ক. রোজাদারের রোজায় যেসব দুর্বলতা ও ভুল হয়, তা থেকে পবিত্র হওয়া। খ. দরিদ্রদের প্রতি সদ্ব্যবহার। গ. ঈদুল ফিতরের দিনে দরিদ্রদের ভিক্ষা করা থেকে বিরত রাখা। ঘ. তারাবি ও রোজার মতো নেয়ামতে ধন্য করায় আল্লাহর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা। ঙ. উদারতা ও সহমর্মিতার চর্চা করা।
ফিতরের নিসাব জাকাতের নিসাবের সমপরিমাণ। নিসাব মানে হলো কারো কাছে সাড়ে সাত ভরি সোনা বা সাড়ে ৫২ ভরি রুপা অথবা তার সমমূল্যের নগদ অর্থ কিংবা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের অতিরিক্ত সম্পদ ঈদুল ফিতরের দিন সময় বিদ্যমান থাকলে তার ওপর ফিতর ওয়াজিব হবে। যাঁর ওপর ফিতর আদায় করা ওয়াজিব, তিনি নিজের পক্ষ থেকে যেমন আদায় করবেন, তেমনি নিজের অধীনদের পক্ষ থেকেও আদায় করবেন। তবে এতে জাকাতের মতো বর্ষ অতিক্রম হওয়া শর্ত নয়।
রাসুল (সা.)-এর যুগে মোট চারটি পণ্য দিয়ে ফিতরা আদায় করা হতো। খেজুর, কিশমিশ, যব ও পনির। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, ‘আমরা এক সা পরিমাণ খাদ্য অথবা এক সা পরিমাণ যব অথবা এক সা পরিমাণ খেজুর অথবা এক সা পরিমাণ পনির অথবা এক সা পরিমাণ কিশমিশ দিয়ে সদকাতুল ফিতর আদায় করতাম।’ (বুখারি, হাদিস: ১,৫০৬)
খাদ্যবস্তুর পরিবর্তে সেগুলোর কোনো একটিকে মাপকাঠি ধরে তার মূল্য আদায় করা হয়।
বর্তমান বাজারদর হিসাবে যেহেতু গমের দামই সবচেয়ে কম, তাই ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে প্রতিবছর আধা ‘সা’ গমকে মাপকাঠি ধরে ওই সময়ের বাজারদর হিসাবে তার মূল্য ফিতরার সর্বনিম্ন পরিমাণ ঘোষণা করা হয়।
উত্তম হলো, নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী বেশি মূল্যের খাদ্যবস্তুকে মাপকাঠি ধরে ফিতরা আদায় করা। কেননা সদকার মূল লক্ষ্যই হলো গরিবদের প্রয়োজন পূরণ ও তাদের স্বার্থ সংরক্ষণ। এ ছাড়া আদায়কারীর সামর্থ্যকেও বিবেচনায় রাখা উচিত, যদিও শরিয়তে সর্বনিম্ন মূল্যে ফিতরা আদায় করার দরজা খোলা রাখা হয়েছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে যব, কিশমিশ, খেজুর ও পনিরের হিসাবে ফিতরার আলাদা মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। কেউ চাইলে আটার হিসাবে ফিতরা না দিয়ে উল্লিখিত জিনিসগুলোর হিসাবেও ফিতরা দিতে পারবেন।
পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়তে যাওয়ার আগেই সদকাতুল ফিতর আদায় করা উত্তম। তবে রমজান মাসেও তা আদায় করা যায়।
আরবি ‘সদকাতুল ফিতর’ অর্থ ‘ঈদুল ফিতরের সদকা’। ঈদুল ফিতরের দিন আদায় করা হয় বলে একে সদকাতুল ফিতর বলা হয়। একে জাকাতুল ফিতর বা ফিতরাও বলা হয়। সদকাতুল ফিতর বা ফিতরা দেওয়া ওয়াজিব। রাসুল (সা.) ছোট-বড় নারী-পুরুষ সব মুসলমানের জন্য তা আবশ্যক করেছেন।
পবিত্র রমজানের পুরো এক মাস রোজা এবং তৎসংশ্লিষ্ট ইবাদত ও বিধিনিষেধ পালনের পর শাওয়াল মাসের পয়লা তারিখে ঈদ উৎসব পালিত হয়। এ পালনের মধ্যে রয়েছে জামাতে ঈদের নামাজ আদায়, গরিব-দুঃখীদের মধ্যে ফিতরা বিতরণ এবং ভালো খাওয়াদাওয়ার আয়োজন। তবে ঈদুল ফিতর উৎসবের একটি তাৎপর্যময় অঙ্গ হলো ফিতরা বিতরণ। রোজার সময় সংযম সাধনায় কোনো ত্রুটিবিচ্যুতি ঘটে থাকলে তা সংশোধন এবং সমাজের সর্বস্তরের লোক যাতে উৎসবে অংশগ্রহণ করতে পারে, সে জন্য গরিব-দুঃখীদের মধ্যে একটা নির্দিষ্ট হারে সদকায়ে ফিতরা বিতরণ করতে হয়।
প্রত্যেক সমর্থ্য মুসলমানের জন্য ফিতরা দেওয়া ওয়াজিব। মাথাপিছু কত টাকা ফিতরা দিতে হবে, তা আগেই রাষ্ট্র কিংবা সংশ্লিষ্ট ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করে দেয়। নিয়ম হলো, ঈদের নামাজ পড়তে যাওয়ার আগেই এই ফিতরা পরিশোধ করতে হবে। তারপর ঈদগাহ কিংবা তার অভাবে বড় মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করতে হয়।
ফিতরা কেন, কার ওপর ওয়াজিব
Why Fitra is obligatory on whom?
আরবি ‘সদকাতুল ফিতর’ অর্থ ‘ঈদুল ফিতরের সদকা’। ঈদুল ফিতরের দিন আদায় করা হয় বলে একে সদকাতুল ফিতর বলা হয়। একে জাকাতুল ফিতর বা ফিতরাও বলা হয়। সদকাতুল ফিতর বা ফিতরা দেওয়া ওয়াজিব। রাসুল (সা.) ছোট-বড় নারী-পুরুষ সব মুসলমানের জন্য তা আবশ্যক করেছেন।
পবিত্র রমজানের পুরো এক মাস রোজা এবং তৎসংশ্লিষ্ট ইবাদত ও বিধিনিষেধ পালনের পর শাওয়াল মাসের পয়লা তারিখে ঈদ উৎসব পালিত হয়। এ পালনের মধ্যে রয়েছে জামাতে ঈদের নামাজ আদায়, গরিব-দুঃখীদের মধ্যে ফিতরা বিতরণ এবং ভালো খাওয়াদাওয়ার আয়োজন। তবে ঈদুল ফিতর উৎসবের একটি তাৎপর্যময় অঙ্গ হলো ফিতরা বিতরণ। রোজার সময় সংযম সাধনায় কোনো ত্রুটিবিচ্যুতি ঘটে থাকলে তা সংশোধন এবং সমাজের সর্বস্তরের লোক যাতে উৎসবে অংশগ্রহণ করতে পারে, সে জন্য গরিব-দুঃখীদের মধ্যে একটা নির্দিষ্ট হারে সদকায়ে ফিতরা বিতরণ করতে হয়।
প্রত্যেক সমর্থ্য মুসলমানের জন্য ফিতরা দেওয়া ওয়াজিব। মাথাপিছু কত টাকা ফিতরা দিতে হবে, তা আগেই রাষ্ট্র কিংবা সংশ্লিষ্ট ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করে দেয়। নিয়ম হলো, ঈদের নামাজ পড়তে যাওয়ার আগেই এই ফিতরা পরিশোধ করতে হবে। তারপর ঈদগাহ কিংবা তার অভাবে বড় মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করতে হয়।
ক. রোজাদারের রোজায় যেসব দুর্বলতা ও ভুল হয়, তা থেকে পবিত্র হওয়া। খ. দরিদ্রদের প্রতি সদ্ব্যবহার। গ. ঈদুল ফিতরের দিনে দরিদ্রদের ভিক্ষা করা থেকে বিরত রাখা। ঘ. তারাবি ও রোজার মতো নেয়ামতে ধন্য করায় আল্লাহর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা। ঙ. উদারতা ও সহমর্মিতার চর্চা করা।
ফিতরের নিসাব জাকাতের নিসাবের সমপরিমাণ। নিসাব মানে হলো কারো কাছে সাড়ে সাত ভরি সোনা বা সাড়ে ৫২ ভরি রুপা অথবা তার সমমূল্যের নগদ অর্থ কিংবা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের অতিরিক্ত সম্পদ ঈদুল ফিতরের দিন সময় বিদ্যমান থাকলে তার ওপর ফিতর ওয়াজিব হবে। যাঁর ওপর ফিতর আদায় করা ওয়াজিব, তিনি নিজের পক্ষ থেকে যেমন আদায় করবেন, তেমনি নিজের অধীনদের পক্ষ থেকেও আদায় করবেন। তবে এতে জাকাতের মতো বর্ষ অতিক্রম হওয়া শর্ত নয়।
রাসুল (সা.)-এর যুগে মোট চারটি পণ্য দিয়ে ফিতরা আদায় করা হতো। খেজুর, কিশমিশ, যব ও পনির। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, ‘আমরা এক সা পরিমাণ খাদ্য অথবা এক সা পরিমাণ যব অথবা এক সা পরিমাণ খেজুর অথবা এক সা পরিমাণ পনির অথবা এক সা পরিমাণ কিশমিশ দিয়ে সদকাতুল ফিতর আদায় করতাম।’ (বুখারি, হাদিস: ১,৫০৬)
