আমাদের জীবনের উদ্দেশ্য কী❓
What is the purpose of our life?
আল্লাহ তা'আলা মানুষকে সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ মাখলুক হিসেবে সৃষ্টি করে, সুন্দর একটা জীবন দান করেছেন। এই জীবনের আসল উদ্দেশ্য কি! আমরা যেটাকে জীবনের সফলতা মনে করি সেটাই কি প্রকৃত সফলতা!
জীবন হচ্ছে নির্দিষ্ট কিছু সময়ের সমষ্টি। সময় যেমন ফুরায়, তেমনি জীবনও প্রতিনিয়ত ফুরাতে থাকে। যেহেতু এই জীবন অনন্তকাল স্থায়ী নয়, তাই জীবনটা অর্থবহ হলেও এই জীবনের চাওয়া-পাওয়া, সুখ, সখ, সফলতা-বিফলতা, দারিদ্রতা-ধনাঢ্যতার সবই প্রকৃত অর্থে অর্থহীন। এখানে কোন কিছুই নিখুঁত না। কিছুই আমাদের মনের মত হবার নয় । আমরা যেমনটা চাই, তা পরিপূর্ণরূপে দুনিয়া আমাদের কখনোই দিতে পারবে না। কারণ, এটা দুনিয়া, জান্নাত না। জীবন এক রহস্যময় জিনিস। আপনি যাই উপার্জন করেন না কেন আপনার জীবন বৃদ্ধি পাবে না বরং জীবনমান বাড়বে। ভালো পরিবেশে থাকলে আপনি বেশীদিন বাচবেন তা কিন্তু নয়।
তাহলে জীবনের আসল উদ্দেশ্য কি!
আখেরাতের দৃষ্টিকোন থেকে একজন মানুষের জন্য তার মূল উদ্দেশ্যে কী নির্ধারণ করা উচিৎ! এবং সর্বোচ্চ সফলতা প্রাপ্তি কোথায় নিহিত আছে। তা মহান আল্লাহ পাক সুস্পষ্ট করেছেন। কারণ, সাধারণত সকলের ধ্যান-ধারণা ক্রিয়াকলাপ চিন্তা-ভাবনা সবকিছু অস্থায়ী পৃথিবীর অত্যন্ত স্বল্পকালীন আয়ুর ভিত্তিতেই পরিচালিত হয়। পরকালের চিরস্থায়ী জীবনের ধ্যান-ধারণার ভিত্তিতে পরিচালিত জীবনের সংখ্যা অতি নগণ্য। যার প্রমাণ জীবনের উদ্দেশ্য জাগতিক ভিত্তিক। পরলৌকিক ভিত্তিক নয়। কিন্তু সত্যিকার অর্থে প্রত্যেক মুমিন-মুসলিমের প্রত্যেকটি কার্যকলাপ, ধ্যান-ধারণা হওয়া উচিত চিরস্থায়ী জীবনকে সামনে রেখে। সে ক্ষেত্রে ধর্মীয়ভাবে নিষিদ্ধ, অসৎ কাজগুলি থেকে সরে থাকা বাঞ্ছনীয়, অথচ সে অবস্থান কতো দূরে? কিংবা বহু দূরে।
আল্লাহ তাআলা কুরআনে কারীমে ইরশাদ করেছেন____
যিনি মৃত্যু ও জীবন সৃষ্টি করেছেন যাতে তিনি তোমাদেরকে পরীক্ষা করতে পারেন যে, কে তোমাদের মধ্যে কর্মের দিক থেকে উত্তম। আর তিনি মহাপরাক্রমশালী, অতিশয় ক্ষমাশীল। (সূরা মূলক - আয়াত ২)
দুনিয়া কর্মের জায়গা, আর কর্ম সেটাই যেটা উত্তম। সুতরাং আমাদের আগে জানতে হবে ইসলামের দৃষ্টিতে উত্তম কাজ কোনটা! অল্প শব্দে বলতে গেলে, আমরা যে যেই সেক্টরে আছি, সেখান থেকেই আল্লাহর আদেশ অনুযায়ী চলা এবং নিশেধ গুলোকে বর্জন করাই ভালো কাজ। আর যদি একটু ব্যাখ্যা করে বলি, আল্লাহ তা'আলা আমাদের একেক জনকে একেকটা নির্দৃষ্ট কাজের জন্য বানিয়েছেন। কেউ ডাক্তার, কেউ ইঞ্জিনিয়ার, কেউ আলেম, কেউ এমন আরো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত বা আল্লাহ প্রদত্ত অভিজ্ঞতা সম্পন্ন। পেশাটা মানবীয় দৃষ্টিতে ছোট অথবা বড় হোক, সবাই যদি সবার কাজ গুলো সততার সাথে করি এবং আমাদের কাজে আল্লাহকে ভয় করি। আর রাসুলের আদর্শ অনুযায়ী আমাদের চিন্তা, আমাদের দর্শন, আমাদের কর্মপন্থা হয় তাহলেই আমাদের জায়গা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে জান্নাতে হবে।
তার জীবনের প্রকৃত সফলতা এটাই!
কেননা আল্লাহ তাআলা কুরআনে কারীমে ইরশাদ করেছেন_____
যাকে জাহান্নাম থেকে দূরে রাখা হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে সে-ই সফল।
(সূরা আল-ইমরান আয়াত-১৮৫)
আমাদের জীবনের উদ্দেশ্য কী❓
সূরা আসর জান্নাতের পথ দেখায়
মানুষ যখন ঈশ্বরে বিশ্বাস করে, এবং সৎকাজ করে, তখন সে নিজেকে পরিপূর্ণ করে তোলে। তিনি নিজেকে লাভ, সাফল্য এবং কল্যাণের দিকে নিয়ে যান। কিন্তু বিশ্বাসী হিসেবে তাঁর দায়িত্ব শেষ হয়না । তিনি অন্যদেরও ডাকবেন একটি সমৃদ্ধ, সফল জীবনের দিকে। মুসলমানদের উত্থান হয়েছে বিশ্ব মানবতার কল্যাণের জন্য। তাঁর দায়িত্ব হলো নিজের সাথে অন্যকেও সত্যের দিকে ডাকা।
সুরা আসরের শিক্ষা
সূরা আসর এ আল্লাহ গুরুত্বপূর্ণ বেশকিছু শিক্ষা ও চমৎকার হেদায়েত রেখেছেন। মাত্র তিন আয়াত বিশিষ্ট ছোট্ট এ সূরাটি ইহকালীন ও পরকালীন মুক্তির স্পষ্ট সনদ। ‘আল্লাহ যদি কুরআনে অন্য কোনো সূরা নাযিল না করে শুধু সূরা আল আসর নাযিল করতেন তাহলে এটা মানুষের হেদায়াতের জন্য যথেষ্ট হত।'(মিফতাহুস সাআদাহ : ইমাম শাফেয়ি) যদি কেউ এ সূরায় গভীরভাবে দৃষ্টি দেয় তাহলে সে তাতে একটি উন্নত, সুন্দর, শান্তিময়, পরিপূর্ণ এবং সবার জন্য কল্যাণকর সমাজের চিত্র দেখবে। (আদওয়াউল বায়ান : ৯/৫০৭)
সূরা আল-মুলক তিলাওয়াতকারীকে ক্ষমা না করা পর্যন্ত সুপারিশ করে
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ নবী করীম (সাঃ) বলেছেন, “কুরআনে ত্রিশ আয়াতের একটি অধ্যায় রয়েছে, যা তাঁর সঙ্গীর জন্য সুপারিশ করবে যতক্ষণ না তাকে ক্ষমা করা হয়: “বরকতময় তিনি যাঁর হাতে। আধিপত্য।” (কোরআন 67:1)। সূত্র: সুনানে আবি দাউদ ১৪০০
মৃত্যুর পরে বারযাখী জীবন কবরের
“বারযাখী জীবন” বারযাখী জীবন সম্পর্কে এ বইটি হাতে পেয়েই হৃদয়ে শিহরণ জাগল যে, এ ধরনের বই সচরাচর হাতে পাওয়া যায় না বিধায় জনসাধারণ এ অদৃশ্য জীবন সম্পর্কে তেমন কিছু জানতে পারে না। এমনকি বহু আলেমের মনেও অনেক সময় সন্দেহের জাল বুনতে শুরু করে। ফলে এমনও বলতে শুনা যায় যে, কবরের ‘আযাব বলতে কিছু নেই। অথচ কুরআনের বহু আয়াত এবং সহীহ হাদীস রয়েছে, যা কবরে ‘আযাব হওয়ার ওপর প্রমাণ বহন করে। উক্ত বইয়ে সে সম্পর্কেই আলোচনা করা হয়েছে। মানুষ মরণশীল। প্রত্যেককে একদিন না একদিন মৃত্যুবরণ করতেই হবে। মৃত্যুর পর আরেক জগত শুরু হবে। সেই জগত থেকে আর কোনোদিন পৃথিবীতে ফিরে আসার সুযোগ নেই। মৃত্যুর পর কবরের আজাব শুরু হবে। সেই আজাব রোজ কিয়ামত পর্যন্ত চলতে থাকবে।
কবরের চিরন্তন তিনটি প্রশ্নের ব্যাপারে মানুষ একেবারে গাফেল হয়ে পড়েছে।
আল্লাহ তা‘আলা মানুষকে জান্নাত থেকে দুনিয়ায় নামিয়ে দিয়েছিলেন একটি গাইড বুক দিয়ে। কিন্তু মানুষের প্রকাশ্য শত্রু শয়তানের ধোঁকায় পড়ে মানুষ বারংবার বিপথে পা বাড়াচ্ছে। মায়ের গর্ভ হ’তে দুনিয়ার আলো-বাতাসে এসে দুনিয়ার মোহজালে আটকা পড়ে কবরের চিরন্তন তিনটি প্রশ্নের ব্যাপারে মানুষ একেবারে গাফেল হয়ে পড়েছে। অথচ তাকে কবরের পরীক্ষায় পাশ করেই তবে জান্নাতের সার্টিফিকেট হাছিল করতে হবে। অন্যথায় চিরস্থায়ী জাহান্নামে ন...িক্ষিপ্ত হ’তে হবে। সে তিনটি প্রশ্ন ও উত্তরগুলো শুধু মুখস্ত স্ত করা যথেষ্ট নয়। বরং বাস্তব জীবনে এ তিনটি প্রশ্নের আলোকে প্রস্তুতি গ্রহণ করা জরুরী। অন্যথায় সেগুলো যতই মুখস্ত করা হোক তা কাজে লাগবে না। আল্লাহ তায়ালা যেন আমাদেকে কবরের প্রশ্নগুলোর উত্তর প্রস্তত করে কবরে নেন। তার কাছে এটাই প্রার্থন। আল্লাহ তুমি কবুল কর।আমীন।
আমাদের জীবনের উদ্দেশ্য কী❓
What is the purpose of our life?
