লাইলাতুল কদরের রাত
Lailatul Qadr Night
শবে কদর (ফার্সি: شب قدر) বা লাইলাতুল কদর (আরবি: لیلة القدر) এর অর্থ "অতিশয় সম্মানিত ও মহিমান্বিত রাত" বা "পবিত্র রজনী"। ফার্সি ভাষায় "শাব" ও আরবি ভাষায় "লাইলাতুল" অর্থ হলো রাত্রি বা রজনী, অন্যদিকে 'কদর' শব্দের অর্থ সম্মান, মর্যাদা, মহাসম্মান। এ ছাড়া এর অন্য অর্থ হল ভাগ্য, পরিমাণ ও তাকদির নির্ধারণ করা।
লাইলাতুল কদরে কোরআন নাজিল হয়েছে, এটি হাজার মাসের চেয়েও উত্তম এবং এ রাতে ফেরেশতারা আল্লাহর নির্দেশে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে পৃথিবীতে অবতরণ করেন। এ রাতে ফজর পর্যন্ত প্রশান্তি বর্ষিত হয়।'
শবে কদর বা লাইলাতুল কদর ইসলামের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ রাত। এই রাতে পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছে। শবে কদরের সম্মানে ‘সুরাতুল কদর’ নামে একটি পূর্ণাঙ্গ সুরাও আছে। এ সুরায় বলা হয়েছে—‘লাইলাতুল কদরে কোরআন নাজিল হয়েছে, এটি হাজার মাসের চেয়েও উত্তম এবং এ রাতে ফেরেশতারা আল্লাহর নির্দেশে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে পৃথিবীতে অবতরণ করেন। এ রাতে ফজর পর্যন্ত প্রশান্তি বর্ষিত হয়।’ সুরা কদর: ১-৫
এই মহান রাতে গুরুত্বের সঙ্গে নামাজ-দোয়া ও জিকির-আজকারসহ প্রত্যেকটি নেক আমলের সীমাহীন ফজিল�� বর্ণিত হয়েছে হাদিসে। প্রিয়নবী (স.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় কদরের রাতে ইবাদতের মধ্যে রাত জাগবে, তার আগের গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে’ (সহিহ বুখারি: ৩৫)
বিভিন্ন হাদিসের বর্ণনা অনুযায়ী, রমজানের শেষ দশকের প্রত্যেক বিজোড় রাতেই শবে কদরের সম্ভাবনা রয়েছে। মহানবী (স.) ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা শেষ দশকের বিজোড় রাতে লাইলাতুল কদর তালাশ করো।’ (বুখারি: ২০১৭)
জোড়-বেজোড় যেকোনো রাতেই কদর হতে পারে। (শারহুল মুমতি: ৬/৪৯২)ইমাম ইবনু তাইমিয়াহ (রাহ.) একটি বিশুদ্ধ হাদিসের আলোকে বলেছেন, যদি রমজান মাস ৩০ দিনে হয়, তবে শেষ দশকের জোড় রাতগুলোতেও কদর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে, যদি রমজান মাস ২৯ দিনের হয়, তাহলে উক্ত হাদিস অনুযায়ী কদরের রাত পড়বে শেষ দশকের বিজোড় রাতগুলোতে। অতএব, ঈমানদারদের উচিত, রমজানের শেষ দশকের প্রতিটি রাতেই লাইলাতুল কদর অনুসন্ধান করা। (মাজমুউ ফতোয়া: ২৫/২৮৪-২৮৫
আমরা হাদিসে দেখি, নবীজি শুধু বেজোড় রাতে নয়, শেষ দশকের প্রতিটি রাতেই ইবাদত করতেন। আয়েশা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (স.) (রমজানের) শেষ দশকে যে পরিমাণ আমল করতেন, অন্যকোনো সময়ে সে পরিমাণ আমল করতেন না।’ (মুসলিম: ২৬৭৮)
‘লাইলাতুল কদর এক অতিশয় সম্মানিত ও মহিমান্বিত পবিত্র রজনী। সিয়াম সাধনার মাসের এই রাত্রিতে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা মানবজাতির পথ নির্দেশক পবিত্র আল-কোরআন পৃথিবীতে নাযিল করেন।
মহান আল্লাহ কোরআনে ঘোষণা করেছেন, ‘নিশ্চয়ই আমি তা (কোরআন) অবতীর্ণ করেছি কদরের রাতে। আর কদরের রাত সম্বন্ধে তুমি কি জানো? কদরের রাত হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। সে রাতে ফেরেশতারা ও রুহ [জিবরাইল (আ.)] অবতীর্ণ হয় প্রত্যেক কাজে তাদের প্রতিপালকের অনুমতিক্রমে। শান্তিময় সে রাত বিরাজ করে ফজরের আবির্ভাব পর্যন্ত।
(সূরা আল-কদর, আয়াত ১-৫)।
কদরের রজনীর অপার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনের সূরা আদ-দুখানে বলেছেন নিশ্চয়ই আমি তা (কোরআন) এক মোবারকময় রজনীতে অবতীর্ণ করেছি, নিশ্চয়ই আমি সতর্ককারী। এ রাতে প্রত্যেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ফয়সালা হয়।
মহান আল্লাহ তায়ালা লাইলাতুল কদরের রজনীকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছেন
‘হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও এ রাতের ইবাদত উত্তম।
এই রাতে আল্লাহর অশেষ রহমত ও নিয়ামত বর্ষিত হয়। পবিত্র এই রজনীতে ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে আমরা মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারি। অর্জন করতে পারি তাঁর অসীম রহমত, বরকত ও মাগফিরাত।’
এই রাতে পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছে। শবে কদরের সম্মানে 'সুরাতুল কদর' নামে একটি পূর্ণাঙ্গ সুরাও আছে। এ সুরায় বলা হয়েছে—'লাইলাতুল কদরে কোরআন নাজিল হয়েছে, এটি হাজার মাসের চেয়েও উত্তম এবং এ রাতে ফেরেশতারা আল্লাহর নির্দেশে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে পৃথিবীতে অবতরণ করেন। এ রাতে ফজর পর্যন্ত প্রশান্তি বর্ষিত হয়।'
মহানবী সা. উম্মতের জন্য শুধু এক রাত্রির ইবাদতকেই (লাইলাতুল কদর) সে ইবাদতকারীর এক হাজার মাসের ইবাদত অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ প্রতিপন্ন করেছেন। (তাফসিরে মাজহারি) যার বর্ণনা সুরা আল-কদরে সুস্পষ্টভাবে পাওয়া যায়। মহান আল্লাহ কদরের রাতকে হাজার মাস অপেক্ষা অধিক উত্তম হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
মুহাদ্দিসগণ বলেন, লাইলাতুল কদরের রাতটি গোপন রাখার উদ্দেশ্য হলো, যাতে মানুষ শেষ দশকের প্রতিটি রাতকেই কদরের রাত মনে করে ইবাদত করে। হাদিসেও এমনটি এসেছে যে, নবীজিকে কদরের রাতটির কথা তার অন্তর থেকে উঠিয়ে নেওয়া হয়, ফলে তিনি সেটি ভুলে যান। তখন তিনি বলেন, ‘হয়ত এর মধ্যেই তোমাদের জন্য কল্যাণ নিহিত রয়েছে।’ (বুখারি: ২০২৩)
লাইলাতুল কদর দোয়া
লাইলাতুল কদরের রাত কি সুনির্দিষ্ট? এটি আমরা কীভাবে খুঁজে পাবো?
