Tumgik
#হাসপাতালে সাপ
banglakhobor · 10 months
Text
হাসপাতালে রোগীর সঙ্গে হাড়িও নিয়ে এল পরিবার! তার ভিতরে কী, দেখেই আঁতকে উঠল সকলে
অনুপ বিশ্বাস, ক্যানিং: শনিবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলী থানার পূর্ব তেতুলবেরিয়া ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী রুকসানা শেখ তার মায়ের সঙ্গে বাড়ির পাশে ঘাস কাটছিল সেই সময় আচমকায় রুকসানার হাতে একটি সাপ কামড় ছোবল মারে এরপরে রুকসানা চিৎকার করলে পরিবারের লোকজন বুঝতে পারে রুকসানাকে একটি সাপে কামড় দেয়। এরপর পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন সাপের। তারপরে পরিবারের লোকজন একটি কেউটে সাপ উদ্ধার করে…
View On WordPress
0 notes
24x7newsbengal · 2 months
Link
0 notes
mahfuzmanik · 7 months
Text
একটি দুয়ার বন্ধ হলে হাজারটা দুয়ার খোলে
জীবন বাঁচানোর জন্য কত আয়োজন! শেষ চেষ্টা হিসেবে হাসপাতালে আইসিইউ বা লাইফ সাপোর্টের জন্য স্বজনের কত আকুতি! এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে দৌড়াদৌড়ি। সাঁতার না জানা ব্যক্তিও কিছু একটা আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চায়। সাপ দেখলে বাঁচার জন্য যত দ্রুত সম্ভব দৌড়াতে কেউ কুণ্ঠিত হয় না। দুর্যোগে আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষের হুড়োহুড়ি। সবাই একটু বাঁচতে চায়। ভিক্ষা করে হলেও জীবন বাঁচাতে হবে। বাঁচার এই আয়োজনের মধ্যে আত্মহত্যা…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
boc-news · 2 years
Text
পায়ে ছোবল মেরেছিল গোখরো, সাপটিকে পাল্টা কামড়ের জেরে মৃত্যু সাপের!
সাধারনত কোনও মানুষকে সাপে (snake) কামড়ালে সেই মুহূর্তে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে যাওয়া হয়। কিন্তু উদ্ভট এক কাণ্ড ঘটালেন এক ব্যক্তি। মঙ্গলবার অর্থাৎ ৬ সেপ্টাম্বর এক ব্যক্তির পায়ে গোখরো সাপ ছোবল মেরেছিল। সাপে ছোবল মারার কারণে ওই ব্যক্তি ভয়ঙ্কর চটে গিয়েছিলেন। রাগের বশে তিনি সাপটিকে কামড়ে মেরে ফেললেন। এই ঘটনাটি ওড়িশার (Orissa) বালেশ্বরে ঘটেছে। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির নাম সলিল নায়েক। তিনি বালেশ্বরের…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
dailycomillanews · 2 years
Text
কামড় খেয়ে দুই সাপ ধরে নিয়ে হাসপাতালে আসলেন যুবক
কামড় খেয়ে দুই সাপ ধরে নিয়ে হাসপাতালে আসলেন যুবক
ঝিনাইদহের শৈলকূপায় সাপের কামড় খাওয়ার পর দুটি সাপ ধরে চিকিৎসা নিতে আসেন এক তরুণ। গত শনিবার শৈলকূপার বিজুলিয়া গ্রামের আলামিন বিশ্বাস (২৫) নামের যুবককে সাপে কামড় দেয়। তবে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন যুবক আলামিন এখন শংকামুক্ত বলে নিশ্চিত করেছেন চিকিৎসক। তিনি বিজুলিয়া গ্রামের মহসিন বিশ্বাসের ছেলে। মঙ্গলবার দুপুরে শৈলকূপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসারত আলামিন জানান, ঈদের আগের দিন শনিবার বেলা ১১টার দিকে…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
delusionanddream · 3 years
Text
বাসার নিচে কচ্ছপ, সাপ, তক্ষক কি নাই আমার পোস্টিং প্লেসে 🥴 হাতিও আছে এখানে, কিছুদিন পর দেখবেন বাসার নিচে ডায়নোসর এসে খেলতেসে 🙂
কয়েক মাস আগে হাসপাতালে উঠার সময় সামনে দিনে দুপুরে সাপ এর সামনে পড়ছিলাম, জাস্ট দুই পা সামনে, বিষাক্ত সাপ। আলহামদুলিল্লাহ বেচে গেসি !
5 notes · View notes
sattokhoborlive · 2 years
Text
কুষ্টিয়ায় তিন সপ্তাহে ৩০ জনকে সাপের দংশন
কুষ্টিয়ায় তিন সপ্তাহে ৩০ জনকে সাপের দংশন
শুক্রবার, ২২ এপ্রিল ২০২২ সত্যখবর ডেস্ক: কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে দিনের পর দিন সাপ আতংক বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত তিন সপ্তাহে উপজেলার শশীধরপুর গ্রামে অন্তত ৩০ জনকে সাপে কামড় দিয়েছে। এদের মধ্যে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, ২৯ মার্চ মরিয়মকে (৪) সাপে কামড় দেয়। তাকে ওঝা দিয়ে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা করা হয়। কিন্তু অবস্থার উন্নতি না হলে দৌলতপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালে নিয়ে যান স্বজনরা। সেখানকার চিকিৎসক…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
sristybarta · 2 years
Text
'সাপটা ধরতে গিয়ে ৩ বার কামড় খেলাম!'