0 notes
আমাদের জীবনের উদ্দেশ্য কী❓
What is the purpose of our life?
আল্লাহ তা'আলা মানুষকে সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ মাখলুক হিসেবে সৃষ্টি করে, সুন্দর একটা জীবন দান করেছেন। এই জীবনের আসল উদ্দেশ্য কি! আমরা যেটাকে জীবনের সফলতা মনে করি সেটাই কি প্রকৃত সফলতা!
জীবন হচ্ছে নির্দিষ্ট কিছু সময়ের সমষ্টি। সময় যেমন ফুরায়, তেমনি জীবনও প্রতিনিয়ত ফুরাতে থাকে। যেহেতু এই জীবন অনন্তকাল স্থায়ী নয়, তাই জীবনটা অর্থবহ হলেও এই জীবনের চাওয়া-পাওয়া, সুখ, সখ, সফলতা-বিফলতা, দারিদ্রতা-ধনাঢ্যতার সবই প্রকৃত অর্থে অর্থহীন। এখানে কোন কিছুই নিখুঁত না। কিছুই আমাদের মনের মত হবার নয় । আমরা যেমনটা চাই, তা পরিপূর্ণরূপে দুনিয়া আমাদের কখনোই দিতে পারবে না। কারণ, এটা দুনিয়া, জান্নাত না। জীবন এক রহস্যময় জিনিস। আপনি যাই উপার্জন করেন না কেন আপনার জীবন বৃদ্ধি পাবে না বরং জীবনমান বাড়বে। ভালো পরিবেশে থাকলে আপনি বেশীদিন বাচবেন তা কিন্তু নয়।
তাহলে জীবনের আসল উদ্দেশ্য কি!
আখেরাতের দৃষ্টিকোন থেকে একজন মানুষের জন্য তার মূল উদ্দেশ্যে কী নির্ধারণ করা উচিৎ! এবং সর্বোচ্চ সফলতা প্রাপ্তি কোথায় নিহিত আছে। তা মহান আল্লাহ পাক সুস্পষ্ট করেছেন। কারণ, সাধারণত সকলের ধ্যান-ধারণা ক্রিয়াকলাপ চিন্তা-ভাবনা সবকিছু অস্থায়ী পৃথিবীর অত্যন্ত স্বল্পকালীন আয়ুর ভিত্তিতেই পরিচালিত হয়। পরকালের চিরস্থায়ী জীবনের ধ্যান-ধারণার ভিত্তিতে পরিচালিত জীবনের সংখ্যা অতি নগণ্য। যার প্রমাণ জীবনের উদ্দেশ্য জাগতিক ভিত্তিক। পরলৌকিক ভিত্তিক নয়। কিন্তু সত্যিকার অর্থে প্রত্যেক মুমিন-মুসলিমের প্রত্যেকটি কার্যকলাপ, ধ্যান-ধারণা হওয়া উচিত চিরস্থায়ী জীবনকে সামনে রেখে। সে ক্ষেত্রে ধর্মীয়ভাবে নিষিদ্ধ, অসৎ কাজগুলি থেকে সরে থাকা বাঞ্ছনীয়, অথচ সে অবস্থান কতো দূরে? কিংবা বহু দূরে।
আল্লাহ তাআলা কুরআনে কারীমে ইরশাদ করেছেন____
যিনি মৃত্যু ও জীবন সৃষ্টি করেছেন যাতে তিনি তোমাদেরকে পরীক্ষা করতে পারেন যে, কে তোমাদের মধ্যে কর্মের দিক থেকে উত্তম। আর তিনি মহাপরাক্রমশালী, অতিশয় ক্ষমাশীল। (সূরা মূলক - আয়াত ২)
দুনিয়া কর্মের জায়গা, আর কর্ম সেটাই যেটা উত্তম। সুতরাং আমাদের আগে জানতে হবে ইসলামের দৃষ্টিতে উত্তম কাজ কোনটা! অল্প শব্দে বলতে গেলে, আমরা যে যেই সেক্টরে আছি, সেখান থেকেই আল্লাহর আদেশ অনু��ায়ী চলা এবং নিশেধ গুলোকে বর্জন করাই ভালো কাজ। আর যদি একটু ব্যাখ্যা করে বলি, আল্লাহ তা'আলা আমাদের একেক জনকে একেকটা নির্দৃষ্ট কাজের জন্য বানিয়েছেন। কেউ ডাক্তার, কেউ ইঞ্জিনিয়ার, কেউ আলেম, কেউ এমন আরো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত বা আল্লাহ প্রদত্ত অভিজ্ঞতা সম্পন্ন। পেশাটা মানবীয় দৃষ্টিতে ছোট অথবা বড় হোক, সবাই যদি সবার কাজ গুলো সততার সাথে করি এবং আমাদের কাজে আল্লাহকে ভয় করি। আর রাসুলের আদর্শ অনুযায়ী আমাদের চিন্তা, আমাদের দর্শন, আমাদের কর্মপন্থা হয় তাহলেই আমাদের জায়গা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে জান্নাতে হবে।
তার জীবনের প্রকৃত সফলতা এটাই!
কেননা আল্লাহ তাআলা কুরআনে কারীমে ইরশাদ করেছেন_____
যাকে জাহান্নাম থেকে দূরে রাখা হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে সে-ই সফল।
(সূরা আল-ইমরান আয়াত-১৮৫)
আমাদের জীবনের উদ্দেশ্য কী❓
সূরা আসর জান্নাতের পথ দেখায়
মানুষ যখন ঈশ্বরে বিশ্বাস করে, এবং সৎকাজ করে, তখন সে নিজেকে পরিপূর্ণ করে তোলে। তিনি নিজেকে লাভ, সাফল্য এবং কল্যাণের দিকে নিয়ে যান। কিন্তু বিশ্বাসী হিসেবে তাঁর দায়িত্ব শেষ হয়না । তিনি অন্যদেরও ডাকবেন একটি সমৃদ্ধ, সফল জীবনের দিকে। মুসলমানদের উত্থান হয়েছে বিশ্ব মানবতার কল্যাণের জন্য। তাঁর দায়িত্ব হলো নিজের সাথে অন্যকেও সত্যের দিকে ডাকা।
সুরা আসরের শিক্ষা
সূরা আসর এ আল্লাহ গুরুত্বপূর্ণ বেশকিছু শিক্ষা ও চমৎকার হেদায়েত রেখেছেন। মাত্র তিন আয়াত বিশিষ্ট ছোট্ট এ সূরাটি ইহকালীন ও পরকালীন মুক্তির স্পষ্ট সনদ। ‘আল্লাহ যদি কুরআনে অন্য কোনো সূরা নাযিল না করে শুধু সূরা আল আসর নাযিল করতেন তাহলে এটা মানুষের হেদায়াতের জন্য যথেষ্ট হত।'(মিফতাহুস সাআদাহ : ইমাম শাফেয়ি) যদি কেউ এ সূরায় গভীরভাবে দৃষ্টি দেয় তাহলে সে তাতে একটি উন্নত, সুন্দর, শান্তিময়, পরিপূর্ণ এবং সবার জন্য কল্যাণকর সমাজের চিত্র দেখবে। (আদওয়াউল বায়ান : ৯/৫০৭)
সূরা আল-মুলক তিলাওয়াতকারীকে ক্ষমা না করা পর্যন্ত সুপারিশ করে
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ নবী করীম (সাঃ) বলেছেন, “কুরআনে ত্রিশ আয়াতের একটি অধ্যায় রয়েছে, যা তাঁর সঙ্গীর জন্য সুপারিশ করবে যতক্ষণ না তাকে ক্ষমা করা হয়: “বরকতময় তিনি যাঁর হাতে। আধিপত্য।” (কোরআন 67:1)। সূত্র: সুনানে আবি দাউদ ১৪০০
মৃত্যুর পরে বারযাখী জীবন কবরের
“বারযাখী জীবন” বারযাখী জীবন সম্পর্কে এ বইটি হাতে পেয়েই হৃদয়ে শিহরণ জাগল যে, এ ধরনের বই সচরাচর হাতে পাওয়া যায় না বিধায় জনসাধারণ এ অদৃশ্য জীবন সম্পর্কে তেমন কিছু জানতে পারে না। এমনকি বহু আলেমের মনেও অনেক সময় সন্দেহের জাল বুনতে শুরু করে। ফলে এমনও বলতে শুনা যায় যে, কবরের ‘আযাব বলতে কিছু নেই। অথচ কুরআনের বহু আয়াত এবং সহীহ হাদীস রয়েছে, যা কবরে ‘আযাব হওয়ার ওপর প্রমাণ বহন করে। উক্ত বইয়ে সে সম্পর্কেই আলোচনা করা হয়েছে। মানুষ মরণশীল। প্রত্যেককে একদিন না একদিন মৃত্যুবরণ করতেই হবে। মৃত্যুর পর আরেক জগত শুরু হবে। সেই জগত থেকে আর কোনোদিন পৃথিবীতে ফিরে আসার সুযোগ নেই। মৃত্যুর পর কবরের আজাব শুরু হবে। সেই আজাব রোজ কিয়ামত পর্যন্ত চলতে থাকবে।
কবরের চিরন্তন তিনটি প্রশ্নের ব্যাপারে মানুষ একেবারে গাফেল হয়ে পড়েছে।
আল্লাহ তা‘আলা মানুষকে জান্নাত থেকে দুনিয়ায় নামিয়ে দিয়েছিলেন একটি গাইড বুক দিয়ে। কিন্তু মানুষের প্রকাশ্য শত্রু শয়তানের ধোঁকায় পড়ে মানুষ বারংবার বিপথে পা বাড়াচ্ছে। মায়ের গর্ভ হ’তে দুনিয়ার আলো-বাতাসে এসে দুনিয়ার মোহজালে আটকা পড়ে কবরের চিরন্তন তিনটি প্রশ্নের ব্যাপারে মানুষ একেবারে গাফেল হয়ে পড়েছে। অথচ তাকে কবরের পরীক্ষায় পাশ করেই তবে জান্নাতের সার্টিফিকেট হাছিল করতে হবে। অন্যথায় চিরস্থায়ী জাহান্নামে ন...িক্ষিপ্ত হ’তে হবে। সে তিনটি প্রশ্ন ও উত্তরগুলো শুধু মুখস্ত স্ত করা যথেষ্ট নয়। বরং বাস্তব জীবনে এ তিনটি প্রশ্নের আলোকে প্রস্তুতি গ্রহণ করা জরুরী। অন্যথায় সেগুলো যতই মুখস্ত করা হোক তা কাজে লাগবে না। আল্লাহ তায়ালা যেন আমাদেকে কবরের প্রশ্নগুলোর উত্তর প্রস্তত করে কবরে নেন। তার কাছে এটাই প্রার্থন। আল্লাহ তুমি কবুল কর।আমীন।
আমাদের জীবনের উদ্দেশ্য কী❓
What is the purpose of our life?