খাদ্যবস্তুর পরিবর্তে সেগুলোর কোনো একটিকে মাপকাঠি ধরে তার মূল্য আদায় করা হয়।
বর্তমান বাজারদর হিসাবে যেহেতু গমের দামই সবচেয়ে কম, তাই ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে প্রতিবছর আধা ‘সা’ গমকে মাপকাঠি ধরে ওই সময়ের বাজারদর হিসাবে তার মূল্য ফিতরার সর্বনিম্ন পরিমাণ ঘোষণা করা হয়।
উত্তম হলো, নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী বেশি মূল্যের খাদ্যবস্তুকে মাপকাঠি ধরে ফিতরা আদায় করা। কেননা সদকার মূল লক্ষ্যই হলো গরিবদের প্রয়োজন পূরণ ও তাদের স্বার্থ সংরক্ষণ। এ ছাড়া আদায়কারীর সামর্থ্যকেও বিবেচনায় রাখা উচিত, যদিও শরিয়তে সর্বনিম্ন মূল্যে ফিতরা আদায় করার দরজা খোলা রাখা হয়েছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে যব, কিশমিশ, খেজুর ও পনিরের হিসাবে ফিতরার আলাদা মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। কেউ চাইলে আটার হিসাবে ফিতরা না দিয়ে উল্লিখিত জিনিসগুলোর হিসাবেও ফিতরা দিতে পারবেন।
পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়তে যাওয়ার আগেই সদকাতুল ফিতর আদায় করা উত্তম। তবে রমজান মাসেও তা আদায় করা যায়।
আরবি ‘সদকাতুল ফিতর’ অর্থ ‘ঈদুল ফিতরের সদকা’। ঈদুল ফিতরের দিন আদায় করা হয় বলে একে সদকাতুল ফিতর বলা হয়। একে জাকাতুল ফিতর বা ফিতরাও বলা হয়। সদকাতুল ফিতর বা ফিতরা দেওয়া ওয়াজিব। রাসুল (সা.) ছোট-বড় নারী-পুরুষ সব মুসলমানের জন্য তা আবশ্যক করেছেন।
পবিত্র রমজানের পুরো এক মাস রোজা এবং তৎসংশ্লিষ্ট ইবাদত ও বিধিনিষেধ পালনের পর শাওয়াল মাসের পয়লা তারিখে ঈদ উৎসব পালিত হয়। এ পালনের মধ্যে রয়েছে জামাতে ঈদের নামাজ আদায়, গরিব-দুঃখীদের মধ্যে ফিতরা বিতরণ এবং ভালো খাওয়াদাওয়ার আয়োজন। তবে ঈদুল ফিতর উৎসবের একটি তাৎপর্যময় অঙ্গ হলো ফিতরা বিতরণ। রোজার সময় সংযম সাধনায় কোনো ত্রুটিবিচ্যুতি ঘটে থাকলে তা সংশোধন এবং সমাজের সর্বস্তরের লোক যাতে উৎসবে অংশগ্রহণ করতে পারে, সে জন্য গরিব-দুঃখীদের মধ্যে একটা নির্দিষ্ট হারে সদকায়ে ফিতরা বিতরণ করতে হয়।
প্রত্যেক সমর্থ্য মুসলমানের জন্য ফিতরা দেওয়া ওয়াজিব। মাথাপিছু কত টাকা ফিতরা দিতে হবে, তা আগেই রাষ্ট্র কিংবা সংশ্লিষ্ট ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করে দেয়। নিয়ম হলো, ঈদের নামাজ পড়তে যাওয়ার আগেই এই ফিতরা পরিশোধ করতে হবে। তারপর ঈদগাহ কিংবা তার অভাবে বড় মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করতে হয়।
ফিতরা কেন, কার ওপর ওয়াজিব
Why Fitra is obligatory on whom?
আরবি ‘সদকাতুল ফিতর’ অর্থ ‘ঈদুল ফিতরের সদকা’। ঈদুল ফিতরের দিন আদায় করা হয় বলে একে সদকাতুল ফিতর বলা হয়। একে জাকাতুল ফিতর বা ফিতরাও বলা হয়। সদকাতুল ফিতর বা ফিতরা দেওয়া ওয়াজিব। রাসুল (সা.) ছোট-বড় নারী-পুরুষ সব মুসলমানের জন্য তা আবশ্যক করেছেন।
পবিত্র রমজানের পুরো এক মাস রোজা এবং তৎসংশ্লিষ্ট ইবাদত ও বিধিনিষেধ পালনের পর শাওয়াল মাসের পয়লা তারিখে ঈদ উৎসব পালিত হয়। এ পালনের মধ্যে রয়েছে জামাতে ঈদের নামাজ আদায়, গরিব-দুঃখীদের মধ্যে ফিতরা বিতরণ এবং ভালো খাওয়াদাওয়ার আয়োজন। তবে ঈদুল ফিতর উৎসবের একটি তাৎপর্যময় অঙ্গ হলো ফিতরা বিতরণ। রোজার সময় সংযম সাধনায় কোনো ত্রুটিবিচ্যুতি ঘটে থাকলে তা সংশোধন এবং সমাজের সর্বস্তরের লোক যাতে উৎসবে অংশগ্রহণ করতে পারে, সে জন্য গরিব-দুঃখীদের মধ্যে একটা নির্দিষ্ট হারে সদকায়ে ফিতরা বিতরণ করতে হয়।
প্রত্যেক সমর্থ্য মুসলমানের জন্য ফিতরা দেওয়া ওয়াজিব। মাথাপিছু কত টাকা ফিতরা দিতে হবে, তা আগেই রাষ্ট্র কিংবা সংশ্লিষ্ট ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করে দেয়। নিয়ম হলো, ঈদের নামাজ পড়তে যাওয়ার আগেই এই ফিতরা পরিশোধ করতে হবে। তারপর ঈদগাহ কিংবা তার অভাবে বড় মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করতে হয়।
ক. রোজাদারের রোজায় যেসব দুর্বলতা ও ভুল হয়, তা থেকে পবিত্র হওয়া। খ. দরিদ্রদের প্রতি সদ্ব্যবহার। গ. ঈদুল ফিতরের দিনে দরিদ্রদের ভিক্ষা করা থেকে বিরত রাখা। ঘ. তারাবি ও রোজার মতো নেয়ামতে ধন্য করায় আল্লাহর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা। ঙ. উদারতা ও সহমর্মিতার চর্চা করা।
ফিতরের নিসাব জাকাতের নিসাবের সমপরিমাণ। নিসাব মানে হলো কারো কাছে সাড়ে সাত ভরি সোনা বা সাড়ে ৫২ ভরি রুপা অথবা তার সমমূল্যের নগদ অর্থ কিংবা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের অতিরিক্ত সম্পদ ঈদুল ফিতরের দিন সময় বিদ্যমান থাকলে তার ওপর ফিতর ওয়াজিব হবে। যাঁর ওপর ফিতর আদায় করা ওয়াজিব, তিনি নিজের পক্ষ থেকে যেমন আদায় করবেন, তেমনি নিজের অধীনদের পক্ষ থেকেও আদায় করবেন। তবে এতে জাকাতের মতো বর্ষ অতিক্রম হওয়া শর্ত নয়।
রাসুল (সা.)-এর যুগে মোট চারটি পণ্য দিয়ে ফিতরা আদায় করা হতো। খেজুর, কিশমিশ, যব ও পনির। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, ‘আমরা এক সা পরিমাণ খাদ্য অথবা এক সা পরিমাণ যব অথবা এক সা পরিমাণ খেজুর অথবা এক সা পরিমাণ পনির অথবা এক সা পরিমাণ কিশমিশ দিয়ে সদকাতুল ফিতর আদায় করতাম।’ (বুখারি, হাদিস: ১,৫০৬)
খাদ্যবস্তুর পরিবর্তে সেগুলোর কোনো একটিকে মাপকাঠি ধরে তার মূল্য আদায় করা হয়।
বর্তমান বাজারদর হিসাবে যেহেতু গমের দামই সবচেয়ে কম, তাই ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে প্রতিবছর আধা ‘সা’ গমকে মাপকাঠি ধরে ওই সময়ের বাজারদর হিসাবে তার মূল্য ফিতরার সর্বনিম্ন পরিমাণ ঘোষণা করা হয়।
উত্তম হলো, নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী বেশি মূল্যের খাদ্যবস্তুকে মাপকাঠি ধরে ফিতরা আদায় করা। কেননা সদকার মূল লক্ষ্যই হলো গরিবদের প্রয়োজন পূরণ ও তাদের স্বার্থ সংরক্ষণ। এ ছাড়া আদায়কারীর সামর্থ্যকেও বিবেচনায় রাখা উচিত, যদিও শরিয়তে সর্বনিম্ন মূল্যে ফিতরা আদায় করার দরজা খোলা রাখা হয়েছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে যব, কিশমিশ, খেজুর ও পনিরের হিসাবে ফিতরার আলাদা মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। কেউ চাইলে আটার হিসাবে ফিতরা না দিয়ে উল্লিখিত জিনিসগুলোর হিসাবেও ফিতরা দিতে পারবেন।
পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়তে যাওয়ার আগেই সদকাতুল ফিতর আদায় করা উত্তম। তবে রমজান মাসেও তা আদায় করা যায়।
