Tumgik
pilotagrofarm · 4 years
Text
ঘরে ঘরে বিদুৎ, নাকি চুরি করার মেশিন বসানো হয়েছে❓
(১) প্রশ্ন হচ্ছে ডিমান্ড চার্জটা কি❓কেন ডিমান্ড চার্জের নামে এই ৫০ টাকা নেওয়া হচ্ছে❓
(২) মিটার তো গ্রাহকের টাকায় কেনা। নিজের টাকায় মিটার কিনে দশ টাকা করে ভাড়া দিতে হবে কেন❓
এ ভাবে কত দিন মিটার ভাড়া দিতে হবে❓দু'এক মাস নাকি প্রতি মাসেই❓
নাকি সারা জীবন❓
সরকার নিচ্ছে ভ্যাট❗
আর পল্লীবিদ্যুত নিচ্ছে ডিমান্ড চার্জ, মিটার ভাড়া, সার্ভিস চার্জ, বিলম্ব মাশুল ইত্যাদি।
পল্লীবিদ্যুত এভাবে আর কতদিন
মানুষকে শোষন করবে❓
এই শোষন থেকে কবে মুক্তি পাবে দেশের মানুষ❗❓
Tumblr media
0 notes
pilotagrofarm · 4 years
Text
Tumblr media
কোন ইউটিউব চ্যানেল দ্বারি ভাইয়েরা দয়া করে ইউটিউব চ্যানেল এর লিং সহ ফোরামে কোন রকম পোস্ট দিবেন না।
আপনাদের ইউটিউব চ্যানেল প্রতিবেদন দেখে আজ হাজার হাজার মানুষ পথে বসে যাচ্ছে।
আপনারা ভিডিও বানান ছয় নয় বলে,তাই দেখে দেশের সহজ সরল মানুষ গরু পালন করতে আসে।
কয়েক দিন গেলে হাতে ছিড়া কাপর নিয়া চুখের পানি মুছে।
কোন কোন নতুন খামারির বউ গোবরের গন্ধ সয়তে না পেয়ে আবার অন্য ছেলের সাথে বাগে।
আগে থাকতো বিদেশে মাস শেষেই টাকা ব্যাগ নিয়ে যেত মারর্কেট করতে।
এখন ঘুম ভাংগিলেই সকাল বেলা হাম্বা হাম্বা ডাক শুনে।
তাই শুনিয়ে বউয়ের মাথায় উকুনের কামড় বাড়ে।
তাই তারা এই ফাকে অন্য ছেলের সংগ খুঁজে।
0 notes
pilotagrofarm · 6 years
Photo
Tumblr media
Nitrogen Tank
0 notes
pilotagrofarm · 6 years
Text
বেকার সমস্যার সমাধান
যারা ডেইরী বা গরু মোটাতাজা করে লোকসান করছেন তারা কি এই বিষয়গুলো ভেবে দেখেছেন কখনো? আমি সব জানি বা অনেক অনেক বছরের অভিজ্ঞতা নিয়ে কথাগুলো বলছি তা কিন্তু নয়।তবে কিছুটা লেখাপড়া এবং বাস্তব জ্ঞ্যান হাতে কলমে হয়েছে এটা সত্য। সেই থেকেই লেখা আর বলতে পারেন আমার সময়ের একটা সুন্দর ব্যবহার। অনেক ভাই বলেন ৩-৪ বছর হয়েছে তারপর ও লোকসান হচ্ছে। কিন্তু এটা হবার কথা না। আমাদের অবস্থার সাথে বিবেচনা করে ব্যবসার কৌশলগত কোন ক্রুটি আছে বলে আমার মনে হয়। যে বিষয়গুলো খুব গুরুত্তপুর্ন, যে প্রশ্নের উত্তর গুলো আপনাকে বলে দেবে কেন আপনার ফার্ম লোকসান হচ্ছে তা হলো: ১) আপনার ফার্ম কি আপনি নিজে দেখেন নাকি পুরোটাই কর্মচারী নির্ভর? ফার্মকে লাভবান করার প্রথম এবং সব থেকে গুরুত্তপুর্ন হলো ফার্মে সব সময় নিজের উপস্থিতি এবং নিজে কাজ করা। আমি জানি আমাদের ফেসবুক বন্ধুদের অনেকেই হয়তো নিজে কাজ করেন না, কর্মচারী নির্ভর। তারপর ও আমি বলবো নিজে কাজ না করলেও নিজের সব সময় উপস্থিতি ভীষন দরকার। আমার পাশের