‘সাপটা ধরতে গিয়ে ৩ বার কামড় খেলাম!’
সাপের কামড় খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বলিউড তারকা সালমান খান। নিজের বাগান বাড়িতে ৫৬তম জন্মদিনের উৎসবের প্রস্তুতি সারতে গিয়ে এমন পরিস্থিতির শিকার হতে হয় তাকে। সালমান খানের শরীরে তিনবার কামড় বসায় সাপটি। শনিবার মধ্য রাতের এই অঘটনের পর রোববার (২৭ ডিসেম্বর) একটু সুস্থ হয়ে সালমান খান নিজেই বিস্তারিত ঘটনা জানান ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে। তিনি বলেন, পানভেলে নিজের বাগান বাড়িতে একটি সাপ ঢুকে পড়ে। এসময় লাঠি…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
splusnews · 3 years
Text
গৃহবধূকে ছোবল দিয়ে রোগীর সাথে সাপও হাসপাতালে
গৃহবধূকে ছোবল দিয়ে রোগীর সাথে সাপও হাসপাতালে
মালদহ: বিষধর গোখরো সাপ ঘরের মধ্যেই গৃহবধূর হাতে ছোবল বসিয়েছে। তারপর হাসপাতালে ওই গৃহবধূর আত্মীয়রা একেবারে সাপ সমেত তাঁকে নিয়ে হাজির হলেন। এমনকি তাঁরা তারপর রাত পেরিয়ে দুপুর হতে চললেও সাপ নিয়ে ঠায় বসে রয়েছেন। মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সাপের ছোবলে আশঙ্কাজনক ওই গৃহবধূর ��াম বলসাতিয়া মাহাতো। মানিকচক থানার গদাই চর এলাকার বাসিন্দা…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
paathok · 3 years
Photo
Tumblr media
New Post has been published on https://paathok.news/140023
আনোয়ারায় সাপের কামড়ে সাবেক নারী ইউপি মেম্বারের মৃত্যু
.
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার হাইলধর ইউনিয়নে সাপের কামড়ে পারভীন আক্তার (৫০) নামের সাবেক এক নারী ইউপি সদস্যের মৃত্যু ঘটেছে। আজ শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুইটার দিকে দক্ষিণ হাইলধর গ্রামে নিজ বসত ঘরের ভেতরে পারভীন আক্তারকে বিষাক্ত সাপে কামড় দেয়।
পরে স্বজনরা তাকে আনোয়ারা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত পারভীন আক্তার স্থানীয় মোরশেদুল আলমের স্ত্রী। তার ৪ জন ছেলে সন্তান রয়েছে।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে পারভীন আক্তার নিজ ঘরের আলমারি থেকে কাপড় বের করার সময় আলমারির ড্রয়ারের ভেতর থেকে বিষাক্ত সাপ তার পায়ের কামড় দেয়।
আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মেজবাহ উস্ সালেহিন বলেন, শুক্রবার দুপুর ২ টার দিকে সাপে কাটা পারভীন আক্তার নামে এক মহিলাকে হাসপাতালে আনা হয়। ইসিজি পরীক্ষা করে দেখা যায় তার মৃত্যু হয়েছে।
0 notes
onnodristy · 3 years
Text
ঝিনাইদহে সাপের কামড়ে স্কুল কিশোর এর মৃত্যু ! 
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার জামাল ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে সাপের কামড়ে আশা মিয়া (১৬) নামের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।
  ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার জামাল ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে সাপের কামড়ে আশা মিয়া (১৬) নামের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। মৃত আশা ওই গ্রামের মাসুম মিয়ার ছেলে। সে গোপালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্র ছিল। গোপালপুর গ্রামের ইউপি সদস্য আব্দুল মালেক মোল্লা জানান, রাতে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিল আশা। রাত ১২ টার দিকে বিষধর সাপ তাকে ছোবল দেয়। শরীরে…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
24x7newsbengal · 1 year
Link
0 notes
50-shade · 3 years
Text
ফাইনাল কাউন্ট ডাউন
জন্ম'র সময় আর দশটা দেবশিশুর মত সেও চিৎকার করে উঠেছিলো। মেনপোজ শুরুর আগে জন্ম নেয়া একমাত্র নবজাতিকার চিৎকার বাবা-মার বুকে ছন্দ'র মত বাজে। হয়তো সে�� ছন্দ'র তালে মেয়েটার নাম রাখা হয়ে ছিল রিদমা। রিদমিক থেকে রিদমা।