আরবি ‘সদকাতুল ফিতর’ অর্থ ‘ঈদুল ফিতরের সদকা’। ঈদুল ফিতরের দিন আদায় করা হয় বলে একে সদকাতুল ফিতর বলা হয়। একে জাকাতুল ফিতর বা ফিতরাও বলা হয়। সদকাতুল ফিতর বা ফিতরা দেওয়া ওয়াজিব। রাসুল (সা.) ছোট-বড় নারী-পুরুষ সব মুসলমানের জন্য তা আবশ্যক করেছেন।
পবিত্র রমজানের পুরো এক মাস রোজা এবং তৎসংশ্লিষ্ট ইবাদত ও বিধিনিষেধ পালনের পর শাওয়াল মাসের পয়লা তারিখে ঈদ উৎসব পালিত হয়। এ পালনের মধ্যে রয়েছে জামাতে ঈদের নামাজ আদায়, গরিব-দুঃখীদের মধ্যে ফিতরা বিতরণ এবং ভালো খাওয়াদাওয়ার আয়োজন। তবে ঈদুল ফিতর উৎসবের একটি তাৎপর্যময় অঙ্গ হলো ফিতরা বিতরণ। রোজার সময় সংযম সাধনায় কোনো ত্রুটিবিচ্যুতি ঘটে থাকলে তা সংশোধন এবং সমাজের সর্বস্তরের লোক যাতে উৎসবে অংশগ্রহণ করতে পারে, সে জন্য গরিব-দুঃখীদের মধ্যে একটা নির্দিষ্ট হারে সদকায়ে ফিতরা বিতরণ করতে হয়।
প্রত্যেক সমর্থ্য মুসলমানের জন্য ফিতরা দেওয়া ওয়াজিব। মাথাপিছু কত টাকা ফিতরা দিতে হবে, তা আগেই রাষ্ট্র কিংবা সংশ্লিষ্ট ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করে দেয়। নিয়ম হলো, ঈদের নামাজ পড়তে যাওয়ার আগেই এই ফিতরা পরিশোধ করতে হবে। তারপর ঈদগাহ কিংবা তার অভাবে বড় মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করতে হয়।
ফিতরা কেন, কার ওপর ওয়াজিব
Why Fitra is obligatory on whom?
আরবি ‘সদকাতুল ফিতর’ অর্থ ‘ঈদুল ফিতরের সদকা’। ঈদুল ফিতরের দিন আদায় করা হয় বলে একে সদকাতুল ফিতর বলা হয়। একে জাকাতুল ফিতর বা ফিতরাও বলা হয়। সদকাতুল ফিতর বা ফিতরা দেওয়া ওয়াজিব। রাসুল (সা.) ছোট-বড় নারী-পুরুষ সব মুসলমানের জন্য তা আবশ্যক করেছেন।
পবিত্র রমজানের পুরো এক মাস রোজা এবং তৎসংশ্লিষ্ট ইবাদত ও বিধিনিষেধ পালনের পর শাওয়াল মাসের পয়লা তারিখে ঈদ উৎসব পালিত হয়। এ পালনের মধ্যে রয়েছে জামাতে ঈদের নামাজ আদায়, গরিব-দুঃখীদের মধ্যে ফিতরা বিতরণ এবং ভালো খাওয়াদাওয়ার আয়োজন। তবে ঈদুল ফিতর উৎসবের একটি তাৎপর্যময় অঙ্গ হলো ফিতরা বিতরণ। রোজার সময় সংযম সাধনায় কোনো ত্রুটিবিচ্যুতি ঘটে থাকলে তা সংশোধন এবং সমাজের সর্বস্তরের লোক যাতে উৎসবে অংশগ্রহণ করতে পারে, সে জন্য গরিব-দুঃখীদের মধ্যে একটা নির্দিষ্ট হারে সদকায়ে ফিতরা বিতরণ করতে হয়।
প্রত্যেক সমর্থ্য মুসলমানের জন্য ফিতরা দেওয়া ওয়াজিব। মাথাপিছু কত টাকা ফিতরা দিতে হবে, তা আগেই রাষ্ট্র কিংবা সংশ্লিষ্ট ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করে দেয়। নিয়ম হলো, ঈদের নামাজ পড়তে যাওয়ার আগেই এই ফিতরা পরিশোধ করতে হবে। তারপর ঈদগাহ কিংবা তার অভাবে বড় মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করতে হয়।
ক. রোজাদারের রোজায় যেসব দুর্বলতা ও ভুল হয়, তা থেকে পবিত্র হওয়া। খ. দরিদ্রদের প্রতি সদ্ব্যবহার। গ. ঈদুল ফিতরের দিনে দরিদ্রদের ভিক্ষা করা থেকে বিরত রাখা। ঘ. তারাবি ও রোজার মতো নেয়ামতে ধন্য করায় আল্লাহর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা। ঙ. উদারতা ও সহমর্মিতার চর্চা করা।
ফিতরের নিসাব জাকাতের নিসাবের সমপরিমাণ। নিসাব মানে হলো কারো কাছে সাড়ে সাত ভরি সোনা বা সাড়ে ৫২ ভরি রুপা অথবা তার সমমূল্যের নগদ অর্থ কিংবা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের অতিরিক্ত সম্পদ ঈদুল ফিতরের দিন সময় বিদ্যমান থাকলে তার ওপর ফিতর ওয়াজিব হবে। যাঁর ওপর ফিতর আদায় করা ওয়াজিব, তিনি নিজের পক্ষ থেকে যেমন আদায় করবেন, তেমনি নিজের অধীনদের পক্ষ থেকেও আদায় করবেন। তবে এতে জাকাতের মতো বর্ষ অতিক্রম হওয়া শর্ত নয়।
রাসুল (সা.)-এর যুগে মোট চারটি পণ্য দিয়ে ফিতরা আদায় করা হতো। খেজুর, কিশমিশ, যব ও পনির। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, ‘আমরা এক সা পরিমাণ খাদ্য অথবা এক সা পরিমাণ যব অথবা এক সা পরিমাণ খেজুর অথবা এক সা পরিমাণ পনির অথবা এক সা পরিমাণ কিশমিশ দিয়ে সদকাতুল ফিতর আদায় করতাম।’ (বুখারি, হাদিস: ১,৫০৬)
খাদ্যবস্তুর পরিবর্তে সেগুলোর কোনো একটিকে মাপকাঠি ধরে তার মূল্য আদায় করা হয়।
বর্তমান বাজারদর হিসাবে যেহেতু গমের দামই সবচেয়ে কম, তাই ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে প্রতিবছর আধা ‘সা’ গমকে মাপকাঠি ধরে ওই সময়ের বাজারদর হিসাবে তার মূল্য ফিতরার সর্বনিম্ন পরিমাণ ঘোষণা করা হয়।
উত্তম হলো, নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী বেশি মূল্যের খাদ্যবস্তুকে মাপকাঠি ধরে ফিতরা আদায় করা। কেননা সদকার মূল লক্ষ্যই হলো গরিবদের প্রয়োজন পূরণ ও তাদের স্বার্থ সংরক্ষণ। এ ছাড়া আদায়কারীর সামর্থ্যকেও বিবেচনায় রাখা উচিত, যদিও শরিয়তে সর্বনিম্ন মূল্যে ফিতরা আদায় করার দরজা খোলা রাখা হয়েছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে যব, কিশমিশ, খেজুর ও পনিরের হিসাবে ফিতরার আলাদা মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। কেউ চাইলে আটার হিসাবে ফিতরা না দিয়ে উল্লিখিত জিনিসগুলোর হিসাবেও ফিতরা দিতে পারবেন।
পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়তে যাওয়ার আগেই সদকাতুল ফিতর আদায় করা উত্তম। তবে রমজান মাসেও তা আদায় করা যায়।
আরবি ‘সদকাতুল ফিতর’ অর্থ ‘ঈদুল ফিতরের সদকা’। ঈদুল ফিতরের দিন আদায় করা হয় বলে একে সদকাতুল ফিতর বলা হয়। একে ��াকাতুল ফিতর বা ফিতরাও বলা হয়। সদকাতুল ফিতর বা ফিতরা দেওয়া ওয়াজিব। রাসুল (সা.) ছোট-বড় নারী-পুরুষ সব মুসলমানের জন্য তা আবশ্যক করেছেন।
পবিত্র রমজানের পুরো এক মাস রোজা এবং তৎসংশ্লিষ্ট ইবাদত ও বিধিনিষেধ পালনের পর শাওয়াল মাসের পয়লা তারিখে ঈদ উৎসব পালিত হয়। এ পালনের মধ্যে রয়েছে জামাতে ঈদের নামাজ আদায়, গরিব-দুঃখীদের মধ্যে ফিতরা বিতরণ এবং ভালো খাওয়াদাওয়ার আয়োজন। তবে ঈদুল ফিতর উৎসবের একটি তাৎপর্যময় অঙ্গ হলো ফিতরা বিতরণ। রোজার সময় সংযম সাধনায় কোনো ত্রুটিবিচ্যুতি ঘটে থাকলে তা সংশোধন এবং সমাজের সর্বস্তরের লোক যাতে উৎসবে অংশগ্রহণ করতে পারে, সে জন্য গরিব-দুঃখীদের মধ্যে একটা নির্দিষ্ট হারে সদকায়ে ফিতরা বিতরণ করতে হয়।
প্রত্যেক সমর্থ্য মুসলমানের জন্য ফিতরা দেওয়া ওয়াজিব। মাথাপিছু কত টাকা ফিতরা দিতে হবে, তা আগেই রাষ্ট্র কিংবা সংশ্লিষ্ট ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করে দেয়। নিয়ম হলো, ঈদের নামাজ পড়তে যাওয়ার আগেই এই ফিতরা পরিশোধ করতে হবে। তারপর ঈদগাহ কিংবা তার অভাবে বড় মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করতে হয়।
ফিতরা কেন, কার ওপর ওয়াজিব
Why Fitra is obligatory on whom?