গরীব খামারী ফটিক, দুলাল, জামাল এরা কেন লোকসান করেনা? আমরা কেন করি? আপনার আশে পাশে গরীব খামারী দেখেন উত্তর আপনি পেয়ে যাবেন। হা আপনি বলছেন এখন, ওরা তো নিজেরা করে, তাই পারছে। আমিও বলছি আপনাকে নিজেকে করতে বা গরুর সং্খ্যা বাড়াতে যদি কর্মচারী রেখে করেন। যেটাই করেন আপনার উপস্থিতি খুব জরুরী। নিজে কাজ করলে একটা ছোট ফার্ম খুব দ্রুত লাভবান হবেই, আর নিজের উপস্থিতি আছে কিন্তু কর্মচারী নির্ভর হলে গরুর সং্খ্যা বাড়াতে হবে। কম গরু দিয়ে অধিক বেতন দিয়ে ফার্ম লাভবান হবেনা। যেমন : ডেইরীর জন্য ৭-৮ টা গরুর জন্য ১ জন্য কর্মচারী, আর মোটাতাজার জন্য ১৫-১৮ টা গরুর জন্য ১ জন কর্মচারী। ফার্মের এই পরিচালনা খরচ যতটুকু সম্ভব কমিয়ে ফেলতে হবে তাহলেই লাভবান হবেন।                                 ২) আপনি কি হিসাব করে দেখেছেন গরু প্রতি প্রতিদিন কত টাকা খাবার খরচ আসে আপনার? নিউট্রিশন আর খাদ্যের গুনগত মান কি হবে এটা নিয়ে অস্থির সবাই। আমি কিন্তু সত্যি অস্থির না। আমি শুধু ভাবি খরচ কি করে কমিয়ে আনা যায়। আমি ভাবি ফটিক, জামাল, দুলাল কি খাওয়ায়। ওদের গরু যদি ভালো মোটাতাজা হয় কোন রকম মেডিসিন ইঞ্জেকসন ছাড়া তো আমাদের কেন হয়না। প্রশ্নটা এখানেই। এই বছর গ্রামের লোকদের দেখলাম খাবার পিলেট করে বানিয়ে খাওয়াতে। এরপর ই আমার মাথা নস্ট। আমি সব সময় ভাবি ওরা টাকার খরচ হিসাব আমার থেকে অনেক ভালো
0 notes
pilotagrofarm · 6 years
Text
Farm Project
Tumblr media
Story of Life: Episode: 1 With 6 bull calves you can start a new chapter of your dream. Year divided into two parts. 6 months ahead of the Eid and six months after the Eid. At the time of Eid, if you see 6 good breeds, then you can buy some calves, or Shahiwali Sindhi variety, red, black bull calf farm with a local Frogyan, but you can keep it in front of 6 month project. Such as: He bought six calves from 40/45 to 55 thousand taka. After the first two months after the procedure, he sold two calves. Two months later, he sold two more. Now the threshing floor of the farm remained two months and 4 o'clock. From the four bullocks that were sold, you will buy 6 pieces of 6 grams for the next 6 months by selling those pieces of profit with yourself. Now the number of bulls on the farm 8 feet. Sell ​​the two big bulls that were there before the next two months. And after buying six bullocks, two of them will be suitable for sale in Eri. That means that