https://www.youtube.com/watch?v=M9iHuIOZXU0
লাইলাতুল কদর চেনার উপায় এবং এই রাতের আমল |
https://www.youtube.com/watch?v=oSCyP5nqlF0
লাইলাতুল কদরের দোয়া
https://www.youtube.com/watch?v=B2hnt3ZsTHo
*Emotional* Witr
লাইলাতুল কদরের রাত
Lailatul Qadr Night
হাজার মাসের চেয়েও উত্তম
Better than a thousand months
0 notes
লাইলাতুল কদরের রাত
Lailatul Qadr Night
শবে কদর (ফার্সি: شب قدر) বা লাইলাতুল কদর (আরবি: لیلة القدر) এর অর্থ "অতিশয় সম্মানিত ও মহিমান্বিত রাত" বা "পবিত্র রজনী"। ফার্সি ভাষায় "শাব" ও আরবি ভাষায় "লাইলাতুল" অর্থ হলো রাত্রি বা রজনী, অন্যদিকে 'কদর' শব্দের অর্থ সম্মান, মর্যাদা, মহাসম্মান। এ ছাড়া এর অন্য অর্থ হল ভাগ্য, পরিমাণ ও তাকদির নির্ধারণ করা।
লাইলাতুল কদরে কোরআন নাজিল হয়েছে, এটি হাজার মাসের চেয়েও উত্তম এবং এ রাতে ফেরেশতারা আল্লাহর নির্দেশে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে পৃথিবীতে অবতরণ করেন। এ রাতে ফজর পর্যন্ত প্রশান্তি বর্ষিত হয়।'
শবে কদর বা লাইলাতুল কদর ইসলামের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ রাত। এই রাতে পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছে। শবে কদরের সম্মানে ‘সুরাতুল কদর’ নামে একটি পূর্ণাঙ্গ সুরাও আছে। এ সুরায় বলা হয়েছে—‘লাইলাতুল কদরে কোরআন নাজিল হয়েছে, এটি হাজার মাসের চেয়েও উত্তম এবং এ রাতে ফেরেশতারা আল্লাহর নির্দেশে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে পৃথিবীতে অবতরণ করেন। এ রাতে ফজর পর্যন্ত প্রশান্তি বর্ষিত হয়।’ সুরা কদর: ১-৫
এই মহান রাতে গুরুত্বের সঙ্গে নামাজ-দোয়া ও জিকির-আজকারসহ প্রত্যেকটি নেক আমলের সীমাহীন ফজিলত বর্ণিত হয়েছে হাদিসে। প্রিয়নবী (স.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় কদরের রাতে ইবাদতের মধ্যে রাত জাগবে, তার আগের গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে’ (সহিহ বুখারি: ৩৫)
বিভিন্ন হাদিসের বর্ণনা অনুযায়ী, রমজানের শেষ দশকের প্রত্যেক বিজোড় রাতেই শবে কদরের সম্ভাবনা রয়েছে। মহানবী (স.) ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা শেষ দশকের বিজোড় রাতে লাইলাতুল কদর তালাশ করো।’ (বুখারি: ২০১৭)
জোড়-বেজোড় যেকোনো রাতেই কদর হতে পারে। (শারহুল মুমতি: ৬/৪৯২)ইমাম ইবনু তাইমিয়াহ (রাহ.) একটি বিশুদ্ধ হাদিসের আলোকে বলেছেন, যদি রমজান মাস ৩০ দিনে হয়, তবে শেষ দশকের জোড় রাতগুলোতেও কদর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে, যদি রমজান মাস ২৯ দিনের হয়, তাহলে উক্ত হাদিস অনুযায়ী কদরের রাত পড়বে শেষ দশকের বিজোড় রাতগুলোতে। অতএব, ঈমানদারদের উচিত, রমজানের শেষ দশকের প্রতিটি রাতেই লাইলাতুল কদর অনুসন্ধান করা। (মাজমুউ ফতোয়া: ২৫/২৮৪-২৮৫
আমরা হাদিসে দেখি, নবীজি শুধু বেজোড় রাতে নয়, শেষ দশকের প্রতিটি রাতেই ইবাদত করতেন। আয়েশা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (স.) (রমজানের) শেষ দশকে যে পরিমাণ আমল করতেন, অন্যকোনো সময়ে সে পরিমাণ আমল করতেন না।’ (মুসলিম: ২৬৭৮)
���লাইলাতুল কদর এক অতিশয় সম্মানিত ও মহিমান্বিত পবিত্র রজনী। সিয়াম সাধনার মাসের এই রাত্রিতে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা মানবজাতির পথ নির্দেশক পবিত্র আল-কোরআন পৃথিবীতে নাযিল করেন।
মহান আল্লাহ কোরআনে ঘোষণা করেছেন, ‘নিশ্চয়ই আমি তা (কোরআন) অবতীর্ণ করেছি কদরের রাতে। আর কদরের রাত সম্বন্ধে তুমি কি জানো? কদরের রাত হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। সে রাতে ফেরেশতারা ও রুহ [জিবরাইল (আ.)] অবতীর্ণ হয় প্রত্যেক কাজে তাদের প্রতিপালকের অনুমতিক্রমে। শান্তিময় সে রাত বিরাজ করে ফজরের আবির্ভাব পর্যন্ত।
(সূরা আল-কদর, আয়াত ১-৫)।
কদরের রজনীর অপার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনের সূরা আদ-দুখানে বলেছেন নিশ্চয়ই আমি তা (কোরআন) এক মোবারকময় রজনীতে অবতীর্ণ করেছি, নিশ্চয়ই আমি সতর্ককারী। এ রাতে প্রত্যেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ফয়সালা হয়।
মহান আল্লাহ তায়ালা লাইলাতুল কদরের রজনীকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছেন
‘হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও এ রাতের ইবাদত উত্তম।
এই রাতে আল্লাহর অশেষ রহমত ও নিয়ামত বর্ষিত হয়। পবিত্র এই রজনীতে ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে আমরা মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারি। অর্জন করতে পারি তাঁর অসীম রহমত, বরকত ও মাগফিরাত।’
এই রাতে পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছে। শবে কদরের সম্মানে 'সুরাতুল কদর' নামে একটি পূর্ণাঙ্গ সুরাও আছে। এ সুরায় বলা হয়েছে—'লাইলাতুল কদরে কোরআন নাজিল হয়েছে, এটি হাজার মাসের চেয়েও উত্তম এবং এ রাতে ফেরেশতারা আল্লাহর নির্দেশে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে পৃথিবীতে অবতরণ করেন। এ রাতে ফজর পর্যন্ত প্রশান্তি বর্ষিত হয়।'
মহানবী সা. উম্মতের জন্য শুধু এক রাত্রির ইবাদতকেই (লাইলাতুল কদর) সে ইবাদতকারীর এক হাজার মাসের ইবাদত অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ প্রতিপন্ন করেছেন। (তাফসিরে মাজহারি) যার বর্ণনা সুরা আল-কদরে সুস্পষ্টভাবে পাওয়া যায়। মহান আল্লাহ কদরের রাতকে হাজার মাস অপেক্ষা অধিক উত্তম হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
মুহাদ্দিসগণ বলেন, লাইলাতুল কদরের রাতটি গোপন রাখার উদ্দেশ্য হলো, যাতে মানুষ শেষ দশকের প্রতিটি রাতকেই কদরের রাত মনে করে ইবাদত করে। হাদিসেও এমনটি এসেছে যে, নবীজিকে কদরের রাতটির কথা তার অন্তর থেকে উঠিয়ে নেওয়া হয়, ফলে তিনি সেটি ভুলে যান। তখন তিনি বলেন, ‘হয়ত এর মধ্যেই তোমাদের জন্য কল্যাণ নিহিত রয়েছে।’ (বুখারি: ২০২৩)
লাইলাতুল কদর দোয়া
লাইলাতুল কদরের রাত কি সুনির্দিষ্ট? এটি আমরা কীভাবে খুঁজে পাবো?
https://www.youtube.com/watch?v=M9iHuIOZXU0
লাইলাতুল কদর চেনার উপায় এবং এই রাতের আমল |
https://www.youtube.com/watch?v=oSCyP5nqlF0
লাইলাতুল কদরের দোয়া
https://www.youtube.com/watch?v=B2hnt3ZsTHo
*Emotional* Witr
লাইলাতুল কদরের রাত
Lailatul Qadr Night
হাজার মাসের চেয়েও উত্তম
Better than a thousand months
0 notes
লাইলাতুল কদরের রাত
Lailatul Qadr Night
শবে কদর (ফার্সি: شب قدر) বা লাইলাতুল কদর (আরবি: لیلة القدر) এর অর্থ "অতিশয় সম্মানিত ও মহিমান্বিত রাত" বা "পবিত্র রজনী"। ফার্সি ভাষায় "শাব" ও আরবি ভাষায় "লাইলাতুল" অর্থ হলো রাত্রি বা রজনী, অন্যদিকে 'কদর' শব্দের অর্থ সম্মান, মর্যাদা, মহাসম্মান। এ ছাড়া এর অন্য অর্থ হল ভাগ্য, পরিমাণ ও তাকদির নির্ধারণ করা।
লাইলাতুল কদরে কোরআন নাজিল হয়েছে, এটি হাজার মাসের চেয়েও উত্তম এবং এ রাতে ফেরেশতারা আল্লাহর নির্দেশে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে পৃথিবীতে অবতরণ করেন। এ রাতে ফজর পর্যন্ত প্রশান্তি বর্ষিত হয়।'
