Writing a book about the Bangladesh liberation war and my days of those tumultuous period had been bugging me for a very long time. The liberation war was perhaps the most memorable episode of my life. It has changed the course of my life once for all. The days of the war were the hardest of days of my life. I have been battling with the lingering residual legacy of the war since those days…
কেন সরকার জিয়ার মুক্তিযুদ্ধের খেতাব বাতিল করতে চায়? সংবিধান লঙ্ঘন, বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের দেশত্যাগে সহায়তা এবং তাদের গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়নের কারণে জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিলের প্রস্তাব করে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল জামুকা। এই সময়ে কেন এই প্রস্তাব?
মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে পড়াশোনা নয়, হোক গবেষণা।। প্রফেসর ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন স্যারের কাছ থেকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রশিক্ষণ'২০ এর সনদ ও উপহার গ্রহণ , সবসময়ই সৌভাগ্যের বিষয়। বিশেষভাবে ধন্যবাদ, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ও জাদুঘরের সকল ট্রাস্টি মেম্বার্স এবং প্রশিক্ষকবৃন্দদের। এছাড়াও, ড. রেজিনা বেগম ম্যামের জন্য রইলো আন্তরিক ভালোবাসা। বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধ, গবেষণ It's noted that only 42 participants were selected among 205 applicants for this program. Moreover, this month-long Research Methodology course was conducted by LWM for the first time. This program enhances access to LWM and Archives for research purpose to us. #researchmethodology #liberationwarmuseum #liberationwar #genocidestudies (at Liberation War Museum, Dhaka - মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ঢাকা) https://www.instagram.com/p/CJ_jDRZAbtT/?igshid=es0bgj425p6r
The thought of an independent Bangladesh would have remained a mere dream if the heroes of ’71 did not take up arms and fight during the Liberation War in 1971. In this month of victory, we pay tribute to those brave souls who fought and sacrificed for the freedom of Bangladesh. Today we take a look back at the life and battles of Birshrestha Hamidur Rahman.
16 December: The day in 1971 on which #Bangladesh won its #Victory against #Pakistan in the #LiberationWar. Our tribute to those who made supreme sacrifices to make it possible and our Father of the Nation #Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman. #VictoryDay https://www.instagram.com/p/B6Hvv-AgUk9/?igshid=pusi41sffuvr