you can sell 8 storks in the first 6 months. Now you have 4 bulls on your farm. Buy more 2 more with them for the next 6 months in front of the Eid-ul-Fitr prayer and do well and sell 6 bulbs and buy 6 bulls of Eid. Hopefully, there will be no possibility of a loss if there is a plan, proper feeding and regular doctors and big eaters or well wishers. Those who have the capacity can mix and buy more. One day the world has to go away. I wonder how to tell some stories from life stories, those who want to decorate life by implementing dreams. If someone is benefited by writing or writing a word, maybe there will be a day when I will not be there, but my creation or my imagination will come in handy to decorate the lives of some good people. What can be more than what is available. Every day I am not the person who fits the fish with a fish. I want to teach fishing as much as I know. I want someone to learn fishing better than I do, and keep myself heading down with self-sufficiency. This is my personal opinion or experience. There may be better suggestions. Which you like
0 notes
pilotagrofarm · 6 years
Photo
Tumblr media
জীবনের গল্প : পর্ব: ১
৬ টা ষাড় বাছুর দিয়ে শুরু করতে পারেন আপনার স্বপ্নের নতুন অধ্যায়। বছর টাকে দুই ভাগে ভাগ করবেন। কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে ৬ মাস আর ঈদ পরবর্তী সময়ের ৬ মাস।
ঈদ পরবর্তী সময়ে যদি ৬টা ভালো জাত দেখে যেমেন দেশী ফ্রজিয়ানের সাথে ক্রস করা কিছু বাছুর, বা শাহীওয়াল সিন্ধি জাতের কিছু লাল, কালো ষাড় বাছুর খামারের জন্য কিনতে পারেন তবে ৬ মাসের প্রকল্প সামনে রেখে আগাবেন। যেমন :
৬ টা বাছুর কিনলেন ৪০/৪৫ থেকে ৫৫ হাজার টাকার মধ্যে। ভালো ভাবে পরিচর্জার পর প্রথম দুই মাস পরে ২টা বাছুর বিক্রি করে দিলেন। তার পরের দুই মাস পরে আরো ২টা বিক্রি করে দিলেন। এবার খামারে ষাড় রইলো দুইটা মাস গেল ৪ টা। যে চারটা ষাড় বিক্রি করেছিলেন তা থেকে লাভের অংশটা নিজের কাছে রেখে বিক্রিত ঐ টাকার দ্বারা আরো ৬ টা ছোট ষাড় পরবর্তী ৬ মাসের জন্য কিনে নিবেন। এবার খামারে ষাড়ের সংখ্যা দাড়ালো ৮ টাতে। পরবর্তী দুই মাস পরে পূর্বের যে দুইটা বড় ষাড় ছিল তা বিক্রি করে দিন। এবং পরে যে ৬ টা ষাড় কিনেছিলেন তার মধ্যে ২টা ষাড় এরি মাঝে বিক্রির উপযোগী হয়ে যাবে। অর্থাৎ আপনি প্রথম ৬ মাসেই মোট ৮টি ষাড় বিক্রি করতে পারছেন।
