Tumgik
#তসলিমা নাসরিন
myladytara · 4 months
Text
তসলিমা নাসরিন ভালবেসে বিয়ে করেছিল কবি রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহকে। তবে একাধিক প্রেমের অভিযোগে এক সময় তসলিমা ছেড়ে যায় রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহকে। তসলিমার সাথে বিবাহ বিচ্ছেদের ৪ বছর পরে ১৯৯১ সালে রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ মারা যায়। অতিরিক্ত মাদক সেবনকে তার অকাল মৃত্যুর জন্যে দায়ী করা হয়। রুদ্রের মৃত্যুর পরে তার "আমার ভিতর বাহিরে অন্তরে অন্তরে" কবিতা পাওয়া যায় যেটি পরবর্তীতে বিখ্যাত হয়ে উঠে। অনেকেই বলে থাকেন এটি তসলিমা নাসরিনকে উদ্দেশ্য করে তিনি লিখেছিলেন। এর জবাবে তসলিমা নাসরিনও একটি কবিতা লেখেন যেখানে তিনি রুদ্রর প্রতি তার ভালবাসার কথা লেখেন ও একই সাথে রুদ্রর একাধিক প্রেমের কথা তোলেন।
রুদ্র'র গান
আমার ভিতর বাহিরে অন্তরে অন্তরে
আছো তুমি হৃদয় জুড়ে
ঢেকে রাখে যেমন কুসুম
পাপড়ির আবডালে ফসলের ঘুম
তেমনি তোমার নিবিড় চলা
মরমের মূল পথ ধরে
পুষে রাখে যেমন ঝিনুক
খোলসের আবরণে মুক্তোর সুখ
তেমনি তোমার গভীর চ্নোয়া
ভিতরের নীল বন্দরে
ভালো আছি, ভালো থেকো
আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো
দিও তোমার মালা খানি
বাউল এর এই মন টা রে
তসলিমা নাসরিনের জবাব
প্রিয় রুদ্র,
প্রযত্নে, আকাশ
তুমি আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখতে বলেছিলে। তুমি কি এখন আকাশ জুড়ে থাকো? তুমি আকাশে উড়ে বেড়াও? তুলোর মতো, পাখির মতো? তুমি এই জগৎসংসার ছেড়ে আকাশে চলে গেছো। তুমি আসলে বেঁচেই গেছো রুদ্র। আচ্ছা, তোমার কি পাখি হয়ে উড়ে ফিরে আসতে ইচ্ছে করে না? তোমার সেই ইন্দিরা রোডের বাড়িতে, আবার সেই নীলক্ষেত, শাহবাগ, পরীবাগ, লালবাগ চষে বেড়াতে? ইচ্ছে তোমার হয় না এ আমি বিশ্বাস করি না, ইচ্ছে ঠিকই হয়, পারো না। অথচ এক সময় যা ইচ্ছে হতো তোমার তাই করতে। ইচ্ছে যদি হতো সারারাত না ঘুমিয়ে গল্প করতে - করতে। ইচ্ছে যদি হতো সারাদিন পথে পথে হাটতে - হাটতে। কে তোমাকে বাধা দিতো? জীবন তোমার হাতের মুঠোয় ছিলো। এই জীবন নিয়ে যেমন ইচ্ছে খেলেছো। আমার ভেবে অবাক লাগে, জীবন এখন তোমার হাতের মুঠোয় নেই। ওরা তোমাকে ট্রাকে উঠিয়ে মিঠেখালি রেখে এলো, তুমি প্রতিবাদ করতে পারোনি।