আমার চোখেও সে একটা ছন্দ'র নাম। মালকোশ, ভৈরবী বা তিন তালের ছন্দ নয়; পাগল-পারা বৃষ্টি'র মত ছন্দ। রিদমা'র ছোট ছোট সুখ, হাসি, বেদনা আর আবদার গুলো আমার কাছে মুষলধারা বৃষ্টির ছন্দ'র মত ঠেকে। এমনকি অন্যায় আবদার গুলাও।
আজ দিন সাতেক হল আমাদের কথা বন্ধ। ভালোবাসা'র মানুষের সাথে কথা বন্ধ হলেও বার্তা বন্ধ হয় না। আমাদেরও বার্তা বন্ধ হয় না। আজ অবশ্য পরিস্থিতি গুরুতর। কথা-বার্তা সবই বন্ধ।
আজানের সুর ভেসে আসছে আজাদ মসজিদের মাস্তুল থেকে। আস সালাতু খায়রুম মিনান নাম়্… অথচ রিদমার চোখে ঘুম নেই। ঘুম অপেক্ষা নামাজ উত্তম শোনার পর শুরু হয় তার ঘুমের প্রস্তুতি। বিছানা কম্বল ঝেড়ে, হাত-মুখ ধুয়েমুছে ঘুমের প্রস্তুতি নিলেও ফাঁকে নাস্তা-টা খেয়ে নিত। সকাল ৭ টা বেজে গেলে নাশতা সেরে ফেলাই বুদ্ধিমানের কাজ৷ রিদমা যথেষ্ট বুদ্ধিমতী মেয়ে।
প্রতিটি দিন সমান হয় না। আজকের ভোর-টা যথারীতি অন্যদিনের মত নয়। আমার ঘুম ভাঙল রিদমার গুঙানির শব্দে। কোন রকম হাতরে চশমা পেয়ে গেলাম। চোখে লাগিয়ে রিদমারে ডাকতে শুরু করলাম। না অন্যদিনের মতই সে আমার পাশে নেই। লিভিং রুমে ঢুকতেই দেখি ডিভানে শুয়ে কুকরে যাচ্ছে সে। হাত-পা শরীর ধনুকের মত কিছুটা বেঁকে আসছে। খিচিয়ে থাকা মানুষের মত চোখ মুখ। শরীরের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসছে গুঙরানির মত শব্দ। যেন জমদূতের সাথে টানানাটি।
আমি গিয়ে ধাক্কা দিলাম ওরে। কি হয়েছে তোমার? ততক্ষণে দু'হাত দিয়ে নিজের মাথার চুল ছিঁড়তে শুরু করেছে। হাতের যে অংশ ঠোঁট বরাবর গিয়েছে সেখানে সজোরে কাম়্ড়ে ধরছে আর ছাড়ছে। আমি আস্ত একটা পুরুষ ওর দুহাত চেপে ধরার সিদ্ধান্ত নিলাম। রিদমার দু'হাতের কব্জি মুষ্টিবদ্ধ করলাম দু'হাতে। কিন্তু তার ধাক্কা আঁটকে দেবার মত শক্তি হল না। ছিটকে গেলাম আমি। ওর হাতে মুঠো ভরা লম্বা চুল উঠে আসছে, কুনুয়ের ওপরে দাঁতাল কামুড়ে ক্ষত। দাঁত যেন চামড়া ভেদ করে মাংসপেশী স্পর্শ করেছে। গলগল করে রক্ত বের হচ্ছে। উঠে গিয়ে আবার চেপে ধরলাম। আবারও ব্যর্থ আমি। যেন অসুরের শক্তি ভর করেছে শরীরে।
ইতিমধ্যে রহিমা খালা হাজির। রহিমা খালা আমাদের বহুদিনের হেল্পিং হ্যান্ড। রিদমার মা'র যখন নতুন সংসার তখন থেকেই আছে পিচ্চি রহিমা খালা। সময় পরিক্রমায় আমাদের বাসাতেও তার সারে তিন বছর পার হয়ে গিয়েছে। রিদমাকে আতুর ঘর থেকেই খালা পেলে-পুষে বড় করেছে। হাও-মাও করে কাঁদতে কাঁদতে খালা এসে আমার সাথে রিদমারে চেপে ধরেছে। যেন তারে নিবৃত করা যায়। দুজনের সম্মিলিত শক্তিও পরাজিত হল তারে থামাতে। মিনিট দুয়েক ধস্তাধস্তির পর একেবারে এলিয়ে গেলাম আমরা। তারে ধরে রাখতে যে শক্তি দরকার তার সিকিভাগও নেই আমার। দেয়ালে হেলান দিয়ে হাঁটু ভেঙে বসে পরি। অজান্তে আমার হাত চলে গেল মাথায়…
রহিমা খালা বলল বাসাত লাগছে ভায়ে। খারাপ বাসাত..
তখনি ফুটো হয়ে যাওয়া বেলুনের মত শব্দ করে চুপ়্সে যেতে শুরু করল সে। ধনুকের মত বেঁকে যাওয়া হাত-পা স্বাভাবিক হতে লাগলো। দাঁতের কামুড়ে রক্তাক্ত হাতে ব্যথার অনুভূতি ফিরে আসতে শুরু হল।
গিঁট বেঁধে যাওয়া থোকা থোকা চুল আর কামুড়ের ক্ষত দেখে যেন বিষ্ময়ের সীমা রইল না তার। অঝোর কাঁন্নায় পরিবেশ গুমোট হয়ে গেলো।
এগিয়ে গিয়ে তার কপালে হাত রাখতে চাইলাম। দুহাতে টেনে নিয়ে আমারে বুকের আলিঙ্গনে বেঁধে ফেলল সাথে সাথে। আমারও দুচোখ আদ্র হয়ে উঠল। কি যেন এক সুখ সুখ যন্ত্রণার শিস বিঁধতে শুরু হল মগজে। শিসের সুরটা খুব চেনাচেনা। অথচ কিছুতেই মনে পরছে না ঠিক কোথায় যেন শুনেছি...
ভাগ্য একদিকে সুপ্রসন্ন বলতে হয়। সম্পূর্ণ ঘটনা তিন চার মিনিটের বেশি স্থায়ী হল না।
রহিমা খালা এক-গ্লাস ঠাণ্ডা পানি নিয়ে এসেছে। তার মুখে পান। পানের রস ঠোঁট বেয়ে চুয়ে চুয়ে পরছে। খালা বলল বুজচ্ছ নি ভায়ে, ছুড়ুক বেলাত একবার পরীতে নিছিল আমাগের রিদু আফারে। আমাগের একটা কাশা'র কলস ছিল, সেই কলসের পানিতে বদ হাওয়া...
