করতে হয়। দাতা ও গ্রহীতার সুবিধার্থে রমজানেও প্রদান করা যায়। এই ঈদের সঙ্গে ফিতরার সম্পৃক্ততার কারণে এর নাম ঈদুল ফিতর। সদকাতুল ফিতর বা ‘ফিতরা’ হলো ঈদের আনন্দকে সর্বজনীন করার উপায়। ধনী–গরিব সবাই যেন ঈদের আনন্দে শামিল হতে পারেন, তাই এ ব্যবস্থা। মানুষ সামাজিক জীব, মানুষ অন্যের আনন্দ ও বেদনায় প্রভাবিত হয়। তাই এ আনন্দের দিনে পাড়া–প্রতিবেশী ও আত্মীয়স্বজন যদি আনন্দে শামিল হতে না পারে, তবে আনন্দ পূর্ণতা পাবে না। তাই নিজের আনন্দ সবার মধ্যে বিলিয়ে দিতে ও ছড়িয়ে দিতে এ ব্যবস্থা। ফিতরা বা সদকাতুল ফিতর হলো রমজানে রোজা পালনের শুকরিয়া স্বরূপ। এটি রোজার অপূর্ণতাকে পূর্ণতা দেয়।
‘ইতিকাফ’ রমজানের বিশেষ তুহফা। আল্লাহর সান্নিধ্য মানবজীবনে আরাধ্য। এর অন্যতম মাধ্যম হলো ইতিকাফ।
‘শবে কদর’ রমজানের অনন্য উপহার। এ মাসে রয়েছে শবে কদর বা এমন একটি রাত, যা হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। যা লাইলাতুল কদর বা শবে কদর নামে পরিচিত। হাজার মাস মানে সোয়া তিরাশি বছর। অর্থাৎ একটি মানবজীবনের ব্যাপ্তিকালের সমান। সুতরাং রমজানের সুফল জীবনব্যাপী।
মুসলমানের জীবনে রমজানের প্রভাব
রমজান: রোজা যখন রাখেন, তখন আপনার শরীরে কী ঘটে?
কিশোর ও যুবকদের নৈতিক জীবন গঠনে রমজানের ভূমিকা
রমজানের প্রভাব মুমিনের জীবনজুড়ে থাকে
The effect of Ramadan lasts throughout the life of a believer
Ramadan has an effect throughout the life of a believer
The effect of Ramadan lasts throughout the life of a believer
0 notes
রমজানের প্রভাব মুমিনের জীবনজুড়ে থাকে
The effect of Ramadan lasts throughout the life of a believer
রমজানের প্রভাব মুমিনের জীবনজুড়ে থাকে
‘শবে কদর’ রমজানের অনন্য উপহার। এ মাসে রয়েছে শবে কদর বা এমন একটি রাত, যা হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। যা লাইলাতুল কদর বা শবে কদর নামে পরিচিত। হাজার মাস মানে সোয়া তিরাশি বছর। অর্থাৎ একটি মানবজীবনের ব্যাপ্তিকালের সমান। সুতরাং রমজানের সুফল জীবনব্যাপী।
‘ইমান’ হলো ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের প্রথম স্তম্ভ। ইমান বা বিশ্বাস ইসলামের প্রাণশক্তি। ইমান মানবজীবনে মূল চালিকা শক্তি। রমজানের সঙ্গে ইমানের সুদৃঢ় যোগসূত্র বিদ্যমান।
ইমানের ভিত্তি হলো ওহি। ওহি তথা আসমানি কিতাবগুলো অবতীর্ণ হয়েছে রমজান মাসে। কোরআন মাজিদও রমজান মাসে শবে কদরে অবতীর্ণ হয়েছে।
ইমান যেমন মানুষকে কুফর ও শিরক থেকে মুক্ত করে, তেমনি রমজান মানুষকে পাপ-পঙ্কিলতা থেকে পবিত্র করে।
‘সলাত’ বা নামাজ ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের দ্বিতীয় স্তম্ভ—ইমানের পরেই হলো নামাজ। রমজান মাস হলো নামাজের মাস। যেমন তারাবিহ বা প্রশান্তির বিশ্রামের নামাজ ও কিয়ামুল্লাইল বা রাত জাগরণের নামাজের পাশাপাশি রমজানে সাহ্রির বদৌলতে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া সহজ হয়; এশার নামাজ ও ফজরের নামাজ জামাতে পড়ার সুযোগ বৃদ্ধি হয়, যাতে সম্পূর্ণ রাত্রি জাগরণের সওয়াব পাওয়া যায়।
এই মাসে নফল নামাজ পড়ার সুযোগও বেশি পাওয়া যায়।
‘জাকাত’ ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের তৃতীয় স্তম্ভ। সাহাবায়ে কিরাম রমজানেই জাকাত প্রদান করতেন। চান্দ্রবর্ষের হিসাব ও তারিখ অনুযায়ী সঠিকভাবে জাকাত দেওয়া রমজান মাসে সহজ হয়। এতে গরিবদেরও সুবিধা হয়।
‘হজ’ ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের চতুর্থ স্তম্ভ। রমজানে ওমরাহ পালন করলে নবীজি (সা.)–এর সঙ্গে হজ করার সওয়াব পাওয়া যায়।
‘সওম’ বা রোজা হলো ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের পঞ্চম স্তম্ভ। সিয়াম বা রোজা হলো রমজানের সেরা অনুষঙ্গ। আগুন যেমন সোনাকে জ্বালিয়ে খাদমুক্ত করে দেয়, রোজা তেমন ইমানদারের ষড়্রিপুর কামনা–বাসনাকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে রোজাদারকে খাঁটি বান্দায় পরিণত করে। তাই মহান আল্লাহ রব্বুল আলামিন রোজার জন্য রমজান মাসকেই নির্ধারণ করেছেন।