শবে কদর বা লাইলাতুল কদর ইসলামের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ রাত। এই রাতে পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছে। শবে কদরের সম্মানে ‘সুরাতুল কদর’ নামে একটি পূর্ণাঙ্গ সুরাও আছে। এ সুরায় বলা হয়েছে—‘লাইলাতুল কদরে কোরআন নাজিল হয়েছে, এটি হাজার মাসের চেয়েও উত্তম এবং এ রাতে ফেরেশতারা আল্লাহর নির্দেশে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে পৃথিবীতে অবতরণ করেন। এ রাতে ফজর পর্যন্ত প্রশান্তি বর্ষিত হয়।’ সুরা কদর: ১-৫
এই মহান রাতে গুরুত্বের সঙ্গে নামাজ-দোয়া ও জিকির-আজকারসহ প্রত্যেকটি নেক আমলের সীমাহীন ফজিলত বর্ণিত হয়েছে হাদিসে। প্রিয়নবী (স.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় কদরের রাতে ইবাদতের মধ্যে রাত জাগবে, তার আগের গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে’ (সহিহ বুখারি: ৩৫)
বিভিন্ন হাদিসের বর্ণনা অনুযায়ী, রমজানের শেষ দশকের প্রত্যেক বিজোড় রাতেই শবে কদরের সম্ভাবনা রয়েছে। মহানবী (স.) ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা শেষ দশকের বিজোড় রাতে লাইলাতুল কদর তালাশ করো।’ (বুখারি: ২০১৭)
জোড়-বেজোড় যেকোনো রাতেই কদর হতে পারে। (শারহুল মুমতি: ৬/৪৯২)ইমাম ইবনু তাইমিয়াহ (রাহ.) একটি বিশুদ্ধ হাদিসের আলোকে বলেছেন, যদি রমজান মাস ৩০ দিনে হয়, তবে শেষ দশকের জোড় রাতগুলোতেও কদর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে, যদি রমজান মাস ২৯ দিনের হয়, তাহলে উক্ত হাদিস অনুযায়ী কদরের রাত পড়বে শেষ দশকের বিজোড় রাতগুলোতে। অতএব, ঈমানদারদের উচিত, রমজানের শেষ দশকের প্রতিটি রাতেই লাইলাতুল কদর অনুসন্ধান করা। (মাজমুউ ফতোয়া: ২৫/২৮৪-২৮৫
আমরা হাদিসে দেখি, নবীজি শুধু বেজোড় রাতে নয়, শেষ দশকের প্রতিটি রাতেই ইবাদত করতেন। আয়েশা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (স.) (রমজানের) শেষ দশকে যে পরিমাণ আমল করতেন, অন্যকোনো সময়ে সে পরিমাণ আমল করতেন না।’ (মুসলিম: ২৬৭৮)
‘লাইলাতুল কদর এক অতিশয় সম্মানিত ও মহিমান্বিত পবিত্র রজনী। সিয়াম সাধনার মাসের এই রাত্রিতে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা মানবজাতির পথ নির্দেশক পবিত্র আল-কোরআন পৃথিবীতে নাযিল করেন।
মহান আল্লাহ কোরআনে ঘোষণা করেছেন, ‘নিশ্চয়ই আমি তা (কোরআন) অবতীর্ণ করেছি কদরের রাতে। আর কদরের রাত সম্বন্ধে তুমি কি জানো? কদরের রাত হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। সে রাতে ফেরেশতারা ও রুহ [জিবরাইল (আ.)] অবতীর্ণ হয় প্রত্যেক কাজে তাদের প্রতিপালকের অনুমতিক্রমে। শান্তিময় সে রাত বিরাজ করে ফজরের আবির্ভাব পর্যন্ত।
(সূরা আল-কদর, আয়াত ১-৫)।
কদরের রজনীর অপার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনের সূরা আদ-দুখানে বলেছেন নিশ্চয়ই আমি তা (কোরআন) এক মোবারকময় রজনীতে অবতীর্ণ করেছি, নিশ্চয়ই আমি সতর্ককারী। এ রাতে প্রত্যেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ফয়সালা হয়।
মহান আল্লাহ তায়ালা লাইলাতুল কদরের রজনীকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছেন
‘হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও এ রাতের ইবাদত উত্তম।
এই রাতে আল্লাহর অশেষ রহমত ও নিয়ামত বর্ষিত হয়। পবিত্র এই রজনীতে ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে আমরা মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারি। অর্জন করতে পারি তাঁর অসীম রহমত, বরকত ও মাগফিরাত।’
এই রাতে পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছে। শবে কদরের সম্মানে 'সুরাতুল কদর' নামে একটি পূর্ণাঙ্গ সুরাও আছে। এ সুরায় বলা হয়েছে—'লাইলাতুল কদরে কোরআন নাজিল হয়েছে, এটি হাজার মাসের চেয়েও উত্তম এবং এ রাতে ফেরেশতারা আল্লাহর নির্দেশে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে পৃথিবীতে অবতরণ করেন। এ রাতে ফজর পর্যন্ত প্রশান্তি বর্ষিত হয়।'
মহানবী সা. উম্মতের জন্য শুধু এক রাত্রির ইবাদতকেই (লাইলাতুল কদর) সে ইবাদতকারীর এক হাজার মাসের ইবাদত অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ প্রতিপন্ন করেছেন। (তাফসিরে মাজহারি) যার বর্ণনা সুরা আল-কদরে সুস্পষ্টভাবে পাওয়া যায়। মহান আল্লাহ কদরের রাতকে হাজার মাস অপেক্ষা অধিক উত্তম হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
মুহাদ্দিসগণ বলেন, লাইলাতুল কদরের রাতটি গোপন রাখার উদ্দেশ্য হলো, যাতে মানুষ শেষ দশকের প্রতিটি রাতকেই কদরের রাত মনে করে ইবাদত করে। হাদিসেও এমনটি এসেছে যে, নবীজিকে কদরের রাতটির কথা তার অন্তর থেকে উঠিয়ে নেওয়া হয়, ফলে তিনি সেটি ভুলে যান। তখন তিনি বলেন, ‘হয়ত এর মধ্যেই তোমাদের জন্য কল্যাণ নিহিত রয়েছে।’ (বুখারি: ২০২৩)
লাইলাতুল কদর দোয়া
লাইলাতুল কদরের রাত কি সুনির্দিষ্ট? এটি আমরা কীভাবে খুঁজে পাবো?
https://www.youtube.com/watch?v=M9iHuIOZXU0
লাইলাতুল কদর চেনার উপায় এবং এই রাতের আমল |
https://www.youtube.com/watch?v=oSCyP5nqlF0
লাইলাতুল কদরের দোয়া
https://www.youtube.com/watch?v=B2hnt3ZsTHo
*Emotional* Witr
লাইলাতুল কদরের রাত
Lailatul Qadr Night
হাজার মাসের চেয়েও উত্তম
Better than a thousand months
0 notes
লাইলাতুল কদরের রাত
Lailatul Qadr Night
শবে কদর (ফার্সি: شب قدر) বা লাইলাতুল কদর (আরবি: لیلة القدر) এর অর্থ "অতিশয় সম্মানিত ও মহিমান্বিত রাত" বা "পবিত্র রজনী"। ফার্সি ভাষায় "শাব" ও আরবি ভাষায় "লাইলাতুল" অর্থ হলো রাত্রি বা রজনী, অন্যদিকে 'কদর' শব্দের অর্থ সম্মান, মর্যাদা, মহাসম্মান। এ ছাড়া এর অন্য অর্থ হল ভাগ্য, পরিমাণ ও তাকদির নির্ধারণ করা।
লাইলাতুল কদরে কোরআন নাজিল হয়েছে, এটি হাজার মাসের চেয়েও উত্তম এবং এ রাতে ফেরেশতারা আল্লাহর নির্দেশে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে পৃথিবীতে অবতরণ করেন। এ রাতে ফজর পর্যন্ত প্রশান্তি বর্ষিত হয়।'
শবে কদর বা লাইলাতুল কদর ইসলামের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ রাত। এই রাতে পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছে। শবে কদরের সম্মানে ‘সুরাতুল কদর’ নামে একটি পূর্ণাঙ্গ সুরাও আছে। এ সুরায় বলা হয়েছে—‘লাইলাতুল কদরে কোরআন নাজিল হয়েছে, এটি হাজার মাসের চেয়েও উত্তম এবং এ রাতে ফেরেশতারা আল্লাহর নির্দেশে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে পৃথিবীতে অবতরণ করেন। এ রাতে ফজর পর্যন্ত প্রশান্তি বর্ষিত হয়।’ সুরা কদর: ১-৫
এই মহান রাতে গুরুত্বের সঙ্গে নামাজ-দোয়া ও জিকির-আজকারসহ প্রত্যেকটি নেক আমলের সীমাহীন ফজিলত বর্ণিত হয়েছে হাদিসে। প্রিয়নবী (স.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় কদরের রাতে ইবাদতের মধ্যে রাত জাগবে, তার আগের গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে’ (সহিহ বুখারি: ৩৫)