খালার কথা শেষ হবার আগেই আরো একবার গুঙরে উঠল রিদমা। আমি ছুটে গেলাম। এবার অবশ্য নিজেই নিজে-রে সামলে নিল সে...
ভেতরে ভেতরে খুব ঘাবড়ে গেলাম। সিদ্ধান্ত নিলাম রিদমা-রে হাসপাতালে এডমিট করিয়ে তারপর অফিস যাবো। কানাডা থেকে সিয়ার্স এসেছে। ওদের সাথে সময় দিতে না পারলে বিপদ। মার্চেন্ডাইজিং বাদ দিয়ে বউ নিয়ে হাসপাতালে থাকলে চাকরি থাকবে না। চাকরি না থাকলে চিকিৎসা হবে-না। মধ্যবিত্ত'র শনির দশা আর কি!
ঢাকা শহরের সব বড় হাসপাতালে নক দিলাম। চেনাজানা ডাক্তারদের ফোন দিলাম। সিম্পটম শুনে সবাই বলে আমরা পাগলের চিকিৎসা করি না। রুগী-রে সোহরাওয়ার্দী নিয়ে যান, ওখানে মানসিক চিকিৎসার ইউনিট আছে। আমার বউ পাগল আমি মানতে পারছি না। যা ঘটার তা মাত্র তিন চার মিনিটের ভেতর শেষ হয়ে যাচ্ছে। বাকি সময় সে স্বাভাবিক। একেবারেই স্বাভাবিক। শুধু ঐ সময় টুকুর রেশে ক্লান্ত বিধ্বস্ত।
ইতিমধ্যে আশেপাশের ফ্লাটের ভাবী-আন্টিরা চলে এসেছে৷ তারা সবাই খুব উত্তেজিত। বাড়িতে একজন পাগল পাওয়া গিয়েছে। যে পাগল এক রাত্রি আগেও তাদের সাথে স্বাভাবিক-ভাবে কথা বলেছে। সেই পাগল সরাসরি লাইভে দেখার সুযোগ কেউ ছাড়তে চাইছে না। আগামী অন্তত এক বছর ভাবী-আন্টিদের গল্প আড্ডা আর গিবতের জন্য মুখড়চক ইস্যু পাওয়া গিয়েছে। এমন ইস্যু হাতছাড়া করা আলবত উচিৎ হবে না..
ফোন শেষ হতে রহিমা খালা আবার হাজির। এতক্ষণ সম্ভবত আড়ালে দাঁড়িয়ে আমার কথা শুনছিল। খালা আবার বলল বুজচ্ছ ভায়ে ছুড়ুক বেলাত একবার পরীতে নিছিল আমাগের রিদু আফারে। আমাগের একটা কাশা'র কলস ছিল, সেই কলসের পানিতে বদ হাওয়া…
খালার কথা শেষ হতে না হতে কলিংবেলের আওয়াজ। চড়ুই পাখি কিচিরমিচির করছে। ইয়া লম্বাচওড়া এক হুজুর এসে হাজির। কোন এক ফাঁকে খালা তারে সংবাদ দিয়েছে আসার জন্য। হুজুর আমাকে মোটেও পাত্তা-টাত্তা দিল না। দেয়ালে টাঙানো নারী পোর্টেট দেখে দাঁড়িয়ে গেলেন। দোয়া-দরুদ পরে ছবিতে ফু দিয়ে দিলেন। ফু দেয়া মাত্র ঘোষণা দিল বাড়িতে সমস্যা আছে। সমস্যাটা মূলতঃ বাড়ির দক্ষিণ দিকে। ছবিটাও দক্ষিণমুখী দেওয়ালে আছে। পোর্ট্রেট নামিয়ে ফেলার হুকুম দিলেন হুজুর। বললেন বাড়ির মেয়েছেলের ছবি রঙ করে টাঙিয়ে রাখা বেদাত। এ কারণেই বদ জিনের নজর পরেছে। জুব্বার পকেট থেকে ম্যাগনিফাইং গ্লাস বের করে পোর্টেট আরেকটু ভালো মত পরখ করে নিলেন তিনি। তারপর আমার দিকে স্মিত মুখে তাকালেন। বললেন বড্ড খতরনাক জিন। তবে আপনার স্ত্রী-কে জিন মুক্ত করে ফেলব ইনশাআল্লাহ। আমি বললাম হুজুর ইনি আমার স্ত্রী না। ইনি লিও দ্যার গার্লফ্রেন্ড, নাম মোনা। আমার কথায় হুজুরের সুরমা মাখা চোখ মোটামুটি কপালে উঠে গেলো। কিছুটা বিব্রত হয়েই বোধহয় বলল ছি ছি ছি শিগ়্গির বিবাহ করুন, গার্ল্ফ্রেন্ড নিয়ে থাকেন কেন? বেগানা মহিলা জানলে তো আমি আসতাম না। আচ্ছা এসেই যখন পরেছি নিশ্চয় ওপর ওয়ালার ইশারায় এসেছি। আপনি খেদমতের ব্যবস্থা করুন। আমার সাথে বুজরুক জিন আছে। জিনদের খান-ই-খানান।
রহিমা খালা ইতিমধ্যে সাজিতে পান নিয়ে হুজুরের সামনে হাজির। মাথার ঘোমটা আধা হাত টেনে মুখ ঢাকলো খালা। বুজচ্ছন নি মাওলানা সাপ ছুড়ুক বেলাত একবার পরীতে নিছিল আমাগের রিদু আফারে। আমাগের একটা কাশা'র কলস ছিল, সেই কলসের পানিতে বদ হাওয়া…