আচ্ছা, তোমার লালবাগের সেই প্রেমিকাটির খবর কি, দীর্ঘ বছর প্রেম করেছিলে তোমার যে নেলী খালার সাথে? তার উদ্দেশ্যে তোমার দিস্তা দিস্তা প্রেমের কবিতা দেখে আমি কি ভীষণ কেঁদেছিলাম একদিন ! তুমি আর কারো সঙ্গে প্রেম করছো, এ আমার সইতো না। কি অবুঝ বালিকা ছিলাম ! তাই কি? যেন আমাকেই তোমার ভালোবাসতে হবে। যেন আমরা দু'জন জন্মেছি দু'জনের জন্য। যেদিন ট্রাকে করে তোমাকে নিয়ে গেলো বাড়ি থেকে, আমার খুব দম বন্ধ লাগছিলো। ঢাকা শহরটিকে এতো ফাঁকা আর কখনো লাগেনি। বুকের মধ্যে আমার এতো হাহাকারও আর কখনো জমেনি। আমি ঢাকা ছেড়ে সেদিন চলে গিয়েছিলাম ময়মনসিংহে। আমার ঘরে তোমার বাক্সভর্তি চিঠিগুলো হাতে নিয়ে জন্মের কান্না কেঁদেছিলাম। আমাদের বিচ্ছেদ ছিলো চার বছরের। এতো বছর পরও তুমি কী গভীর করে বুকের মধ্যে রয়ে গিয়েছিলে ! সেদিন আমি টের পেয়েছি।
আমার বড়ো হাসি পায় দেখে, এখন তোমার শ'য়ে শ'য়ে বন্ধু বেরোচ্ছে। তারা তখন কোথায় ছিলো? যখন পয়সার অভাবে তুমি একটি সিঙ্গাড়া খেয়ে দুপুর কাটিয়েছো। আমি না হয় তোমার বন্ধু নই, তোমাকে ছেড়ে চলে এসেছিলাম বলে। এই যে এখন তোমার নামে মেলা হয়, তোমার চেনা এক আমিই বোধ হয় অনুপস্থিত থাকি মেলায়। যারা এখন রুদ্র রুদ্র বলে মাতন করে বুঝিনা তারা তখন কোথায় ছিলো?
শেষদিকে তুমি শিমুল নামের এক মেয়েকে ভালোবাসতে। বিয়ের কথাও হচ্ছিলো। আমাকে শিমুলের সব গল্প একদিন করলে। শুনে ... তুমি বোঝোনি আমার খুব কষ্ট হচ্ছিলো। এই ভেবে যে, তুমি কি অনায়াসে প্রেম করছো ! তার গল্প শোনাচ্ছো ! ঠিক এইরকম অনুভব একসময় আমার জন্য ছিলো তোমার ! আজ আরেকজনের জন্য তোমার অস্থিরতা। নির্ঘুম রাত কাটাবার গল্প শুনে আমার কান্না পায় না বলো? তুমি শিমুলকে নিয়ে কি কি কবিতা লিখলে তা দিব্যি বলে গেলে ! আমাকে আবার জিজ্ঞেসও করলে, কেমন হয়েছে। আমি বললাম, খুব ভালো। শিমুল মেয়েটিকে আমি কোনোদিন দেখিনি, তুমি তাকে ভালোবাসো, যখন নিজেই বললে, তখন আমার কষ্টটাকে বুঝতে দেইনি। তোমাকে ছেড়ে চলে গেছি ঠিকই কিন্তু আর কাউকে ভালোবাসতে পারিনি। ভালোবাসা যে যাকে তাকে বিলোবার জিনিস নয়।
আকাশের সঙ্গে কতো কথা হয় রোজ ! কষ্টের কথা, সুখের কথা। একদিন আকাশভরা জোৎস্নায় গা ভেসে যাচ্ছিলো আমাদের। তুমি দু চারটি কষ্টের কথা বলে নিজের লেখা একটি গান শুনিয়েছিলে। "ভালো আছি ভালো থেকো, আকাশের ঠিকানায় চিঠি দিও"। মংলায় বসে গানটি লিখেছিলে। মনে মনে তুমি কার চিঠি চেয়েছিলে? আমার? নেলী খালার? শিমুলের? অনেক দিন ইচ্ছে তোমাকে একটা চিঠি লিখি। একটা সময় ছিলো তোমার। একটা সময় ছিলো তোমাকে প্রতিদিন চিঠি লিখতাম। তুমিও লিখতে প্রতিদিন। সেবার আরমানিটোলার বাড়িতে বসে দিলে আকাশের ঠিকানা। তুমি পাবে তো এই চিঠি? জীবন এবং জগতের তৃষ্ণা তো মানুষের কখনো মেটে না, তবু মানুষ আর বাঁচে ক'দিন বলো? দিন তো ফুরোয়। আমার কি দিন ফুরোচ্ছে না? তুমি ভালো থেকো। আমি ভালো নেই।
ইতি,
সকাল
পুনশ্চঃ আমাকে সকাল বলে ডাকতে তুমি। কতোকাল ঐ ডাক শুনি না। তুমি কি আকাশ থেকে সকাল, আমার সকাল বলে মাঝে মধ্যে ডাকো? নাকি আমি ভুল শুনি?