0 notes
আমাদের জীবনের উদ্দেশ্য কী❓
What is the purpose of our life?
আল্লাহ তা'আলা মানুষকে সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ মাখলুক হিসেবে সৃষ্টি করে, সুন্দর একটা জীবন দান করেছেন। এই জীবনের আসল উদ্দেশ্য কি! আমরা যেটাকে জীবনের সফলতা মনে করি সেটাই কি প্রকৃত সফলতা!
জীবন হচ্ছে নির্দিষ্ট কিছু সময়ের সমষ্টি। সময় যেমন ফুরায়, তেমনি জীবনও প্রতিনিয়ত ফুরাতে থাকে। যেহেতু এই জীবন অনন্তকাল স্থায়ী নয়, তাই জীবনটা অর্থবহ হলেও এই জীবনের চাওয়া-পাওয়া, সুখ, সখ, সফলতা-বিফলতা, দারিদ্রতা-ধনাঢ্যতার সবই প্রকৃত অর্থে অর্থহীন। এখানে কোন কিছুই নিখুঁত না। কিছুই আমাদের মনের মত হবার নয় । আমরা যেমনটা চাই, তা পরিপূর্ণরূপে দুনিয়া আমাদের কখনোই দিতে পারবে না। কারণ, এটা দুনিয়া, জান্নাত না। জীবন এক রহস্যময় জিনিস। আপনি যাই উপার্জন করেন না কেন আপনার জীবন বৃদ্ধি পাবে না বরং জীবনমান বাড়বে। ভালো পরিবেশে থাকলে আপনি বেশীদিন বাচবেন তা কিন্তু নয়।
তাহলে জীবনের আসল উদ্দেশ্য কি!
আখেরাতের দৃষ্টিকোন থেকে একজন মানুষের জন্য তার মূল উদ্দেশ্যে কী নির্���ারণ করা উচিৎ! এবং সর্বোচ্চ সফলতা প্রাপ্তি কোথায় নিহিত আছে। তা মহান আল্লাহ পাক সুস্পষ্ট করেছেন। কারণ, সাধারণত সকলের ধ্যান-ধারণা ক্রিয়াকলাপ চিন্তা-ভাবনা সবকিছু অস্থায়ী পৃথিবীর অত্যন্ত স্বল্পকালীন আয়ুর ভিত্তিতেই পরিচালিত হয়। পরকালের চিরস্থায়ী জীবনের ধ্যান-ধারণার ভিত্তিতে পরিচালিত জীবনের সংখ্যা অতি নগণ্য। যার প্রমাণ জীবনের উদ্দেশ্য জাগতিক ভিত্তিক। পরলৌকিক ভিত্তিক নয়। কিন্তু সত্যিকার অর্থে প্রত্যেক মুমিন-মুসলিমের প্রত্যেকটি কার্যকলাপ, ধ্যান-ধারণা হওয়া উচিত চিরস্থায়ী জীবনকে সামনে রেখে। সে ক্ষেত্রে ধর্মীয়ভাবে নিষিদ্ধ, অসৎ কাজগুলি থেকে সরে থাকা বাঞ্ছনীয়, অথচ সে অবস্থান কতো দূরে? কিংবা বহু দূরে।
আল্লাহ তাআলা কুরআনে কারীমে ইরশাদ করেছেন____
যিনি মৃত্যু ও জীবন সৃষ্টি করেছেন যাতে তিনি তোমাদেরকে পরীক্ষা করতে পারেন যে, কে তোমাদের মধ্যে কর্মের দিক থেকে উত্তম। আর তিনি মহাপরাক্রমশালী, অতিশয় ক্ষমাশীল। (সূরা মূলক - আয়াত ২)
দুনিয়া কর্মের জায়গা, আর কর্ম সেটাই যেটা উত্তম। সুতরাং আমাদের আগে জানতে হবে ইসলামের দৃষ্টিতে উত্তম কাজ কোনটা! অল্প শব্দে বলতে গেলে, আমরা যে যেই সেক্টরে আছি, সেখান থেকেই আল্লাহর আদেশ অনুযায়ী চলা এবং নিশেধ গুলোকে বর্জন করাই ভালো কাজ। আর যদি একটু ব্যাখ্যা করে বলি, আল্লাহ তা'আলা আমাদের একেক জনকে একেকটা নির্দৃষ্ট কাজের জন্য বানিয়েছেন। কেউ ডাক্তার, কেউ ইঞ্জিনিয়ার, কেউ আলেম, কেউ এমন আরো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত বা আল্লাহ প্রদত্ত অভিজ্ঞতা সম্পন্ন। পেশাটা মানবীয় দৃষ্টিতে ছোট অথবা বড় হোক, সবাই যদি সবার কাজ গুলো সততার সাথে করি এবং আমাদের কাজে আল্লাহকে ভয় করি। আর রাসুলের আদর্শ অনুযায়ী আমাদের চিন্তা, আমাদের দর্শন, আমাদের কর্মপন্থা হয় তাহলেই আমাদের জায়গা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে জান্নাতে হবে।
তার জীবনের প্রকৃত সফলতা এটাই!
কেননা আল্লাহ তাআলা কুরআনে কারীমে ইরশাদ করেছেন_____
যাকে জাহান্নাম থেকে দূরে রাখা হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে সে-ই সফল।
(সূরা আল-ইমরান আয়াত-১৮৫)
আমাদের জীবনের উদ্দেশ্য কী❓
সূরা আসর জান্নাতের পথ দেখায়
মানুষ যখন ঈশ্বরে বিশ্বাস করে, এবং সৎকাজ করে, তখন সে নিজেকে পরিপূর্ণ করে তোলে। তিনি নিজেকে লাভ, সাফল্য এবং কল্যাণের দিকে নিয়ে যান। কিন্তু বিশ্বাসী হিসেবে তাঁর দায়িত্ব শেষ হয়না । তিনি অন্যদেরও ডাকবেন একটি সমৃদ্ধ, সফল জীবনের দিকে। মুসলমানদের উত্থান হয়েছে বিশ্ব মানবতার কল্যাণের জন্য। তাঁর দায়িত্ব হলো নিজের সাথে অন্যকেও সত্যের দিকে ডাকা।
সুরা আসরের শিক্ষা
সূরা আসর এ আল্লাহ গুরুত্বপূর্ণ বেশকিছু শিক্ষা ও চমৎকার হেদায়েত রেখেছেন। মাত্র তিন আয়াত বিশিষ্ট ছোট্ট এ সূরাটি ইহকালীন ও পরকালীন মুক্তির স্পষ্ট সনদ। ‘আল্লাহ যদি কুরআনে অন্য কোনো সূরা নাযিল না করে শুধু সূরা আল আসর নাযিল করতেন তাহলে এটা মানুষের হেদায়াতের জন্য যথেষ্ট হত।'(মিফতাহুস সাআদাহ : ইমাম শাফেয়ি) যদি কেউ এ সূরায় গভীরভাবে দৃষ্টি দেয় তাহলে সে তাতে একটি উন্নত, সুন্দর, শান্তিময়, পরিপূর্ণ এবং সবার জন্য কল্যাণকর সমাজের চিত্র দেখবে। (আদওয়াউল বায়ান : ৯/৫০৭)
সূরা আল-মুলক তিলাওয়াতকারীকে ক্ষমা না করা পর্যন্ত সুপারিশ করে
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ নবী করীম (সাঃ) বলেছেন, “কুরআনে ত্রিশ আয়াতের একটি অধ্যায় রয়েছে, যা তাঁর সঙ্গীর জন্য সুপারিশ করবে যতক্ষণ না তাকে ক্ষমা করা হয়: “বরকতময় তিনি যাঁর হাতে। আধিপত্য।” (কোরআন 67:1)। সূত্র: সুনানে আবি দাউদ ১৪০০
মৃত্যুর পরে বারযাখী জীবন কবরের
“বারযাখী জীবন” বারযাখী জীবন সম্পর্কে এ বইটি হাতে পেয়েই হৃদয়ে শিহরণ জাগল যে, এ ধরনের বই সচরাচর হাতে পাওয়া যায় না বিধায় জনসাধারণ এ অদৃশ্য জীবন সম্পর্কে তেমন কিছু জানতে পারে না। এমনকি বহু আলেমের মনেও অনেক সময় সন্দেহের জাল বুনতে শুরু করে। ফলে এমনও বলতে শুনা যায় যে, কবরের ‘আযাব বলতে কিছু নেই। অথচ কুরআনের বহু আয়াত এবং সহীহ হাদীস রয়েছে, যা কবরে ‘আযাব হওয়ার ওপর প্রমাণ বহন করে। উক্ত বইয়ে সে সম্পর্কেই আলোচনা করা হয়েছে। মানুষ মরণশীল। প্রত্যেককে একদিন না একদিন মৃত্যুবরণ করতেই হবে। মৃত্যুর পর আরেক জগত শুরু হবে। সেই জগত থেকে আর কোনোদিন পৃথিবীতে ফিরে আসার সুযোগ নেই। মৃত্যুর পর কবরের আজাব শুরু হবে। সেই আজাব রোজ কিয়ামত পর্যন্ত চলতে থাকবে।
কবরের চিরন্তন তিনটি প্রশ্নের ব্যাপারে মানুষ একেবারে গাফেল হয়ে পড়েছে।
আল্লাহ তা‘আলা মানুষকে জান্নাত থেকে দুনিয়ায় নামিয়ে দিয়েছিলেন একটি গাইড বুক দিয়ে। কিন্তু মানুষের প্রকাশ্য শত্রু শয়তানের ধোঁকায় পড়ে মানুষ বারংবার বিপথে পা বাড়াচ্ছে। মায়ের গর্ভ হ’তে দুনিয়ার আলো-বাতাসে এসে দুনিয়ার মোহজালে আটকা পড়ে কবরের চিরন্তন তিনটি প্রশ্নের ব্যাপারে মানুষ একেবারে গাফেল হয়ে পড়েছে। অথচ তাকে কবরের পরীক্ষায় পাশ করেই তবে জান্নাতের সার্টিফিকেট হাছিল করতে হবে। অন্যথায় চিরস্থায়ী জাহান্নামে ন...িক্ষিপ্ত হ’তে হবে। সে তিনটি প্রশ্ন ও উত্তরগুলো শুধু মুখস্ত স্ত করা যথেষ্ট নয়। বরং বাস্তব জীবনে এ তিনটি প্রশ্নের আলোকে প্রস্তুতি গ্রহণ করা জরুরী। অন্যথায় সেগুলো যতই মুখস্ত করা হোক তা কাজে লাগবে না। আল্লাহ তায়ালা যেন আমাদেকে কবরের প্রশ্নগুলোর উত্তর প্রস্তত করে কবরে নেন। তার কাছে এটাই প্রার্থন। আল্লাহ তুমি কবুল কর।আমীন।
আমাদের জীবনের উদ্দেশ্য কী❓
What is the purpose of our life?