আরবি ‘সদকাতুল ফিতর’ অর্থ ‘ঈদুল ফিতরের সদকা’। ঈদুল ফিতরের দিন আদায় করা হয় বলে একে সদকাতুল ফিতর বলা হয়। একে জাকাতুল ফিতর বা ফিতরাও বলা হয়। সদকাতুল ফিতর বা ফিতরা দেওয়া ওয়াজিব। রাসুল (সা.) ছোট-বড় নারী-পুরুষ সব মুসলমানের জন্য তা আবশ্যক করেছেন।
পবিত্র রমজানের পুরো এক মাস রোজা এবং তৎসংশ্লিষ্ট ইবাদত ও বিধিনিষেধ পালনের পর শাওয়াল মাসের পয়লা তারিখে ঈদ উৎ��ব পালিত হয়। এ পালনের মধ্যে রয়েছে জামাতে ঈদের নামাজ আদায়, গরিব-দুঃখীদের মধ্যে ফিতরা বিতরণ এবং ভালো খাওয়াদাওয়ার আয়োজন। তবে ঈদুল ফিতর উৎসবের একটি তাৎপর্যময় অঙ্গ হলো ফিতরা বিতরণ। রোজার সময় সংযম সাধনায় কোনো ত্রুটিবিচ্যুতি ঘটে থাকলে তা সংশোধন এবং সমাজের সর্বস্তরের লোক যাতে উৎসবে অংশগ্রহণ করতে পারে, সে জন্য গরিব-দুঃখীদের মধ্যে একটা নির্দিষ্ট হারে সদকায়ে ফিতরা বিতরণ করতে হয়।
প্রত্যেক সমর্থ্য মুসলমানের জন্য ফিতরা দেওয়া ওয়াজিব। মাথাপিছু কত টাকা ফিতরা দিতে হবে, তা আগেই রাষ্ট্র কিংবা সংশ্লিষ্ট ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করে দেয়। নিয়ম হলো, ঈদের নামাজ পড়তে যাওয়ার আগেই এই ফিতরা পরিশোধ করতে হবে। তারপর ঈদগাহ কিংবা তার অভাবে বড় মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করতে হয়।
Donate zakat online through DawateIslami and become part of the righteous cause to support suffering humanity! https://www.dawateislami.net/onlinedonation/
How Much Is Zakat al-Fitr? | Donate ZAKAT AL-FITR Before EID
ZAKAAT AL-FITR
Narrated Abu Stated Al-Khudri (رضي الله عنه) : Within the lifetime of Allah’s Apostle, we used to provide one Sa’ of meals (edible issues) as Sadaqat-ul-Fitr (to the poor). Our meals was both of barley, raisins (dried grapes), cottage cheese or dates. (zakaat al fitr)[Narrated by SAHIH AL-BUKHARI: 1510]
IS ZAKAT AL-FITR THE SAME AS ZAKAH?
No, they’re totally different. Zakat…
Ganti Untung Lahan di Ring Road II Samarinda, Kuasa Hukum Warga Apresiasi Pemprov Kaltim
PUBLIKKALTIM.COM – Ganti untung lahan milik warga Jalan Nusyirwan Ismail (Ring Road II) Samarinda tahap dua tengah berproses.
Hal itu disampaikan Kepala Dinas PUPR-Pera Kaltim, Aji Muhammad Fitra Firnanda.
Nanda, sapaan akrabnya menjelaskan, untuk pembayaran tahap kedua bakal segera diselesaikan setelah rampung tahap pertama.
“Pembayaran tersebut (tahap kedua) untuk luas lahan 2,6 hektar dari…
Zakat is the right of the deprived, it is not a gift of mercy
পবিত্র কুরআনের সূরা আত-তাওবার ৬০ নাম্বার আয়াতে যাকাত বণ্টনে আটটি খাত আল্লাহ তায়ালা নির্ধারন করেছেন। । এই খাতগুলো সরাসরি কুরআন দ্বারা নির্দিষ্ট এবং যেহেতু তা আল্লাহর নির্দেশ, তাই এর বাইরে যাকাত বণ্টন করলে তা ইসলামী শরিয়তসম্মত হয় না।
রমজান মাসে সিয়াম সাধনা মানবিক গুণাবলি বিকাশে সহায়ক। সিয়াম সাধনার মাধ্যমে ধনীরা গরিবের দুঃখ–কষ্ট বুঝতে পারেন; ক্ষুধা-তৃষ্ণার জ্বালা অনুভব করতে পারেন। অসহায় নিরন্ন মানুষের যন্ত্রণা বুঝতে পারেন। তাদের ঘৃণা ও উপেক্ষা নয়, তাদের জন্য ভালোবাসা ও সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে। এই অনুভূতি জাগ্রত হওয়াই রোজা ও রমজানের অন্যতম শিক্ষা।
দানখয়রাত ও ফিতরা–জাকাত ইত্যাদি রমজানের অতি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত, যা সমাজের অবহেলিত–বঞ্চিত মানুষের জন্য সহায়ক। কিন্তু কখনো কখনো এ মহতী কাজেও অনেকে ভুল করেন। কোথাও কোথাও দেখা যায়, অনেক কাপড় ব্যবসায়ী অসম্মানজনকভাবে জাকাতের কাপড় বিক্রির ব্যানার ঝোলান। বিজ্ঞাপন দিয়ে কিছু কম দামি নিম্নমানের শাড়ি কাপড় ও লুঙ্গি বিক্রি করেন।
কোনো কোনো জাকাতদাতারাও এমন আছেন, যাঁরা এগুলো কিনে জাকাত হিসেবে গরিবদের মধ্যে বিতরণ করেন। যাঁরা এসব করেন, তাঁরা প্রথমত জাকাতকে অসম্মান করেন; দ্বিতীয়ত, জাকাতদাতাকে হীন কাজে প্রলুব্ধ করেন; যা অনৈতিক।
হাদিস শরিফে আছে, ‘মন্দ কাজের প্রতি উদ্বুদ্ধকারী অনুরূপ মন্দ কাজের সমান প্রতিফল পাবে এবং ভালো কাজের প্রতি উৎসাহ প্রদানকারী সেরূপ ভালো কাজ করার সমান সুফল পাবে।’
যেসব জাকাতদাতা এ ধরনের নিম্নমানের শাড়ি–লুঙ্গি জাকাত হিসেবে দিচ্ছেন, তাঁরা একদিকে জাকাতকে অসম্মান করছেন, অন্যদিকে জাকাত গ্রহীতাকেও অমর্যাদা করছেন। সব মিলে ইসলামের পঞ্চ ভিত্তির অন্যতম খোদায়ি বিধান জাকাতের অবমাননা হচ্ছে আর মানবতার সঙ্গে উপহাস করা হচ্ছে; সর্বোপরি ইমান ও ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ একটি মৌলিক ইবাদতে ছলচাতুরীর মাধ্যমে খেল-তামাশায় পরিণত করা হচ্ছে।
রমজানের মূল লক্ষ্য মানবভ্রাতৃত্বের শিক্ষা থেকে বঞ্চিতই রয়ে যাচ্ছে।
জাকাত ফরজ ইবাদত, জাকাত করুণার দান নয়, দয়া দাক্ষিণ্যও নয়; এটি বঞ্চিতদের পাওনা অধিকার। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তাদের সম্পদে বঞ্চিত যাঞ্চাকারীদের নির্দিষ্ট অধিকার রয়েছে।’ (সুরা-৫১ জারিয়াত, আয়াত: ১৯; সুরা-৭০ মাআরিজ, আয়াত: ২৪-২৫)।
পাওনাদারের টাকা দিয়ে পাওনাদারকে নিম্নমানের কিছু কিনে দেওয়া ধোঁকাবাজি ছাড়া আর কী? আল্লাহ তাআলা আরও বলেন, ‘তোমরা ততক্ষণ পর্যন্ত প্রকৃত কল্যাণ পাবে না, যতক্ষণ না তোমাদের প্রিয় জিনিস দান করবে। আর তোমরা যা দান কর, আল্লাহ তা সে বিষয়ে অবগত।’ (সুরা-৩ আলে ইমরান, আয়াত: ৯২)।