সংগৃহীত
ছবি: তসলিমা নাসরিন, রুদ্র মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ
Tumblr media
5 notes · View notes
lifeis-art · 6 months
Text
কারো কারো জন্য এমন লাগে কেন!
জানি না কেন হঠাৎ কোনও কারণ নেই,
কিছু নেই, কারও কারও জন্য খুব
অন্যরকম লাগে
অন্য রকম লাগে,
কোনও কারণ নেই,
তারপরও বুকের মধ্যে চিনচিনে কষ্ট হতে থাকে,
কারুকে খুব দেখতে ইচ্ছে হয়, পেতে ইচ্ছে হয়,
কারুর সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠ হয়ে
বসতে ইচ্ছে হয়,
সারাজীবন ধরে সারাজীবনের গল্প করতে ইচ্ছে হয়,
ইচ্ছে হওয়ার কোনও কারণ নেই, তারপরও ইচ্ছে হয়।
ইচ্ছের কোনও লাগাম থাকে না।
ইচ্ছেগুলো এক সকাল থেকে আরেক সকাল পর্যন্ত
জ্বালাতে থাকে। প্রতিদিন।
ইচ্ছেগুলো পুরণ হয় না,
তারপরও ইচ্ছেগুলো বেশরমের মত পড়ে থাকে,
আশায় আশায় থাকে।
কষ্ট হতে থাকে,
কষ্ট হওয়ার কোনও কারণ নেই,
তারপরও হতে থাকে,
সময়গুলো নষ্ট হতে থাকে।
কারও কারও জন্য জানি না জীবনের শেষ বয়সে এসেও
সেই কিশোরীর মত কেন অনুভব করি।
কিশোরী বয়সেও যেমন লুকিয়ে রাখতে হত ইচ্ছেগুলো, এখনও হয়।
কি জানি সে,
যার জন্য অন্যরকমটি লাগে,
যদি ইচ্ছেগুলো দেখে হাসে!
সেই ভয়ে লুকিয়ে রাখি ইচ্ছে,
সেই ভয়ে আড়াল করে রাখি কষ্ট।
হেঁটে যাই, যেন কিছুই হয়নি,
যেন আর সবার মত সুখী মানুষ আমিও, হেঁটে যাই।
যাই, কত কোথাও যাই,
কিন্তু তার কাছেই কেবল যাই না, যার জন্য লাগে।
কারও কারও জন্য এমন অদ্ভুত অসময়ে বুক ছিঁড়ে যেতে থাকে কেন!
জীবনের কত কাজ বাকি, কত তাড়া!
তারপরও সব কিছু সরিয়ে রেখে তাকে ভাবি,
তাকে না পেয়ে কষ্ট আমাকে কেটে কেটে
টুকরো করবে জেনেও তাকে ভাবি।
তাকে ভেবে কোনও লাভ নেই জেনেও ভাবি।
তাকে কোনওদিন পাবো না জেনেও তাকে পেতে চাই।
- তসলিমা নাসরিন
0 notes
kobikolpolota · 11 months
Text
Priyo mukh kobita Taslima Nasrin প্রিয় মুখ কবিতা তসলিমা নাসরিন
Tumblr media
0 notes
alibaba1xk · 1 year
Text
গঙ্গা-যমুনায় ভেসে বেড়াচ্ছে পচা-গলা মৃতদেহ! ‘অদ্ভুত দুনিয়া’ Tweet করলেন তসলিমা নাসরিন
#পটনা: পচা, গলা মৃতদেহের সারি – বিহারের বক্সারের কাছে গঙ্গায় এই দৃশ্য দেখে এলাকায় মারাত্মক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে ৷ দেশে করোনা সংক্রমণ কতটা মারাত্মক গভীরে এবং কতটা সুবিস্তৃত হয়েছে এ দিনের এই ছবি তারই প্রমাণ ৷ একটি -দু’টি নয়, চল্লিশটিরও বেশি এরকম পচা গলা, কোনওটা অর্ধদগ্ধ শরীর গঙ্গার জলে ভাসমান অবস্থায় দেখে শিউরে উঠছেন সকলে ৷ বিহারের উত্তরপ্রদেশ সংলগ্ন সীমানার কাছে চাউসা টাউনের ঘটনা এটি ৷ গতকাল…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
arifulhaquesuman · 1 year
Video
youtube
তসলিমা নাসরিন কি হিরো আলমের পাশে দাঁড়ালেন? | Hero Alom | Taslima Nasrin ...