১৬ই ডিসেম্বর পাকিস্তানের ঐতিহাসিক আত্মসমর্পনের ৪দিন পর নিউইয়র্ক কেন্দ্রিক সাপ্তাহিক টাইম ম্যাগাজিন তাদের প্রচ্ছদ আর্টিকেলে বাংলাদেশের যুদ্ধ বিজয়কে তুলে ধরে। Bangladesh: Out of War, a Nation Is Born শিরোনামের এই লিখায় পুরো শহর জুড়ে বিজয় উল্লাস এবং “জয় বাংলা” জয়ধ্বনিত হবার বর্ণনা লিখা হয়। ২৫ই মার্চের গণহত্যার মাধ্যমে শুরু হওয়া এই যুদ্ধের নির্মমতা ও ভয়াবহতার চিত্র তুলে ধরা হয় এই লিখায়। স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে মার্কিন সরকার স্বীকৃতি প্রদান না করা সত্ত্বেও বাংলাদেশের অবিসংবাদি জয়ের গল্প বিশ্বাঙ্গনে তুলে ধরে এই খ্যাতিমান মার্কিন পত্রিকা। Four days after the historic surrender of Pakistan, on December 16th, New York-based weekly, Time Magazine, highlighted the victory victory of Bangladesh in their cover page. Bangladesh: Out of War, a Nation Is Born, written in the title of the publication. #thegreatbengalstory #1971 #liberationwar #timemagazine #timemagazinecover #bangladesh #bangla #bengal #genocide #story #dhakagram #instadhaka #instabangladesh #storyoftheday #art #artstation #artist #artistsontumblr #artoftheday #artsy #Bangla #banglaart #bengalart #bangladesh #bengal #artexhibit #culture #history #liberation #freedom #visualart #artstory #story #visualarts #poetry #design #artwork #literature https://www.instagram.com/p/BrVromCnTvz/?igshid=1374m6qcfzmri
মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শিল্পীদের ভূমিকার ব্যাপারে কথা বলতে গেলে আমরা কম বেশি সবাই ‘দ্য কন্সার্ট ফর বাংলাদেশ’ এর কথা কথা বলবো। বিটলস-এর জর্জ হ্যারিসন এবং রবিশঙ্করের আয়োজিত এই কনসার্টের ব্যাপারে আমরা কে না জানি? এই প্রদর্শনী বাংলাদেশের শরণার্থীদের জন্য আন্তর্জাতিক সচেতনতা এবং ত্রাণ তহবিল গঠনের প্রচেষ্টা হিসেবে, মূলত স্বাধীনতা যুদ্ধে ঘটে যাওয়া নৃশংসতার বিরুদ্ধে সাহায্যের আবেদন নিয়ে নিউ ইয়র্কের ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে আয়োজন করা হয়েছিলো। কিন্তু আরেকজন আন্তর্জাতিক শিল্পীর শিল্পকর্মের সাথে যে খুব অপ্রত্যাশিতভাবে মুক্তিযুদ্ধের যোগসূত্র আছে সেটা আমার একদমই জানা ছিল না। আর সেই ঘটনাটা আমি জানতে পারি ২০০৯ সালে শিল্পের ইতিহাস নিয়ে ইন্টারনেট ঘাটতে ঘাটতে। আর তাই নিয়েই আজকের লেখা। শিরোনাম পড়ে এতক্ষণে হয়তো আপনি জেনে গেছেন যে এই চিত্রকর আর কেউ নন বরং জোহানস্ ভারমির (Johannes Vermeer)। সপ্তদশ শতাব্দীর ডাচ চিত্রকর ভারমির তাঁর চিত্রকর্মে অসাধারণ আলোর কারিগরির জন্যে বিশ্ববিখ্যাত। তাঁর চিত্রকর্মে ফুটে উঠেছে সে সময়ের মানুষের দৈনন্দিন জীবনের পুঙ্খানুপুঙ্খ রূপ। চিত্রের এই ফোটোরিয়ালিস্টিক ডিটেইল নিয়ে এখন অব্দি দেশে বিদেশে আর্ট বোদ্ধারা গবেষণা করেন। কিন্তু সপ্তদশ শতকের চিত্রকর ভারমিরের সাথে আমাদের ৭১ এর কি যোগসূত্রই বা থাকতে পারে?