যেহেতু এটি তার পাওনা, সুতরাং প্রাপককে তার পাওনা সসম্মানে প্রদান করতে হবে; যাতে তিনি তা পেয়ে সন্তুষ্ট হন। জাকাত প্রদান করা ফরজ ও সদকা আদায় করা ওয়াজিব; কিন্তু কোনো মানুষকে হেয় জ্ঞান করা, তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা, কারও সম্মানহানি করা নাজায়েজ ও হারাম কাজ।
সদকাতুল ফিতর ও ��াকাত এবং যেকোনো ফরজ–ওয়াজিব সদকা, যা নির্দিষ্ট খাতে ব্যয় করতে হয় এবং যেসব শুধুই গরিবের হক। তাই দেওয়ার আগে তিনি প্রকৃত হকদার কি না, তা নিশ্চিত হতে হবে। তবে সেসব প্রদান করার ক্ষেত্রে গ্রহীতাকে এমন বলার প্রয়োজন নেই, ‘এটা জাকাত’ বা ‘এটা ফিতরা’। এমনভাবে বলা উচিতও নয়; কেননা এতে গ্রহীতা লজ্জিত, অপমানিত বোধ করবেন। শুধু ফরজ–ওয়াজিব দান নয়, বরং নফল দানখয়রাতের মাধ্যমেও কাউকে অসম্মান করা যাবে না।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘উত্তম কথা ও ক্ষমা সেই দান অপেক্ষা উত্তম, যার সঙ্গে অনুগামী হয় যন্ত্রণা। আর আল্লাহ তাআলা ধনী ও সহিষ্ণু।’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ২৬৩)।
সদকা ও জাকাত এমনভাবে দেওয়া উত্তম, যা গ্রহীতা স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবহার করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে মুদ্রা বা টাকাই অগ্রগণ্য, কেননা এর দ্বারা গ্রহণকারী নিজের রুচি ও ইচ্ছামতো প্রয়োজন মেটাতে পারেন। কোনো কাপড়চোপড় বা খাদ্যদ্রব্য অথবা অন্য কোনো বস্তু কিনে দিলে ব্যবহার উপযোগী মানসম্পন্ন জিনিসই দেওয়া উচিত।
জাকাত: ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটির মৌলিক নিয়ম
জাকাত হল একটি ইসলামী অর্থ পরিভাষা যা একজন ব্যক্তিকে প্রতি বছর দাতব্য কাজের জন্য একটি নির্দিষ্ট অনুপাত সম্পদ দান করতে হয় এমন বাধ্যবাধকতাকে নির্দেশ করে।
জাকাত: ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটির মৌলিক নিয়ম
জাকাত হল একটি ইসলামী অর্থ পরিভাষা যা একজন ব্যক্তিকে প্রতি বছর দাতব্য কাজের জন্য একটি নির্দিষ্ট অনুপাত সম্পদ দান করতে হয় এমন বাধ্যবাধকতাকে নির্দেশ করে।
যাকাত কি?
যাকাত হল একটি দাতব্য সংস্থা যা আল্লাহ্ মুসলমানদেরকে তাদের অর্থ, সম্পত্তি এবং ফসলের উপর বাৎসরিক বা ফসল কাটার সময় দিতে বাধ্য করেন। যাকাত এর অর্থ প্রদান করা হয় আটটি শ্রেণির দরিদ্র, অরক্ষিত এবং যোগ্যদের জন্য যা আল্লাহ নিজেই কুরআনে উল্লেখ করেছেন (সূরা আল-তওবাহ, 9:60)। নবী মুহাম্মদ, তাঁর উপর শান্তি, জাকাতকে ইসলামের বিখ্যাত পাঁচটি স্তম্ভের তৃতীয় হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
(ফরয) স্বাদক্বাসমূহ শুধুমাত্র নিঃস্ব,অভাবগ্রস্ত এবং জাকাত (আদায়ের) কাজে নিযুক্ত কর্মচারীদের জন্য, যাদের মনকে ইসলামের প্রতি অনুরাগী করা আবশ্যক তাদের জন্য, দাসমুক্তির জন্য, ঋণগ্রস্তদের জন্য, আল্লাহর পথে (সংগ্রামকারী) ও (বিপদগ্রস্ত) মুসাফিরের জন্য। এ হল আল্লাহর পক্ষ হতে নির্ধারিত (ফরয বিধান)। আর আল্লাহ মহাজ্ঞানী, প্রজ্ঞাময়। আল কোরআন, সূরা তাওবা আয়াত ৬০
যাকাতের তাফসীর পূর্ণাঙ্গ
youtube
ইসলামে যাকাত ও ছদাক নিয়ে ওয়াজ
youtube
যাকাত দেওয়ার সঠিক নিয়ম
youtube
ইসলামে যাকাত ও সদকার বিধান
youtube
যাকাত আদায়ের সঠিক নিয়ম
youtube
জাকাত ভিক্ষা নয়, অধিকার |
youtube
জাকাত বঞ্চিতদের অধিকার,এটি করুণার দান নয়
Zakat is the right of the deprived, it is not a gift of mercy
Zakat is the right of the deprived, it is not a gift of mercy
পবিত্র কুরআনের সূরা আত-তাওবার ৬০ নাম্বার আয়াতে য���কাত বণ্টনে আটটি খাত আল্লাহ তায়ালা নির্ধারন করেছেন। । এই খাতগুলো সরাসরি কুরআন দ্বারা নির্দিষ্ট এবং যেহেতু তা আল্লাহর নির্দেশ, তাই এর বাইরে যাকাত বণ্টন করলে তা ইসলামী শরিয়তসম্মত হয় না।
রমজান মাসে সিয়াম সাধনা মানবিক গুণাবলি বিকাশে সহায়ক। সিয়াম সাধনার মাধ্যমে ধনীরা গরিবের দুঃখ–কষ্ট বুঝতে পারেন; ক্ষুধা-তৃষ্ণার জ্বালা অনুভব করতে পারেন। অসহায় নিরন্ন মানুষের যন্ত্রণা বুঝতে পারেন। তাদের ঘৃণা ও উপেক্ষা নয়, তাদের জন্য ভালোবাসা ও সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে। এই অনুভূতি জাগ্রত হওয়াই রোজা ও রমজানের অন্যতম শিক্ষা।
দানখয়রাত ও ফিতরা–জাকাত ইত্যাদি রমজানের অতি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত, যা সমাজের অবহেলিত–বঞ্চিত মানুষের জন্য সহায়ক। কিন্তু কখনো কখনো এ মহতী কাজেও অনেকে ভুল করেন। কোথাও কোথাও দেখা যায়, অনেক কাপড় ব্যবসায়ী অসম্মানজনকভাবে জাকাতের কাপড় বিক্রির ব্যানার ঝোলান। বিজ্ঞাপন দিয়ে কিছু কম দামি নিম্নমানের শাড়ি কাপড় ও লুঙ্গি বিক্রি করেন।
কোনো কোনো জাকাতদাতারাও এমন আছেন, যাঁরা এগুলো কিনে জাকাত হিসেবে গরিবদের মধ্যে বিতরণ করেন। যাঁরা এসব করেন, তাঁরা প্রথমত জাকাতকে অসম্মান করেন; দ্বিতীয়ত, জাকাতদাতাকে হীন কাজে প্রলুব্ধ করেন; যা অনৈতিক।
হাদিস শরিফে আছে, ‘মন্দ কাজের প্রতি উদ্বুদ্ধকারী অনুরূপ মন্দ কাজের সমান প্রতিফল পাবে এবং ভালো কাজের প্রতি উৎসাহ প্রদানকারী সেরূপ ভালো কাজ করার সমান সুফল পাবে।’
যেসব জাকাতদাতা এ ধরনের নিম্নমানের শাড়ি–লুঙ্গি জাকাত হিসেবে দিচ্ছেন, তাঁরা একদিকে জাকাতকে অসম্মান করছেন, অন্যদিকে জাকাত গ্রহীতাকেও অমর্যাদা করছেন। সব মিলে ইসলামের পঞ্চ ভিত্তির অন্যতম খোদায়ি বিধান জাকাতের অবমাননা হচ্ছে আর মানবতার সঙ্গে উপহাস করা হচ্ছে; সর্বোপরি ইমান ও ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ একটি মৌলিক ইবাদতে ছলচাতুরীর মাধ্যমে খেল-তামাশায় পরিণত করা হচ্ছে।
রমজানের মূল লক্ষ্য মানবভ্রাতৃত্বের শিক্ষা থেকে বঞ্চিতই রয়ে যাচ্ছে।