হুজুর বলল খামোশ! আমার মারিফতে সব সংবাদ আছে।
ফ্লাটের ক'জন মহিলা রান্নাঘরে ঢুকেছে। কি কি সব জোগান-যন্ত করে রিদমা'র ঘরে চলে গেলো। আমিও পিছু নিলাম। রিদমা বেঘোরে ঘুমচ্ছে। আমার নিষেধাজ্ঞা পরোয়া করা হল না। মুরুব্বী খালাম্মারা আমারে মোটামুটি ধাক্কা দিয়ে ঘরের বাইরে পাঠিয়ে দিল। ভেতর থেকে এখন লক।
কিছুক্ষনের ভেতর রুমের ভেতর থেকে ভারিক্কি ফাটা গলার স্বর আসতে শুরু হল। দরজার নিচের ফাঁকা দিয়ে ঝাঁঝালো গন্ধ। ভেতরে কেউ কেউ কাশছে। শুকনা মরিচ পুড়ার গন্ধে আমিও কাশতে শুরু করলাম। হুজুরের হাঁক ডাক পাওয়া যাচ্ছে, যা ভাগ ভাগ, এক্ষুণি যা, যা যা, খা খা খা পক্ষিলারে খা.. আরো অজিব শব্দমালা। হুজুরের সাথে সাথে রিদমার আওয়াজও আসছে। তবে হুজুরের ধমকের কাছে তা নিতান্তই ছেলেমানুষী।
এর ভেতরে মনে হল আমার নাম ধরে কাঁদছে রিদমা। নিজেরে সংবরণ করতে চেষ্টা করেও পারলাম না। তুমি ডাকছ আমি নিরুত্তর থাকি কিভাবে! দরজা ধাক্কা দিই কিন্তু কেউ খুলে দিচ্ছে না। সে যেন আমার আক্ষেপ বুঝতে পারল। দরজায় দু'হাত রেখে আমিও তার ডাকের উত্তর করছি। লাথি মেরে ভেঙে ফেলতে চাইছি সেগুন কাঠের দরজা। আমি বড্ড অসহায়! দরজা ভেঙে ফেলার শক্তি চেয়ে খোদার কাছে আমার চিৎকার খোদার আরশে পৌঁছুচ্ছে না…
যখন দরজা খুলা হল রিদমা বিধ্বস্ত ভাঙাচুরা এক মানুষ। এই মাত্র কিছুক্ষণ সময়ে যেন তার বয়স এক নক্ষত্র বছর বেড়ে গিয়েছে। সরু চোখে তাকাতে চেষ্টা করছে। আফসোস চোখ খুলে রাখার শক্তি নেই তার।
রহিমা খালা আর মুরুব্বিরা জানাল জিন স্যান্ডেল মুখে নিয়ে পালিয়েছে। প্রমাণ হিসাবে একপার্ট স্যান্ডেল দেখিয়ে বললো অন্য পার্ট জিনেই নিয়ে বারান্দা দিয়ে ভেগেছে। বারান্দায় উঁকি দিয়ে দেখলাম সানসেটে আঁটকে আছে ডান পা'র স্যান্ডেল। সম্ভবত পালানোর সময় সানসেটের বুগি ট্রাপে আটকা পরেছিল জিন।
দুপুরবেলা জেগে উঠলো রিদমা। স্যালাইন দেয়া হয়েছে। মাথার ওপর ষ্টান্ড। চারিদিকে হাসপাতাল টাইপ ফিনাইলের গন্ধ। ফিনাইলের গন্ধে মাদকতা আছে কিনা পরীক্ষা করে জানা দরকার। দুজন সিষ্টার এসেছে শিফট ডিউটি করবে। সিষ্টার পাঠিয়েছে কোম্পানি। তাদের কথা হল বউকে ডাক্তার সিষ্টারের হাতে ছেড়ে দাও, আর নিজেরে ছেড়ে দাও কোম্পানির জন্য। ফ্যামিলির যাবতীয় দায় কোম্পানি নিলে তুমি কেন একশ ভাগ কোম্পানি-কে দিবা না! কে তাদের বুঝাবে আমি কর্পোরেটের রোবট মার্চেন্ট নই। আমি রক্ত মাংস'র এক মানুষ! রিদমাকে টাইগার শ্রিম্পের সুপ দেয়া হয়েছে। সে অতি তৃপ্তি নিয়ে খাচ্ছে। ওর তৃপ্তি দেখতে ভালই লাগছে।
অফিসে গিয়ে কিছুক্ষণ কষ্টিং প্রাইসিং এ মন দিলাম। কিছু আইডেন্টিটিকাল সুতাটুতা লাগবে। সেগুলোর সোর্সিং না করে উপায় নেই। এ সপ্তাহে এগুলো শেষ করে ফেললে কদিনের জন্য ঝাড়া হাত-পা হয়ে যাব। রিদমারে নিয়ে কোথাও ঘুরে আসা যাবে তখন।
দ্বিতীয় দিন কাটল ঝামেলা ছাড়া। আমিও আশ্বস্ত হলাম। তৃতীয় দিন রবিবার সাপ্তাহিক ছুটি। ঝামেলা শুরু হল সেদিন। ২/১ বার নয়, ২৪ ঘণ্টায় কমসে কম সাত আটবার খিচ খেল। এবার গোঁদের ওপর বিষফোঁড়া যুক্ত হয়েছে। আগে নিজে শুধু নিজেরে আঘাত করত, এখন সামনে যারা থাকছে তাদেরকেও আঘাত করছে। ঘরের জিনিসপত্র ভাঙাচুড়াও হচ্ছে। তবে ইন্টারেষ্টিং যেটা দেখলাম আমি বাসায় উপস্থিত থাকলেই শুধু ঘটনা ঘটছে। আমি ছাড়া অন্য কাউরে আঘাত করেনি।