বিভিন্ন হাদিসের বর্ণনা অনুযায়ী, রমজানের শেষ দশকের প্রত্যেক বিজোড় রাতেই শবে কদরের সম্ভাবনা রয়েছে। মহানবী (স.) ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা শেষ দশকের বিজোড় রাতে লাইলাতুল কদর তালাশ করো।’ (বুখারি: ২০১৭)
জোড়-বেজোড় যেকোনো রাতেই কদর হতে পারে। (শারহুল মুমতি: ৬/৪৯২)ইমাম ইবনু তাইমিয়াহ (রাহ.) একটি বিশুদ্ধ হাদিসের আলোকে বলেছেন, যদি রমজান মাস ৩০ দিনে হয়, তবে শেষ দশকের জোড় রাতগুলোতেও কদর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে, যদি রমজান মাস ২৯ দিনের হয়, তাহলে উক্ত হাদিস অনুযায়ী কদরের রাত পড়বে শেষ দশকের বিজোড় রাতগুলোতে। অতএব, ঈমানদারদের উচিত, রমজানের শেষ দশকের প্রতিটি রাতেই লাইলাতুল কদর অনুসন্ধান করা। (মাজমুউ ফতোয়া: ২৫/২৮৪-২৮৫
আমরা হাদিসে দেখি, নবীজি শুধু বেজোড় রাতে নয়, শেষ দশকের প্রতিটি রাতেই ইবাদত করতেন। আয়েশা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (স.) (রমজানের) শেষ দশকে যে পরিমাণ আমল করতেন, অন্যকোনো সময়ে সে পরিমাণ আমল করতেন না।’ (মুসলিম: ২৬৭৮)
‘লাইলাতুল কদর এক অতিশয় সম্মানিত ও মহিমান্বিত পবিত্র রজনী। সিয়াম সাধনার মাসের এই রাত্রিতে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা মানবজাতির পথ নির্দেশক পবিত্র আল-কোরআন পৃথিবীতে নাযিল করেন।
মহান আল্লাহ কোরআনে ঘোষণা করেছেন, ‘নিশ্চয়ই আমি তা (কোরআন) অবতীর্ণ করেছি কদরের রাতে। আর কদরের রাত সম্বন্ধে তুমি কি জানো? কদরের রাত হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। সে রাতে ফেরেশতারা ও রুহ [জিবরাইল (আ.)] অবতীর্ণ হয় প্রত্যেক কাজে তাদের প্রতিপালকের অনুমতিক্রমে। শান্তিময় সে রাত বিরাজ করে ফজরের আবির্ভাব পর্যন্ত।
(সূরা আল-কদর, আয়াত ১-৫)।
কদরের রজনীর অপার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনের সূরা আদ-দুখানে বলেছেন নিশ্চয়ই আমি তা (কোরআন) এক মোবারকময় রজনীতে অবতীর্ণ করেছি, নিশ্চয়ই আমি সতর্ককারী। এ রাতে প্রত্যেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ফয়সালা হয়।
মহান আল্লাহ তায়ালা লাইলাতুল কদরের রজনীকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছেন
‘হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও এ রাতের ইবাদত উত্তম।
এই রাতে আল্লাহর অশেষ রহমত ও নিয়ামত বর্ষিত হয়। পবিত্র এই রজনীতে ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে আমরা মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারি। অর্জন করতে পারি তাঁর অসীম রহমত, বরকত ও মাগফিরাত।’
এই রাতে পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছে। শবে কদরের সম্মানে 'সুরাতুল কদর' নামে একটি পূর্ণাঙ্গ সুরাও আছে। এ সুরায় বলা হয়েছে—'লাইলাতুল কদরে কোরআন নাজিল হয়েছে, এটি হাজার মাসের চেয়েও উত্তম এবং এ রাতে ফেরেশতারা আল্লাহর নির্দেশে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে পৃথিবীতে অবতরণ করেন। এ রাতে ফজর পর্যন্ত প্রশান্তি বর্ষিত হয়।'
মহানবী সা. উম্মতের জন্য শুধু এক রাত্রির ইবাদতকেই (লাইলাতুল কদর) সে ইবাদতকারীর এক হাজার মাসের ইবাদত অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ প্রতিপন্ন করেছেন। (তাফসিরে মাজহারি) যার বর্ণনা সুরা আল-কদরে সুস্পষ্টভাবে পাওয়া যায়। মহান আল্লাহ কদরের রাতকে হাজার মাস অপেক্ষা অধিক উত্তম হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
মুহাদ্দিসগণ বলেন, লাইলাতুল কদরের রাতটি গোপন রাখার উদ্দেশ্য হলো, যাতে মানুষ শেষ দশকের প্রতিটি রাতকেই কদরের রাত মনে করে ইবাদত করে। হাদিসেও এমনটি এসেছে যে, নবীজিকে কদরের রাতটির কথা তার অন্তর থেকে উঠিয়ে নেওয়া হয়, ফলে তিনি সেটি ভুলে যান। তখন তিনি বলেন, ‘হয়ত এর মধ্যেই তোমাদের জন্য কল্যাণ নিহিত রয়েছে।’ (বুখারি: ২০২৩)
লাইলাতুল কদর দোয়া
লাইলাতুল কদরের রাত কি সুনির্দিষ্ট? এটি আমরা কীভাবে খুঁজে পাবো?
https://www.youtube.com/watch?v=M9iHuIOZXU0
লাইলাতুল কদর চেনার উপায় এবং এই রাতের আমল |
https://www.youtube.com/watch?v=oSCyP5nqlF0
লাইলাতুল কদরের দোয়া
https://www.youtube.com/watch?v=B2hnt3ZsTHo
*Emotional* Witr
লাইলাতুল কদরের রাত
Lailatul Qadr Night
হাজার মাসের চেয়েও উত্তম
Better than a thousand months
0 notes
সৃষ্টিকর্তা চাইলেও দুআ কবুল করতে পারবে না ! দোয়া কেন কবুল হয় না I আল্ল...
0 notes
এই প্রেম, ভালোবাসা (একাংশ )
- ‘মানুষের দুআ যে এতো দ্রুত কবুল হয়, তা দেখে আমি তাজ্জব বনে গেলাম, জানো?’
- আমি কৌতূহলী দৃষ্টিতে রেবেকার দিকে তাকিয়ে বললাম, ‘বুঝিনি।’
- ‘ওই যে, গরমে তুমি বেশ হাঁসফাঁস করছিলে না? তখন রান্নাঘর থেকে মনে মনে দুআ করছিলাম। বলছিলাম, আল্লাহ, একটা ঝুম বৃষ্টি দিয়ে চারপাশটা ঠান্ডা করে দাও। আমার জামাইটার অস্বস্তি লাগছে অনেক। এমন বৃষ্টি দাও যেন আমার জামাই বৃষ্টি নিয়ে একটা গল্পও লিখে ফেলতে পারে। হি হি হি।’
- ‘তুমি কি সত্যিই এমন দুআ করেছিলে?’
- ‘হ্যাঁ। এমনটাই তো জপছিলাম রান্নাঘরে। কিন্তু বিশ্বাস করো, সত্যি সত্যিই যে আকাশ ভেঙে বৃষ্টি নামবে—তা আমার ধারণাতেই ছিলো না। আল্লাহ মাঝে মাঝে কতো দ্রুত দুআ কবুল করে ফেলেন, দেখলে?’
আমি জানি রেবেকা মিথ্যে বলেনি। ও কখনোই মিথ্যে বলে না। আমাদের পাঁচ বছরের দাম্পত্য জীবনে কোনোদিন একটিবারের জন্যও তাকে আমি মিথ্যে বলতে দেখিনি। ও যখন এই দুআ করেছে বললো, তাহলে সেটা অবশ্যই সত্যি।
ফ্যানের নিচে বসে হাওয়া গিলতে থাকা আমার অস্বস্তি কাটাতে বৃষ্টির জন্য দুআ করেছে জ্বলন্ত চুলোর পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এক রমণী! কী অবিশ্বাস্য ভালোবাসা! কী অনুপম মায়ার বন্ধন!
রেবেকা আবার বললো, ‘বৃষ্টির সময় দুআ করলে ওই দুআও কবুল হয়। চলো, আমরা দুআ করি।’
- ‘কী দুআ করবো?’
- ‘যা মন চায় করো।’
জানালা গলে, রেবেকার হাত চলে গেলো বাইরে। রিমঝিম বৃষ্টিতে ভিজে যাচ্ছে তার হাত। আমি দেখলাম, সে চোখ বন্ধ করে বিড়বিড় করে কিছু বলছে। আমি জানি, তার এই বলার অনেকটা জুড়ে আমি আছি। ও আমাকে রাখবেই।
জীবন যেখানে যেমন, আরিফ আজাদ
2 notes
·
View notes
আপনার সমস্ত সমস্যা এবং চ্যালেঞ্জগুলি দ্রুত শেষ করার জন্য একটি কার্যকরি দুআ
2 notes
·
View notes
সবর করো...
তুমি আবার ও কাঁদবে
তবে দুআ কবুল হওয়ার আনন্দে
0 notes
আস্তাকফিরুল্লাহ অর্থ কি । আসতাগফিরুল্লাহ দোয়া আরবী বাংলা
আস্তাগফিরুল্লাহ একটি আরবি শব্দ। বাক্যটি দুটি শব্দ দ্বারা গঠিত। এই দুআ পাঠ করা হয় যদি কেউ খারাপ কাজ করার পরে তওবা করে। আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন কাজে প্রায়ই আস্তাগফিরুল্লাহ বলি। আস্তাগফিরুল্লাহ একটি সাধারণ শব্দগুচ্ছ। বাক্যের অর্থ অনেক গভীর হলেও আমরা অর্থ না জানার কারণে এর গুরুত্ব বজায় রাখতে পারি না।
প্রিয় দর্শক বন্ধুরা আমরা আজকের আর্টিকেলে আস্তাকফিরুল্লাহ অর্থ কি, আসতাগফিরুল্লাহ দোয়া আরবী বাংলা, আস্তাগফিরুল্লাহ কখন পড়তে হয়, আস্তাগফিরুল্লাহর ফজিলত এবং আস্তাগফিরুল্লাহ পাঠ করার উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করব। মনোযোগসহ আর্টিকেলটি পড়লে অনেক কিছু জানতে পারবেন এবং আপনাদের ভুল-ভ্রান্তি দূর হবে। তাহলে চলুন আজকের আর্টিকেলটি শুরু করি:
0 notes
Massage by Mizanur Rahman Azhari
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন- ‘যখন তোমাদের কেউ নামাজে আমিন বলে, তখন আসমানের ফেরেশতারাও ‘আমিন’ বলেন। উভয়ের আমিন একই সময়ে হলে তার পূর্ববর্তী সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।’ (সহিহ বুখারি: ৭৮১)।
একনিষ্ঠ মনে দুআ করলে আল্লাহ তায়ালা কবুল করেন। কারণ, তিনি বড়োই দয়ালু ও লজ্জাশীল। বান্দা যখন কাতর হৃদয়ে আল্লাহর কাছে কিছু চায়, তখন তিনি বান্দাকে খালি হাতে ফেরাতে লজ্জাবোধ করেন। আল্লাহ তায়ালা বলেন- ‘তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেবো।’ (সূরা মুমিন: ৬০)
তিনি তার চাচাতো ভাই আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা:)-এর জন্য দুআ করেছিলেন- ‘হে আল্লাহ! আপনি তাকে কুরআনের জ্ঞান দান করুন।’ (সহিহ বুখারি: ৭৫)।
‘হে আমাদের রব! আমাদের দুনিয়ায় কল্যাণ দিন, আখিরাতে কল্যাণ দিন এবং জাহান্নামের আজাব থেকে আমাদের রক্ষা করুন।’ (সূরা বাকারা: ২০১)।
করা উত্তম, এতে কবুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। প্রিয়নবি (ﷺ) বলেন- ‘আল্লাহ খুব লজ্জাশীল। বান্দা যখন হাত তুলে দুআ করে, তখন আল্লাহ তার হাত দুটোকে খালি অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে লজ্জা বোধ করেন।’ (সুনানে আবু দাউদ: ১৪৮৮)।
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন- ‘হে ঈমানদারগণ! কোনো সম্প্রদায় যেন অপর সম্প্রদায়কে বিদ্রুপ না করে, হতে পারে তারা বিদ্রুপকারীদের চেয়ে উত্তম।’ কোনো নারীও যেন অন্য নারীকে বিদ্রুপ না করে; হতে পারে তারা বিদ্রুপকারীদের চেয়েও উত্তম। আর তোমরা একে অপরের নিন্দা করো না এবং মন্দ উপনামে ডেকো না। ঈমানের পর মন্দ নামে ডাকা কতই না নিকৃষ্ট! আর যারা তওবা করে না, তারাই তো জালিম।’ (সূরা হুজুরাত: ১১)।
বিশ্বনবী (ﷺ) বলেন- ‘যে লোক কোনো মুসলিমের দোষ-ক্রটি লুকিয়ে রাখবে, আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাতে তার দোষ-ক্রটি লুকিয়ে রাখবেন। (সহিহ মুসলিম: ৬৭৪৬)
‘আল্লাহ তায়ালা কিয়ামতের দিন তোমাদের বংশ ও আভিজাত্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবেন না। তোমাদের মধ্যে যে অধিক আল্লাহভীরু, সে-ই আল্লাহর কাছে সর্বাধিক মর্যাদার অধিকারী। (সহিহ বুখারি: ৪৬৮৯)।
হে আল্লাহ! আবু জাহেল কিংবা উমর (রা:)বনুল খাত্তাব—এই দুজনের মধ্যে যে তোমার নিকট অধিক প্রিয়, তার মাধ্যমে তুমি ইসলামকে শক্ত ও মজবুত করো এবং মর্যাদা দান করো।’ (জামে আত-তিরমিজি: ৩৬৮১)
একজন মুনাফিকের চেয়ে ঘৃণিত ব্যক্তি আল্লাহ তায়ালার দুনিয়ায় আর কেউ নেই। মুনাফিক মানেই দ্বিমুখী চরিত্রের বর্ণচোরা লোক। প্রতারক শ্রেণির এই লোকগুলো সমাজ, দেশ ও রাষ্ট্রের ঘোরতর শত্রু।
‘মুনাফিক’ আরবি শব্দ। ইংরেজিতে বলে Hypocrite। উৎপত্তিগতভাবে মুনাফিক শব্দটি ‘আন-নিফাক' শব্দ হতে এসেছে। আন-নিফাক শব্দটি এসেছে ‘নাফাকা’ শব্দ হতে। নাফাকা শব্দের বাংলা অর্থ সুরঙ্গ (Tunnel) সাধারণত প্রত্যেক সুরঙ্গের দুই প্রান্তে দুটি মুখ থাকে। তেমনই মুনাফিকও হলো দুই মুখওয়ালা বা দ্বিমুখী নীতিওয়ালা ব্যক্তি (Two Faced Personality) মুনাফিকরা দুই দলের কাছে গিয়ে দুই রকম কথা বলে। দুই দলের কাছে দুই রকম চেহারা নিয়ে হাজির হয়। যখন যার কাছে যায়, তখন তার পক্ষে কথা বলে।
‘নিশ্চিত জেনে রেখ, মুনাফিকরা জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তরে অবস্থান করবে এবং তোমরা তাদের জন্য কাউকে সাহায্যকারী হিসেবে পাবে না।'’(সূরা নিসা: ১৪৫)
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন— ‘কোনো ব্যক্তির মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে যা শোনে, তা-ই বলে বেড়ায়।’ (সহিহ মুসলিম: ০৫ )
অপ্রয়োজনে কসম করা কথায় কথায়, প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে শপথ করা বা কসম কাটা মুনাফিকদের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য। আল্লাহ তায়ালা বলেন— ‘তারা নিজেদের শপথকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে।' (সূরা মুনাফিকুন: ০২)
তারপর সেই নামাজিদের জন্য ধ্বংস, যারা নিজেদের নামাজের ব্যাপারে গাফিলতি করে, যারা লোক দেখানো কাজ করে। (সূরা মাউন: ৪-৬)
অর্থাৎ, নামাজে অলসতা করা হলো মুনাফিকদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। এজন্য যেকোনো মূল্যে নামাজে অলসতা থেকে দূরে থাকতে হবে।
‘কিন্তু তোমরা দুনিয়ার জীবনকে প্রাধান্য দিয়ে থাকো; অথচ আখিরাত উৎকৃষ্ট ও স্থায়ী।’ (সূরা আ'লা: ১৬-১৭)
সর্বাবস্থায় আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল করা: তাওয়াক্কুল মানে আল্লাহ তায়ালার ওপর ভরসা করা। একজন বিশ্বাসী পুরুষ কিংবা নারী যেকোনো ভালো ও কল্যাণকর বিষয় অর্জনের জন্য সকল ব্যাপারে নিজের সাধ্যমতো চেষ্টা করে। ফলাফলের জন্য আল্লাহ তায়ালার ওপর ভরসা করবে, তাঁর প্রতি আস্থা ও দৃঢ় ইয়াকিন রাখবে—এটাই তাওয়াক্কুল। সে সর্বদা বিশ্বাস রাখবে, আল্লাহ তায়ালা যা লিখে রেখেছেন, ফলাফল তা-ই হবে। আর তাতেই রয়েছে চূড়ান্ত সফলতা ও কল্যাণ। এটাই তাওয়াক্কুলের মূলকথা।
‘যে ব্যক্তি আল্লাহর ওপর নির্ভর করে, আল্লাহ তার জন্য যথেষ্ট। (সূরা তালাক: ০৩)
অন্যের প্রাচুর্যের দিকে তাকালে কখনোই মানসিক প্রশান্তি পাওয়া সম্ভব না। মনের শান্তি পেতে হলে আমাদের যা আছে, তা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হবে। একবার নিজের দিকে তাকিয়ে দেখুন, কত নিয়ামত আল্লাহ আপনার মাঝে দিয়েছেন! এই নিয়ামতগুলোকে অনুভব করুন। এতে অন্তরে প্রশান্তির সুবাতাস বইবে; থেমে যাবে নৈরাশ্যের বৈরী হাওয়া।
রাগ ব্যক্তিত্ব নষ্ট করে: রাগ আপনার ব্যাপারে জনমনে একটা নেগেটিভ ধারণা তৈরি করে; যা আপনার ব্যক্তিত্ব বা ইমেজকে নষ্ট করে। প্রত্যেক মানুষই চায়, সবার কাছে তার গ্রহণযোগ্যতা থাকুক। লোকজন তাকে ভালোবাসুক, তার কাছে আসুক, তার ব্যাপারে একটা পজেটিভ ধারণা রাখুক। কিন্তু যখনই মানুষ দেখবে যে আপনি বদমেজাজি, অল্পতে চটে যান, তখন আর কাউকে কাছে পাবেন না। সবাই আপনাকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবে।
'মানুষ অধিকাংশ ব্যাপারেই তর্কপ্রিয়।' (সূরা কাহাফ: ৫৪)
কুরআন সব সময় উত্তম মানবীয় আচরণকে (Good Human Behavior) প্রোমোট করে। রেগে গেলে বিশ্বাসীদের কী ধরনের রিঅ্যাক্ট করা উচিত, সেটার বর্ণনা দিতে গিয়ে আল্লাহ তায়ালা বলেন— ‘যখন তারা রেগে যায়, তখন (সাথে সাথে) তারা ক্ষমা করে ব্যাপারটা ছেড়ে দেয়।' (সূরা আশ-শুরা: ৩৭)
হাদিসে বর্ণিত আছে— ‘একবার বিশ্বনবি (ﷺ) সাহাবিদের সঙ্গে বসা ছিলেন। তখন তাঁদের সামনে দিয়ে একজন ব্যক্তির লাশ নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। বিশ্বনবি (ﷺ) দাঁড়িয়ে গেলেন। তাঁকে দেখে সাহাবিরাও দাঁড়িয়ে গেলেন। সাহাবিরা বুঝতে পারলেন, লাশটি একজন ইহুদির। তাঁরা রাসূল (ﷺ)-কে বললেন—“এটা তো একটা ইহুদির লাশ (অর্থাৎ আপনি ইহুদি লাশের সম্মানার্থে দাঁড়ালেন!)” রাসূল (ﷺ) বললেন-“সে কি একজন মানুষ নয়?'' (সহিহ বুখারি: ১৩১২)