জাকাত ফরজ ইবাদত, জাকাত করুণার দান নয়, দয়া দাক্ষিণ্যও নয়; এটি বঞ্চিতদের পাওনা অধিকার। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তাদের সম্পদে বঞ্চিত যাঞ্চাকারীদের নির্দিষ্ট অধিকার রয়েছে।’ (সুরা-৫১ জারিয়াত, আয়াত: ১৯; সুরা-৭০ মাআরিজ, আয়াত: ২৪-২৫)।
পাওনাদারের টাকা দিয়ে পাওনাদারকে নিম্নমানের কিছু কিনে দেওয়া ধোঁকাবাজি ছাড়া আর কী? আল্লাহ তাআলা আরও বলেন, ‘তোমরা ততক্ষণ পর্যন্ত প্রকৃত কল্যাণ পাবে না, যতক্ষণ না তোমাদের প্রিয় জিনিস দান করবে। আর তোমরা যা দান কর, আল্লাহ তা সে বিষয়ে অবগত।’ (সুরা-৩ আলে ইমরান, আয়াত: ৯২)।
যেহেতু এটি তার পাওনা, সুতরাং প্রাপককে তার পাওনা সসম্মানে প্রদান করতে হবে; যাতে তিনি তা পেয়ে সন্তুষ্ট হন। জাকাত প্রদান করা ফরজ ও সদকা আদায় করা ওয়াজিব; কিন্তু কোনো মানুষকে হেয় জ্ঞান করা, তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা, কারও সম্মানহানি করা নাজায়েজ ও হারাম কাজ।
সদকাতুল ফিতর ও জাকাত এবং যেকোনো ফরজ–ওয়াজিব সদকা, যা নির্দিষ্ট খাতে ব্যয় করতে হয় এবং যেসব শুধুই গরিবের হক। তাই দেওয়ার আগে তিনি প্রকৃত হকদার কি না, তা নিশ্চিত হতে হবে। তবে সেসব প্রদান করার ক্ষেত্রে গ্রহীতাকে এমন বলার প্রয়োজন নেই, ‘এটা জাকাত’ বা ‘এটা ফিতরা’। এমনভাবে বলা উচিতও নয়; কেননা এতে গ্রহীতা লজ্জিত, অপমানিত বোধ করবেন। শুধু ফরজ–ওয়াজিব দান নয়, বরং নফল দানখয়রাতের মাধ্যমেও কাউকে অসম্মান করা যাবে না।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘উত্তম কথা ও ক্ষমা সেই দান অপেক্ষা উত্তম, যার সঙ্গে অনুগামী হয় যন্ত্রণা। আর আল্লাহ তাআলা ধনী ও সহিষ্ণু।’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ২৬৩)।
সদকা ও জাকাত এমনভাবে দেওয়া উত্তম, যা গ্রহীতা স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবহার করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে মুদ্রা বা টাকাই অগ্রগণ্য, কেননা এর দ্বারা গ্রহণকারী নিজের রুচি ও ইচ্ছামতো প্রয়োজন মেটাতে পারেন। কোনো কাপড়চোপড় বা খাদ্যদ্রব্য অথবা অন্য কোনো বস্তু কিনে দিলে ব্যবহার উপযোগী মানসম্পন্ন জিনিসই দেওয়া উচিত।
জাকাত: ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটির মৌলিক নিয়ম
জাকাত হল একটি ইসলামী অর্থ পরিভাষা যা একজন ব্যক্তিকে প্রতি বছর দাতব্য কাজের জন্য একটি নির্দিষ্ট অনুপাত সম্পদ দান করতে হয় এমন বাধ্যবাধকতাকে নির্দেশ করে।
জাকাত: ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটির মৌলিক নিয়ম
জাকাত হল একটি ইসলামী অর্থ পরিভাষা যা একজন ব্যক্তিকে প্রতি বছর দাতব্য কাজের জন্য একটি নির্দিষ্ট অনুপাত সম্পদ দান করতে হয় এমন বাধ্যবাধকতাকে নির্দেশ করে।
যাকাত কি?
যাকাত হল একটি দাতব্য সংস্থা যা আল্লাহ্ মুসলমানদেরকে তাদের অর্থ, সম্পত্তি এবং ফসলের উপর বাৎসরিক বা ফসল কাটার সময় দিতে বাধ্য করেন। যাকাত এর অর্থ প্রদান করা হয় আটটি শ্রেণির দরিদ্র, অরক্ষিত এবং যোগ্যদের জন্য যা আল্লাহ নিজেই কুরআনে উল্লেখ করেছেন (সূরা আল-তওবাহ, 9:60)। নবী মুহাম্মদ, তাঁর উপর শান্তি, জাকাতকে ইসলামের বিখ্যাত পাঁচটি স্তম্ভের তৃতীয় হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
(ফরয) স্বাদক্বাসমূহ শুধুমাত্র নিঃস্ব,অভাবগ্রস্ত এবং জাকাত (আদায়ের) কাজে নিযুক্ত কর্মচারীদের জন্য, যাদের মনকে ইসলামের প্রতি অনুরাগী করা আবশ্যক তাদের জন্য, দাসমুক্তির জন্য, ঋণগ্রস্তদের জন্য, আল্লাহর পথে (সংগ্রামকারী) ও (বিপদগ্রস্ত) মুসাফিরের জন্য। এ হল আল্লাহর পক্ষ হতে নির্ধারিত (ফরয বিধান)। আর আল্লাহ মহাজ্ঞানী, প্রজ্ঞাময়। আল কোরআন, সূরা তাওবা আয়াত ৬০
যাকাতের তাফসীর পূর্ণাঙ্গ
youtube
ইসলামে যাকাত ও ছদাক নিয়ে ওয়াজ
youtube
যাকাত দেওয়ার সঠিক নিয়ম
youtube
ইসলামে যাকাত ও সদকার বিধান
youtube
যাকাত আদায়ের সঠিক নিয়ম
youtube
জাকাত ভিক্ষা নয়, অধিকার |
youtube
জাকাত বঞ্চিতদের অধিকার,এটি করুণার দান নয়
Zakat is the right of the deprived, it is not a gift of mercy
Zakat is the right of the deprived, it is not a gift of mercy
পবিত্র কুরআনের সূরা আত-তাওবার ৬০ নাম্বার আয়াতে যাকাত বণ্টনে আটটি খাত আল্লাহ তায়ালা নির্ধারন করেছেন। । এই খাতগুলো সরাসরি কুরআন দ্বারা নির্দিষ্ট এবং যেহেতু তা আল্লাহর নির্দেশ, তাই এর বাইরে যাকাত বণ্টন করলে তা ইসলামী শরিয়তসম্মত হয় না।
রমজান মাসে সিয়াম সাধনা মানবিক গুণাবলি বিকাশে সহায়ক। সিয়াম সাধনার মাধ্যমে ধনীরা গরিবের দুঃখ–কষ্ট বুঝতে পারেন; ক্ষুধা-তৃষ্ণার জ্বালা অনুভব করতে পারেন। অসহায় নিরন্ন মানুষের যন্ত্রণা বুঝতে পারেন। তাদের ঘৃণা ও উপেক্ষা নয়, তাদের জন্য ভালোবাসা ও সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে। এই অনুভূতি জাগ্রত হওয়াই রোজা ও রমজানের অন্যতম শিক্ষা।
দানখয়রাত ও ফিতরা–জাকাত ইত্যাদি রমজানের অতি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত, যা সমাজের অবহেলিত–বঞ্চিত মানুষের জন্য সহায়ক। কিন্তু কখনো কখনো এ মহতী কাজেও অনেকে ভুল করেন। কোথাও কোথাও দেখা যায়, অনেক কাপড় ব্যবসায়ী অসম্মানজনকভাবে জাকাতের কাপড় বিক্রির ব্যানার ঝোলান। বিজ্ঞাপন দিয়ে কিছু কম দামি নিম্নমানের শাড়ি কাপড় ও লুঙ্গি বিক্রি করেন।
কোনো কোনো জাকাতদাতারাও এমন আছেন, যাঁরা এগুলো কিনে জাকাত হিসেবে গরিবদের মধ্যে বিতরণ করেন। যাঁরা এসব করেন, তাঁরা প্রথমত জাকাতকে অসম্মান করেন; দ্বিতীয়ত, জাকাতদাতাকে হীন কাজে প্রলুব্ধ করেন; যা অনৈতিক।
হাদিস শরিফে আছে, ‘মন্দ কাজের প্রতি উদ্বুদ্ধকারী অনুরূপ মন্দ কাজের সমান প্রতিফল পাবে এবং ভালো কাজের প্রতি উৎসাহ প্রদানকারী সেরূপ ভালো কাজ করার সমান সুফল পাবে।’