0 notes
somoysangbad24 · 1 year
Text
হিরো আলমকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তসলিমা নাসরিন।
সময় সংবাদ রিপোর্টঃ    আলোচিত-সমালোচিত ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলমকে নিয়ে মামুনুর রশীদের করা মন্তব্যের বিরোধিতা করেছেন আলোচিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। এর আগে অভিনয় শিল্পী সংঘের একটি অনুষ্ঠানে মামুনুর রশীদ বলেন, ‘আমরা একটা রুচির দুর্ভিক্ষের মধ্যে পড়েছি। আর সেখান থেকে হিরো আলমের মতো একজন মানুষের উত্থান হয়েছে। তার এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তসলিমা নাসরিন। সোমবার (২৭ মার্চ) ফেসবুক ভেরিফায়েড…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
bengalbyte1 · 1 year
Link
0 notes
g-e · 1 year
Text
Bangla Literary PDF
এমন গোছানো পিডিএফ অনেকদিন ধরেই খুঁজছিলাম।
১.মিছির আলি সিরিজ
2.আনিসুল হক
৩.বেগম রোকেয়া
৪.আহমদ ছফা
৫.সমরেশ মজুমদার
৬.ফেলুদা সিরিজ
৭.কাকাবাবু সিরিজ
৮.শুভ্র সিরিজ
৯.গোয়েন্দা সিরিজ
১০.মাসুদ রানার ৪৫০+ বই
১১.বঙ্কিমচন্দ্রের বই
১২.হুমায়ূন আহমেদের বই
১৩.হুমায়ুন আজাদ
১৪.ইমদাদুল হক মিলন
১৫.জীবনানন্দ দাশ
১৬.কাজী নজরুল ইসলাম
১৭.মাইকেল মধুসূদন দত্ত
১৮.মুহাম্মদ জাফর ইকবাল
১৯.তসলিমা নাসরিন
২০.সৈয়দ শামসুল হক
২১.তাহনিমা আনাম
22.কাশেম বিন আবু বকর
২৩.মুনীর চৌধুরী
২৪.আখতারুজ্জামান ইলিয়াস
২৫.জহির রায়হান
২৬.সুমন্ত আসলাম
২৭.আল মাহমুদ
২৮.সৈয়দ মুজতবা আলী
২৯.আহমদ শরীফ
৩০.মানিক বন্দোপাধ্যায়
৩১.শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
0 notes
cvoice24 · 1 year
Link
বাংলাদেশের নির্বাসিত বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন সম্প্রতি অভিযোগ জানিয়েছেন ভুল চিকিৎসা দিয়ে তাকে সারাজীবনের জন্য
0 notes
natunsylhet24 · 2 years
Text
‘আমি হলেও পেনাল্টি মিস করতাম না’, মেসিকে তসলিমা নাসরিন
‘আমি হলেও পেনাল্টি মিস করতাম না’, মেসিকে তসলিমা নাসরিন
পোল্যান্ডের বিপক্ষে ২-০ গোলের জয় নিয়ে শেষ ষোলো নিশ্চিত করে আর্জেন্টিনা। ব্যবধানটা ৩-০ হতে পারত যদি না পেনাল্টি মিস করতেন অধিনায়ক লিওনেল মেসি। ম্যাচের ৩৬ মিনিটে স্পট কিক থেকে নেওয়া তার শট বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকান পোলিশ গোলরক্ষক ভয়চেক সেজনি। মেসির এই মিস কোনোভাবেই মানতে পারছেন না তসলিমা নাসরিন। ফেসবুকে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেন এই সাহিত্যিক। মেসির জায়গায় তিনি থাকলে গোলের উচ্ছ্বাস হতো সেই…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
thebengalitimes · 2 years
Text
0 notes
banglavisiononline · 2 years
Link
ময়মনসিংহ নগরীতে আলোচিত-সমালোচিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন যে বাড়িতে বেড়ে উঠেছিলেন তা ভেঙে ফেলা হয়েছে। নগরীর আমলাপাড়ার টি এন রায় রোডে ‘অবকাশ’ নামের বাড়িটি ভেঙে নির্মিত হচ্ছে বহুতল ভবন
0 notes
kobikolpolota · 1 year
Text
Nirsho kobita lyrics Taslima Nasrin নিঃস্ব কবিতা তসলিমা নাসরিন
Tumblr media
0 notes
alibaba1xk · 1 year
Text
Taslima Nasrin : 'সব মেয়ে স্ট্রাগল করে না, কিছু মেয়ে করে', এবার পরীমণির পাশে দঁড়ালেন তসলিমা!