স্বাভাবিক কারনে নিজেরে দোষী মনে হল। সেই আঁটকে যাওয়া শিস-টা মাথার ভেতর ফিরে এলো। অফিস শেষে বাড়ি ফিরতে ভয় ভয় হয়। আমি না থাকলে যেহেতু সমস্যা হয় না তাই বাড়ি ফেরার সময় পিছিয়ে দিলাম। ফলে কাগজে কলমে উন্নতির দেখা পেয়ে নার্স তুলে নিল কোম্পানি।
এভাবে বাড়ি না ফিরে বেঁচে থাকা যায় তবে মানুষ থাকা যায় না। আমারও তাই হল। ক্লাবে, পাবে, বিলিয়ার্ডে কাটতে থাকল আমার মধ্যরাতের সময়। যত কম সময় বাড়ি থাকি তত বেশী সময় ভালো থাকে রিদমা।
সিদ্ধান্ত নিলাম ডাক্তারের চেম্বারে নিয়ে যাব তারে৷ সেখানে পরীক্ষা নিরিক্ষার সুযোগ বেশি। রিদমা'র কাছে চেম্বারের কথা পারতেই তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলো। উত্তেজিত হতে হতে আবারও ধনুকের মত বেঁকে যেতে থাকল। সারাদিন কাজ করে, বাড়ি ফিরেই ক্লান্ত দেহ বিছানায় ছেড়ে এলিয়ে যেতে ইচ্ছা হয়। এসব অশান্তি অসহ্য লাগে। আমি প্রার্থনা করলাম খোদা এরচে বরং আমারে শারীরিক অসুখ দিয়ে শায়েস্তা কর, তবু তারে উন্মাদনা থেকে মুক্ত করে দাও…
এরমাঝে একদিন বিছানার তোষকে ম্যাচ ঠুকে আগুন জ্বালিয়ে দিল সে। আমি আগুন টের পেলাম যখন তীব্র ধোঁয়া খাবার টেবিল অবধি চলে এলো। সে আগুন জ্বালিয়ে শান্ত বালিকার মত আমার কাছে এসে বসেছে। তার দু'চোখ তখন শান্ত, স্বচ্ছ মুখে পরিতৃপ্ত হাসি।
এদফা আর অপেক্ষা করা যাই না। এম্বুলেন্স ডেকে জোর-জবস্তি করে নিয়ে গেলাম বান্ধবীর হাসপাতালে। সমস্যা খুলে বললাম। সে অভয় দিল। না জানিয়ে ডেকে পাঠালো রিদমার বাবা-কাকাদের। আমি কিছুটা বিরক্ত হলাম বটে। আমার পছন্দ না দুজনের সমস্যা অন্য কেউ জানুক।
তার বাবা-মা আসার আগে আমারে সংবাদ পাঠালো ডাক্তার। বলল, চল সামনের কফি শপে বসি। আমি মাথার ভেতর আঁটকে থাকা সেই শিস নিয়ে গেলাম তার সাথে সাথে। আর হুম ইতিমধ্যেই কোম্পানি থেকে দু মাসের অগ্রিম বেতন চলে এসেছে একাউন্টে। সাথে ডিসচার্জ লেটার-ও।
বলল শুনো আমি যা বলি সব মন দিয়ে। প্রশ্ন করবে না কোন, বাড়তি কিছু জানতেও চাইবে না। রিদমা-রে যেভাবে ইঞ্জেকশন পুশ করা হচ্ছে তা দেখে আমার বেশী কষ্ট হচ্ছে কি না জানতে চাইলো। একটা মানুষ-রে ইঞ্জেকশন পুস করতে দুই তিনজন মিলে হাত-পা চেপেও যখন ধরে রাখা যায় না- তখন ভালো লাগবে কিভাবে? - পালটা প্রশ্ন ছুড়ে দিলাম আমি।
ডাক্তার বলল লিসেন আজ তোমার পেসেন্ট সুস্থ হয়ে যাবে। বাবা-মামারা মানে তোমার শশুরবাড়ির লোকেরা চাইবে আজই রিলিজ নিতে। তুমিও হয়তো রিলিজ-ই প্রেফার করবা। তবে আজ মোটেও রিলিজ নেবে না। অন্তত আজ রাতে তো নয়-ই।
আমি ভ্রুকুঞ্চন করে জিজ্ঞেস করলাম ভেঙে বল। আমি বুঝতে পারছি না।
আমি আগেই বলেছি বাড়তি কিছু জানতে চাইবে না। সে উত্তর দিল।
শুনো রিদমা'র যে অসুখ এর কোন চিকিৎসা আসলে নেই। আবার এই অসুখের অনেক চিকিৎসা প্রচলিত আছে। সেসব ট্রিটমেন্টে কাজ হয় না, তা কিন্তু না। হুম ট্রিটমেন্ট কাজ করে কিন্তু অসুখ ভালো হয় না। বাড়িতে হুজুর এনে যে মরিচ-পুড়া চিকিৎসা দিয়েছিলে সেটাও কিন্তু কার্যকর ছিল। আবার আমার এখানে যে চিকিৎসা হচ্ছে এটাও কার্যকর।
আমি বললাম তুমি কি বলছ নিজেই কি তার মাথামুণ্ড কিছু বুঝছ?