এবার আপনার খামারে রইলো ৪ টি ষাড়। এদের সাথে আরো ২ টা কিনে পরবর্তী ৬ মাসের জন্য কোরবানীর ঈদ সামনে রেখে ভালো ভাবে পরিচর্জা করুন আর ঈদে সব গুলি বিক্রি করে আবার ৬ টা ষাড় বাছুর কিনে নিন।
আশা করি সঠিক পরিকল্পনা, খাদ্য প্রদান এবং নিয়মিত চিকিৎসক এবং বড় খামারী অথবা শুভাকাঙ্খীদের মরামর্শ মত চললে লোকসান হবার সম্ভবনা থাকবেনা ইনশাআল্লাহ। যাদের সামর্থ্য আছে তারা মিল করে বেশী ষাড় ও কিনতে পারেন।
একদিন পৃথিবী ছেরে চলে যেতেই হবে। ভাবছি জীবনের গল্প গুলো থেকে কিছু গল্প তাদেরকে শোনাই যারা স্বপ্ন বাস্তবায়নের মাধ্যমে জীবনকে সাজাতে চায়।
আমার একটা কথায় বা লেখায় যদি কেউ উপকৃত হন, হয়তো এমন একদিন আসবে যেদিন আমি থাকবোনা কিন্তু আমার সৃষ্টি বা আমার কল্পনা গুলো কিছু ভালো মানুষদের জীবন সাজাতে উপকারে আসবে। এর চেয়ে বড় পাওয়া আর কিই বা হতে পারে।
প্রতিদিন কাউকে মাছ ধরে দিয়ে মহৎ সাজবো এমন মানুষ আমি নই। আমি মাছ ধরা শেখাতে চাই যতটা জানি। আমি চাই আমার চাইতে ভালো করে কেউ মাছ ধরা শিখুক আর নিজে নিজে সাবলম্বি হয়ে বেঁচে থাকুক মাথা উচু করে।
এ আমার নিতান্তই ব্যাক্তিগত মতামত বা অভিজ্ঞতা। এর চাইতেই ভালো পরামর্শ থাকতে পারে। যেটা আপনার কাছে পছন্দনীয়
0 notes
pilotagrofarm · 6 years
Photo
Tumblr media
বাছুরকে দুধ কতটুকু খাওয়াবেন ? উত্তর খুব সহজ! বাচুরের যতক্ষন না পেট ভরে।কিন্তু এটা কি তার জন্য পর্যাপ্ত না কি কম বা বেশি।যদি গরু ফ্রিজিয়ান বা উন্নত কোন জাতের তাহলে তো সেটা ২০-২৫লিটারও দিতে পারে।আর বাচুর যদি মন ভরে খেতে থাকে তাহলে কি হবে চিন্তা করুণ তো! সর্বনাশ!! হতে পারে পাতলা পায়খানা,পেট ফোলাসহ অনেক ঝামেলা।সর্বশেষ পরিনতি মৃত্যুও হতে পারে। আর বিষয়টা যদি তার উলটো হয় তাহলে কি হবে।একটা একশত কেজি ওজনের দেশী রোগা গাভী তার বাচুরকে কতটুকু দুধ দিতে পারে,যদি সারা দিনও বাচূর দুধ খায়।আর যদি বাচুর হয় দেশি এবং ফ্রিজিয়ানের ক্রস তাহলে তো আর কথাই নেই।না খেয়ে খেয়ে বাচুরটি হবে দূর্বল।তার ভবিষ্যত কি হবে ভাবুন তো!সেটা কি ভবিষ্যতে ভাল গাভী হতে পারবে।উত্তর অবশ্যই “না”। দুধ বেশী খাওয়ান আর কম খাওয়ান দুটোই খারাপ।তাই বাচুর কে পর্যাপ্ত দুধ খাওয়াতে হবে।তাহলেই ভবিষ্যতে ভাল গাভী পাবেন।পাবেন ভাল ষাড়। কিন্তু সেই পর্যাপ্ত পরিমানটা কতটুকু।এক মিনিট ভাবুন?? এবার বলি শুনুন, যদি বাচুরের ওজন হয় ৩০ কেজি তাহলে তাকে দুধ দিতে হবে দৈনিক তিন কেজি।এভাবে চলবে জন্মের পর তিন সপ্তাহ। এর পরে বাচুরের ওজন ৩০ কেজি হলে দৈনিক দুধ দিতে হবে ২ কেজি।এই হিসেবে চলবে আরো দুই সপ্তাহ।তাহলে মোট পাঁচ সপ্তাহ গেল। এবার আপনি প্রতি ২০ কেজি ওজনের জন্য ১ কেজি করে দুধ দিলেও চলবে।তাহলে বাচুরের শরীর স্বাস্থ্য ভাল থাকবে।আর ভবিষ্যতে আপনার খামার লাভজনক হয়ে উঠবে। ডাঃসুচয়ন চৌধুরী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা(অঃদাঃ) রাঙ্গামাটি সদর,রাঙ্গামাটি