কুরআনে আল্লাহ তায়ালা নিজের পরিচয় দিতে গিয়ে বলেছেন—'রব্বুল আলামিন' অর্থাৎ সমস্ত বিশ্ববাসীর রব। পবিত্র কুরআনের পরিচয় দিতে গিয়ে বলেছেন— ‘জিকরুল্লিল আলামিন' অর্থাৎ সমস্ত বিশ্ববাসীর জন্য উপদেশবাণী। বিশ্বনবি (ﷺ)-এর পরিচয় দিতে গিয়ে বলেছেন—'রহমাতাল্লিল আলামিন' অর্থাৎ সমস্ত বিশ্ববাসীর জন্য রহমতস্বরূপ। কোথাও বলেননি যে, এই কুরআন কিংবা ইসলাম কেবল মুমিনদের কিংবা মুত্তাকিদের জন্য; বরং সমস্ত বিশ্ববাসীর জন্যই। তাই এটা বিশ্বজনীন ধর্ম।
'আল্লাহ কারোর ওপর তার সামর্থ্যের অতিরিক্ত দায়িত্বের বোঝা চাপান না।' (সূরা বাকারা: ২৮৬)
আবু হুরায়রা (রা:) হতে বর্ণিত, রাসূল বলেছেন— ‘দ্বীনের বিধিবিধান অত্যন্ত সহজ-সরল। কিন্তু যে ব্যক্তি দ্বীনের সঙ্গে বাড়াবাড়ি করবে, সে পরাজিত হবে। তাই সবার উচিত, সঠিকভাবে দৃঢ়তার সাথে ইসলামের নির্দেশিত পথ অবলম্বন করা, বাড়াবাড়ি এড়িয়ে চলে ধীর-স্থিরভাবে মধ্যমপন্থা অবলম্বন করা, আল্লাহর রহমত ও করুণার আশা পোষণ করা, সকাল-বিকেল ও শেষরাতে নফল ইবাদত দ্বারা অধিক নৈকট্য লাভ করা এবং উন্নতির পথে সাহায্য গ্রহণ করা। (সহিহ বুখারি: ৩৫)
অন্য হাদিসে আনাস (রা:) হতে বর্ণিত- রাসূল (ﷺ) বলেন-তোমরা সহজপন্থা অবলম্বন করো, কঠিনপন্থা অবলম্বন করো না। মানুষকে দ্বীনের সুসংবাদ দাও, দেশ থেকে ভাগিয়ে দিও না। (সহিহ বুখারী: ৬৯)
কুরআনের প্রথম নাজিলকত আয়াতের প্রথম শব্দ হলো—'ইকরা' বা পড়ো। অর্থাৎ জ্ঞান অন্বেষণের নির্দেশনা দিয়েই কুরআনের যাত্রা শুরু হয়েছে।
মহান আল্লাহ আরও ইরশাদ করেন- ‘আপনি বলুন, যারা জ্ঞানী এবং যারা জ্ঞানী নয়, তারা কি কখনো সমান হতে পারে?' (সূরা জুমার: ০৯)
হাদিসে উল্লেখ আছে—আনাস হতে বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) বলেন ‘প্রত্যেক মুসলমানের জন্য জ্ঞান অর্জন করা ফরজ।' (ইবনে মাজাহ: ২২৪ )
আনাস (রা:) হতে বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) বলেন— ‘যে লোক জ্ঞানার্জন করার জন্য বের হয়, ফিরে না আসা পর্যন্ত সে আল্লাহর রাস্তায় আছে বলে গণ্য হয়।' (সহিহ আত-তারগিব: ৮৮)
পৃথিবীর মাঝে অশান্তি সৃষ্টি করা ইসলাম কখনো পছন্দ করে না; বরং কেউ অশান্তি সৃষ্টি করতে চাইলে ইসলাম তাকে বাধা দেয়। মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন— 'তোমরা পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করার চেষ্টা করো না। আল্লাহ বিপর্যয় সৃষ্টিকারীদের পছন্দ করেন না।' (সূরা কাসাস:
পৃথিবীর বুকে শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়ে গেলে কারও অধিকার নেই সেখানে পুনরায় অশান্তি সৃষ্টি করার। কুরআনে স্পষ্টভাবে নিষেধ আছে- 'দুনিয়ায় সুস্থ পরিবেশ বহাল করার পর আর সেখানে বিপর্যয় সৃষ্টি করো না।' (সূরা আ'রাফ: ৫৬)
‘আবু হুরায়রা (রা:) হতে বর্ণিত, নবি (ﷺ) বললেন—তোমরা সহজ পথে থাকো এবং মধ্যমপন্থা অবলম্বন করো।' (সহিহ বুখারি: ৩৯)
এজন্য ছেলেমেয়ে যা হোক না কেন, মনে করতে হবে-এতেই আপনার জন্য কল্যাণ রয়েছে। তাই সন্তুষ্টচিত্তে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করতে হবে। আল্লাহ তায়ালা বলেন- ‘(আল্লাহ) যাকে ইচ্ছা কন্যা সন্তান দান করেন, যাকে ইচ্ছা পুত্র সন্তান দান করেন, যাকে ইচ্ছা পুত্র-কন্যা উভয়ই দান করেন এবং যাকে ইচ্ছা বন্ধ্যা করে দেন। তিনি সবকিছু জানেন এবং সবকিছু করতে সক্ষম।' (সূরা শুরা ৪৯-৫০)
‘‘আর আমি মানুষকে তার মাতা-পিতার ব্যাপারে (সদাচরণের) নির্দেশ দিয়েছি। তার মা কষ্টের পর কষ্ট ভোগ করে তাঁকে গর্ভে ধারণ করে। দুই বছর পর্যন্ত তাকে দুধ পান করায়। সুতরাং আমার ও তোমার পিতা-মাতার শুকরিয়া আদায় করো। আমার কাছেই তোমাদের ফিরে আসতে হবে।” (সূরা লুকমান: ১৪)
"যে পিতা তার সন্তানের দুধ পানের সময়কাল পূর্ণ করতে চায়, সেক্ষেত্রে মায়েরা পুরো দুই বছর নিজেদের সন্তানদের দুধ পান করাবে।' (সূরা বাকারা: ২৩৩)
তাঁর কথা শুনে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন- ‘যে দয়া করে না, সে দয়া পায় না।' (সহিহ বুখারি: ৫৯৯৭)
আল্লাহ সুবহানাহু ওরা তায়ালা বলেন- হে বনি আদম! তোমরা প্রত্যেক নামাজের সময় সুন্দর পোশাক পরিচ্ছদ গ্রহণ করো। (সূরা আ'রাফ ৭: ৩১)।
আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন- 'নামাজ শেষ হয়ে গেলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়বে এবং আল্লাহর অনুগ্রহের সন্ধান করবে।' (সূরা জুমুআহ ৬২:১০
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন— 'এবং তাকে এমন স্থান থেক��� তিনি রিজিক দান করবেন, যা সে ধারণাও করে না। আর যে আল্লাহর ওপর ভরসা করে, তার (কর্ম সম্পাদনের জন্য আল্লাহই যথেষ্ট। নিশ্চিতভাবে জেনে রেখ, আল্লাহ তার কাজ পূরণ করে থাকে���। আল্লাহ প্রতিটি জিনিসে�� জন্য একটা মাত্রা ঠিক করে রেখেছেন।' (সূরা তালাক: ০৩)
রাসূল (ﷺ) বলেন- 'তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং উত্তম পন্থায় জীবিকা অন্বেষণ করো। যা হালাল, তা-ই গ্রহণ করো এবং যা হারাম, তা বর্জন করো।' (ইবনে মাজাহ: ২১৪৪)
মৃত্যু! একটি অনিবার্য বাস্তবতা। হঠাৎ এসে চমকে দিয়ে সব স্থবির করে দেয়। এ পৃথিবীর কাউকে আল্লাহ তায়ালা অমরত্ব দান করেননি। তাই প্রতিটি প্রাণকেই মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করতে হয়। নশ্বর এ মহাবিশ্বে তিনি একাই কেবল অবিনশ্বর।
0 notes
‘রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া’ কেন পড়ব
‘রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া’ কেন পড়ব
Why should I read 'Rabbana Atina Fidduniya'?
রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাও দোয়া:
'রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানা, ওয়াফিল আখিরাতি হাসানা, ওয়াকিনা আজাবান্নার। ' অর্থ : হে আমার প্রভু! আমাকে দুনিয়াতে কল্যাণ দান কর, আখেরাতেও কল্যাণ দান কর এবং আমাকে জাহান্নাম থেকে বাঁচাও। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত এ দোয়াকে সর্বশ্রেষ্ঠ দোয়া বলা হয়।
রাসুল (সা.)–এর সময়ের ঘটনা। একজন যুবক ছিলেন স্বাস্থ্যবান। হঠাৎ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লেন। অসুখে তাঁর স্বাস্থ্য ভেঙে পড়ল। তাঁকে দেখলে মনে হতো, যেকোনো সময় মারা যাবেন।
খবর পেয়ে রাসুল (সা.) তাঁকে দেখতে এলেন। রাসুলও তাঁকে দেখে অবাক। জানতে চাইলেন, তোমার তো এমন হওয়ার কথা নয়। কী করে এ অবস্থা হলো? তুমি কি আল্লাহর কাছে বিশেষ কোনো দোয়া করেছ?
যুবক বলল, আপনি ঠিকই ধরেছেন, ‘আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করেছি, হে আল্লাহ! আমার আখিরাতের প্রাপ্য সব শাস্তি দুনিয়াতে যেন পাই। আখিরাতে যেন কোনো কষ্ট না পাই।’
রাসুল (সা.) বললেন, ‘তুমি এ কেমন ধরনের দোয়া করেছ? তোমার এই দোয়া করা ঠিক হয়নি। কারণ, আখিরাতের শাস্তি দুনিয়ায় ভোগ করার সাধ্য কোনো মানুষের নেই। তুমি কেন সহজ দোয়া করছ না?’