গল্পে এখানটায় আরেকজন চরিত্র চলে আসেন যার নাম মারিয়ো পিয়েরে রয়মান্স (Mario Pierre Roymans)। ১৯৭১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ব্রাসেল্স শহরের ‘ফাইন আর্ট প্যালেস’-এ অনুষ্ঠিত হয় ‘রেমব্রান্ট অ্যান্ড হিস এজ’ নামের একটি প্রদর্শনী যার অংশ হিসেবে প্রদর্শিত হচ্ছিল ভারমিরের অন্যতম চিত্রকর্ম ‘লাভ লেটার’। পর্দার ফাঁক দিয়ে উঁকি দিয়ে দেখছে দর্শক, ১৭ শতকের এক বিশ্বস্ত দাসী মালকিনের হাতে এনে দিল এক প্রেমপত্র! পেইন্টিঙটির মূল বাসস্থান অ্যামস্টারডাম রাইক্স মিউজিয়াম (Rijksmuseum) হলেও এই প্রদর্শনীর উদ্দেশ্যে তাকে আনা হয় ব্রাসেল্সে (Brussels) । আর এই প্রদর্শনীতেই অপ্রত্যাশিতভাবে চুরি যায় ভারমিরের ‘লাভ লেটার’ (Love Letter) । চুরি করেন আমাদের গল্পের মূল চরিত্র রয়মান্স।
২১ বছর বয়সী রয়মান্স প্রদর্শনী চলাকালে একটি বৈদ্যুতিক বাক্সে লুকিয়ে থাকেন। অতঃপর প্রদর্শনী শেষে ‘লাভ লেটার’ নিয়ে ফাইন আর্ট প্যালেসের একটি জানালা দিয়ে বেরুবার চেষ্টা করেন। কিন্তু ভারমিরের মূল পেইন্টিঙটি ছিল জানালার চেয়েও বড়। তখন রয়মান্স তার পকেটে থাকা একটি আলুর খোসা ছাড়ানোর চাকু দিয়ে চিত্রটিকে মূল ফ্রেম থেকে আলাদা করে আনেন। বলা বাহুল্য যে এতে চিত্রকর্মটির অনেক ক্ষতি হয়, কিন্তু এখানেই শেষ নয়, রয়মান্স চিত্রটিকে তার প্যান্টের পেছনে গুঁজে ফেলে প্যালেসের জানালা দিয়ে পালিয়ে যান। চুরির পর রয়মান্স প্রথমে লাভ লেটার লুকিয়ে রাখেন দি সোয়েটেওয়ে হোটেলের ( The Soetewey Hotel) নিজস্ব রুমে। এই হোটেলেরই একজন সাধারণ ওয়েটার ছিলেন রয়মান্স। পরবর্তীতে ছবিটিকে নিজের রুম থেকে সরিয়ে পুঁতে রাখেন জঙ্গলের মাটিতে। ফলশ্রুতিতে ভারমিরের চিত্রকর্মের কি ক্ষয়ক্ষতি হয় পাঠক নিশ্চয়ই ধারণা করতে পারছেন।
কিন্তু এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এর সাথে মুক্তিযুদ্ধের সম্পর্কটা কোথায়? হ্যাঁ, বুঝলাম ঘটনাটা ১৯৭১ সালের কিন্তু কোথাও মুক্তিযুদ্ধের কোন যোগসূত্র খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তখন আমাদের অঞ্চলে চলছে মানব ইতিহাসের এক বর্বরতম গণহত্যা। টেলিভিশনেই এর ব্যাপারে প্রথম জানতে পারেন রয়মান্স। বাংলার মাটিতে ঘটে যাওয়া বর্বর ধর্ষণ, খুন, রক্তপাতের ঘটনা স্বাভাবিকভাবে নিতে পারেননি রয়মান্স। কিন্তু আরও ভেঙে পরেন যখন দেখতে পান এই বিষয় নিয়ে পশ্চিমে তেমন কোন আলোচনা নেই, কোন পদক্ষেপ নেই, কোন ভাবান্তর নেই! আদর্শবাদী রয়মান্স তখন সিদ্ধান্ত নেন এই মানবিক বিপর্যয়ের বিরুদ্ধে তারই কিছু করা দরকার। যার দরুন তিনি চুরি করেন ‘লাভ লেটার’। বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ বিশ্বব্যাপী সাড়া তুলুক না তুলুক ভারমিরের পেইন্টিং চুরি বিশ্বব্যাপী একটি বড় ঘটনা হয়ে দাঁড়ায়। তাৎক্ষনিকভাবে এর খোঁজও শুরু হয় তুমুল আকারে। একই বছর অক্টোবরের ৩ তারিখ রয়মান্স “যেল ভ্যান লিমবার্গ” ছদ্মনামে (রবিন হুডের সমতুল্য একজন কাল্পনিক চরিত্র) ব্রাসেল্সের ‘le Soir’ পত্রিকায় যোগাযোগ করেন। কথামতো কুয়াশাচ্ছন্ন এক ভোরে একজন সাংবাদিক রয়মান্স-এর সাথে দেখা করতে আসেন। প্রায় আধ ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর রয়মান্সের সাথে দেখা মেলে, কিন্তু তার চেহারা ছিল এক প্লাস্টিকের মুখোশে মোড়ানো! সাংবাদিককে প্যাসেঞ্জার সিটে ঠেলে দিয়ে রয়মান্স তাকে চোখ বেঁধে ফেলতে বলেন এবং নিজে প্রায় আধঘণ্টা গাড়ি চালিয়ে ছোট একটি গির্জার সামনে এসে গাড়ি থামান। তারপর সাংবাদিককে অপেক্ষা করতে বলে ভেতরে চলে যান। ফিরে আসেন সাদা কাপড়ে মোড়ানো ‘লাভ লেটার’ নিয়ে । পেইন্টিংটি যে তার কাছেই আছে তার প্রমাণ হিসেবে সে গাড়ির হেডলাইটে সাংবাদিকে কিছু ছবি তোলার সুযোগ করে দেন। ফিরতি পথে আবার চোখ বাঁধা সাংবাদিক আর স্টিয়ারিং হাতে রয়মান্স। তবে এসময় রয়মান্স একটু হাল্কা হয়ে শিল্পের প্রতি তার ভালবাসা নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন যে এই পেইন্টিং সংরক্ষণের জন্যে যদি লাগে তবে জীবনের ১০ বছর দিতে রাজি, তবে তা তো আর সম্ভব নয়। তিনি আরও বলেন, একজন মানবিক ব্যক্তি হিসেবে তার মনে হয়েছিল ৭১-এর গণহত্যা নিয়ে তার কিছু করা উচিত। সে এই পেইন্টিং ফিরিয়ে দেবে। তবে শুধু তার তিনটি দাবী ছিল পরবর্তীতে যা তার ছবিসহ সে পত্রিকায় প্রকাশিত হয়–
১। বাংলাদেশের অত্যাচারিত মানুষের জন্য ২০০ মিলিয়ন ফ্রাঙ্ক পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
২। রাইক্সমিউজিয়াম যাতে বিশ্ব দুর্ভিক্ষ উত্তরণের উদ্দেশ্যে নেদারল্যান্ডে একটি অর্থ সংগ্রহের অভিযানে নামে।
৩। পাশাপাশি বেলজিয়ামের প্যালেস অফ আর্টসও যাতে অর্থ সংগ্রহের অভিযান চালায়।
এই তিন দাবী পূরণের জন্যে রয়মান্সের দেয়া শেষ তারিখ ছিল ৬ই অক্টোবর ১৯৭১ ।
প্রবন্ধ প্রকাশের পরদিনই স্থানীয় পুলিশ ‘Le Soir’ এর প্রধান কার্যালয়ে এসে সেই সাংবাদিককে জিজ্ঞাসাবাদ করে, এবং পুলিশকে আগে এই ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি কেন তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। (এখানে বলে রাখা ভাল যে, আমি অনেক চেষ্টা করেও সেই সাংবাদিকের মূল পরিচয় জানতে পারিনি। আপনাদের মধ্যে যদি কেউ তা জেনে থাকেন, নির্দ্বিধায় আমাকে জানাবেন) । সাংবাদিকের তোলা ছবিগুলো পুলিশ জব্দ করে আর্ট বিশেষজ্ঞের মতামত নিলে পরে জানা যায় ছবিগুলো আসলে ভারমিরেরই । The original Love Letter by the one and only Vermeer. কিন্তু পরিস্থিতি আরও চাঞ্চল্যকর হয় যখন এ.ই.