0 notes
pilotagrofarm · 7 years
Photo
Tumblr media
বাছুরকে দুধ কতটুকু খাওয়াবেন ? উত্তর খুব সহজ! বাচুরের যতক্ষন না পেট ভরে।কিন্তু এটা কি তার জন্য পর্যাপ্ত না কি কম বা বেশি।যদি গরু ফ্রিজিয়ান বা উন্নত কোন জাতের তাহলে তো সেটা ২০-২৫লিটারও দিতে পারে।আর বাচুর যদি মন ভরে খেতে থাকে তাহলে কি হবে চিন্তা করুণ তো! সর্বনাশ!! হতে পারে পাতলা পায়খানা,পেট ফোলাসহ অনেক ঝামেলা।সর্বশেষ পরিনতি মৃত্যুও হতে পারে। আর বিষয়টা যদি তার উলটো হয় তাহলে কি হবে।একটা একশত কেজি ওজনের দেশী রোগা গাভী তার বাচুরকে কতটুকু দুধ দিতে পারে,যদি সারা দিনও বাচূর দুধ খায়।আর যদি বাচুর হয় দেশি এবং ফ্রিজিয়ানের ক্রস তাহলে তো আর কথাই নেই।না খেয়ে খেয়ে বাচুরটি হবে দূর্বল।তার ভবিষ্যত কি হবে ভাবুন তো!সেটা কি ভবিষ্যতে ভাল গাভী হতে পারবে।উত্তর অবশ্যই “না”। দুধ বেশী খাওয়ান আর কম খাওয়ান দুটোই খারাপ।তাই বাচুর কে পর্যাপ্ত দুধ খাওয়াতে হবে।তাহলেই ভবিষ্যতে ভাল গাভী পাবেন।পাবেন ভাল ষাড়। কিন্তু সেই পর্যাপ্ত পরিমানটা কতটুকু।এক মিনিট ভাবুন?? এবার বলি শুনুন, যদি বাচুরের ওজন হয় ৩০ কেজি তাহলে তাকে দুধ দিতে হবে দৈনিক তিন কেজি।এভাবে চলবে জন্মের পর তিন সপ্তাহ। এর পরে বাচুরের ওজন ৩০ কেজি হলে দৈনিক দুধ দিতে হবে ২ কেজি।এই হিসেবে চলবে আরো দুই সপ্তাহ।তাহলে মোট পাঁচ সপ্তাহ গেল। এবার আপনি প্রতি ২০ কেজি ওজনের জন্য ১ কেজি করে দুধ দিলেও চলবে।তাহলে বাচুরের শরীর স্বাস্থ্য ভাল থাকবে।আর ভবিষ্যতে আপনার খামার লাভজনক হয়ে উঠবে। ডাঃসুচয়ন চৌধুরী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা(অঃদাঃ) রাঙ্গামাটি সদর,রাঙ্গামাটি
0 notes
pilotagrofarm · 7 years
Photo
Tumblr media
GYR cow
0 notes
pilotagrofarm · 7 years
Text
GYR cow
https://en.wikipedia.org/wiki/Gyr_cattle
0 notes
pilotagrofarm · 7 years
Photo
Tumblr media
জেনে রাখা প্রয়োজনঃ —————————————— বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে মৌমাছিসহ বিভিন্ন সংকেত প্রদানকারী পোকামাকড় ও প্রাণী কমে যাচ্ছে। কৃষি ফসল, ফলজ, বনজ উদ্ভিদ হাঁস-মুরগির ডিম উৎপাদন, গাভীর দুধ উৎপাদনসহ অন্যান্য কৃষি উৎপাদন কমে যাওয়ার খবরও নিয়মিত পাওয়া যায়। বিজ্ঞানীরা এর অজ্ঞাত কারণ হিসেবে মোবাইল টাওয়রের রেডিয়েশনের প্রভাবকে দায়ী করছেন। মোবাইল ফোন টাওয়ার রেডিয়েশনের ওপর সারা বিশ্বে এ পর্যন্ত ৯২৬টি