এই বলে রাসুল (সা.) দোয়া তাঁকে শিখিয়ে দিলেন, ‘রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাওঁ, ওয়াফিল আখিরাতি হাসানাওঁ, ওয়াকিনা আজাবান্নার।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ২০১) এর অর্থ: ‘আর তাদের মধ্যে অনেকে বলে, হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে ইহকালে কল্যাণ দাও ও পরকালেও কল্যাণ দাও এবং আমাদেরকে অগ্নিযন্ত্রণা থেকে রক্ষা করো।’
আরেকটি ঘটনা। সাহাবি আনাস ইবনে মালিক (রা.) তখন বৃদ্ধ, চলতে-ফিরতে অক্ষম। তাঁর কাছে বসরা থেকে একদল লোক এসে বল���, ‘হে আনাস (রা.), আপনি রাসুল (সা.)–কে দেখেছেন। আপনার মতো সৌভাগ্যবান মানুষের কাছ থেকে শুধু দোয়া নিতে আমরা বসরা থেকে এসেছি। আমাদের জন্য দোয়া করুন।’ তখন আনাস (রা.) তাঁদের নিয়ে আল্লাহর দরবারে হাত তুলে ‘রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া’ পড়ে দোয়া করলেন।
বসরার লোকেরা বলল, আরও কিছু দোয়া করুন। আনাস (রা.) আবারও এই দোয়া করলেন। আনাস (রা.) কয়েকবার এ দোয়াই করলেন।
আনাস (রা.) তাঁদের বললেন, ‘আমি শ্রেষ্ঠতম দোয়াটিই করেছি। যদি এই একটি দোয়া কবুল হয়, তবে তোমাদের অন্য যা কিছু প্রয়োজন, সবই এর বরকতে পূরণ হয়ে যাবে।’
এই দোয়া শুরু হয়েছে রাব্বানা দিয়ে। দোয়ায় তিনটি অংশ আছে—১. দুনিয়ার কল্যাণ ২. আখিরাতের কল্যাণ এবং ৩. জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি।
মহান আল্লাহর থেকে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার ভয় থাকতে হবে, আবার তিনি আমাদের চাওয়াগুলো কবুল করবেন, এই আশাবাদ থাকতে হবে। দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ কামনা করতে হবে, জান্নাত পাওয়ার আশা করতে হবে, ঠিক তেমনি জাহান্নামের আগুনের ভয়েও সতর্ক থাকতে হবে। এ বিষয়গুলো অত্যন্ত সুন্দরভাবে এই দোয়ায় আছে। তাই এ দোয়া এত সুন্দর ও গুরুত্বপূর্ণ।
‘রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া’ কেন পড়ব
Why should I read 'Rabbana Atina Fidduniya'?
0 notes
‘রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া’ কেন পড়ব
‘রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া’ কেন পড়ব
Why should I read 'Rabbana Atina Fidduniya'?
রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাও দোয়া:
'রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানা, ওয়াফিল আখিরাতি হাসানা, ওয়াকিনা আজাবান্নার। ' অর্থ : হে আমার প্রভু! আমাকে দুনিয়াতে কল্যাণ দান কর, আখেরাতেও কল্যাণ দান কর এবং আমাকে জাহান্নাম থেকে বাঁচাও। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত এ দোয়াকে সর্বশ্রেষ্ঠ দোয়া বলা হয়।
রাসুল (সা.)–এর সময়ের ঘটনা। একজন যুবক ছিলেন স্বাস্থ্যবান। হঠাৎ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লেন। অসুখে তাঁর স্বাস্থ্য ভেঙে পড়ল। তাঁকে দেখলে মনে হতো, যেকোনো সময় মারা যাবেন।
খবর পেয়ে রাসুল (সা.) তাঁকে দেখতে এলেন। রাসুলও তাঁকে দেখে অবাক। জানতে চাইলেন, তোমার তো এমন হওয়ার কথা নয়। কী করে এ অবস্থা হলো? তুমি কি আল্লাহর কাছে বিশেষ কোনো দোয়া করেছ?
যুবক বলল, আপনি ঠিকই ধরেছেন, ‘আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করেছি, হে আল্লাহ! আমার আখিরাতের প্রাপ্য সব শাস্তি দুনিয়াতে যেন পাই। আখিরাতে যেন কোনো কষ্ট না পাই।’
রাসুল (সা.) বললেন, ‘তুমি এ কেমন ধরনের দোয়া করেছ? তোমার এই দোয়া করা ঠিক হয়নি। কারণ, আখিরাতের শাস্তি দুনিয়ায় ভোগ করার সাধ্য কোনো মানুষের নেই। তুমি কেন সহজ দোয়া করছ না?’
এই বলে রাসুল (সা.) দোয়া তাঁকে শিখিয়ে দিলেন, ‘রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাওঁ, ওয়াফিল আখিরাতি হাসানাওঁ, ওয়াকিনা আজাবান্নার।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ২০১) এর অর্থ: ‘আর তাদের মধ্যে অনেকে বলে, হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে ইহকালে কল্যাণ দাও ও পরকালেও কল্যাণ দাও এবং আমাদেরকে অগ্নিযন্ত্রণা থেকে রক্ষা করো।’
আরেকটি ঘটনা। সাহাবি আনাস ইবনে মালিক (রা.) তখন ব��দ্ধ, চলতে-ফিরতে অক্ষম। তাঁর কাছে বসরা থেকে একদল লোক এসে বলল, ‘হে আনাস (রা.), আপনি রাসুল (সা.)–কে দেখেছেন। আপনার মতো সৌভাগ্যবান মানুষের কাছ থেকে শুধু দোয়া নিতে আমরা বসরা থেকে এসেছি। আমাদের জন্য দোয়া করুন।’ তখন আনাস (রা.) তাঁদের নিয়ে আল্লাহর দরবারে হাত তুলে ‘রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া’ পড়ে দোয়া করলেন।
বসরার লোকেরা বলল, আরও কিছু দোয়া করুন। আনাস (রা.) আবারও এই দোয়া করলেন। আনাস (রা.) কয়েকবার এ দোয়াই করলেন।
আনাস (রা.) তাঁদের বললেন, ‘আমি শ্রেষ্ঠতম দোয়াটিই করেছি। যদি এই একটি দোয়া কবুল হয়, তবে তোমাদের অন্য যা কিছু প্রয়োজন, সবই এর বরকতে পূরণ হয়ে যাবে।’
এই দোয়া শুরু হয়েছে রাব্বানা দিয়ে। দোয়ায় তিনটি অংশ আছে—১. দুনিয়ার কল্যাণ ২. আখিরাতের কল্যাণ এবং ৩. জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি।
মহান আল্লাহর থেকে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার ভয় থাকতে হবে, আবার তিনি আমাদের চাওয়াগুলো কবুল করবেন, এই আশাবাদ থাকতে হবে। দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ কামনা করতে হবে, জান্নাত পাওয়ার আশা করতে হবে, ঠিক তেমনি জাহান্নামের আগুনের ভয়েও সতর্ক থাকতে হবে। এ বিষয়গুলো অত্যন্ত সুন্দরভাবে এই দোয়ায় আছে। তাই এ দোয়া এত সুন্দর ও গুরুত্বপূর্ণ।
‘রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া’ কেন পড়ব
রাব্বানাআতিনাফিদ্দুনিয়া’ কেন পড়ব
Why should I read 'Rabbana Atina Fidduniya'?
রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাও দোয়া
0 notes
‘রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া’ কেন পড়ব
‘রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া’ কেন পড়ব
Why should I read 'Rabbana Atina Fidduniya'?
রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাও দোয়া:
'রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানা, ওয়াফিল আখিরাতি হাসানা, ওয়াকিনা আজাবান্নার। ' অর্থ : হে আমার প্রভু! আমাকে দুনিয়াতে কল্যাণ দান কর, আখেরাতেও কল্যাণ দান কর এবং আমাকে জাহান্নাম থেকে বাঁচাও। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত এ দোয়াকে সর্বশ্রেষ্ঠ দোয়া বলা হয়।
রাসুল (সা.)–এর সময়ের ঘটনা। একজন যুবক ছিলেন স্���াস্থ্যবান। হঠাৎ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লেন। অসুখে তাঁর স্বাস্থ্য ভেঙে পড়ল। তাঁকে দেখলে মনে হতো, যেকোনো সময় মারা যাবেন।
খবর পেয়ে রাসুল (সা.) তাঁকে দেখতে এলেন। রাসুলও তাঁকে দেখে অবাক। জানতে চাইলেন, তোমার তো এমন হওয়ার কথা নয়। কী করে এ অবস্থা হলো? তুমি কি আল্লাহর কাছে বিশেষ কোনো দোয়া করেছ?
যুবক বলল, আপনি ঠিকই ধরেছেন, ‘আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করেছি, হে আল্লাহ! আমার আখিরাতের প্রাপ্য সব শাস্তি দুনিয়াতে যেন পাই। আখিরাতে যেন কোনো কষ্ট না পাই।’
রাসুল (সা.) বললেন, ‘তুমি এ কেমন ধর���ের দোয়া করেছ? তোমার এই দোয়া করা ��িক হয়নি। কারণ, আখিরাতের শাস্তি দুনিয়ায় ভোগ করার সাধ্য কোনো মানুষের নেই। তুমি কেন সহজ দোয়া করছ না?’