যেসব জাকাতদাতা এ ধরনের নিম্নমানের শাড়ি–লুঙ্গি জাকাত হিসেবে দিচ্ছেন, তাঁরা একদিকে জাকাতকে অসম্মান করছেন, অন্যদিকে জাকাত গ্রহীতাকেও অমর্যাদা করছেন। সব মিলে ইসলামের পঞ্চ ভিত্তির অন্যতম খোদায়ি বিধান জাকাতের অবমাননা হচ্ছে আর মানবতার সঙ্গে উপহাস করা হচ্ছে; সর্বোপরি ইমান ও ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ একটি মৌলিক ইবাদতে ছলচাতুরীর মাধ্যমে খেল-তামাশায় পরিণত করা হচ্ছে।
রমজানের মূল লক্ষ্য মানবভ্রাতৃত্বের শিক্ষা থেকে বঞ্চিতই রয়ে যাচ্ছে।
জাকাত ফরজ ইবাদত, জাকাত করুণার দান নয়, দয়া দাক্ষিণ্যও নয়; এটি বঞ্চিতদের পাওনা অধিকার। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তাদের সম্পদে বঞ্চিত যাঞ্চাকারীদের নির্দিষ্ট অধিকার রয়েছে।’ (সুরা-৫১ জারিয়াত, আয়াত: ১৯; সুরা-৭০ মাআরিজ, আয়াত: ২৪-২৫)।
পাওনাদারের টাকা দিয়ে পাওনাদারকে নিম্নমানের কিছু কিনে দেওয়া ধোঁকাবাজি ছাড়া আর কী? আল্লাহ তাআলা আরও বলেন, ‘তোমরা ততক্ষণ পর্যন্ত প্রকৃত কল্যাণ পাবে না, যতক্ষণ না তোমাদের প্রিয় জিনিস দান করবে। আর তোমরা যা দান কর, আল্লাহ তা সে বিষয়ে অবগত।’ (সুরা-৩ আলে ইমরান, আয়াত: ৯২)।
যেহেতু এটি তার পাওনা, সুতরাং প্রাপককে তার পাওনা সসম্মানে প্রদান করতে হবে; যাতে তিনি তা পেয়ে সন্তুষ্ট হন। জাকাত প্রদান করা ফরজ ও সদকা আদায় করা ওয়াজিব; কিন্তু কোনো মানুষকে হেয় জ্ঞান করা, তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা, কারও সম্মানহানি করা নাজায়েজ ও হারাম কাজ।
সদকাতুল ফিতর ও জাকাত এবং যেকোনো ফরজ–ওয়াজিব সদকা, যা নির্দিষ্ট খাতে ব্যয় করতে হয় এবং যেসব শুধুই গরিবের হক। তাই দেওয়ার আগে তিনি প্রকৃত হকদার কি না, তা নিশ্চিত হতে হবে। তবে সেসব প্রদান করার ক্ষেত্রে গ্রহীতাকে এমন বলার প্রয়োজন নেই, ‘এটা জাকাত’ বা ‘এটা ফিতরা’। এমনভাবে বলা উচিতও নয়; কেননা এতে গ্রহীতা লজ্জিত, অপমানিত বোধ করবেন। শুধু ফরজ–ওয়াজিব দান নয়, বরং নফল দানখয়রাতের মাধ্যমেও কাউকে অসম্মান করা যাবে না।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘উত্তম কথা ও ক্ষমা সেই দান অপেক্ষা উত্তম, যার সঙ্গে অনুগামী হয় যন্ত্রণা। আর আল্লাহ তাআলা ধনী ও সহিষ্ণু।’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ২৬৩)।
সদকা ও জাকাত এমনভাবে দেওয়া উত্তম, যা গ্রহীতা স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবহার করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে মুদ্রা বা টাকাই অগ্রগণ্য, কেননা এর দ্বারা গ্রহণকারী নিজের রুচি ও ইচ্ছামতো প্রয়োজন মেটাতে পারেন। কোনো কাপড়চোপড় বা খাদ্যদ্রব্য অথবা অন্য কোনো বস্তু কিনে দিলে ব্যবহার উপযোগী মানসম্পন্ন জিনিসই দেওয়া উচিত।
জাকাত: ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটির মৌলিক নিয়ম
জাকাত হল একটি ইসলামী অর্থ পরিভাষা যা একজন ব্যক্তিকে প্রতি বছর দাতব্য কাজের জন্য একটি নির্দিষ্ট অনুপাত সম্পদ দান করতে হয় এমন বাধ্যবাধকতাকে নির্দেশ করে।
জাকাত: ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটির মৌলিক নিয়ম
জাকাত হল একটি ইসলামী অর্থ পরিভাষা যা একজন ব্যক্তিকে প্রতি বছর দাতব্য কাজের জন্য একটি নির্দিষ্ট অনুপাত সম্পদ দান করতে হয় এমন বাধ্যবাধকতাকে নির্দেশ করে।
যাকাত কি?
যাকাত হল একটি দাতব্য সংস্থা যা আল্লাহ্ মুসলমানদেরকে তাদের অর্থ, সম্পত্তি এবং ফসলের উপর বাৎসরিক বা ফসল কাটার সময় দিতে বাধ্য করেন। যাকাত এর অর্থ প্রদান করা হয় আটটি শ্রেণির দরিদ্র, অরক্ষিত এবং যোগ্যদের জন্য যা আল্লাহ নিজেই কুরআনে উল্লেখ করেছেন (সূরা আল-তওবাহ, 9:60)। নবী মুহাম্মদ, তাঁর উপর শান্তি, জাকাতকে ইসলামের বিখ্যাত পাঁচটি স্তম্ভের তৃতীয় হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
(ফরয) স্বাদক্বাসমূহ শুধুমাত্র নিঃস্ব,অভাবগ্রস্ত এবং জাকাত (আদায়ের) কাজে নিযুক্ত কর্মচারীদের জন্য, যাদের মনকে ইসলামের প্রতি অনুরাগী করা আবশ্যক তাদের জন্য, দাসমুক্তির জন্য, ঋণগ্রস্তদের জন্য, আল্লাহর পথে (সংগ্রামকারী) ও (বিপদগ্রস্ত) মুসাফিরের জন্য। এ হল আল্লাহর পক্ষ হতে নির্ধারিত (ফরয বিধান)। আর আল্লাহ মহাজ্ঞানী, প্রজ্ঞাময়। আল কোরআন, সূরা তাওবা আয়াত ৬০
যাকাতের তাফসীর পূর্ণাঙ্গ
youtube
ইসলামে যাকাত ও ছদাক নিয়ে ওয়াজ
youtube
যাকাত দেওয়ার সঠিক নিয়ম
youtube
ইসলামে যাকাত ও সদকার বিধান
youtube
যাকাত আদায়ের সঠিক নিয়ম
youtube
জাকাত ভিক্ষা নয়, অধিকার |
youtube
জাকাত বঞ্চিতদের অধিকার,এটি করুণার দান নয়
Zakat is the right of the deprived, it is not a gift of mercy
Zakat is the right of the deprived, it is not a gift of mercy
পবিত্র কুরআনের সূরা আত-তাওবার ৬০ নাম্বার আয়াতে যাকাত বণ্টনে আটটি খাত আল্লাহ তায়ালা নির্ধারন করেছেন। । এই খাতগুলো সরাসরি কুরআন দ্বারা নির্দিষ্ট এবং যেহেতু তা আল্লাহর নির্দেশ, তাই এর বাইরে যাকাত বণ্টন করলে তা ইসলামী শরিয়তসম্মত হয় না।
রমজান মাসে সিয়াম সাধনা মানবিক গুণাবলি বিকাশে সহায়ক। সিয়াম সাধনার মাধ্��মে ধনীরা গরিবের দুঃখ–কষ্ট বুঝতে পারেন; ক্ষুধা-তৃষ্ণার জ্বালা অনুভব করতে পারেন। অসহায় নিরন্ন মানুষের যন্ত্রণা বুঝতে পারেন। তাদের ঘৃণা ও উপেক্ষা নয়, তাদের জন্য ভালোবাসা ও সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে। এই অনুভূতি জাগ্রত হওয়াই রোজা ও রমজানের অন্যতম শিক্ষা।