গবেষণা হয়েছে। এর মধ্যে ৬০১টি গবেষণায় পশু, পাখি, পোকামাকড়, জীব-অণুজীব এবং মানুষের ওপর নেতিবাচক প্রভাব প্রমাণিত হয়েছে। মোবাইল ফোন টাওয়ারের এক বর্গ কিলোমিটারের মধ্যে ১৯০০ মেগাহার্টজ মাইক্রোওয়েভ ছড়ায়। মোবাইল ফোন টাওয়ার থেকে নির্গত ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক রেডিয়েশন (ইএমআর) ঘটিত ইলেক্ট্রো স্মোগ খুবই ভয়ানক। যা প্রাণি, উদ্ভিদ ও মানুষের জৈবিক ব্যবস্থাকে বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। মৌমাছিসহ পরাগায়নে সাহায্যকারী পতঙ্গের ওপর প্রভাব বেশি পড়ছে। এসব পোকামাকড় বিলুপ্ত হলে পরাগায়ন বন্ধ হবে, উদ্ভিদ বিলুপ্ত হয়ে খাদ্য উৎপাদনে প্রভাব ফেলবে। আলবার্ট আইনস্টাইন বলেছিলেন, মৌমাছি ধ্বংস হওয়ার পর মানুষও নিশ্চিহ্ন হবে। পৃথিবীতে ৬০ শতাংশ উদ্ভিদের পরাগায়ন হয় প্রাণীর মাধ্যমে। গবেষণায় দেখা গেছে, ইএমআর এর সংকেত পোকামাকড়ের আন্তঃকোষীয় যোগাযোগ ব্যাহত করে। এছাড়া উচ্চমাত্রার তড়িৎ চুম্বক ক্ষেত্র সম্পন্ন মোবাইল ফোন জীবিত প্রাণীর মস্তিষ্কের কিছু অংশে পরিবর্তিত রূপ দিতে পারে। বেলজিয়ামের ব্রাসেলসের রিসার্চ ইন্সটিটিউট ফর ন্যাচার এন্ড ফরেস্টের বিজ্ঞানীরা সমগ্র ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রের মৌমাছি কলোনি ধ্বংসের কারণ হিসেবে ইএমআরকে চিহ্ণিত করেছেন। ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা মৌচাকে প্রতিদিন ২-১৫ মিনিট মোবাইল ফোনের রেডিয়েশন দেন। এতে দেখা যায়, তিন মাস পর মৌচাকের উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। সুইজারল্যান্ডের একদল গবেষক প্রমাণ করেন, ইএমআর মৌমাছি বা পোকামাড়কে শধু বিভ্রান্ত করে না মেরেও ফেলে। পিপড়ার উপর এক গবেষণায় দেখা গেছে, ইএমআর প্রবাহিত হয় এমন স্থানে পিপড়া ঘ্রাণশক্তি, দৃষ্টি শক্তি এবং স্মৃতিশক্তি কয়েক ঘন্টার মধ্যে হারিয়ে ফেলে। আলফোনসো বালমোরি প্রমাণ করেন ইএমআর এর আশপাশের এলাকায় চড়–ই, ঘুঘু, সারস, দোয়েল এবং বিভিন্ন প্রজাতির পাখি বাসা ছেড়ে চলে যায়। রাশিয়ার এক গবেষণায় জানা যায়, ডিম ফোটানোর সময় জিএসএম ফোনের কাছে উন্মুক্ত শতকরা ৭৫ ভাগ মুরগির ভ্রণ নষ্ট হয়ে যায়। মোবাইল ফোন টাওয়ারের পাশের পাখির বাসা থেকে এক সপ্তাহের মধ্যে পাখি বাসা ত্যাগ করে ও ডিম থেকে বাচ্চা ফোটে না। যুক্তরাষ্ট্রে দেখা গেছে টাওয়ারের রেডিয়েশনের ফলে মাছ, বাদুর, ব্যাঙ মারা যায়। দুগ্ধবতি গাভীর দুধ উৎপাদন কমে যায় এবং অকাল গর্ভপাত হয়। মোবাইল ফোন টাওয়ারের কাছে অবস্থানকারী শতকরা ৩২ ভাগ বাছুরের চোখে ছানি পরে। মাটিতে অবস্থানরত পোকামাকড় ও অনুজীবরে ওপর ইএমআর এর প্রভাব