এই বলে রাসুল (সা.) দোয়া তাঁকে শিখিয়ে দিলেন, ‘রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাওঁ, ওয়াফিল আখিরাতি হাসানাওঁ, ওয়াকিনা আজাবান্নার।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ২০১) এর অর্থ: ‘আর তাদের মধ্যে অনেকে বলে, হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে ইহকালে কল্যাণ দাও ও পরকালেও কল্যাণ দাও এবং আমাদেরকে অগ্নিযন্ত্রণা থেকে রক্ষা করো।’
আরেকটি ঘটনা। সাহাবি আনাস ইবনে মালিক (রা.) তখন বৃদ্ধ, চলতে-ফিরতে অক্ষম। তাঁর কাছে বসরা থেকে একদল লোক এসে বলল, ‘হে আনাস (রা.), আপনি রাসুল (সা.)–কে দেখেছেন। আপনার মতো সৌভাগ্যবান মানুষের কাছ থেকে শুধু দোয়া নিতে আমরা বসরা থেকে এসেছি। আমাদের জন্য দোয়া করুন।’ তখন আনাস (রা.) তাঁদের নিয়ে আল্লাহর দরবারে হাত তুলে ‘রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া’ পড়ে দোয়া করলেন।
বসরার লোকেরা বলল, আরও কিছু দোয়া করুন। আনাস (রা.) আবারও এই দোয়া করলেন। আনাস (রা.) কয়েকবার এ দোয়াই করলেন।
আনাস (রা.) তাঁদের বললেন, ‘আমি শ্রেষ্ঠতম দোয়াটিই করেছি। যদি এই একটি দোয়া কবুল হয়, তবে তোমাদের অন্য যা কিছু প্রয়োজন, সবই এর বরকতে পূরণ হয়ে যাবে।’
এই দোয়া শুরু হয়েছে রাব্বানা দিয়ে। দোয়ায় তিনটি অংশ আছে—১. দুনিয়ার কল্যাণ ২. আখিরাতের কল্যাণ এবং ৩. জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি।
মহান আল্লাহর থেকে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার ভয় থাকতে হবে, আবার তিনি আমাদের চাওয়াগুলো কবুল করবেন, এই আশাবাদ থাকতে হবে। দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ কামনা করতে হবে, জান্নাত পাওয়ার আশা করতে হবে, ঠিক তেমনি জাহান্নামের আগুনের ভয়েও সতর্ক থাকতে হবে। এ বিষয়গুলো অত্যন্ত সুন্দরভাবে এই দোয়ায় আছে। তাই এ দোয়া এত সুন্দর ও গুরুত্বপূর্ণ।
‘রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া’ কেন পড়ব
রাব্বানাআতিনাফিদ্দুনিয়া’ কেন পড়ব
Why should I read 'Rabbana Atina Fidduniya'?
রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাও দোয়া
0 notes
‘রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া’ কেন পড়ব
‘রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া’ কেন পড়ব
Why should I read 'Rabbana Atina Fidduniya'?
রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাও দোয়া:
'রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানা, ওয়াফিল আখিরাতি হাসানা, ওয়াকিনা আজাবান্নার। ' অর্থ : হে আমার প্রভু! আমাকে দুনিয়াতে কল্যাণ দান কর, আখেরাতেও কল্যাণ দান কর এবং আমাকে জাহান্নাম থেকে বাঁচাও। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত এ দোয়াকে সর্বশ্রেষ্ঠ দোয়া বলা হয়।
রাসুল (সা.)–এর সময়ের ঘটনা। একজন যুবক ছিলেন স্বাস্থ্যবান। হঠাৎ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লেন। অসুখে তাঁর স্বাস্থ্য ভেঙে পড়ল। তাঁকে দেখলে মনে হতো, যেকোনো সময় মারা যাবেন।
খবর পেয়ে রাসুল (সা.) তাঁকে দেখতে এলেন। রাসুলও তাঁকে দেখে অবাক। জানতে চাইলেন, তোমার তো এমন হওয়ার কথা নয়। কী করে এ অবস্থা হলো? তুমি কি আল্লাহর কাছে বিশেষ কোনো দোয়া করেছ?
যুবক বলল, আপনি ঠিকই ধরেছেন, ‘আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করেছি, হে আল্লাহ! আমার আখিরাতের প্রাপ্য সব শাস্তি দুনিয়াতে যেন পাই। আখিরাতে যেন কোনো কষ্ট না পাই।’
রাসুল (সা.) বললেন, ‘তুমি এ কেমন ধরনের দোয়া করেছ? তোমার এই দোয়া করা ঠিক হয়নি। কারণ, আখিরাতের শাস্তি দুনিয়ায় ভোগ করার সাধ্য কোনো মানুষের নেই। তুমি কেন সহজ দোয়া করছ না?’
এই বলে রাসুল (সা.) দোয়া তাঁকে শিখিয়ে দিলেন, ‘রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাওঁ, ওয়াফিল আখিরাতি হাসানাওঁ, ওয়াকিনা আজাবান্নার।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ২০১) এর অর্থ: ‘আর তাদের মধ্যে অনেকে বলে, হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে ইহকালে কল্যাণ দাও ও পরকালেও কল্যাণ দাও এবং আমাদেরকে অগ্নিযন্ত্রণা থেকে রক্ষা করো।’
আরেকটি ঘটনা। সাহাবি আনাস ইবনে মালিক (রা.) তখন বৃদ্ধ, চলতে-ফিরতে অক্ষম। তাঁর কাছে বসরা থেকে একদল লোক এসে বলল, ‘হে আনাস (রা.), আপনি রাসুল (সা.)–কে দেখেছেন। আপনার মতো স��ভাগ্যবান মানুষের কাছ থেকে শুধু দোয়া নিতে আমরা বসরা থেকে এসেছি। আমাদের জন্য দোয়া করুন।’ তখন আনাস (রা.) তাঁদের নিয়ে আল্লাহর দরবারে হাত তুলে ‘রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া’ পড়ে দোয়া করলেন।
বসরার লোকেরা বলল, আরও কিছু দোয়া করুন। আনাস (রা.) আবারও এই দোয়া করলেন। আনাস (রা.) কয়েকবার এ দোয়াই করলেন।
আনাস (রা.) তাঁদের বললেন, ‘আমি শ্রেষ্ঠতম দোয়াটিই করেছি। যদি এই একটি দোয়া কবুল হয়, তবে তোমাদের অন্য যা কিছু প্রয়োজন, সবই এর বরকতে পূরণ হয়ে যাবে।’
এই দোয়া শুরু হয়েছে রাব্বানা দিয়ে। দোয়ায় তিনটি অংশ আছে—১. দুনিয়ার কল্যাণ ২. আখিরাতের কল্যাণ এবং ৩. জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি।
মহান আল্লাহর থেকে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার ভয় থাকতে হবে, আবার তিনি আমাদের চাওয়াগুলো কবুল করবেন, এই আশাবাদ থাকতে হবে। দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ কামনা করতে হবে, জান্নাত পাওয়ার আশা করতে হবে, ঠিক তেমনি জাহান্নামের আগুনের ভয়েও সতর্ক থাকতে হবে। এ বিষয়গুলো অত্যন্ত সুন্দরভাবে এই দোয়ায় আছে। তাই এ দোয়া এত সুন্দর ও গুরুত্বপূর্ণ।
‘রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া’ কেন পড়ব
রাব্বানাআতিনাফিদ্দুনিয়া’ কেন পড়ব
Why should I read 'Rabbana Atina Fidduniya'?
0 notes
ধৈর্য ও দুআ ছাড়া আর কিই বা উপায় আছে, সব কিছু যতই স্তব্ধ লাগুগ কিছু তো করতেই হবে
0 notes
Duas of the month of Ramadan
যেহেতু রমজান একটি বরকতপূর্ণ মাস এবং রমজান মাসে আল্লাহর পক্ষ থেকে সবচেয়ে উদার অনুগ্রহের এটি হল আমাদের দোয়া কবুল হওয়ার সুযোগ। নবী (সাঃ) বলেছেন- তিনজন ব্যাক্তির দোয়া কখনো প্রত্যাখ্যান হয় না ( i) রোজাদার যখন ইফতার করে, (ii) তখন ন্যায়পরায়ণ নেতা এবং (iii)অত্যাচারিত ব্যক্তির দুআ।(Since Ramadan is a blessed month and the most generous favor from Allah in the month of Ramadan, it is an opportunity for our prayers to be accepted. The Prophet (PBUH) said – Dua of three persons is never rejected (i) Dua of a fasting person when he breaks his fast, (ii) Dua of a righteous leader and (iii) Dua of an oppressed person.)
দোআ গুলো হলো: (The prayers are):
1- রমজানের চাঁদ দেখার দুআ (Dua to see the moon of Ramadan)
اللَّهُمَّ أَهْلِلْهُ عَلَيْنَا بِالْيُمْنِ وَالإِيمَانِ وَالسَّلاَمَةِ وَالإِسْلاَمِ رَبِّي وَرَبُّكَ اللّٰهُalllahumm 'ahlilh ealayna bialyumn wal'iiman walssalaamat wal'iislaam rabbi warabbuk alllhOh God, grant us peace, faith, safety, and Islam, my Lord and your Lord, God.হে আল্লাহ, আমাদের শান্তি, বিশ্বাস, নিরাপত্তা এবং ইসলাম দান করুন, আমার প্রভু এবং আপনার পালনকর্তা, আল্লাহ।
2- রোজার জন্য দুআ - সেহরি দুআ (Dua for Fasting - Sehri Dua)
وَبِصَوْمِ غَدٍ نَّوَيْتُ مِنْ شَهْرِ رَمَضَانَwabisawm ghad nawayt min shahr ramadanAnd I intended to fast tomorrow during the month of Ramadan.আর আমি আগামীকাল রমজান মাসে রোজা রাখার নিয়ত করেছি।
Read more
0 notes