এবার বিদ্রূপাত্মক একটা বাঁকা হাসি সে দিল আমাকে। বলল আমি যা বলছি তা কোন ডাক্তার ইথিকালি পেসেন্ট পার্টি-কে বলে না, বলবেও না। আমি বলছি কারণ আমি আগে বন্ধু তারপর ডাক্তার৷
শুনো হুজুরের মরিচ-পুড়া ট্রিটমেন্ট আরো দু-একদিন চললে হয়তো হাসপাতালে আসতে হত না তোমাদের। আমি শুধু শুকনা মরিচের বিপরীতে মাসলে ডিষ্টিল ওয়াটার পুশ করেছি। ইচ্ছা করেই বেশী বেশী ব্যথা দিতে বলে দিয়েছি ডিউটি ডাক্তারকে৷ খেয়াল করেছ নিশ্চয় কোন সিষ্টার ইঞ্জেক্ট করেনি রিদমারে।
এই রোগ ভালো করতে রোগীর চেয়ে একটু বেশী চতুর হতে হয়, একটু বেশী ধৈর্য ধরতে হয় আর শক্ত হতে হয়৷
বললাম; কিচ্ছু বুঝতে পারছি না আমি। লেডি ডাক্তার বলল, ৩৫০০০ টাকা বিল হবে কাল পর্যন্ত। ডিস্কাউন্ট করার কথা বলে দিয়েছি। থার্টি পার্সেন্ট ডিস্কাউন্ট ইজ ফেরার এনাফ আই থিংক।
তোমার আরেকটা কাজ বাকি থাকছে। রিদমারে কাল বাসায় নিয়ে যাবার আগে তুমি আজকে বাসাতে যাবা। গিয়ে উইথ ব্যাগ এন্ড ব্যগেজেস রহিমা আপারে বিদায় করবে। ইনক্লুডিং দ্যা সো কলড কাজিন। আই মিন রহিমা খালার ছেলে। তাদের ব্যবহার করা যাবতীয় যা আছে সব ধুয়েমুছে দিবা। যেন রহিমারা কেউ কোন দিন ছিলই না কোথাও।
যা বুঝার বুঝে ফেলে���ি আমি। সকাল-বেলা বিল পে করে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম আমরা। আমি ড্রাইভ করছি পাশে বসেছে রিদমা। তারে আজ অপ্সরাদের মত লাগছে। তবে রহিমা খালা আর তার ছেলেকে অবশ্য বিদায় দিলাম না। কিছুই বলব না মনস্থ করলাম।
ওরে রুমে শুইয়ে দিয়ে একটা চুমু দিলাম ঠোঁটে। তার চোখের জল গড়িয়ে পরছে। আমার হাত-টা ছুঁয়ে বলল I'm sorry..
রুম থেকে বেড়িয়ে খালারে বললাম এক-জগ ঠাণ্ডা পানি দেন আপনার আপারে। তার সাথে কথাবার্তা বলেন, সময় দেন। খালা আর তার ১৮ বছরের ছেলে দু'জন মিলে রুমে ঢুকে গেলো। আমি পকেট থেকে গুনে গুনে পাঁচটা লাইটার বের করলাম। মোনালিসা পোর্ট্রেটের নিচে রাখা ওভেনের ভেতর গ্যাস লাইটগুলো রেখে টাইট করে ঢেকে দিলাম। ডিস্ট্রিবিউশন বোর্ড গুলো যতটা সম্ভব ন্যকেড করে দিলাম। কেটে দিলাম গ্যাসের পাইপ। হায়েষ্ট টেম্পারেচার সিলেক্ট করে টাইমার সেট করলাম ওভেনে। ওভেন গরম হতে শুরু করেছে।
আমার গাড়ি ষ্টার্ট নিয়ে নিয়েছে। Dohs পেরিয়ে এয়ারপোর্ট রোডে উঠে এসেছি। ফায়ার সার্ভিসের গাড়িগুলো আমার উল্টো পাশ দিয়ে ছুটে চলছে। ওদের গন্তব্য আমার জানা...
ওভার ড্রাইভ এক্টিভ করে মিউজিক সিষ্টেম প্লে করে দিলাম ...Walking Down d Street,
Distant Memories
R Buried In d Past Forever
I Follow D Moskva
Down 2 Gorky Park
Listen 2 d Wind Of Change
Take Me 2 d Magic Of d Moment
On a Glory Night
Where D Children Of Tomorrow
share Their Dreams
With U n Me..
The Future's In d Air
I Can Feel it Every Where
Blowing In D Wind of Change….