পড়ে। ইএমআর তাপমাত্রা বাড়ায় যার কারণে এগুলো মারা য়ায়। ফলদ বৃক্ষ, বনজ বৃক্ষ, ফসলের গাছ ইত্যাদি উদ্ভিদ জগতের ওপর ইএমআর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। গবেষণায় দেখা গেছে ইএমআর বীজের বৃদ্ধি, অঙ্কুরোদগম ব্যাহত করে। মূলের বৃদ্ধিসহ সঠিক উৎপাদনকে ব্যাহত করে। মোবাইল ফোন টাওয়ারের আশপাশের আবাদি জমিতে ফলন কম হওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। মধুপুরের পিরোজপুরে পাশাপাশি দুটি টাওয়ার থাকার কারণে আশপাশের আবাদি জমির ধানের পাতা লাল হয়ে গেছে। কলাবাগানের কলার ছড়ি ছোট হয়ে গাছের পাতা মরে যাচ্ছে। নারিকেল গাছসহ উঁচু গাছের কাছে টাওয়ার থাকলে সেখানেও উৎপাদন ব্যাহত হয়। জার্মানির বনাঞ্চল কমে যাওয়ার কারণ হিসাবে ইএমআর কে দায়ী করা হয়েছে। নিম্নমাত্রার রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি রেডিয়েশনও গাছের ক্ষতি করে। ইএমআর মানুষেরও ক্ষতি করছে। যেমন- ব্রেন ক্যান্সার, শ্রবণ ক্ষমতা হ্রাস। বুকের কাছে মোবাইল ফোন রাখলে হৃৎপিন্ড, যকৃত ও ফুসফুসের ক্ষতি হয়। প্যান্টের পকেটে মোবাইল ফোন রাখলে পুরুষ প্রজননতন্ত্রের সমস্যা হওয়ার কাথা শোনা যাচ্ছে। কারণ, সেলফোনের সঙ্গে টাওয়ারের যোগাযোগে মাইক্রোওয়েভ রেডিয়েশন তৈরি হয় মাধ্যমে। এই রেডিয়েশন মানবদেহে সহজেই প্রবেশ করতে পারে। বিশেষ করে যারা ইয়ারফোন ব্যবহার করেন তাদের ক্ষতি হয় বেশি। বাংলদেশ যত্রতত্র মোবাইল ফোন টাওয়ারের কারণে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ক্ষতিটা খুব ধীরগতিতে হয়। তবে এর প্রভাব দীর্ঘমেয়াদী। ভারতের পরিবেশ মন্ত্রণালয় উদ্ভিদ ও প্রাণীকুল রক্ষায় সুপারিশ করেছে যে, বর্তমান অবস্থিত টাওয়ার এক কিলোমিটরের মধ্যে নতুন টাওয়ার নির্মাণ করা যাবে না। বিকল্প চিন্তা হিসেবে টাওয়ার ছাড়াও সফটওয়্যারের মাধ্যমে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা যায়। এ ব্যাপারে অস্ট্রেলিয়ার ফ্রিনডার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ড. পলগার্ডনার স্টিফেন তৈরি করেছেন ডিস্ট্রিবিউটেড নাম্বারিং আর্কিটেকচার বা ডিএনএ নামে একটি সফটওয়ার। যতক্ষণ কথা বলা হবে ততক্ষণ এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে নেটওয়ার্ক তৈরি হবে দুটো মোবাইল সেটের মধ্যে। স্যাটেলাইটের মাধ্যমেও মোবাইল ফোন ব্যবহার করা যায়। এমনিতেই আমাদের পরিবেশ দুষণের ফলে বিপর্যয়ের মুখে। মোবাইল ফোন টাওয়ার রেডিয়েশন নতুন করে পরিবেশ বিপর্যয়ের জন্য চিন্তা বাড়িয়ে দিল। এর জন্য অবশ্যই বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন। (তথ্যঃসংগৃহীত)
0 notes