‘শবে কদর’ রমজানের অনন্য উপহার। এ মাসে রয়েছে শবে কদর বা এমন একটি রাত, যা হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। যা লাইলাতুল কদর বা শবে কদর নামে পরিচিত। হাজার মাস মানে সোয়া তিরাশি বছর। অর্থাৎ একটি মানবজীবনের ব্যাপ্তিকালের সমান। সুতরাং রমজানের সুফল জীবনব্যাপী।
রোজার ফিদইয়া’ রমজানের একটি শ্রেষ্ঠ মাহাত্ম্য। রোজা একটি শারীরিক ও মানসিক ইবাদত। কিন্তু অক্ষম ও দুর্বল ব্যক্তির জন্য এর কাজার পাশাপাশি অপারগতায় ফিদইয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে; যা আর্থিক ইবাদত। এতে রোজার পরিধির ব্যাপকতা বোঝা যায়।
রোজা শারীরিক ইবাদত হওয়া সত্ত্বেও দুর্বল ব্যক্তি যদি রোজা ভঙ্গ করেন; তার জন্য আল্লাহ তাআলা কাফফারা বিধান দিয়েছেন। যার মাধ্যমগুলো হলো দাসমুক্ত করা বা ৬০ জন গরিবকে দুই বেলা তৃপ্তিসহকারে খাওয়ানো অথবা একাধারে ৬০টি রোজা রাখা। যিনি ৩০ দিবসের মধ্যেই রোজা ভাঙেন, তিনি ৬০ দিবস কীভাবে তা পালন করবেন? মানে আবারও ভাঙলে আবারও ভাঙার জন্য দাস মুক্তি বা ৬০ জন মিসকিন খাওয়ানো। মানে হলো দানখয়রাত–সদাকাত তথা গরিবের সেবা ও সমাজের কল্যাণই রমজানের মুখ্য উদ্দেশ্য।
‘সদকাতুল ফিতর’ রোজার সেরা সৌন্দর্য। রোজা শেষে ঈদুল ফিতরের দিন সকালবেলা ঈদের নামাজে যাওয়ার আগে সদকাতুল ফিতর আদায় করতে হয়। দাতা ও গ্রহীতার সুবিধার্থে রমজানেও প্রদান করা যায়। এই ঈদের সঙ্গে ফিতরার সম্পৃক্ততার কারণে এর নাম ঈদুল ফিতর। সদকাতুল ফিতর বা ‘ফিতরা’ হলো ঈদের আনন্দকে সর্বজনীন করার উপায়। ধনী–গরিব সবাই যেন ঈদের আনন্দে শামিল হতে পারেন, তাই এ ব্যবস্থা। মানুষ সামাজিক জীব, মানুষ অন্যের আনন্দ ও বেদনায় প্রভাবিত হয়। তাই এ আনন্দের দিনে পাড়া–প্রতিবেশী ও আত্মীয়স্বজন যদি আনন্দে শামিল হতে না পারে, তবে আনন্দ পূর্ণতা পাবে না। তাই নিজের আনন্দ সবার মধ্যে বিলিয়ে দিতে ও ছড়িয়ে দিতে এ ব্যবস্থা। ফিতরা বা সদকাতুল ফিতর হলো রমজানে রোজা পালনের শুকরিয়া স্বরূপ। এটি রোজার অপূর্ণতাকে পূর্ণতা দেয়।
‘ইতিকাফ’ রমজানের বিশেষ তুহফা। আল্লাহর সান্নিধ্য মানবজীবনে আরাধ্য। এর অন্যতম মাধ্যম হলো ইতিকাফ।
‘শবে কদর’ রমজানের অনন্য উপহার। এ মাসে রয়েছে শবে কদর বা এমন একটি রাত, যা হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। যা লাইলাতুল কদর বা শবে কদর নামে পরিচিত। হাজার মাস মানে সোয়া তিরাশি বছর। অর্থাৎ একটি মানবজীবনের ব্যাপ্তিকালের সমান। সুতরাং রমজানের সুফল জীবনব্যাপী।
মুসলমানের জীবনে রমজানের প্রভাব
রমজান: রোজা যখন রাখেন, তখন আপনার শরীরে কী ঘটে?
কিশোর ও যুবকদের নৈতিক জীবন গঠনে রমজানের ভূমিকা
রমজানের প্রভাব মুমিনের জীবনজুড়ে থাকে
The effect of Ramadan lasts throughout the life of a believer
Ramadan has an effect throughout the life of a believer
The effect of Ramadan lasts throughout the life of a believer
0 notes
আর্থিক অনুদান নিতে গিয়ে যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইয়েমেনে পদদলিত হয়ে অন্তত ৮৫ জন নিহত হয়েছেন। একই ঘটনায় আরও অন্তত তিন শতাধিক মানুষ আহ
0 notes
জাকাত নিয়ে ‘সামাজিক যুদ্ধ’
২০১৩ সালের ২২ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ থেকে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের যাত্রা শুরু হয় এর প্রতিষ্ঠাতা কিশোর কুমার দাশের হাত ধরে। সংগঠনটি চলছে মূলত স্বেচ্ছাসেবকদের হাতেই এবং সাধারণ মানুষের দান-অনুদানে। মানুষের জন্য কিছু করার উদ্দেশ্য নিয়েই এখানে কাজ করেন সবাই। আগেও নানা সময়ে বিদ্যানন্দ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে।
তবে সম্প্রতি আবারও বিদ্যানন্দ নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। এবারের আলোচনা মূলত শুরু হয় প্রতিষ্ঠানটির…
View On WordPress
0 notes