দানখয়রাত ও ফিতরা–জাকাত ইত্যাদি রমজানের অতি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত, যা সমাজের অবহেলিত–বঞ্চিত মানুষের জন্য সহায়ক। কিন্তু কখনো কখনো এ মহতী কাজেও অনেকে ভুল করেন। কোথাও কোথাও দেখা যায়, অনেক কাপড় ব্যবসায়ী অসম্মানজনকভাবে জাকাতের কাপড় বিক্রির ব্যানার ঝোলান। বিজ্ঞাপন দিয়ে কিছু কম দামি নিম্নমানের শাড়ি কাপড় ও লুঙ্গি বিক্রি করেন।
কোনো কোনো জাকাতদাতারাও এমন আছেন, যাঁরা এগুলো কিনে জাকাত হিসেবে গরিবদের মধ্যে বিতরণ করেন। যাঁরা এসব করেন, তাঁরা প্রথমত জাকাতকে অসম্মান করেন; দ্বিতীয়ত, জাকাতদাতাকে হীন কাজে প্রলুব্ধ করেন; যা অনৈতিক।
হাদিস শরিফে আছে, ‘মন্দ কাজের প্রতি উদ্বুদ্ধকারী অনুরূপ মন্দ কাজের সমান প্রতিফল পাবে এবং ভালো কাজের প্রতি উৎসাহ প্রদানকারী সেরূপ ভালো কাজ করার সমান সুফল পাবে।’
যেসব জাকাতদাতা এ ধরনের নিম্নমানের শাড়ি–লুঙ্গি জাকাত হিসেবে দিচ্ছেন, তাঁরা একদিকে জাকাতকে অসম্মান করছেন, অন্যদিকে জাকাত গ্রহীতাকেও অমর্যাদা করছেন। সব মিলে ইসলামের পঞ্চ ভিত্তির অন্যতম খোদায়ি বিধান জাকাতের অবমাননা হচ্ছে আর মানবতার সঙ্গে উপহাস করা হচ্ছে; সর্বোপরি ইমান ও ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ একটি মৌলিক ইবাদতে ছলচাতুরীর মাধ্যমে খেল-তামাশায় পরিণত করা হচ্ছে।
রমজানের মূল লক্ষ্য মানবভ্রাতৃত্বের শিক্ষা থেকে বঞ্চিতই রয়ে যাচ্ছে।
জাকাত ফরজ ইবাদত, জাকাত করুণার দান নয়, দয়া দাক্ষিণ্যও নয়; এটি বঞ্চিতদের পাওনা অধিকার। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তাদের সম্পদে বঞ্চিত যাঞ্চাকারীদের নির্দিষ্ট অধিকার রয়েছে।’ (সুরা-৫১ জারিয়াত, আয়াত: ১৯; সুরা-৭০ মাআরিজ, আয়াত: ২৪-২৫)।
পাওনাদারের টাকা দিয়ে পাওনাদারকে নিম্নমানের কিছু কিনে দেওয়া ধোঁকাবাজি ছাড়া আর কী? আল্লাহ তাআলা আরও বলেন, ‘তোমরা ততক্ষণ পর্যন্ত প্রকৃত কল্যাণ পাবে না, যতক্ষণ না তোমাদের প্রিয় জিনিস দান করবে। আর তোমরা যা দান কর, আল্লাহ তা সে বিষয়ে অবগত।’ (সুরা-৩ আলে ইমরান, আয়াত: ৯২)।
যেহেতু এটি তার পাওনা, সুতরাং প্রাপককে তার পাওনা সসম্মানে প্রদান করতে হবে; যাতে তিনি তা পেয়ে সন্তুষ্ট হন। জাকাত প্রদান করা ফরজ ও সদকা আদায় করা ওয়াজিব; কিন্তু কোনো মানুষকে হেয় জ্ঞান করা, তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা, কারও সম্মানহানি করা নাজায়েজ ও হারাম কাজ।
সদকাতুল ফিতর ও জাকাত এবং যেকোনো ফরজ–ওয়াজিব সদকা, যা নির্দিষ্ট খাতে ব্যয় করতে হয় এবং যেসব শুধুই গরিবের হক। তাই দেওয়ার আগে তিনি প্রকৃত হকদার কি না, তা নিশ্চিত হতে হবে। তবে সেসব প্রদান করার ক্ষেত্রে গ্রহীতাকে এমন বলার প্রয়োজন নেই, ‘এটা জাকাত’ বা ‘এটা ফিতরা’। এমনভাবে বলা উচিতও নয়; কেননা এতে গ্রহীতা লজ্জিত, অপমানিত বোধ করবেন। শুধু ফরজ–ওয়াজিব দান নয়, বরং নফল দানখয়রাতের মাধ্যমেও কাউকে অসম্মান করা যাবে না।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘উত্তম কথা ও ক্ষমা সেই দান অপেক্ষা উত্তম, যার সঙ্গে অনুগামী হয় যন্ত্রণা। আর আল্লাহ তাআলা ধনী ও সহিষ্ণু।’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ২৬৩)।
সদকা ও জাকাত এমনভাবে দেওয়া উত্তম, যা গ্রহীতা স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবহার করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে মুদ্রা বা টাকাই অগ্রগণ্য, কেননা এর দ্বারা গ্রহণকারী নিজের রুচি ও ইচ্ছামতো প্রয়োজন মেটাতে পারেন। কোনো কাপড়চোপড় বা খাদ্যদ্রব্য অথবা অন্য কোনো বস্তু কিনে দিলে ব্যবহার উপযোগী মানসম্পন্ন জিনিসই দেওয়া উচিত।
জাকাত: ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটির মৌলিক নিয়ম
জাকাত হল একটি ইসলামী অর্থ পরিভাষা যা একজন ব্যক্তিকে প্রতি বছর দাতব্য কাজের জন্য একটি নির্দিষ্ট অনুপাত সম্পদ দান করতে হয় এমন বাধ্যবাধকতাকে নির্দেশ করে।
জাকাত: ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটির মৌলিক নিয়ম
জাকাত হল একটি ইসলামী অর্থ পরিভাষা যা একজন ব্যক্তিকে প্রতি বছর দাতব্য কাজের জন্য একটি নির্দিষ্ট অনুপাত সম্পদ দান করতে হয় এমন বাধ্যবাধকতাকে নির্দেশ করে।
যাকাত কি?
যাকাত হল একটি দাতব্য সংস্থা যা আল্লাহ্ মুসলমানদেরকে তাদের অর্থ, সম্পত্তি এবং ফসলের উপর বাৎসরিক বা ফসল কাটার সময় দিতে বাধ্য করেন। যাকাত এর অর্থ প্রদান করা হয় আটটি শ্রেণির দরিদ্র, অরক্ষিত এবং যোগ্যদের জন্য যা আল্লাহ নিজেই কুরআনে উল্লেখ করেছেন (সূরা আল-তওবাহ, 9:60)। নবী মুহাম্মদ, তাঁর উপর শান্তি, জাকাতকে ইসলামের বিখ্যাত পাঁচটি স্তম্ভের তৃতীয় হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
(ফরয) স্বাদক্বাসমূহ শুধুমাত্র নিঃস্ব,অভাবগ্রস্ত এবং জাকাত (আদায়ের) কাজে নিযুক্ত কর্মচারীদের জন্য, যাদের মনকে ইসলামের প্রতি অনুরাগী করা আবশ্যক তাদের জন্য, দাসমুক্তির জন্য, ঋণগ্রস্তদের জন্য, আল্লাহর পথে (সংগ্রামকারী) ও (বিপদগ্রস্ত) মুসাফিরের জন্য। এ হল আল্লাহর পক্ষ হতে নির্ধারিত (ফরয বিধান)। আর আল্লাহ মহাজ্ঞানী, প্রজ্ঞাময়। আল কোরআন, সূরা তাওবা আয়াত ৬০
যাকাতের তাফসীর পূর্ণাঙ্গ
youtube
ইসলামে যাকাত ও ছদাক নিয়ে ওয়াজ
youtube
যাকাত দেওয়ার সঠিক নিয়ম
youtube
ইসলামে যাকাত ও সদকার বিধান
youtube
যাকাত আদায়ের সঠিক নিয়ম
youtube
জাকাত ভিক্ষা নয়, অধিকার |
youtube
জাকাত বঞ্চিতদের অধিকার,এটি করুণার দান নয়
Zakat is the right of the deprived, it is not a gift of mercy
All via REUTERS l Metro Manila, Philippines, Eloisa Lopez l 2, 4 Exmouth, Western Australia, Michael Goh l Bali, Indonesia, Nyoman Hendra Wibowo l Taipei, Taiwan, Ann Wang l West Sumatra province, Indonesia, Iggoy el Fitra