0 notes
আমাদের জীবনের উদ্দেশ্য কী❓
What is the purpose of our life?
আল্লাহ তা'আলা মানুষকে সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ মাখলুক হিসেবে সৃষ্টি করে, সুন্দর একটা জীবন দান করেছেন। এই জীবনের আসল উদ্দেশ্য কি! আমরা যেটাকে জীবনের সফলতা মনে করি সেটাই কি প্রকৃত সফলতা!
জীবন হচ্ছে নির্দিষ্ট কিছু সময়ের সমষ্টি। সময় যেমন ফুরায়, তেমনি জীবনও প্রতিনিয়ত ফুরাতে থাকে। যেহেতু এই জীবন অনন্তকাল স্থায়ী নয়, তাই জীবনটা অর্থবহ হলেও এই জীবনের চাওয়া-পাওয়া, সুখ, সখ, সফলতা-বিফলতা, দারিদ্রতা-ধনাঢ্যতার সবই প্রকৃত অর্থে অর্থহীন। এখানে কোন কিছুই নিখুঁত না। কিছুই আমাদের মনের মত হবার নয় । আমরা যেমনটা চাই, তা পরিপূর্ণরূপে দুনিয়া আমাদের কখনোই দিতে পারবে না। কারণ, এটা দুনিয়া, জান্নাত না। জীবন এক রহস্যময় জিনিস। আপনি যাই উপার্জন করেন না কেন আপনার জীবন বৃদ্ধি পাবে না বরং জীবনমান বাড়বে। ভালো পরিবেশে থাকলে আপনি বেশীদিন বাচবেন তা কিন্তু নয়।
তাহলে জীবনের আসল উদ্দেশ্য কি!
আখেরাতের দৃষ্টিকোন থেকে একজন মানুষের জন্য তার মূল উদ্দেশ্যে কী নির্ধারণ করা উচিৎ! এবং সর্বোচ্চ সফলতা প্রাপ্তি কোথায় নিহিত আছে। তা মহান আল্লাহ পাক সুস্পষ্ট করেছেন। কারণ, সাধারণত সকলের ধ্যান-ধারণা ক্রিয়াকলাপ চিন্তা-ভাবনা সবকিছু অস্থায়ী পৃথিবীর অত্যন্ত স্বল্পকালীন আয়ুর ভিত্তিতেই পরিচালিত হয়। পরকালের চিরস্থায়ী জীবনের ধ্যান-ধারণার ভিত্তিতে পরিচালিত জীবনের সংখ্যা অতি নগণ্য। যার প্রমাণ জীবনের উদ্দেশ্য জাগতিক ভিত্তিক। পরলৌকিক ভিত্তিক নয়। কিন্তু সত্যিকার অর্থে প্রত্যেক মুমিন-মুসলিমের প্রত্যেকটি কার্যকলাপ, ধ্যান-ধারণা হওয়া উচিত চিরস্থায়ী জীবনকে সামনে রেখে। সে ক্ষেত্রে ধর্মীয়ভাবে নিষিদ্ধ, অসৎ কাজগুলি থেকে সরে থাকা বাঞ্ছনীয়, অথচ সে অবস্থান কতো দূরে? কিংবা বহু দূরে।
আল্লাহ তাআলা কুরআনে কারীমে ইরশাদ করেছেন____
যিনি মৃত্যু ও জীবন সৃষ্টি করেছেন যাতে তিনি তোমাদেরকে পরীক্ষা করতে পারেন যে, কে তোমাদের মধ্যে কর্মের দিক থেকে উত্তম। আর তিনি মহাপরাক্রমশালী, অতিশয় ক্ষমাশীল। (সূরা মূলক - আয়াত ২)
দুনিয়া কর্মের জায়গা, আর কর্ম সেটাই যেটা উত্তম। সুতরাং আমাদের আগে জানতে হবে ইসলামের দৃষ্টিতে উত্তম কাজ কোনটা! অল্প শব্দে বলতে গেলে, আমরা যে যেই সেক্টরে আছি, সেখান থেকেই আল্লাহর আদেশ অনুযায়ী চলা এবং নিশেধ গুলোকে বর্জন করাই ভালো কাজ। আর যদি একটু ব্যাখ্যা করে বলি, আল্লাহ তা'আলা আমাদের একেক জনকে একেকটা নির্দৃষ্ট কাজের জন্য বানিয়েছেন। কেউ ডাক্তার, কেউ ইঞ্জিনিয়ার, কেউ আলেম, কেউ এমন আরো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত বা আল্লাহ প্রদত্ত অভিজ্ঞতা সম্পন্ন। পেশাটা মানবীয় দৃষ্টিতে ছোট অথবা বড় হোক, সবাই যদি সবার কাজ গুলো সততার সাথে করি এবং আমাদের কাজে আল্লাহকে ভয় করি। আর রাসুলের আদর্শ অনুযায়ী আমাদের চিন্তা, আমাদের দর্শন, আমাদের কর্মপন্থা হয় তাহলেই আমাদের জায়গা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে জান্নাতে হবে।
তার জীবনের প্রকৃত সফলতা এটাই!
কেননা আল্লাহ তাআলা কুরআনে কারীমে ইরশাদ করেছেন_____
যাকে জাহান্নাম থেকে দূরে রাখা হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে সে-ই সফল।
(সূরা আল-ইমরান আয়াত-১৮৫)
আমাদের জীবনের উদ্দেশ্য কী❓
সূরা আসর জান্নাতের পথ দেখায়
মানুষ যখন ঈশ্বরে বিশ্বাস করে, এবং সৎকাজ করে, তখন সে নিজেকে পরিপূর্ণ করে তোলে। তিনি নিজেকে লাভ, সাফল্য এবং কল্যাণের দিকে নিয়ে যান। কিন্তু বিশ্বাসী হিসেবে তাঁর দায়িত্ব শেষ হয়না । তিনি অন্যদেরও ডাকবেন একটি সমৃদ্ধ, সফল জীবনের দিকে। মুসলমানদের উত্থান হয়েছে বিশ্ব মানবতার কল্যাণের জন্য। তাঁর দায়িত্ব হলো নিজের সাথে অন্যকেও সত্যের দিকে ডাকা।
সুরা আসরের শিক্ষা
সূরা আসর এ আল্লাহ গুরুত্বপূর্ণ বেশকিছু শিক্ষা ও চমৎকার হেদায়েত রেখেছেন। মাত্র তিন আয়াত বিশিষ্ট ছোট্ট এ সূরাটি ইহকালীন ও পরকালীন মুক্তির স্পষ্ট সনদ। ‘আল্লাহ যদি কুরআনে অন্য কোনো সূরা নাযিল না করে শুধু সূরা আল আসর নাযিল করতেন তাহলে এটা মানুষের হেদায়াতের জন্য যথেষ্ট হত।'(মিফতাহুস সাআদাহ : ইমাম শাফেয়ি) যদি কেউ এ সূরায় গভীরভাবে দৃষ্টি দেয় তাহলে সে তাতে একটি উন্নত, সুন্দর, শান্তিময়, পরিপূর্ণ এবং সবার জন্য কল্যাণকর সমাজের চিত্র দেখবে। (আদওয়াউল বায়ান : ৯/৫০৭)
সূরা আল-মুলক তিলাওয়াতকারীকে ক্ষমা না করা পর্যন্ত সুপারিশ করে
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ নবী করীম (সাঃ) বলেছেন, “কুরআনে ত্রিশ আয়াতের একটি অধ্যায় রয়েছে, যা তাঁর সঙ্গীর জন্য সুপারিশ করবে যতক্ষণ না তাকে ক্ষমা করা হয়: “বরকতময় তিনি যাঁর হাতে। আধিপত্য।” (কোরআন 67:1)। সূত্র: সুনানে আবি দাউদ ১৪০০
মৃত্যুর পরে বারযাখী জীবন কবরের
“বারযাখী জীবন” বারযাখী জীবন সম্পর্কে এ বইটি হাতে পেয়েই হৃদয়ে শিহরণ জাগল যে, এ ধরনের বই সচরাচর হাতে পাওয়া যায় না বিধায় জনসাধারণ এ অদৃশ্য জীবন সম্পর্কে তেমন কিছু জানতে পারে না। এমনকি বহু আলেমের মনেও অনেক সময় সন্দেহের জাল বুনতে শুরু করে। ফলে এমনও বলতে শুনা যায় যে, কবরের ‘আযাব বলতে কিছু নেই। অথচ কুরআনের বহু আয়াত এবং সহীহ হাদীস রয়েছে, যা কবরে ‘আযাব হওয়ার ওপর প্রমাণ বহন করে। উক্ত বইয়ে সে সম্পর্কেই আলোচনা করা হয়েছে। মানুষ মরণশীল। প্রত্যেককে একদিন না একদিন মৃত্যুবরণ করতেই হবে। মৃত্যুর পর আরেক জগত শুরু হবে। সেই জগত থেকে আর কোনোদিন পৃথিবীতে ফিরে আসার সুযোগ নেই। মৃত্যুর পর কবরের আজাব শুরু হবে। সেই আজাব রোজ কিয়ামত পর্যন্ত চলতে থাকবে।
কবরের চিরন্তন তিনটি প্রশ্নের ব্যাপারে মানুষ একেবারে গাফেল হয়ে পড়েছে।
আল্লাহ তা‘আলা মানুষকে জান্নাত থেকে দুনিয়ায় নামিয়ে দিয়েছিলেন একটি গাইড বুক দিয়ে। কিন্তু মানুষের প্রকাশ্য শত্রু শয়তানের ধোঁকায় পড়ে মানুষ বারংবার বিপথে পা বাড়াচ্ছে। মায়ের গর্ভ হ’তে দুনিয়ার আলো-বাতাসে এসে দুনিয়ার মোহজালে আটকা পড়ে কবরের চিরন্তন তিনটি প্রশ্নের ব্যাপারে মানুষ একেবারে গাফেল হয়ে পড়েছে। অথচ তাকে কবরের পরীক্ষায় পাশ করেই তবে জান্নাতের সার্টিফিকেট হাছিল করতে হবে। অন্যথায় চিরস্থায়ী জাহান্নামে ন...িক্ষিপ্ত হ’তে হবে। সে তিনটি প্রশ্ন ও উত্তরগুলো শুধু মুখস্ত স্ত করা যথেষ্ট নয়। বরং বাস্তব জীবনে এ তিনটি প্রশ্নের আলোকে প্রস্তুতি গ্রহণ করা জরুরী। অন্যথায় সেগুলো যতই মুখস্ত করা হোক তা কাজে লাগবে না। আল্লাহ তায়ালা যেন আমাদেকে কবরের প্রশ্নগুলোর উত্তর প্রস্তত করে কবরে নেন। তার কাছে এটাই প্রার্থন। আল্লাহ তুমি কবুল কর।আমীন।
আমাদের জীবনের উদ্দেশ্য কী❓
What is the purpose of our life?