এফ শেনডেল একটি প্রবন্ধ প্রকাশ করে এমন একটা দাবী করেন যে Le Soir এর প্রকাশিত আলোকচিত্র যথেষ্ট নয় লাভ লেটারের সত্যতা প্রমাণের জন্যে, এতে অস্থির হয়ে রয়মান্স আরও কয়েকটি পত্রিকা ও রেডিও স্টেশনের সাথে যোগাযোগ করেন। ডাচ আর্ট হিস্টোরিয়ান ও ভারমির বিশেষজ্ঞ ব্লাংকার্ট-এর ভাষ্যমতে, ডাচ জনগণ রয়মান্সের দাবীতে ব্যাপকভাবে সাড়া দেয়। তার নিজের ভাষায়, জনগণ যেভাবে দাবিগুলো গ্রহণ করেছিল তাকে বলা যায় ‘alarmingly well received’ । তার গ্রেপ্তার ও ওয়ারেন্ট মউকুফের দাবীতে সাধারণ জনগণ আবেদন করে এবং তার প্রস্তাবের সম্মতিতে অনেক ছোটো বড় উদ্যোক্তা বাঙালী শরণার্থীদের জন্যে অর্থ সংগ্রহ শুরু করে। এইদিকে যখন আমাদের অঞ্চলে যুদ্ধ চলছে, আমাদের দেশ স্বাধীন হতে চলেছে, সেইদিকে আমাদের দেশ থেকে হাজার মাইল দূরে ব্রাসেল্সের দেয়ালে-ব্রিজে বাংলার মানুষদের সাহায্যের উদ্দেশ্যে শ্লোগান লিখছে সেদেশের মানুষেরা । কিন্তু পরিস্থিতি তখনো অনেক উত্তেজনাময় সে শহরে, ভারমিরের পেইন্টিং বলে কথা! রয়মান্স টেলিফোন করে এইবার ‘Het Volijk’ পত্রিকা অফিসে, হুমকি দেয় যে ৬ই অক্টোবরের মধ্যে যদি তার দাবী সরাসরি সম্প্রচারে স্বাক্ষর না করা হয় তাহলে সে একজন আমেরিকান আর্ট কালেক্টরের কাছে বিক্রি করে দেবে ‘লাভ লেটার’। কিন্তু ৬ই অক্টোবরই রয়মান্সকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বিপি সার্ভিস স্টেশানের যে পাবলিক টেলিফোন বুথ থেকে সে পত্রিকায় টেলিফোন করছিলেন, সেই বুথের মালিকের স্ত্রী অ্যানির (Annie Mommens) কাছে রয়মান্সকে সন্দেহজনক মনে হয়েছিল, তাই সে পুলিশে খবর দেয় । বুথের মালিককে পুলিশের সাথে কথা বলতে দেখে রয়মান্স ঘাবড়ে গিয়ে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন ঠিকই। তিনি পার্শ্ববর্তী একটি ফার্মে দৌড়ে দুটো গরুর মাঝখানে লুকোনোর চেষ্টা করেন, কিন্তু এবেলা সে চেষ্টা বিফলে যায়। প্রায় দু’সপ্তাহের আতঙ্ক আর অনিশ্চয়তার পর রয়মান্সকে খুঁজে পায় পুলিশ। রয়মান্স তৎক্ষণাৎ পুলিশের হাতে নিজেকে সমর্পণ করে এবং নিজের রুমে নিয়ে গিয়ে দেখিয়ে দেয় পেইন্টিংটি কোথায় লুকোনো আছে ।
দি সোয়েটেওয়ে হোটেল-মালিক মার্কের (Mark Durwael) ভাষ্যমতে, রয়মান্স ছিল খুবই নম্র স্বভাবের একজন আদর্শ কর্মচারী। তবে পাকিস্তানের যুদ্ধ ও বাঙালী শরণার্থীদের কষ্ট তাকে ভাবাতো, সে প্রায়ই এই প্রসঙ্গ আনতো এবং আক্ষেপ করত। মার্ক খেয়াল করত, যে ভারমিরের পেইন্টিং চুরির খবর টেলিভিশনে প্রচার হলেই রয়মান্স খুব সতর্ক হয়ে যেত এবং তা মনোযোগ দিয়ে দেখত। গ্রেপ্তারের পর লিমবার্গের এই রবিনহুড জনগণের তাচ্ছিল্য নয় বরং ভালবাসাটাই বেশি পেয়েছেন। পত্রিকা এবং রেডিও স্টেশনগুলোতে হাজারো চিঠি জমা হতে থাকে তার সমর্থনে। রয়মান্স-এর বিচার হয় ২০ ডিসেম্বর, এবং ১২ জানুয়ারি থেকে তার দুই বছরের কারাদণ্ড শুরু হয়। যদিও রয়মান্স ৬ মাস জেল খাটার পর ছাড়া পেয়ে যান।
মারিয়ো পিয়েরে রয়মান্স