মাথার ভেতর আঁটকে যাওয়া সেই হুইসেলের সুর খুঁজে পাওয়া গেছে অবশেষে।।
#বনল
সাঁঝবাতি
১৩ই অক্টোবর
#wasimifekhar
0 notes
newsindia365 · 3 years
Text
ছোবল দিয়েছে যে সাপ, তা ধরে নিয়ে হাসপাতালে হাজির আক্রান্ত ব্যাক্তি, দেখুন
ছোবল দিয়েছে যে সাপ, তা ধরে নিয়ে হাসপাতালে হাজির আক্রান্ত ব্যাক্তি, দেখুন
ছোবল দিয়েছে যে সাপ, তা ধরে নিয়ে হাসপাতালে হাজির আক্রান্ত ব্যাক্তি, দেখুন | Snake that bitten a person was taken to hospital by the affected one Source
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
deshergarjan24 · 4 years
Photo
Tumblr media
কালীগঞ্জে সাপের কামড়ে গৃহবধুর মৃত্যু কালীগঞ্জ প্রতিনিধি: কালীগঞ্জে সাপের কামড়ে রেখা রানী দাস নামে এক গৃহবধুর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার বড় ভাটপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গতকাল ৬ই অক্টোবর,(মঙ্গলবার)সকালে ঘুম থেকে উঠার পর গৃহবধূ রেখা রানী তার স্বামী সুকুমারকে জানায়, গতরাতে সে অলৌকিকভাবে একটা দুঃসপ্ণ দেখেছে।সেটা হলো তারা যদি তাদের বসতভিটা থেকে চলে না যায় তবে তাদের ক্ষতি হবে অথবা সাপে কামড়াবে।তার স্বামী এই অযুক্তিক সপ্ণকে তেমন একটা গুরুত্ব দেইনা। স্থানীয়রা জানায়,বড়ভাটপাড়া গ্রামের সুকুমার দাসের স্ত্রী সকাল থেকে নিত্যদিনের মতো বাড়ির কাজকর্ম করা শুরু করে। ঘরে ঝাড়ু দেওয়ার সময় তার হাতে সাপ ছোবল দেয়। কিন্তু সে সাপ দেখতে পায়না।যার ফলে সে মনে করে তার হাতে ইঁদুর কামড়িয়েছে বোধহয়।সাপে কামড়ানোর পরও সে তার দৈনন্দিন কাজকর্ম করতে থাকে। এরপর NGO কর্মীদের নিকট কিস্তির টাকা প্রদান করতে গেলে সে চোখেমুখে ঝাপসা দেখতে পায় এবং মাথা ঘুরে পড়ে যায়। এরপর লোকজন তাকে নিয়ে ছোট ভাটপাড়ার এক কবিরাজের নিকট নিয়ে যায়। উপজেলার সুন্দরপুর দূর্গাপুর ইউনিয়নের আ’লীগ নেতা লিয়াকত আলী খান লিটন আরো জানান, প্রথমে সাপে কেটেছে কিনা বুঝে উঠতে না পারলেও বিকালে তার শরীরে যন্ত্রনা শুরু হয়।এ সময় পরিবারের লোকজন তাকে নিয়ে ছোট ভাটপাড়ার কবিরাজের নিকট যায়।কবিরাজ যখন বুঝতে পারে রোগীর অবস্থা খুবই সংকটজনক তখন তিনি রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে। অতঃপর হাসপাতালে নেবার পথে সে মৃত্যুবরন করে। নিহত রেখা রানী ২ সন্তানের জননী। ছেলে সজীব দাস(১৬) ও মেয়ে শতাব্দী রানী(১২)। গৃহবধূর এই অকাল মৃত্যুতে ভাটপাড়া এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।তাকে দেখতে পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেক মানুষের সমাগম ঘটেছে। সবাই তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা এবং দুঃখপ্রকাশ করে। উল্লেখ্য, সকল আত্মীয় স্বজন আসতে দেরী হওয়ায় আগামীকাল বুধবার সকালে তার লাশের শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হবে বলে জানা গেছে।
0 notes
Video
ভয়ংকর সাপের খেলা । রফিকুল সাপুড়ের বিষধর সাপের খেলা | গোখড়া ও দারাস সাপ... শোনা যায় সাপুড়ের মৃত্যু নাকি সাপের কামড়েই হয়। ঠিক এমনটি ঘটল সাপুড়ে রফিকুলের সাথে। সাপুড়ে রফিকুল নিয়মিতভাবে বিভিন্ন এলাকায় সাপ খেলা দেখাতেন। রোববার তিনি রাজশাহী কোর্ট এলাকায় বিষধর সাপ নিয়ে খেলা দেখাতে যান। ওই বিষধর সাপ এক সময় তাকে ছোবল দেয়। বিষ দাঁত ভাঙা থাকায় গুরুত্ব দেয়নি রফিকুল। খেলা শেষে সন্ধ্যার পর নাটোরের পীরগঞ্জ এলাকায় নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। নাটোরের তোকিয়া ঢালান এলাকায় আসার পর তার শরীরে সাপের বিষক্রিয়া শুরু হলে  বুঝতে পারেন তাকে সাপে কেটেছে। এক সময় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। স্থানীয়রা তার মুখে সবকিছু শোনার পর তাকে নিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। কিন্তু পথেই তিনি মারা যান।  পরে তার মরদেহ তার বাড়িতে নেয়া হয়। রাতেই স্থানীয় গোরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়। মারা যাওয়ার আগেই এটিই তার শেষ সাপের খেলারফিকুলরা ঢাকার সাভার বেদেপল্লীর বাসিন্দা ছিলেন। প্রায় ৪০ বছর আগে তারা নাটোরের পীরগঞ্জ এলাকায় এসে বসবাস শুরু করেন। সাপ ধরে ও খেলা দেখিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। 
0 notes