0 notes
আমাদের জীবনের উদ্দেশ্য কী❓
What is the purpose of our life?
আল্লাহ তা'আলা মানুষকে সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ মাখলুক হিসেবে সৃষ্টি করে, সুন্দর একটা জীবন দান করেছেন। এই জীবনের আসল উদ্দেশ্য কি! আমরা যেটাকে জীবনের সফলতা মনে করি সেটাই কি প্রকৃত সফলতা!
জীবন হচ্ছে নির্দিষ্ট কিছু সময়ের সমষ্টি। সময় যেমন ফুরায়, তেমনি জীবনও প্রতিনিয়ত ফুরাতে থাকে। যেহেতু এই জীবন অনন্তকাল স্থায়ী নয়, তাই জীবনটা অর্থবহ হলেও এই জীবনের চাওয়া-পাওয়া, সুখ, সখ, সফলতা-বিফলতা, দারিদ্রতা-ধনাঢ্যতার সবই প্রকৃত অর্থে অর্থহীন। এখানে কোন কিছুই নিখুঁত না। কিছুই আমাদের মনের মত হবার নয় । আমরা যেমনটা চাই, তা পরিপূর্ণরূপে দুনিয়া আমাদের কখনোই দিতে পারবে না। কারণ, এটা দুনিয়া, জান্নাত না। জীবন এক রহস্যময় জিনিস। আপনি যাই উপার্জন করেন না কেন আপনার জীবন বৃদ্ধি পাবে না বরং জীবনমান বাড়বে। ভালো পরিবেশে থাকলে আপনি বেশীদিন বাচবেন তা কিন্তু নয়।
তাহলে জীবনের আসল উদ্দেশ্য কি!
আখেরাতের দৃষ্টিকোন থেকে একজন মানুষের জন্য তার মূল উদ্দেশ্যে কী নির্ধারণ করা উচিৎ! এবং সর্বোচ্চ সফলতা প্রাপ্তি কোথায় নিহিত আছে। তা মহান আল্লাহ পাক সুস্পষ্ট করেছেন। কারণ, সাধারণত সকলের ধ্যান-ধারণা ক্রিয়াকলাপ চিন্তা-ভাবনা সবকিছু অস্থায়ী পৃথিবীর অত্যন্ত স্বল্পকালীন আয়ুর ভিত্তিতেই পরিচালিত হয়। পরকালের চিরস্থায়ী জীবনের ধ্যান-ধারণার ভিত্তিতে পরিচালিত জীবনের সংখ্যা অতি নগণ্য। যার প্রমাণ জীবনের উদ্দেশ্য জাগতিক ভিত্তিক। পরলৌকিক ভিত্তিক নয়। কিন্তু সত্যিকার অর্থে প্রত্যেক মুমিন-মুসলিমের প্রত্যেকটি কার্যকলাপ, ধ্যান-ধারণা হওয়া উচিত চিরস্থায়ী জীবনকে সামনে রেখে। সে ক্ষেত্রে ধর্মীয়ভাবে নিষিদ্ধ, অসৎ কাজগুলি থেকে সরে থাকা বাঞ্ছনীয়, অথচ সে অবস্থান কতো দূরে? কিংবা বহু দূরে।
আল্লাহ তাআলা কুরআনে কারীমে ইরশাদ করেছেন____
যিনি মৃত্যু ও জীবন সৃষ্টি করেছেন যাতে তিনি তোমাদেরকে পরীক্ষা করতে পারেন যে, কে তোমাদের মধ্যে কর্মের দিক থেকে উত্তম। আর তিনি মহাপরাক্রমশালী, অতিশয় ক্ষমাশীল। (সূরা মূলক - আয়াত ২)
দুনিয়া কর্মের জায়গা, আর কর্ম সেটাই যেটা উত্তম। সুতরাং আমাদের আগে জানতে হবে ইসলামের দৃষ্টিতে উত্তম কাজ কোনটা! অল্প শব্দে বলতে গেলে, আমরা যে যেই সেক্টরে আছি, সেখান থেকেই আল্লাহর আদেশ অনুযায়ী চলা এবং নিশেধ গুলোকে বর্জন করাই ভালো কাজ। আর যদি একটু ব্যাখ্যা করে বলি, আল্লাহ তা'আলা আমাদের একেক জনকে একেকটা নির্দৃষ্ট কাজের জন্য বানিয়েছেন। কেউ ডাক্তার, কেউ ইঞ্জিনিয়ার, কেউ আলেম, কেউ এমন আরো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত বা আল্লাহ প্রদত্ত অভিজ্ঞতা সম্পন্ন। পেশাটা মানবীয় দৃষ্টিতে ছোট অথবা বড় হোক, সবাই যদি সবার কাজ গুলো সততার সাথে করি এবং আমাদের কাজে আল্লাহকে ভয় করি। আর রাসুলের আদর্শ অনুযায়ী আমাদের চিন্তা, আমাদের দর্শন, আমাদের কর্মপন্থা হয় তাহলেই আমাদের জায়গা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে জান্নাতে হবে।
তার জীবনের প্রকৃত সফলতা এটাই!
কেননা আল্লাহ তাআলা কুরআনে কারীমে ইরশাদ করেছেন_____
যাকে জাহান্নাম থেকে দূরে রাখা হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে সে-ই সফল।
(সূরা আল-ইমরান আয়াত-১৮৫)
আমাদের জীবনের উদ্দেশ্য কী❓
সূরা আসর জান্নাতের পথ দেখায়
মানুষ যখন ঈশ্বরে বিশ্বাস করে, এবং সৎকাজ করে, তখন সে নিজেকে পরিপূর্ণ করে তোলে। তিনি নিজেকে লাভ, সাফল্য এবং কল্যাণের দিকে নিয়ে যান। কিন্তু বিশ্বাসী হিসেবে তাঁর দায়িত্ব শেষ হয়না । তিনি অন্যদেরও ডাকবেন একটি সমৃদ্ধ, সফল জীবনের দিকে। মুসলমানদের উত্থান হয়েছে বিশ্ব মানবতার কল্যাণের জন্য। তাঁর দায়িত্ব হলো নিজের সাথে অন্যকেও সত্যের দিকে ডাকা।
সুরা আসরের শিক্ষা
সূরা আসর এ আল্লাহ গুরুত্বপূর্ণ বেশকিছু শিক্ষা ও চমৎকার হেদায়েত রেখেছেন। মাত্র তিন আয়াত বিশিষ্ট ছোট্ট এ সূরাটি ইহকালীন ও পরকালীন মুক্তির স্পষ্ট সনদ। ‘আল্লাহ যদি কুরআনে অন্য কোনো সূরা নাযিল না করে শুধু সূরা আল আসর নাযিল করতেন তাহলে এটা মানুষের হেদায়াতের জন্য যথেষ্ট হত।'(মিফতাহুস সাআদাহ : ইমাম শাফেয়ি) যদি কেউ এ সূরায় গভীরভাবে দৃষ্টি দেয় তাহলে সে তাতে একটি উন্নত, সুন্দর, শান্তিময়, পরিপূর্ণ এবং সবার জন্য কল্যাণকর সমাজের চিত্র দেখবে। (আদওয়াউল বায়ান : ৯/৫০৭)
সূরা আল-মুলক তিলাওয়াতকারীকে ক্ষমা না করা পর্যন্ত সুপারিশ করে
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ নবী করীম (সাঃ) বলেছেন, “কুরআনে ত্রিশ আয়াতের একটি অধ্যায় রয়েছে, যা তাঁর সঙ্গীর জন্য সুপারিশ করবে যতক্ষণ না তাকে ক্ষমা করা হয়: “বরকতময় তিনি যাঁর হাতে। আধিপত্য।” (কোরআন 67:1)। সূত্র: সুনানে আবি দাউদ ১৪০০
মৃত্যুর পরে বারযাখী জীবন কবরের
“বারযাখী জীবন” বারযাখী জীবন সম্পর্কে এ বইটি হাতে পেয়েই হৃদয়ে শিহরণ জাগল যে, এ ধরনের বই সচরাচর হাতে পাওয়া যায় না বিধায় জনসাধারণ এ অদৃশ্য জীবন সম্পর্কে তেমন কিছু জানতে পারে না। এমনকি বহু আলেমের মনেও অনেক সময় সন্দেহের জাল বুনতে শুরু করে। ফলে এমনও বলতে শুনা যায় যে, কবরের ‘আযাব বলতে কিছু নেই। অথচ কুরআনের বহু আয়াত এবং সহীহ হাদীস রয়েছে, যা কবরে ‘আযাব হওয়ার ওপর প্রমাণ বহন করে। উক্ত বইয়ে সে সম্পর্কেই আলোচনা করা হয়েছে। মানুষ মরণশীল। প্রত্যেককে একদিন না একদিন মৃত্যুবরণ করতেই হবে। মৃত্যুর পর আরেক জগত শুরু হবে। সেই জগত থেকে আর কোনোদিন পৃথিবীতে ফিরে আসার সুযোগ নেই। মৃত্যুর পর কবরের আজাব শুরু হবে। সেই আজাব রোজ কিয়ামত পর্যন্ত চলতে থাকবে।
কবরের চিরন্তন তিনটি প্রশ্নের ব্যাপারে মানুষ একেবারে গাফেল হয়ে পড়েছে।
আল্লাহ তা‘আলা মানুষকে জান্নাত থেকে দুনিয়ায় নামিয়ে দিয়েছিলেন একটি গাইড বুক দিয়ে। কিন্তু মানুষের প্রকাশ্য শত্রু শয়তানের ধোঁকায় পড়ে মানুষ বারংবার বিপথে পা বাড়াচ্ছে। মায়ের গর্ভ হ’তে দুনিয়ার আলো-বাতাসে এসে দুনিয়ার মোহজালে আটকা পড়ে কবরের চিরন্তন তিনটি প্রশ্নের ব্যাপারে মানুষ একেবারে গাফেল হয়ে পড়েছে। অথচ তাকে কবরের পরীক্ষায় পাশ করেই তবে জান্নাতের সার্টিফিকেট হাছিল করতে হবে। অন্যথায় চিরস্থায়ী জাহান্নামে ন...িক্ষিপ্ত হ’তে হবে। সে তিনটি প্রশ্ন ও উত্তরগুলো শুধু মুখস্ত স্ত করা যথেষ্ট নয়। বরং বাস্তব জীবনে এ তিনটি প্রশ্নের আলোকে প্রস্তুতি গ্রহণ করা জরুরী। অন্যথায় সেগুলো যতই মুখস্ত করা হোক তা কাজে লাগবে না। আল্লাহ তায়ালা যেন আমাদেকে কবরের প্রশ্নগুলোর উত্তর প্রস্তত করে কবরে নেন। তার কাছে এটাই প্রার্থন। আল্লাহ তুমি কবুল কর।আমীন।
আমাদের জীবনের উদ্দেশ্য কী❓
What is the purpose of our life?