লিম্বার্গের এই রবিনহুডের জীবনের শেষ পরিণতি সুখকর ছিল না। পৃথিবীর যুদ্ধ, অসামঞ্জস্য তাকে ভাবাতো। তিনি বিয়ে করেছিলেন, তার একটি সন্তানও হয়। কিন্তু এক অমোঘ নিয়তিতে চরম বিষণ্ণতায় ভোগার কারণে তার বিয়ে শেষ পর্যন্ত টেকে না। তার জীবনের শেষ কটা দিন ঘরছাড়া হয়ে নিজের গাড়িতে কাটান। ১৯৭৮ সালের বক্সিং ডেতে তাকে প্রচণ্ড অসুস্থ অবস্থায় তার গাড়িতে পাওয়া যায়। এর ১০ দিন পড় ১৯৭৯ সালের ১০ জানুয়ারি রয়মান্স মৃত্যুবরণ করেন। রয়মান্সের বোনের কথায়, রয়মান্স এমন এক আদর্শবাদী মানুষ ছিলেন, যার জন্যে তার সময় প্রস্তুত ছিলনা (an idealist ahead of his time) । স্যু সমারস (Sue Sommers), রয়মান্সকে নিয়ে একটি বইও লিখেন, তার কথামতে, রয়মান্স মানসিক অসুস্থতায় ভুগছিল। একসময় সে লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির মোনালিসাও চুরি করতে চেয়েছিল!
রয়মান্স গ্রেপ্তারের পর, ৮ অক্টোবর ‘লাভ লেটার’ ফিরে যায় রাইক্স মিউজিয়ামে (Rijksmuseum), ১১ই অক্টোবর একে প্রেসের সামনে প্রদর্শন করা হয়। অতঃপর পেইন্টিং-এর ক্ষতির কারণে তাৎক্ষণিকভাবে একটি আন্তর্জাতিক দল গঠন করা হয় ছবিটি পুনরুদ্ধারের (restoration) জন্য । এই পুনরুদ্ধারের কাজ চলে টানা এক বছর ধরে। ১৯৭৩ সালে তা শেষ হলে রাইক্স মিউজিয়ামের ২৩০ নম্বর কক্ষে (Gallery of Honour) ‘লাভ লেটার’ পুনঃপ্রদর্শিত হয়। দর্শকদের ধারণা দেয়ার জন্য এই প্রদর্শনীতে পুনরুদ্ধার কাজ চলাকালীন অনেক আলোকচিত্রও স্থান পায়। সেই তখন থেকে আজ অব্দি লাভ লেটার রাইক্স মিউজিয়ামেই সংরক্ষিত আছে।
যুদ্ধ বিধ্বস্ত সেই দেশটি এখন স্বাধীন বাংলাদেশ। কিন্তু এই বাংলাদেশের একটা ছোট্ট ইতিহাস গায়ে মেখে এখনো রাইক্সের দেয়াল আঁকড়ে আছে ১৭ শতকের ‘লাভ লেটার’।
523)(Story-17-12) The war of 1971. (একাত্তরের যুদ্ধ-১২।) - Written by Junayed Ashrafur Rahman ✒
https://t.co/gC2CtkXiu4
#Story #Liberationwar #History #Politics #Drama #Comedy #Fantasy #Suspense
Ever thought how was the creation of Bangladesh carried out and how India helped? . . Why except USSR no one supported India? If Pakistan had the support of US then why did they lose the war? These are topics of another post of @timesofhistory . . Follow us : @timesofhistory . . #indiapakistan #indiapakistanwar #indopak #indopakwar1971 #indopakwar #indopakborder #indopakwar71 #bangladesh #historyofbangladesh #historyofindia #1971war #bangladeshliberationwarof1971 #indiapak #indianwars #historyofpakistan #eastpakistan #historyofbengal #bengal #bengali #westbengal #muktibahini #bangladeshmilitary #indianarmedforces #liberationwar #liberationwarofbangladesh #partitionofindia #britishindia #historyfacts #knowthepast #timesofhistory https://www.instagram.com/p/CDRpTASpzGj/?igshid=r1i1nqkuoq4p