#কলকাতা : কিছুদিন আগেই নুসরত জাহানের মাতৃত্ব নিয়ে মুখ খুলেছিলেন। সাহস জুগিয়ে দিয়েছিলেন নিজস্ব বার্তা। এবারে বাংলাদেশের নায়িকা পরীমণির (Pori Moni) সমর্থনেও মুখ খুললেন তসলিমা নাসরিন (Taslima Nasrin)। নেটমাধ্যমে পরীমণির বিরুদ্ধে প্রতি দিন নতুন নতুন করে উগরে দেওয়া কটূক্তি, নিষ্ঠুরতা আহত করেছে লেখিকা। সেইসঙ্গে বাড়িয়েছে ক্ষোভও। অবশেষে তারই বহির্প্রকাশ হয়েছে তসলিমার ফেসবুক পেজে। সামাজিক মাধ্যমে একের পর…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
onnodristy · 2 years
Text
আমাদের পূর্ব পুরুষেরা ও পূর্ব নারীরা শুধু নেংটিই পরতো : তসলিমা নাসরিন
আমাদের পূর্ব পুরুষেরা ও পূর্ব নারীরা শুধু নেংটিই পরতো : তসলিমা নাসরিন। ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম নারীবাদী লেখিকা তসলিমা নাসরিন দাবি করেছেন, ‘আমাদের পূর্ব পুরুষেরা শুধু নেংটি পরতো, পূর্ব নারীরা বক্ষ বন্ধনীও পরতো না, তারাও ওই নেংটিই পরতো। অন্তরীয় উত্তরীয় কোমরবন্ধ এসেছে আরও পরে।’
ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম নারীবাদী লেখিকা তসলিমা নাসরিন দাবি করেছেন, ‘আমাদের পূর্ব পুরুষেরা শুধু নেংটি পরতো, পূর্ব নারীরা বক্ষ বন্ধনীও পরতো না, তারাও ওই নেংটিই পরতো। অন্তরীয় উত্তরীয় কোমরবন্ধ এসেছে আরও পরে।’ সোমবার (২৯ আগস্ট) বিকাল ৪টা ২ মিনিটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে এই দাবি করেন তিনি। ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি জানান, ‘কিছুদিন আগে বাংলাদেশের কিছু বোরখাওয়ালি মেয়ে আর কিছু পশ্চিমা…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
soplaar · 2 years
Text
তসলিমা নাসরিন ‘লজ্জ্বা’ উপন্যাস না লিখলে তাকে এই নির্বাসিত জীবন কাটাতে হতো না। ইসলাম ধর্ম নিয়ে লিখেও এদেশে ঠাই হতে পারে, কিন্তু হিন্দুদের উপর বাঙালি মুসলমানের আক্রোশ নিয়ে লিখলে আর ক্ষমা নাই! তসলিমা তাই বহু নাস্তিক কিন্তু আদর্শগতভাবে মুসলম জাতীয়তাবাদী, বহু কমিউনিস্ট কিন্তু আদর্শগতভাবে দ্বিজাতিত্ত্ববাদীর রোষের শিকার হয়েছেন। ছফা শিষ্যদের সবার তসলিমা চুলকানি দেখার মত। কারণ একটাই, তসলিমা কেন ৯০ দশকের বাবরী মসজিদ ইস্যুতে ‘লজ্জ্বা’ লিখতে গেলো! তারা সবাই ইতিহাস লিখেছে বাবরী মসজিদের ঘটনায় ভারতের মুসলমানদের উপর হিন্দুরা আক্রমন করেছে কিন্তু বাংলাদেশে হিন্দুদের আমরা জামাই আদরে রেখেছি...। তসলিমা সেখানে লিখে ফেলেছে লজ্জ্বা! ঝাকির-সলিমুল্লাহরা এদেশে হিন্দুদের ‘ভালো রাখে’ তবু তাদের এক পা ইন্ডিয়াতে! তাদের দেশপ্রেম নাই, মুসলমানদের ক্ষমতায়ন সহ্য করতে পারে না তাই ভারতে চলে যায়...। তসলিমা তাদের নেংটা করে লজ্জ্বা দিলে কি আর সহ্য হয়?
তসলিমা নাসরিনকে জন্মদিনে শুভেচ্ছা।
Tumblr media
0 notes