0 notes
আমাদের জীবনের উদ্দেশ্য কী❓
What is the purpose of our life?
আল্লাহ তা'আলা মানুষকে সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ মাখলুক হিসেবে সৃষ্টি করে, সুন্দর একটা জীবন দান করেছেন। এই জীবনের আসল উদ্দেশ্য কি! আমরা যেটাকে জীবনের সফলতা মনে করি সেটাই কি প্রকৃত সফলতা!
জীবন হচ্ছে নির্দিষ্ট কিছু সময়ের সমষ্টি। সময় যেমন ফুরায়, তেমনি জীবনও প্রতিনিয়ত ফুরাতে থাকে। যেহেতু এই জীবন অনন্তকাল স্থায়ী নয়, তাই জীবন��া অর্থবহ হলেও এই জীবনের চাওয়া-পাওয়া, সুখ, সখ, সফলতা-বিফলতা, দারিদ্রতা-ধনাঢ্যতার সবই প্রকৃত অর্থে অর্থহীন। এখানে কোন কিছুই নিখুঁত না। কিছুই আমাদের মনের মত হবার নয় । আমরা যেমনটা চাই, তা পরিপূর্ণরূপে দুনিয়া আমাদের কখনোই দিতে পারবে না। কারণ, এটা দুনিয়া, জান্নাত না। জীবন এক রহস্যময় জিনিস। আপনি যাই উপার্জন করেন না কেন আপনার জীবন বৃদ্ধি পাবে না বরং জীবনমান বাড়বে। ভালো পরিবেশে থাকলে আপনি বেশীদিন বাচবেন তা কিন্তু নয়।
তাহলে জীবনের আসল উদ্দেশ্য কি!
আখেরাতের দৃষ্টিকোন থেকে একজন মানুষের জন্য তার মূল উদ্দেশ্যে কী নির্ধারণ করা উচিৎ! এবং সর্বোচ্চ সফলতা প্রাপ্তি কোথায় নিহিত আছে। তা মহান আল্লাহ পাক সুস্পষ্ট করেছেন। কারণ, সাধারণত সকলের ধ্যান-ধারণা ক্রিয়াকলাপ চিন্তা-ভাবনা সবকিছু অস্থায়ী পৃথিবীর অত্যন্ত স্বল্পকালীন আয়ুর ভিত্তিতেই পরিচালিত হয়। পরকালের চিরস্থায়ী জীবনের ধ্যান-ধারণার ভিত্তিতে পরিচালিত জীবনের সংখ্যা অতি নগণ্য। যার প্রমাণ জীবনের উদ্দেশ্য জাগতিক ভিত্তিক। পরলৌকিক ভিত্তিক নয়। কিন্তু সত্যিকার অর্থে প্রত্যেক মুমিন-মুসলিমের প্রত্যেকটি কার্যকলাপ, ধ্যান-ধারণা হওয়া উচিত চিরস্থায়ী জীবনকে সামনে রেখে। সে ক্ষেত্রে ধর্মীয়ভাবে নিষিদ্ধ, অসৎ কাজগুলি থেকে সরে থাকা বাঞ্ছনীয়, অথচ সে অবস্থান কতো দূরে? কিংবা বহু দূরে।
আল্লাহ তাআলা কুরআনে কারীমে ইরশাদ করেছেন____
যিনি মৃত্যু ও জীবন সৃষ্টি করেছেন যাতে তিনি তোমাদেরকে পরীক্ষা করতে পারেন যে, কে তোমাদের মধ্যে কর্মের দিক থেকে উত্তম। আর তিনি মহাপরাক্রম���ালী, অতিশয় ক্ষমাশীল। (সূরা মূলক - আয়াত ২)
দুনিয়া কর্মের জায়গা, আর কর্ম সেটাই যেটা উত্তম। সুতরাং আমাদের আগে জানতে হবে ইসলামের দৃষ্টিতে উত্তম কাজ কোনটা! অল্প শব্দে বলতে গেলে, আমরা যে যেই সেক্টরে আছি, সেখান থেকেই আল্লাহর আদেশ অনুযায়ী চলা এবং নিশেধ গুলোকে বর্জন করাই ভালো কাজ। আর যদি একটু ব্যাখ্যা করে বলি, আল্লাহ তা'আলা আমাদের একেক জনকে একেকটা নির্দৃষ্ট কাজের জন্য বানিয়েছেন। কেউ ডাক্তার, কেউ ইঞ্জিনিয়ার, কেউ আলেম, কেউ এমন আরো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত বা আল্লাহ প্রদত্ত অভিজ্ঞতা সম্পন্ন। পেশাটা মানবীয় দৃষ্টিতে ছোট অথবা বড় হোক, সবাই যদি সবার কাজ গুলো সততার সাথে করি এবং আমাদের কাজে আল্লাহকে ভয় করি। আর রাসুলের আদর্শ অনুযায়ী আমাদের চিন্তা, আমাদের দর্শন, আমাদের কর্মপন্থা হয় তাহলেই আমাদের জায়গা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে জান্নাতে হবে।
তার জীবনের প্রকৃত সফলতা এটাই!
কেননা আল্লাহ তাআলা কুরআনে কারীমে ইরশাদ করেছেন_____
যাকে জাহান্নাম থেকে দূরে রাখা হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে সে-ই সফল।
(সূরা আল-ইমরান আয়াত-১৮৫)
আমাদের জীবনের উদ্দেশ্য কী❓
সূরা আসর জান্নাতের পথ দেখায়
মানুষ যখন ঈশ্বরে বিশ্বাস করে, এবং সৎকাজ করে, তখন সে নিজেকে পরিপূর্ণ করে তোলে। তিনি নিজেকে লাভ, সাফল্য এবং কল্যাণের দিকে নিয়ে যান। কিন্তু বিশ্বাসী হিসেবে তাঁর দায়িত্ব শেষ হয়না । তিনি অন্যদেরও ডাকবেন একটি সমৃদ্ধ, সফল জীবনের দিকে। মুসলমানদের উত্থান হয়েছে বিশ্ব মানবতার কল্যাণের জন্য। তাঁর দায়িত্ব হলো নিজের সাথে অন্যকেও সত্যের দিকে ডাকা।
সুরা আসরের শিক্ষা
সূরা আসর এ আল্লাহ গুরুত্বপূর্ণ বেশকিছু শিক্ষা ও চমৎকার হেদায়েত রেখেছেন। মাত্র তিন আয়াত বিশিষ্ট ছোট্ট এ সূরাটি ইহকালীন ও পরকালীন মুক্তির স্পষ্ট সনদ। ‘আল্লাহ যদি কুরআনে অন্য কোনো সূরা নাযিল না করে শুধু সূরা আল আসর নাযিল করতেন তাহলে এটা মানুষের হেদায়াতের জন্য যথেষ্ট হত।'(মিফতাহুস সাআদাহ : ইমাম শাফেয়ি) যদি কেউ এ সূরায় গভীরভাবে দৃষ্টি দেয় তাহলে সে তাতে একটি উন্নত, সুন্দর, শান্তিময়, পরিপূর্ণ এবং সবার জন্য কল্যাণকর সমাজের চিত্র দেখবে। (আদওয়াউল বায়ান : ৯/৫০৭)
সূরা আল-মুলক তিলাওয়াতকারীকে ক্ষমা না করা পর্যন্ত সুপারিশ করে
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ নবী করীম (সাঃ) বলেছেন, “কুরআনে ত্রিশ আয়াতের একটি অধ্যায় রয়েছে, যা তাঁর সঙ্গীর জন্য সুপারিশ করবে যতক্ষণ না তাকে ক্ষমা করা হয়: “বরকতময় তিনি যাঁর হাতে। আধিপত্য।” (কোরআন 67:1)। সূত্র: সুনানে আবি দাউদ ১৪০০
মৃত্যুর পরে বারযাখী জীবন কবরের
“বারযাখী জীবন” বারযাখী জীবন সম্পর্কে এ বইটি হাতে পেয়েই হৃদয়ে শিহরণ জাগল যে, এ ধরনের বই সচরাচর হাতে পাওয়া যায় না বিধায় জনসাধারণ এ অদৃশ্য জীবন সম্পর্কে তেমন কিছু জানতে পারে না। এমনকি বহু আলেমের মনেও অনেক সময় সন্দেহের জাল বুনতে শুরু করে। ফলে এমনও বলতে শুনা যায় যে, কবরের ‘আযাব বলতে কিছু নেই। অথচ কুরআনের বহু আয়াত এবং সহীহ হাদীস রয়েছে, যা কবরে ‘আযাব হওয়ার ওপর প্রমাণ বহন করে। উক্ত বইয়ে সে সম্পর্কেই আলোচনা করা হয়েছে। মানুষ মরণশীল। প্রত্যেককে একদিন না একদিন মৃত্যুবরণ করতেই হবে। মৃত্যুর পর আরেক জগত শুরু হবে। সেই জগত থেকে আর কোনোদিন পৃথিবীতে ফিরে আসার সুযোগ নেই। মৃত্যুর পর কবরের আজাব শুরু হবে। সেই আজাব রোজ কিয়ামত পর্যন্ত চলতে থাকবে।
কবরের চিরন্তন তিনটি প্রশ্নের ব্যাপারে মানুষ একেবারে গাফেল হয়ে পড়েছে।
আল্লাহ তা‘আলা মানুষকে জান্নাত থেকে দুনিয়ায় নামিয়ে দিয়েছিলেন একটি গাইড বুক দিয়ে। কিন্তু মানুষের প্রকাশ্য শত্রু শয়তানের ধোঁকায় পড়ে মানুষ বারংবার বিপথে পা বাড়াচ্ছে। মায়ের গর্ভ হ’তে দুনিয়ার আলো-বাতাসে এসে দুনিয়ার মোহজালে আটকা পড়ে কবরের চিরন্তন তিনটি প্রশ্নের ব্যাপারে মানুষ একেবারে গাফেল হয়ে পড়েছে। অথচ তাকে কবরের পরীক্ষায় পাশ করেই তবে জান্নাতের সার্টিফিকেট হাছিল করতে হবে। অন্যথায় চিরস্থায়ী জাহান্নামে ন...িক্ষিপ্ত হ’তে হবে। সে তিনটি প্রশ্ন ও উত্তরগুলো শুধু মুখস্ত স্ত করা যথেষ্ট নয়। বরং বাস্তব জীবনে এ তিনটি প্রশ্নের আলোকে প্রস্তুতি গ্রহণ করা জরুরী। অন্যথায় সেগুলো যতই মুখস্ত করা হোক তা কাজে লাগবে না। আল্লাহ তায়ালা যেন আমাদেকে কবরের প্রশ্নগুলোর উত্তর প্রস্তত করে কবরে নেন। তার কাছে এটাই প্রার্থন। আল্লাহ তুমি কবুল কর।আমীন।
আমাদের জীবনের উদ্দেশ্য কী❓
What is the purpose of our life?
0 notes
আমাদের জীবনের উদ্দেশ্য কী❓
What is the purpose of our life?
আল্লাহ তা'আলা মানুষকে সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ মাখলুক হিসেবে সৃষ্টি করে, সুন্দর একটা জীবন দান করেছেন। এই জীবনের আসল উদ্দেশ্য কি! আমরা যেটাকে জীবনের সফলতা মনে করি সেটাই কি প্রকৃত সফলতা!
জীবন হচ্ছে নির্দিষ্ট কিছু সময়ের সমষ্টি। সময় যেমন ফুরায়, তেমনি জীবনও প্রতিনিয়ত ফুরাতে থাকে। যেহেতু এই জীবন অনন্তকাল স্থায়ী নয়, তাই জীবনটা অর্থবহ হলেও এই জীবনের চাওয়া-পাওয়া, সুখ, সখ, সফলতা-বিফলতা, দারিদ্রতা-ধনাঢ্যতার সবই প্রকৃত অর্থে অর্থহীন। এখানে কোন কিছুই নিখুঁত না। কিছুই আমাদের মনের মত হবার নয় । আমরা যেমনটা চাই, তা পরিপূর্ণরূপে দুনিয়া আমাদের কখনোই দিতে পারবে না। কারণ, এটা দুনিয়া, জান্নাত না। জীবন এক রহস্যময় জিনিস। আপনি যাই উপার্জন করেন না কেন আপনার জীবন বৃদ্ধি পাবে না বরং জীবনমান বাড়বে। ভালো পরিবেশে থাকলে আপনি বেশীদিন বাচবেন তা কিন্তু নয়।
তাহলে জীবনের আসল উদ্দেশ্য কি!
আখেরাতের দৃষ্টিকোন থেকে একজন মানুষের জন্য তার মূল উদ্দেশ্যে কী নির্ধারণ করা উচিৎ! এবং সর্বোচ্চ সফলতা প্রাপ্তি কোথায় নিহিত আছে। তা মহান আল্লাহ পাক সুস্পষ্ট করেছেন। কারণ, সাধারণত সকলের ধ্যান-ধারণা ক্রিয়াকলাপ চিন্তা-ভাবনা সবকিছু অস্থায়ী পৃথিবীর অত্যন্ত স্বল্পকালীন আয়ুর ভিত্তিতেই পরিচালিত হয়। পরকালের চিরস্থায়ী জীবনের ধ্যান-ধারণার ভিত্তিতে পরিচালিত জীবনের সংখ্যা অতি নগণ্য। যার প্রমাণ জীবনের উদ্দেশ্য জাগতিক ভিত্তিক। পরলৌকিক ভিত্তিক নয়। কিন্তু সত্যিকার অর্থে প্রত্যেক মুমিন-মুসলিমের প্রত্যেকটি কার্যকলাপ, ধ্যান-ধারণা হওয়া উচিত চিরস্থায়ী জীবনকে সামনে রেখে। সে ক্ষেত্রে ধর্মীয়ভাবে নিষিদ্ধ, অসৎ কাজগুলি থেকে সরে থাকা বাঞ্ছনীয়, অথচ সে অবস্থান কতো দূরে? কিংবা বহু দূরে।
আল্লাহ তাআলা কুরআনে কারীমে ইরশাদ করেছেন____
যিনি মৃত্যু ও জীবন সৃষ্টি করেছেন যাতে তিনি তোমাদেরকে পরীক্ষা করতে পারেন যে, কে তোমাদের মধ্যে কর্মের দিক থেকে উত্তম। আর তিনি মহাপরাক্রমশালী, অতিশয় ক্ষমাশীল। (সূরা মূলক - আয়াত ২)
দুনিয়া কর্মের জায়গা, আর কর্ম সেটাই যেটা উত্তম। সুতরাং আমাদের আগে জানতে হবে ইসলামের দৃষ্টিতে উত্তম কাজ কোনটা! অল্প শব্দে বলতে গেলে, আমরা যে যেই সেক্টরে আছি, সেখান থেকেই আল্লাহর আদেশ অনুযায়ী চলা এবং নিশেধ গুলোকে বর্জন করাই ভালো কাজ। আর যদি একটু ব্যাখ্যা করে বলি, আল্লাহ তা'আলা আমাদের একেক জনকে একেকটা নির্দৃষ্ট কাজের জন্য বানিয়েছেন। কেউ ডাক্তার, কেউ ইঞ্জিনিয়ার, কেউ আলেম, কেউ এমন আরো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত বা আল্লাহ প্রদত্ত অভিজ্ঞতা সম্পন্ন। পেশাটা মানবীয় দৃষ্টিতে ছোট অথবা বড় হোক, সবাই যদি সবার কাজ গুলো সততার সাথে করি এবং আমাদের কাজে আল্লাহকে ভয় করি। আর রাসুলের আদর্শ অনুযায়ী আমাদের চিন্তা, আমাদের দর্শন, আমাদের কর্মপন্থা হয় তাহলেই আমাদের জায়গা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে জান্নাতে হবে।
তার জীবনের প্রকৃত সফলতা এটাই!
কেননা আল্লাহ তাআলা কুরআনে কারীমে ইরশাদ করেছেন_____
যাকে জাহান্নাম থেকে দূরে রাখা হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে সে-ই সফল।
(সূরা আল-ইমরান আয়াত-১৮৫)
আমাদের জীবনের উদ্দেশ্য কী❓
সূরা আসর জান্নাতের পথ দেখায়
মানুষ যখন ঈশ্বরে বিশ্বাস করে, এবং সৎকাজ করে, তখন সে নিজেকে পরিপূর্ণ করে তোলে। তিনি নিজেকে লাভ, সাফল্য এবং কল্যাণের দিকে নিয়ে যান। কিন্তু বিশ্বাসী হিসেবে তাঁর দায়িত্ব শেষ হয়না । তিনি অন্যদেরও ডাকবেন একটি সমৃদ্ধ, সফল জীবনের দিকে। মুসলমানদের উত্থান হয়েছে বিশ্ব মানবতার কল্যাণের জন্য। তাঁর দায়িত্ব হলো নিজের সাথে অন্যকেও সত্যের দিকে ডাকা।
সুরা আসরের শিক্ষা
সূরা আসর এ আল্লাহ গুরুত্বপূর্ণ বেশকিছু শিক্ষা ও চমৎকার হেদায়েত রেখেছেন। মাত্র তিন আয়াত বিশিষ্ট ছোট্ট এ সূরাটি ইহকালীন ও পরকালীন মুক্তির স্পষ্ট সনদ। ‘আল্লাহ যদি কুরআনে অন্য কোনো সূরা নাযিল না করে শুধু সূরা আল আসর নাযিল করতেন তাহলে এটা মানুষের হেদায়াতের জন্য যথেষ্ট হত।'(মিফতাহুস সাআদাহ : ইমাম শাফেয়ি) যদি কেউ এ সূরায় গভীরভাবে দৃষ্টি দেয় তাহলে সে তাতে একটি উন্নত, সুন্দর, শান্তিময়, পরিপূর্ণ এবং সবার জন্য কল্যাণকর সমাজের চিত্র দেখবে। (আদওয়াউল বায়ান : ৯/৫০৭)
সূরা আল-মুলক তিলাওয়াতকারীকে ক্ষমা না করা পর্যন্ত সুপারিশ করে
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ নবী করীম (সাঃ) বলেছেন, “কুরআনে ত্রিশ আয়াতের একটি অধ্যায় রয়েছে, যা তাঁর সঙ্গীর জন্য সুপারিশ করবে যতক্ষণ না তাকে ক্ষমা করা হয়: “বরকতময় তিনি যাঁর হাতে। আধিপত্য।” (কোরআন 67:1)। সূত্র: সুনানে আবি দাউদ ১৪০০
মৃত্যুর পরে বারযাখী জীবন কবরের
“বারযাখী জীবন” বারযাখী জীবন সম্পর্কে এ বইটি হাতে পেয়েই হৃদয়ে শিহরণ জাগল যে, এ ধরনের বই সচরাচর হাতে পাওয়া যায় না বিধায় জনসাধারণ এ অদৃশ্য জীবন সম্পর্কে তেমন কিছু জানতে পারে না। এমনকি বহু আলেমের মনেও অনেক সময় সন্দেহের জাল বুনতে শুরু করে। ফলে এমনও বলতে শুনা যায় যে, কবরের ‘আযাব বলতে কিছু নেই। অথচ কুরআনের বহু আয়াত এবং সহীহ হাদীস রয়েছে, যা কবরে ‘আযাব হওয়ার ওপর প্রমাণ বহন করে। উক্ত বইয়ে সে সম্পর্কেই আলোচনা করা হয়েছে। মানুষ মরণশীল। প্রত্যেককে একদিন না একদিন মৃত্যুবরণ করতেই হবে। মৃত্যুর পর আরেক জগত শুরু হবে। সেই জগত থেকে আর কোনোদিন পৃথিবীতে ফিরে আসার সুযোগ নেই। মৃত্যুর পর কবরের আজাব শুরু হবে। সেই আজাব রোজ কিয়ামত পর্যন্ত চলতে থাকবে।
কবরের চিরন্তন তিনটি প্রশ্নের ব্যাপারে মানুষ একেবারে গাফেল হয়ে পড়েছে।
আল্লাহ তা‘আলা মানুষকে জান্নাত থেকে দুনিয়ায় নামিয়ে দিয়েছিলেন একটি গাইড বুক দিয়ে। কিন্তু মানুষের প্রকাশ্য শত্রু শয়তানের ধোঁকায় পড়ে মানুষ বারংবার বিপথে পা বাড়াচ্ছে। মায়ের গর্ভ হ’তে দুনিয়ার আলো-বাতাসে এসে দুনিয়ার মোহজালে আটকা পড়ে কবরের চিরন্তন তিনটি প্রশ্নের ব্যাপারে মানুষ একেবারে গাফেল হয়ে পড়েছে। অথচ তাকে কবরের পরীক্ষায় পাশ করেই তবে জান্নাতের সার্টিফিকেট হাছিল করতে হবে। অন্যথায় চিরস্থায়ী জাহান্নামে ন...িক্ষিপ্ত হ’তে হবে। সে তিনটি প্রশ্ন ও উত্তরগুলো শুধু মুখস্ত স্ত করা যথেষ্ট নয়। বরং বাস্তব জীবনে এ তিনটি প্রশ্নের আলোকে প্রস্তুতি গ্রহণ করা জরুরী। অন্যথায় সেগুলো যতই মুখস্ত করা হোক তা কাজে লাগবে না। আল্লাহ তায়ালা যেন আমাদেকে কবরের প্রশ্নগুলোর উত্তর প্রস্তত করে কবরে নেন। তার কাছে এটাই প্রার্থন। আল্লাহ তুমি কবুল কর।আমীন।
আমাদের জীবনের উদ্দেশ্য কী❓
What is the purpose of our life?
0 notes
আমাদের জীবনের উদ্দেশ্য কী❓
What is the purpose of our life?
আল্লাহ তা'আলা মানুষকে সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ মাখলুক হিসেবে সৃষ্টি করে, সুন্দর একটা জীবন দান করেছেন। এই জীবনের আসল উদ্দেশ্য কি! আমরা যেটাকে জীবনের সফলতা মনে করি সেটাই কি প্রকৃত সফলতা!
জীবন হচ্ছে নির্দিষ্ট কিছু সময়ের সমষ্টি। সময় যেমন ফুরায়, তেমনি জীবনও প্রতিনিয়ত ফুরাতে থাকে। যেহেতু এই জীবন অনন্তকাল স্থায়ী নয়, তাই জীবনটা অর্থবহ হলেও এই জীবনের চাওয়া-পাওয়া, সুখ, সখ, সফলতা-বিফলতা, দারিদ্রতা-ধনাঢ্যতার সবই প্রকৃত অর্থে অর্থহীন। এখানে কোন কিছুই নিখুঁত না। কিছুই আমাদের মনের মত হবার নয় । আমরা যেমনটা চাই, তা পরিপূর্ণরূপে দুনিয়া আমাদের কখনোই দিতে পারবে না। কারণ, এটা দুনিয়া, জান্নাত না। জীবন এক রহস্যময় জিনিস। আপনি যাই উপার্জন করেন না কেন আপনার জীবন বৃদ্ধি পাবে না বরং জীবনমান বাড়বে। ভালো পরিবেশে থাকলে আপনি বেশীদিন বাচবেন তা কিন্তু নয়।
তাহলে জীবনের আসল উদ্দেশ্য কি!
আখেরাতের দৃষ্টিকোন থেকে একজন মানুষের জন্য তার মূল উদ্দেশ্যে কী নির্ধারণ করা উচিৎ! এবং সর্বোচ্চ সফলতা প্রাপ্তি কোথায় নিহিত আছে। তা মহান আল্লাহ পাক সুস্পষ্ট করেছেন। কারণ, সাধারণত সকলের ধ্যান-ধারণা ক্রিয়াকলাপ চিন্তা-ভাবনা সবকিছু অস্থায়ী পৃথিবীর অত্যন্ত স্বল্পকালীন আয়ুর ভিত্তিতেই পরিচালিত হয়। পরকালের চিরস্থায়ী জীবনের ধ্যান-ধারণার ভিত্তিতে পরিচালিত জীবনের সংখ্যা অতি নগণ্য। যার প্রমাণ জীবনের উদ্দেশ্য জাগতিক ভিত্তিক। পরলৌকিক ভিত্তিক নয়। কিন্তু সত্যিকার অর্থে প্রত্যেক মুমিন-মুসলিমের প্রত্যেকটি কার্যকলাপ, ধ্যান-ধারণা হওয়া উচিত চিরস্থায়ী জীবনকে সামনে রেখে। সে ক্ষেত্রে ধর্মীয়ভাবে নিষিদ্ধ, অসৎ কাজগুলি থেকে সরে থাকা বাঞ্ছনীয়, অথচ সে অবস্থান কতো দূরে? কিংবা বহু দূরে।
আল্লাহ তাআলা কুরআনে কারীমে ইরশাদ করেছেন____
যিনি মৃত্যু ও জীবন সৃষ্টি করেছেন যাতে তিনি তোমাদেরকে পরীক্ষা করতে পারেন যে, কে তোমাদের মধ্যে কর্মের দিক থেকে উত্তম। আর তিনি মহাপরাক্রমশালী, অতিশয় ক্ষমাশীল। (সূরা মূলক - আয়াত ২)
দুনিয়া কর্মের জায়গা, আর কর্ম সেটাই যেটা উত্তম। সুতরাং আমাদের আগে জানতে হবে ইসলামের দৃষ্টিতে উত্তম কাজ কোনটা! অল্প শব্দে বলতে গেলে, আমরা যে যেই সেক্টরে আছি, সেখান থেকেই আল্লাহর আদেশ অনুযায়ী চলা এবং নিশেধ গুলোকে বর্জন করাই ভালো কাজ। আর যদি একটু ব্যাখ্যা করে বলি, আল্লাহ তা'আলা আমাদের একেক জনকে একেকটা নির্দৃষ্ট কাজের জন্য বানিয়েছেন। কেউ ডাক্তার, কেউ ইঞ্জিনিয়ার, কেউ আলেম, কেউ এমন আরো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত বা আল্লাহ প্রদত্ত অভিজ্ঞতা সম্পন্ন। পেশাটা মানবীয় দৃষ্টিতে ছোট অথবা বড় হোক, সবাই যদি সবার কাজ গুলো সততার সাথে করি এবং আমাদের কাজে আল্লাহকে ভয় করি। আর রাসুলের আদর্শ অনুযায়ী আমাদের চিন্তা, আমাদের দর্শন, আমাদের কর্মপন্থা হয় তাহলেই আমাদের জায়গা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে জান্নাতে হবে।
তার জীবনের প্রকৃত সফলতা এটাই!
কেননা আল্লাহ তাআলা কুরআনে কারীমে ইরশাদ করেছেন_____
যাকে জাহান্নাম থেকে দূরে রাখা হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে সে-ই সফল।
(সূরা আল-ইমরান আয়াত-১৮৫)
আমাদের জীবনের উদ্দেশ্য কী❓
সূরা আসর জান্নাতের পথ দেখায়
মানুষ যখন ঈশ্বরে বিশ্বাস করে, এবং সৎকাজ করে, তখন সে নিজেকে পরিপূর্ণ করে তোলে। তিনি নিজেকে লাভ, সাফল্য এবং কল্যাণের দিকে নিয়ে যান। কিন্তু বিশ্বাসী হিসেবে তাঁর দায়িত্ব শেষ হয়না । তিনি অন্যদেরও ডাকবেন একটি সমৃদ্ধ, সফল জীবনের দিকে। মুসলমানদের উত্থান হয়েছে বিশ্ব মানবতার কল্যাণের জন্য। তাঁর দায়িত্ব হলো নিজের সাথে অন্যকেও সত্যের দিকে ডাকা।
সুরা আসরের শিক্ষা
সূরা আসর এ আল্লাহ গুরুত্বপূর্ণ বেশকিছু শিক্ষা ও চমৎকার হেদায়েত রেখেছেন। মাত্র তিন আয়াত বিশিষ্ট ছোট্ট এ সূরাটি ইহকালীন ও পরকালীন মুক্তির স্পষ্ট সনদ। ‘আল্লাহ যদি কুরআনে অন্য কোনো সূরা নাযিল না করে শুধু সূরা আল আসর নাযিল করতেন তাহলে এটা মানুষের হেদায়াতের জন্য যথেষ্ট হত।'(মিফতাহুস সাআদাহ : ইমাম শাফেয়ি) যদি কেউ এ সূরায় গভীরভাবে দৃষ্টি দেয় তাহলে সে তাতে একটি উন্নত, সুন্দর, শান্তিময়, পরিপূর্ণ এবং সবার জন্য কল্যাণকর সমাজের চিত্র দেখবে। (আদওয়াউল বায়ান : ৯/৫০৭)
সূরা আল-মুলক তিলাওয়াতকারীকে ক্ষমা না করা পর্যন্ত সুপারিশ করে
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ নবী করীম (সাঃ) বলেছেন, “কুরআনে ত্রিশ আয়াতের একটি অধ্যায় রয়েছে, যা তাঁর সঙ্গীর জন্য সুপারিশ করবে যতক্ষণ না তাকে ক্ষমা করা হয়: “বরকতময় তিনি যাঁর হাতে। আধিপত্য।” (কোরআন 67:1)। সূত্র: সুনানে আবি দাউদ ১৪০০
মৃত্যুর পরে বারযাখী জীবন কবরের
“বারযাখী জীবন” বারযাখী জীবন সম্পর্কে এ বইটি হাতে পেয়েই হৃদয়ে শিহরণ জাগল যে, এ ধরনের বই সচরাচর হাতে পাওয়া যায় না বিধায় জনসাধারণ এ অদৃশ্য জীবন সম্পর্কে তেমন কিছু জানতে পারে না। এমনকি বহু আলেমের মনেও অনেক সময় সন্দেহের জাল বুনতে শুরু করে। ফলে এমনও বলতে শুনা যায় যে, কবরের ‘আযাব বলতে কিছু নেই। অথচ কুরআনের বহু আয়াত এবং সহীহ হাদীস রয়েছে, যা কবরে ‘আযাব হওয়ার ওপর প্রমাণ বহন করে। উক্ত বইয়ে সে সম্পর্কেই আলোচনা করা হয়েছে। মানুষ মরণশীল। প্রত্যেককে একদিন না একদিন মৃত্যুবরণ করতেই হবে। মৃত্যুর পর আরেক জগত শুরু হবে। সেই জগত থেকে আর কোনোদিন পৃথিবীতে ফিরে আসার সুযোগ নেই। মৃত্যুর পর কবরের আজাব শুরু হবে। সেই আজাব রোজ কিয়ামত পর্যন্ত চলতে থাকবে।
কবরের চিরন্তন তিনটি প্রশ্নের ব্যাপারে মানুষ একেবারে গাফেল হয়ে পড়েছে।
আল্লাহ তা‘আলা মানুষকে জান্নাত থেকে দুনিয়ায় নামিয়ে দিয়েছিলেন একটি গাইড বুক দিয়ে। কিন্তু মানুষের প্রকাশ্য শত্রু শয়তানের ধোঁকায় পড়ে মানুষ বারংবার বিপথে পা বাড়াচ্ছে। মায়ের গর্ভ হ’তে দুনিয়ার আলো-বাতাসে এসে দুনিয়ার মোহজালে আটকা পড়ে কবরের চিরন্তন তিনটি প্রশ্নের ব্যাপারে মানুষ একেবারে গাফেল হয়ে পড়েছে। অথচ তাকে কবরের পরীক্ষায় পাশ করেই তবে জান্নাতের সার্টিফিকেট হাছিল করতে হবে। অন্যথায় চিরস্থায়ী জাহান্নামে ন...িক্ষিপ্ত হ’তে হবে। সে তিনটি প্রশ্ন ও উত্তরগুলো শুধু মুখস্ত স্ত করা যথেষ্ট নয়। বরং বাস্তব জীবনে এ তিনটি প্রশ্নের আলোকে প্রস্তুতি গ্রহণ করা জরুরী। অন্যথায় সেগুলো যতই মুখস্ত করা হোক তা কাজে লাগবে না। আল্লাহ তায়ালা যেন আমাদেকে কবরের প্রশ্নগুলোর উত্তর প্রস্তত করে কবরে নেন। তার কাছে এটাই প্রার্থন। আল্লাহ তুমি কবুল কর।আমীন।
আমাদের জীবনের উদ্দেশ্য কী❓
What is the purpose of our life?
0 notes